চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় খালি বাড়িতে একা পেয়ে আব্দুল মান্নান গাজী (৭৫) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এরআগে ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার নিজ বাড়ির বসতঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আব্দুল মান্নান গাজী উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক গাজীর ছেলে।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় বাড়াই উজুরী শাহ দরবার শরীফে ওয়াজ মাহফিল ছিল। বৃদ্ধ আব্দুল মান্নান গাজী ছাড়া তার বাড়ির সবাই ওই মাহফিলে যায়। এরই মাঝে কে বা কারা তাকে বাড়িতে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বসতঘরের বিছানায় ফেলে রেখে যায়। এর কিছুক্ষণ পর নিহতের স্ত্রী এবং মেয়ের জামাতা বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন বিছানায় মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরো জানান, হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। মরদেহ রাতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমান (১৯) হত্যা মামলায় মো. রানা মিয়া (২২) নামে এক যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ৬ মার্চ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এই রায় ঘোষণা করেন।
নিহত সাইদুর রহমান কসবা উপজেলার কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের হুমায়ূন কবিরের ছেলে। মৃত্যুদন্ড পাওয়া রানা মিয়া একই গ্রামের মো. দানু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি রানা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমানকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ধারীরা যেতে বলেন। পরে সাইদুর রহমান তার মাকে জানায় সে পাশের গ্রামের একটি মাহফিলে যাচ্ছে। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে সাইদুরের মা ঘটনার দুইদিন পর ৩১ ডিসেম্বর কসবা থানায় একটি জিডি করেন।
পরে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মারকাজুল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিত্যক্ত একটি বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সাইদুরের গলাকাটা উদ্ধার করে পুলিশ।
৩ জানুয়ারি পুলিশ সাইদুরের মায়ের জিডিটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। পরে পুলিশ ঘটনার অনুসন্ধান করে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে একই গ্রামের রানা মিয়াকে গ্রেফতার করে। রানা মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এই রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের মা হনুফা বেগম। আদালত প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার রায় পেয়েছি। আমি দ্রুত এই রায় বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দ্বীন ইসলাম জানান, এই রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হত্যা করে যে কেউ পার পায় না এটাই এর সর্বশেষ প্রমাণ।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম জানান, এই মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা এই হত্যাকান্ডের ঘটনার পেছনে পরিকল্পনাকারী হিসেবে শারমিন বেগম নামে এক নারীকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আসামি রানা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কসবা উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আজ ৭ মে রবিবার বিকেলে উপজেলার আকছিনা ও শাহপুর রাস্তার জোড়া ব্রীজের সামনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম বাচ্চু, কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জিন্নাত প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে দেড় কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে। ৭ মার্চ শুক্রবার ব্যাটালিয়ান (৬০ বিজিবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মজলিশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, প্রসাধনী ও পটকাসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী জব্দ করে।
ব্যাটালিয়ান (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চোরাচালান বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সীমান্তবর্তী মজলিশপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় এক কোটি ৫৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, প্রসাধনী ও পটকা জব্দ করা হয়। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে যাতে ভারত হতে যে কোন ধরণের চোরাচালানী মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় মাদকবিরোধী অভিযানে ১,৭০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি পুরাতন সিএনজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযানে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে কসবা থানার পুলিশ।
৭ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়াদাবাদ এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। কসবা থানার এসআই মোঃ কামাল হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. ডালিম (৪৮) ও হানিফ (৪৬)। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল কাদের জানান আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করার পক্রিয়া চলছে।