চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বার্ষিক বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রাবেয়া আক্তার, সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব মোঃ সিরাজুল হক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন, পৌর সভার প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর বাবুল মিয়া, একাডেমিক সুপারভাইজার কফিল উদ্দিন, রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান খান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কমিটির সভাপতি কাজী মোঃ তারেক, জাহানারা হক মহিলা কলেজের প্রভাষক সুভাষ সাহা, কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা কামাল আহাম্মদ খান, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সাবেক সদস্য ও প্রাক্তন ছাত্র আসাদুজ্জামান খোকন, আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এর সাধারণ সম্পাদক ও অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সাংবাদিক জালাল হোসন মামুন প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক অলক চক্রবর্তী ও মোঃ শাহাদাত হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথি ও বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য হাজী আব্দুর রহিম মিয়া, সাংবাদিক মফিকুল ইসলাম সুহিন, মোহাম্মদ আবির, হাসান মাহমুদ পারভেজসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা ও ককটেল বিস্ফোরনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আখাউড়ায় বিএনপি-জামাতের ১৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ২৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে আখাউড়া পৌরশহরের নারায়ণপুর বাইপাস তিন রাস্তার মোড়ে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও বিস্ফোরণের অভিযোগে ২৯ অক্টোবর উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোবারক আলী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আটককৃতদের মধ্যে ১৭ জন বিএনপির নেতাকর্মী এবং ২ জন জামাতের। তবে, উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দাবি, আন্দোলন দমনে মিথ্যা মামলায় তাদের নেতাকর্মীদের আটক করছে পুলিশ।
গত ১৬ দিনে পুলিশের অভিযানে আটককৃতরা হলো উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান খান সানি (৩২), উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রানা (৫০), উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মোঃ আমজাদ খান (৫০), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারক হোসেন (৩১), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ লুৎফুর রহমান ভূইয়া (৪৫), মনিয়ন্দ ইউনিয়ন বিএনপির য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর চৌধুরী (৫৪), মনিয়ন্দ প্রবাসী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিব সরকার (২৯), উপজেলা যুবদলের সদস্য শেখ সুমন (৪২) দরখার ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমান মানিক (৫০), ধরখার ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম খন্দকার (৩৭, মোগড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ (৪০), উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য মোঃ আলমগীর মিয়া (৪৬), মোগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ ইয়াছিন মিয়া (৪০), বিএনপির কর্মী মোঃ কাউছার (১৯), বিএনপি কর্মী মোঃ ইকবাল (৫০), মনিয়ন্দ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রতন মিয়া (৫৪) জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সদস্য মোঃ আসাদুল ইসলাম আশিক (৪৭) উপজেরা জামাতের শ্রমিক কল্যাণ সংগঠনের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আল আনসারী (৫৫), জামাতের কর্মী মোঃ রতন (৪৫)।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, যে তারিখ ও সময়ে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করে পুলিশ মামলা করেছে। প্রকৃতপক্ষে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করার জন্য মিথ্যাা মামলা দিয়েছে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সামনে নির্বাচন, গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীকে দূরে রাখার জন্য এ মামলা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশের উপর হামলা করে। সরকারি কাজে বাধা দেয়।
উল্লেখ্য, পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা, পুলিশের উপর আক্রমণ, ও ককটেল বিস্ফোরনের দায়ে আখাউড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোবারক আলী বাদী হয়ে ৬১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছে। মামলায় অজ্ঞাতানামা আরো শতাধিক লোককে আসামী করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় শ্বাসরোধ করে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তি হলো উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের নূর মোহাম্মদের পুত্র মোরছালিন ভূঁইয়া (২৬)।
গতকাল রবিবার বিকালে একই ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মঙ্গল মিয়ার পুত্র আব্দুল্লার তালাবদ্ধ বসত ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবি পাওনা টাকা চাওয়ায় আব্দুল্লাত ও তার সহযোগিরা মোরছালিনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই হাকিম ভূইয়া বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি আখাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে। মামলায় শিবনগর গ্রামের মঙ্গল মিয়ার পুত্র আব্দুল্লাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার ৯টার দিকে পাশবর্তী শিবনগরের সোহেল মোরছালিনকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি। রোববার দুপুরে শিবনগরের আব্দুল্লাহর ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের ভাই রায়হান ভূইয়া বলেন, শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ ও হৃদয়ের কাছে আমার ভাই ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। শনিবার দুপুরে ভাই আমাকে বলে পাওনা টাকার বিষয়টি আব্দুল্লাহর পরিবারকে জানাবে কাগজে হিসাবটি লিখে দিতে বলে। আমি হিসাব লিখে দিই। মোরছালিন পোল্টি মুরগির ব্যবসা করতো বলে রায়হান জানায়।
