চলারপথে রিপোর্ট :
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন। এখানে সরকারের কোন হাত নাই বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ড. ইউনুস তার বিরুদ্ধে মামলার ব্যাপারে জাতীসংঘে উদ্বেগের বিষয়ে আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে সকাল সাড়ে ১০ টায় আখাউড়া জংশন স্টেশনে এসে পৌছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তা কতটুকু কার্যকর হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন সেটা বিএনপি বলতে পারে। তবে আপনারা নির্বাচন দেখেছেন। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখেছেন। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়নের কাজ করবেন মানুষ সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন। বাংলাদেশে গনতন্ত্র আছে, তারা আন্দোলন করতে চেষ্টা করুক।
পরে তিনি সড়ক পথে নির্বাচনী এলাকা কসবা উপজেলায় যান।
এসময় স্টেশনে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাজুল ইসলাম নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ২৫ জুলাই সকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের তুলাইশিমুল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি ওই এলাকার মিনারকুট গ্রামের মৃত মালু ভূইয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে এস আই মোঃ মশিউর রহমান খান, সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৮ টার দিকে তুলাইশিমুল পাকা রাস্তায় একটি সিএনজি তল্লাশি করে ৮ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে। এসময় তাজুল ইসলামকে আটক করে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় নিয়মিত মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে। তাকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেছেন ‘বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সংবিধানের অধীনে বাংলাদেশ চলে। বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে বিএনপি-জাতীয় পার্টি স্বৈরশাসনের সময়ে অনেক ফুটবল খেলেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ফুটবল খেলা বন্ধ করেছে। এখন বাংলাদেশে সাংবিধানিক পন্থায় নির্বাচন হবে।
আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে কর্মীসভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এক সময় নির্বাচনের আগে তিন মাসের জন্য কেয়ারটেকার সরকার হতো। ওই কেয়ারটেকার সরকারের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হলে হাইকোর্ট রায় দেয় কেয়ারটেকার সরকারের কোন বৈধতা নাই, এটা বৈআইনি। এই মামলাটি আপিল বিভাগে গেলে আপিল বিভাগও কেয়ারটেকারকে অবৈধ বলে রায় দেয়। পরে সংসদে ১৫তম সংশোধনী পাশ হয়েছে। সেখানে কেয়ারটেকার সরকারের যে ব্যবস্থা ছিল তা বাতিল করা হয় এবং ‘৭২-এ সংবিধান যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপহার দিয়েছিলেন সে মোতাবেক নির্বাচন এবং বাংলাদেশ চলবে এটাই সিদ্ধান্ত হয়। এখন সেই মোতাবেকই বাংলাদেশ চলছে। আগামী নির্বাচন সেই মোতাবেক হবে। কোন নির্দলীয় সরকার, কোন কেয়ারটেকার সরকার থাকবে না। নির্বাচন করবে নির্বাচন করবে কমিশন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চালানোর দায়িত্ব ন্যাস্ত থাকবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেভাবেই গত ৩ বার নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এবারও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ।
দেশে আইনের শাসন নেই বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারসহ হত্যা করা। এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার করতে পারবে না বলে আইন পাশ করেছিল খন্দকার মোস্তাক ও জিয়াউর রহমান। সেটা আইনের শাসন মনে করে বিএনপি। আমরা মনেকরি আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। আমাদের সময়ে আইনে যা আছে জনগণকে তা পালন করতে হয়। আমরা মনেকরি সেটাই আইনের শাসন। এখন দেশে আইনের শাসন আছে। হত্যার বিচার হয় না এমন কথা কেউ এখন বলতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার করতে পারে নাই। তারা মুখে আবার আইনের শাসনের কথা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সেলিম ভূইয়া, মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, সাধারণ সম্পাদক কাজী লিটন খাদেম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া উপজেলায় জোর করে থানায় নেওয়ার সময় পুলিশের সামনে মৌসুমী আক্তার (২৫) নামে এক নারী বিষপান করেছেন। ২৩ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় নুরপুর গ্রামে মৌসুমির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার ও প্রতিবেশিরা ওই নারীকে প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার পাকস্থলি পরিষ্কার করে সেখানকার চিকিৎসক তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠায়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
মৌসুমী আক্তার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের আইয়ুব খানের মেয়ে।
