চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্যদের সন্তানদের আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় ১০ জন সাংবাদিকের সন্তান, যারা এসএসসি পরীক্ষার্থী তাদের ফুলেল শুভেচ্ছাসহ পরীক্ষার উপকরণ প্রদান করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। এসময় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মো. খান বিটুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. কাউসার এমরান, পরীক্ষার্থীর অভিভাবক সাংবাদিক আবদুন নুর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাংবাদিক ও কলেজ শিক্ষক মনির হোসেন ও শাহাদাৎ হোসেন। পরে প্রধান অতিথি পরীক্ষার্থীদের হাতে ফুল ও পরীক্ষার উপকরণ তুলে দেন।
পরে পরীক্ষার্থীদের সার্বিক সফলতার কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া পরিচালনা করেন জেলা সদর হাসপাতাল মসজিদের খতিব সিয়াম ইবনে আনোয়ার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়া শহরতলীতে ৪৯টি ভারতীয় মোবাইল ফোন সেটসহ স্বপন খান (৪০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বিয়াল্লিশ্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির কাছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এনড্রয়েড মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
বিকেলে পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সদর থানা পুলিশ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিয়াল্লিশর এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় আখাউড়া পৌর এলাকার নিজাম খানের ছেলে স্বপন খানকে ৪৯টি ভারতীয় মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি, টেলিভিশন জার্লালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এবং দৈনিক জনকণ্ঠের ষ্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ উদ্দিন জামির অকাল মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এফ এস জামিল পাভেল ও সাধারন সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপন এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দরা জামীর মৃত্যুতে ৫ দিনের শোক কর্মসুচি ঘোষণা করেনএবং কালো ব্যাচ ধারন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোঃ আরিফ হোসেন বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ কলেজে শিক্ষার মান সুরক্ষার জন্য আমাদের শিক্ষকগণ যথাসাধ্য শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন।’
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১০ টায় কলেজের এলটি হলে আয়োজিত অভিভাবক ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এক অভিভাবক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন ভালো রেজাল্ট করতে পারে এ ব্যাপারে আমরা খুবই কমিটেড হয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। এর বিপরীতে আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীগনকেও পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হলে কমিটেড হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অভিভাবকগনকে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার উপর নজরদারি বাড়াতে হবে। সন্তানদের নৈমিত্তিক বিচরণের খবরা-খবর রাখতে হবে। পড়াশোনায় ভালো ফলাফল করতে হলে শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই নিয়মিত ক্লাসে যোগদান করতে হবে। পরীক্ষায় যারা ভালো ফলাফল করে থাকে, দেখা গেছে তাদের অধিকাংশই কলেজে নিয়মিত ক্লাস করার ফলেই পরীক্ষায় এমন ভালো রেজাল্ট করেছে। যারা নিয়মিত ক্লাসে আসবেনা, তাদের উপস্থিতির হার কম হলে এবং টেস্ট পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে না পারলে কোনভাবেই তাদেরকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিয়মিত ক্লাস করবে না, পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হবে না, অথচ ফাইনাল পরীক্ষা এলেই পরীক্ষায় বসতে চাইবে এমন পরীক্ষার্থী আমরা চাই না।’ তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, তোমরা মনে রাখবে আমরা শিক্ষার্থী চাই, পরীক্ষার্থী চাই না। তুমি মেধাবী হয়ে গড়ে উঠলে এটি যেমন তোমার নিজের আত্মসম্মানের বিষয় হবে, তেমনি তোমার পরিবারও তোমাকে নিয়ে গর্ব করবে, সর্বোপরি তোমার এই মেধাবীপনায় উপকৃত হবে দেশ ও জাতি। কেননা তোমরাই একদিন মেধাবী উত্তর-প্রজন্ম হয়ে দেশের নেতৃত্বভার গ্রহণ করবে। মনে রাখবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে মেধাদীপ্ত জাতি গড়ার কোন বিকল্প নেই।’
অভিভাবক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোহম্মদ হামজা মাহমুদ, প্রফেসর আবু সালেহ মো: নাম উদ্দিন, প্রফেসর খালেদ হোসেন খান, এ কে এম ওবায়দুল হক সহযোগী অধ্যাপক গণিত, মো: কামাল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক গণিত, মো: আনারুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক মো: ফরিদ মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুরে ২য় দিনের মতো জলাবদ্ধতা নিরসন ও রাস্তা প্রশস্তকরনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ।
আজ ৬ জুলাই শনিবার সকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখের নির্দেশে আঐর- কাঐর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গায় অবৈধ ভাবে নির্মিত বাড়ি, দোকান, স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূঞা, ৬ং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ মোবারক মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখের নির্দেশে আমরা আজ আঐর কাঐর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গায় নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। গত সপ্তাহে আমরা গৌতমপাড়ায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিলাম। সুহিলপুর ইউনিয়নে সরকারি জায়গায় অবৈধ ভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবদল। ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর ও সদর উপজেলা যুবদলের যৌথ উদ্যোগে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের টি.এ. রোড প্রদিক্ষণ করে রেলগেইট সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে সংক্ষিত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার ভ‚ইয়া খোকন, এ.বি.এম মোমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পুলিশ মিথ্যা ও মনগড়া মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। তারা অবিলম্বে জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী হিসেবে শামীম মোল্লাকে গ্রেফতা করা হয়েছে। তিনি ১৫টিরও বেশী মামলার এজহারভুক্ত আসামী। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।