নিহতের বড় ভাই হাকিম ভূঁইয়া বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে আমার দোকানের সামনে থেকে শিবনগর গ্রামের তালু মিয়ার ছেলে সোহেল মোরছালিনকে ডেকে নিয়ে যায়। সে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহর ঘরের তালা ভেঙ্গে বস্তায় বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে ধারনা করছি।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা, মাদকসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় দিগন্ত পরিবহনের বাসের ধাক্কায় সাইমন (৫) নামে একটি শিশু নিহত হয়েছে।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে উপজেলার ছতুরা শরীফ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইমন উপজেলার ছতুরা শরীফ গ্রামের উত্তর পাড়ার ইউনুস মিয়ার ছেলে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন মোল্লা বলেন, সাইমন সকালে বাড়ির কাছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় কসবার কুটি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাউতলীগামী দিগন্ত পরিবহনের একটি বাস শিশুটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘাতক বাসটি জব্দ করে থানায় নেয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়৷
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের উজানিসার এলাকায় অবাধে চলছে মাটি কাটার ধুম। গত দু’সপ্তাহ ধরে নাজুয়া এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে এই মাটি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রোপাইটার সুমন খানসহ ওই চক্রটি আইন না মেনেই নদীর তীরবর্তী মাটিসহ পাশে থাকা ধরখার-উজানিসার সেতুর পিলারের গা ঘেঁষে মাটি কেটে নিচ্ছে। এতে যে কোনো সময় গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সে সঙ্গে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবল তোরে আশেপাশের এলাকায় ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রভাবশালী একটি চক্রটি সিন্ডিকেট করে খাল খননের নামে প্রতারণার মাধ্যমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাটি কেটে নিয়ে যায়। বেশ কয়েকটি ভেকু মেশিন দিয়ে অন্তত ৩০ ফুটেরও বেশি গভীর করে মাটি কেটে তা বিক্রি করছে পার্শ্ববর্তী জেলার কোম্পানিগঞ্জের একটি ব্রিকস ফিল্ডে। তারা নদীর পাড় ও সরকারি জায়গার পাশিপাশি আশপাশ এলাকার ব্যক্তি মালিকানা জায়গার মাটিও নির্বিচারে কেটে বড় বড় গভীর গর্তের সৃষ্টি করেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে নদীর পাশে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ওই এলাকায় ভাঙন দেখা দিতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ মিয়া বলেন, সুমন নামে এক ঠিকাদার গত দু’সপ্তাহ ধরে আমার মালিকানা জায়গা ও ব্রিজের আশপাশের সরকারি খালি জায়গায় ভেকু মেশিন দিয়ে রাতে দিন মাটি কাটছে। মাটি গভীরতা করে কাটার ফলে ব্রিজের পিলার যেকোনো সময় ধসে যেতে পারে। দ্রুত অবৈধ মাটি কাটা বন্ধে আমি প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
হাবিব মিয়া নামে এক বাসিন্দা বলেন, একটি চক্র সিন্ডিকেট করে এক প্রভাবশালীর নেতার ছত্রছাত্রায় মাটি কাটছে। আমরা কয়েকবার বাঁধাও দিয়েছি। পরে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করলেও পুনরায় আবার মাটি কাটছে। এ ছাড়া কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি যা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এর নীচের অংশে মাটি কাটার ফলে সেতুটি এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সেতুর পিলার ঘেঁষে মাটি কাটার ফলে সেতুটি এখন হুমকির মুখে পড়বে। মাটি সরিয়ে নেওয়া হলে যে কোনো সময় ব্রিজটি বসে যেতে পারে। সেতুটি রক্ষায় দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, তিতাস খনন প্রকল্প চললেও যে জায়গায় মাটি কাটা হচ্ছে সেখানে এখনো তিতাস খনন কাজ শুরু হয়নি। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে নাজুয়া এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার সুমন খান বলেন, আমি অন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে সাব কন্টাক্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্কওডার পেয়ে এই কাজ করছি। তবে কারো ব্যক্তির জায়গার মাটি আমি কাটিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজারে যানজট কমানের লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আজ ১১ জুন মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আক্তার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম. রাহাতুল ইসলামের পৃথক দুটি আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরে আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম আদালতকে সহযোগিতা করেন।
এসময় সড়ক অবৈধ মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের দায়ে তিন চালককে তিনটি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রাস্তার পাশে মোটর সাইকেল রেখে যানজন সৃস্টি করায় এবং মালিকবিহীন ৫টি মোটর সাইকেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় জনসাধারণের চলাচলের জন্য ফুটপাট উন্মুক্ত রাখার জন্য ভাসমান দোকানীদেরকে সতর্ক করেন আদালত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আক্তার বলেন, সড়কে যত্রতত্র গাড়ি রাখায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজারে জনসাধারণের সমাগম বৃদ্ধি পায়। সড়কে যানজট কমানোর লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।