চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনায় বাড়ির উঠানে ফেলে পুত্রবধূ ও শাশুড়িকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় প্রধান আসামীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের আতকাপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন আতকাপাড়ার ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া (৪০) ও নান্নু মিয়া (৪৫)।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আতকাপাড়ার আবদুল আলীর ছেলে নাসির মিয়া ইটভাটায় কাজ করার সুবাদে চট্টগ্রামে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। গত দুই মাস আগে নিজের গ্রামে বাড়ি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
বাড়িতে নাসির মিয়া, তার স্ত্রী, স্কুল পড়–য়া মেয়ে এক ৬ মাস আগে বিয়ে হওয়া পুত্রবধূ থাকেন। নাসির মিয়ার বাড়ির সামনে একটি নালায় ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া ও সিরাজ মিয়ার ছেলে মানিক এবং সবুজ অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিলো।
গত শনিবার তাদের জালের বাঁধের বাঁশ কে বা কারা নিয়ে যায়। এনিয়ে নাসির মিয়ার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া, মানিক এবং সবুজ নাসিরের বাড়িতে গিয়ে নাসিরের স্ত্রী শিউলি বেগম, তার পুত্রবধূ শারমিন (২০) কে উঠানে ফেলে বেদড়ক মারধোর করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় নাসির মিয়া ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার প্রধান আসামী বাক্কু মিয়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগরে মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম (৩৫) এর ছুরিকাঘাতে অপর চাচাতো ভাই মোঃ নিয়ামুল (২৫) নিহত হয়েছে।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত নিয়ামুল নলগরিয়া গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে এবং গ্রেফতারকৃত আশরাফুল ইসলাম একই বাড়ির আবদুল মোতালেবের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক ব্যবসা করতো। মাদক ব্যবসা নিয়েই তাদের মধ্যে বিরোধ ছিলো।
এই বিরোধের জেরে বুধবার বিকেল চারটার দিকে আশরাফুল ইসলাম নিয়ামুলকে তার বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করে আশরাফুল।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ামুলকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আশরাফুল নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করলে হাসপাতালে নেয়ার পর নিয়ামুল মারা যায়। আমরা ঘাতক আশরাফুলকে গ্রেফতার করেছি। নিয়ামুলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচরে যায় বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর ও তার পরিবারকে বহনকারি একটি প্রাইভেটকার। তবে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও তারা অক্ষত রয়েছেন।
আজ ২৬মে শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় উপজেলার রামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে প্রাইভেটকারে থাকা ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর, তার স্ত্রী রেহেনা সারোয়ার খোখর, মেয়ে হুদা আব্বাস খোখর ও ছেলে মোহাম্মদ খোখর অক্ষত রয়েছেন। হাইওয়ে পুলিশ পাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়া বাসের চালক মোঃ সাইফুল ইসলাম-(৩০) কে আটক করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস জানান, পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর নিজে প্রাইভেটকার চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ জেলার শ্রীমঙ্গল বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
‘বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রাইভেটকারটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার রামপুর এলাকায় পৌছলে হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুরন্ত পরিবহনের একটি বাস প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও প্রাইভেটকারে থাকা ডেপুটি হাই কমিশনার এবং তার পরিবারের সদস্যরা অক্ষত থাকে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর ডেপুটি হাই কমিশনার ও তার পরিবারের সদস্যরা হাইওয়ে থানায় কিছুক্ষণ অবস্থান করে একটি ভাড়া মাাইক্রোবাসে করে তিনি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে চলে যান। তিনি বলেন, আমরা বাসের চালক মোঃ সাইফুল ইসলামকে আটক করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ১ হাজার ৯শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি মোটর সাইকেলও জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিজয়নগর উপজেলার বামুটিয়া গ্রামের ইমরান মিয়া (৩৪) ও একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের আবদুল হক (৩৪)।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১ হাজার ৯শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় একটি মোটর সাইকেলও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭০ কেজি গাঁজা, ৩১৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ এবং ১৬২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ ইয়ার হোসেন (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যরা। এ সময় মাদকদ্রব্য বিক্রির নগদ সাড়ে চার হাজার টাকা ও মাদকদ্রব্যবাহী একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
আজ ৫ মার্চ রবিবার সকালে র্যাব-১৪-এর সদস্যরা ও বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা (২৫ ব্যাটালিয়ন) জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
রবিবার দুপুরে র্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সকাল ১০টায় র্যাব ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ইয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ইয়ার হোসেন আখাউড়া উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা, মাদকদ্রব্য বিক্রির নগদ সাড়ে ৪ হাজার টাকা ও মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
অপর দিকে বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা (২৫ বিজিবি) রবিবার সকালে জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩১৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ এবং ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।