অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বান্ধবী জোডি হেডনের সাথে তার বাগদানের কথা প্রকাশ করেছেন।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ৬০ বছর বয়সী আলবানিজ একটি লাভ হার্ট ইমোজির পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক পোস্টে বলেছেন, ‘তিনি (তার বান্ধবী) হ্যাঁ বলেছেন।’
ঘোষণার নীচে তিনি একটি সেলফি পোস্ট করেছেন, যেটি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে তোলা হয়েছে। এই জুটিকে ছবিতে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়।
হেডন পান্না সবুজ পোশাক পরেছে এবং হেডন তার হাত আলবানিজের বুকে রেখেছেন। তার আঙুলে বাগদানের একটি আংটি দৃশ্যমান। প্রধানমন্ত্রী একটি হালকা-নীল কালার শার্ট পরেছেন।
সরকারী সম্প্রচার মাধ্যম এবিসি জানিয়েছে, ২০২০ সালে মেলবোর্নের একটি ব্যবসায়িক নৈশভোজে হেডনের সাথে আলবেনিজের দেখা হয়েছিল। তিনি হলেন প্রথম অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী যিনি দায়িত্বে থাকাকালীন বাগদান করলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং পোস্ট করে বলেছেন,‘ভালবাসা একটি সুন্দর জিনিস। আমি তোমাদের উভয়ের জন্য খুব খুশি!’
অস্ট্রেলিয়ান রাজনীতিবিদ এবং ইংরেজ সেলিব্রিটি শেফ নাইজেলা লসনসহ অন্যদের কাছ থেকে দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে অভিনন্দন ছড়িয়ে পড়ে।
অনলাইন সমালোচকরা বলেছে, আলবেনিজ গাজার যুদ্ধসহ চাপের বিষয়গুলো থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।
আলবেনিজ, ডাকনাম আলবো, হাই স্কুলে থাকাকালীন বাম রাজনীতি কেন্দ্রিক লেবার পার্টিতে যোগদান করেন এবং পরে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ২০২২ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় জাতিসংঘের ২৯ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছে, আমরা শোকে মর্মাহত। আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি, ৭ অক্টোবর থেকে চলমান সংঘাতে গাজায় আমাদের ২৯ সহকর্মী নিহত হয়েছেন। এই সহকর্মীদের অর্ধেকই ছিলেন ইউএনআরডব্লিউএর শিক্ষক।
গত শনিবার এক পোস্টে তারা ১৭ কর্মীর মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল যা এখন বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়ালো।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘ সংস্থার স্কুলগুলোতে ১২ জন বাস্তুচ্যুত মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৮০ জন আহত হয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএর প্রায় ৩৮টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
একটি পৃথক বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় মজুদ জ্বালানি তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, জ্বালানি ছাড়া পানি থাকবে না, কোনো কার্যকরী হাসপাতাল ও বেকারি থাকবে না। জ্বালানি ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে অনেক বেসামরিক মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছাবে না। জ্বালানি ছাড়া কোনো মানবিক সহায়তা করা যাবে না।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাফাহ ক্রসিং পয়েন্টের একটি টার্মিনাল থেকে ছয়টি ট্রাক জ্বালানি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু তা গাজার ২৪ লাখ বাসিন্দাদের দৈনন্দিন চাহিদার সিকি ভাগও নয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ একমাস পর ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় গেলেন সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ।
আজ ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তিনি ভারত যান। এর আগে ২ ডিসেম্বর ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনারের কার্যালয়ে হামলা চালায় উগ্রবাদী গোষ্ঠী। এরপরই সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়।
৮ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সহকারী হাই কমিশনার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা নাগাদ সময়ের মধ্যে আগরতলায় যান। এসময় তিনি একাই ছিলেন।
আরিফ মোহাম্মদও তার যাওয়ার বিষয়টি স্থলবন্দর এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন। তবে কবে নাগাদ সেখানকার কার্যক্রম চালু হতে পারে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার ভারতীয় অফিসিয়াল নম্বরে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
অনলাইন ডেস্ক :
মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় তাবাসকো রাজ্যে একটি বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্ঘটনার কিছু ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এসব ছবিতে দেখা যায়, বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৮ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্যুরস আকোস্টা নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সি এই বাসটির মালিক। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাসটি ক্যানকুন থেকে তাবাসকো যাচ্ছিল। এতে মোট ৪৮ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার পর বাসটি আগুনে পুড়ে যায়। তারা আরও জানায়, বাসটি স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল। এসকারসেগার কাছাকাছি পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষে হয়। সংঘর্ষের পরেই বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
তাবাসকো রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছে এবং উদ্ধারকাজ এখনো চলছে।
ট্যুরস আকোস্টা ফেসবুকের এক পোস্টে দুঃখ প্রকাশ করে লিখেছে, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। এ ঘটনার জন্য আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে এ দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মেক্সিকোর কাম্পেচে প্রদেশের কান্দেলারিয়া শহরের প্রসিকিউটরের অফিসে এ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হবে। নিহত যাত্রীদের লাশ নিতে স্বজনদের এই অফিসে যেতে হবে।
তাবাসকো সরকারের সেক্রেটারি রামিরো লোপেজ বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব আমরা মৃতদের সংখ্যা ও পরিচয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করব।’
স্থানীয় কাউন্সিল প্যালাসিও মিউনিসিপ্যাল দে কমালকালকো জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ স্থানান্তরের জন্য তারা সহায়তা করবে।
সূত্র: রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় সহজে ও কম সময়ে ই-পাসপোর্ট এবং ভিসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার কুয়ালালামপুরে সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে তিনি এর উদ্বোধন করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান ফিতা কাটেন।
এসময় এ সার্ভিসের জন্য চুক্তিবদ্ধ আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড’ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, প্রবাসী মিডিয়াকর্মীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উপলক্ষে সেবা সপ্তাহ পালন করছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। এর শেষ দিনে এ কল সেন্টার উদ্বোধন করা হলো।
‘কল সেন্টার’ চালুর জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সেবা ও কল্যাণ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রবাসী-বান্ধব নীতি’ অনুসরণ করছেন। এ লক্ষ্যে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার। বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের সীমিত জনবল দিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ১২ লক্ষাধিক প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ অন্যান্য সেবা এবং বিদেশিদের ভিসা সেবা দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সই করা চুক্তির আওতায় গত একবছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় এসেছেন। ফলশ্রুতিতে, পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় হাইকমিশনের কাজের পরিধি বেড়েছে।
সেবা প্রদানের পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবাসী-বান্ধব নীতি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ‘কল সেন্টার’ চালু হলো।
শিগগির ই-পাসপোর্ট ও ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ই-পাসপোর্ট এবং মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশের ভিসা প্রদানের লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রস্থলে জালান দুয়া-চান শো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) প্রায় ১৪ হাজার বর্গফুট ভবন ভাড়া নিয়ে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ করা হয়েছে।
কল সেন্টারের নম্বর- 0392120267। সোম থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ও ভিসা বিষয়ে এ নম্বরে কল দিয়ে পরামর্শ নেওয়া যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবের আল নাজাদ অঞ্চলের আপিপ শহরে কাজে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় তিন জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
১৩ জুন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ও সৌদি সময় সকাল ৯টার দিকে আপিপ থেকে নির্মাণ কাজে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার সময় তিন শ্রমিকের মধ্যে সবুজ গাড়ির চালক ছিলেন। নিহতরা হলেন সবুজ চৌকিদার (৩৮), মো. সাব্বির (২১) ও মো. রিফাত (২০)।
নিহত শ্রমিকদের মধ্যে সবুজ ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের পশ্চিম বিশকাটালি গ্রামের জামাল চৌকিদারের ছেলে। অপর নিহত সাব্বির পার্শ্ববর্তী হাইমচর উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের চরভাঙা গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির ইসমাইল ছৈয়ালের ছেলে এবং রিফাত আলগী উত্তর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
আজ ১৪ জুন শুক্রবার সকালে নিহত তিন শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে শোকের মাতম দেখা গেছে। আসন্ন ঈদুল আজহার সময় দুর্ঘটনাটি প্রতিটি পরিবারে হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রিফাত তিন বছর আগে সৌদি আরবে যায়। সে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।
রিফাতের বাবা বলেন, কয়েকদিন আগেও ছেলের সাথে কথা হয়েছে। বাবার আবেদন ছিল ছেলে যেন বাড়িতে এসে ঈদ করে। কিন্তু তা আর হলো না। রিফাত খুব কম বয়সী। এমন দুর্ঘটনায় সবাই মর্মাহত। ছেলেটি তাদের সংসারে উপার্জনের হাল ধরেছিল।
নিহত সাব্বিরের বাবা ইসমাইল ছৈয়াল ও মা ফাতেমা বেগমের একটাই দাবি তাদের সন্তানকে দেশে আনার জন্য যেন সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হয়। মা ফাতেমা বেগম ছেলের শোকে অনেকটা বাকরুদ্ধ। প্রতিবেশীরা সান্ত্বনা দিয়েও মাকে বুঝাতে পারছেন না। কিছু সময় পর পর ছেলের নাম নিয়ে কেঁদে উঠেন।
সাব্বিরের বোন স্নেহা বলেন, ভাই আমাকে ফোনে অনেক স্বপ্নের কথা বলতেন। দেশে আসলে কি কি করবেন। গত কয়েকদিন আগে কথা হলে আমি দেশে আসার জন্য বলি। কিন্তু ভাইয়ের আর আসা হলো না। দুই ভাইয়ের মধ্যে আমি ছোট। বড় ভাইও সৌদিতে থাকেন। সাব্বির ও রিফাতকে সৌদিতে কাজের জন্য নিয়ে যায় সবুজ চৌকিদার। তিনি তাদেরকে আপিপ শহর ও আশপাশের এলাকায় ভবন নির্মাণের কাজ করাতেন। নিজেদের গাড়িতে করে তারা কাজে আসা-যাওয়া করতেন। গাড়িটির চালক ছিলেন সবুজ।
জামাল চৌকিদার বলেন, তার ছেলে সবুজ প্রায় ১৮ বছর সৌদিতে থাকেন। বেশ কয়েকবার দেশে এসেছেন। তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদেরকেও ভ্রমণ ভিসায় কয়েকবার সৌদিতে নিয়েছেন। সর্বশেষ দুই সপ্তাহ পূর্বে দেশ থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের সৌদিতে নিয়েছেন। তারা এখন সৌদি আরবে আছেন।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি সময় ৪টায় সবুজসহ তিন জনের দুর্ঘটনার খবর পান। রাত ১০টায় সেখানে অবস্থানরত স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পারেন দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সবুজের মৃত্যুতে তার মা ও স্বজনরা শোকাহত। তার মৃত্যুতে ছেলের বউ ও নাতনিরা কেমন আছেন। তাদের কথা মনে করে কেঁদে উঠেন। আমি আমার ছেলেকে নিজ চোখে এবং একটু ছুঁয়ে দেখতে চাই।
নিহত তিনটি পরিবারের দাবি, তাদের সন্তানের মরদেহ আনার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো যাতে সহযোগিতা করে।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা জানান, সৌদি আরবে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে আমাদের জানালে তাদের জন্য যেসব করণীয় আছে, তাদের সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।