তার মা শাহানা বেগম হাসপাতাল চত্বরে অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে আখাউড়া থানার এএসআই আব্দুল আজিজ মহিলা পুলিশসহ ৮/১০ জন মিলে আমার বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে ধরে থানায় নিয়ে যেতে চায়। আমার মেয়ে তখন তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চেয়ে বলে, আমাকে থানায় নেবেন কেন, আমি কী করেছি? আমার দুইটা ছেলে আছে, আমার স্বামী পাগল। আমি থানায় যাবো কেন? আজিজ দারোগা বলল ওসি সাহেব তোমাকে থানায় নিয়ে যেতে বলেছে। এ সময় আমি পুলিশকে বলি, আমার মেয়ের হার্টে ব্লক আছে, তাকে নিয়েন না। দরকার হলে আমি থানায় যাব। এ সময় পুলিশ জোরাজোরি করে ধরে নিতে চাইলে আমার মেয়ে পুলিশের সামনে বিষ খেয়ে ফেলে। কিন্তু পুলিশের সামনে বিষপান করলেও কেউ তাকে আটকাতে আসেনি। পরে আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তিনি আরো অভিযোগ করেন, এর আগেও পুলিশ কয়েকবার আমাকে ধরে আনতে চেয়েছিল।
এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসক ওই নারীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এ সময় আখাউড়া থানা পুলিশের ওসি আসাদুল ইসলামসহ বেশ কয়েক পুলিশ সদস্য উপস্থিত রয়েছেন। পরে রাত ৮টার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার সময় থানার এসআই আবু ছালেক সঙ্গে যান।
এ ব্যাপারে আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. লুৎফুর রহমান বলেন, রোগীর প্রেসার অনেক কমে গিয়েছিল। স্টমাক ওয়াশ করে বিষ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়।
তবে, আখাউড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আজিজকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, কিছু মাদক উদ্ধার হয়েছিল। আমাদের কাছে তথ্য ছিল মাদকগুলো তাদের। এ প্রেক্ষিতে আমি পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট ছিল না। তার ঘরে কিছু পাওয়া যায়নি। আগে রোগীর চিকিৎসা হোক। তারপরে যদি তদন্তে এএসআই আজিজের কোনো অপরাধ থাকে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না করতে পারলে রাষ্ট্র নিজেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য একটিই। সেটি হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। আমরা যদি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না করতে পারি, কোনো কারণে যদি আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের রাষ্ট্র নিজেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে যাবে। কারণ আমরা সমগ্র বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব।
সরকারের সাবেক এ সচিব বলেন, কোনোভাবেই এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেওয়া যাবে না। যখন যেখানে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সময়ক্ষেপণ না করে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, মাঠে আমাদের প্রায় তিন হাজার নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন। আমরা তিনটি শব্দের কথা বলে থাকি এগুলো হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, এর কোনো বিকল্প নেই। এ নির্বাচন শুধু ১৮ কোটি মানুষ দেখছে, তা নয়, আমাদের দেখছে সমগ্র বিশ্ব। আমরা কীভাবে নির্বাচন করব, কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, এটি তারা মূল্যায়ন করবে।
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকবেন। তারা কে কোথায় যাবেন, এটি তাদের ইচ্ছা, আমরা কাউকেই ইমপোজ করবো না যে, আপনারা এখানে বা ওখানে যান। তারাই ঠিক করবেন কোথায় যাবেন, আমরা তাদের যাতায়াত ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থবিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খানসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
প্রথম দেখায় জায়গাটিকে সড়ক বলে বোঝাই দায়। নোংরা পানি-কাদায় একাকার হয়ে আছে শতাধিক পরিবারের চলার পথটি। কয়েক মাস ধরে এমন ভোগান্তিতে আছেন আখাউড়া উপজেলার ধাতুরপহেলা গ্রামের কয়েকশ মানুষ। চলার পথের এ অবস্থার কারণে তাঁদের পরিবারের ছেলে-মেয়েদের বিয়েও ভেঙে যায় বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
গ্রামবাসীর ভাষ্য, প্রভাবশালী কয়েকটি পরিবারের বাড়ির নোংরা পানি সরাসরি পড়ছে সড়কটিতে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে সেখানে। ইট ফেলে হাঁটার ব্যবস্থা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এভাবে চলাচল করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
এক ভুক্তভোগী বলেন, মোগড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমানের গোয়াল থেকে প্রতিদিন গরুর বর্জ্য মেশানো পানি সরাসরি এখানে পড়ে। এ ছাড়া ভুট্টো মিয়া, আমির হোসেন, সেলিম মেম্বার, নাজির মিয়া, হামদু মিয়া, বিল্লাল, আনার, হেলাল, শামিম ও মোতালিব মিয়ার বাড়ির শৌচাগারের নোংরা পানি ও কলতলার পানিও উপচে আসে এ পথে। তবে তাঁরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
আনু মিয়া নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্রপক্ষের লোকজন এ পথের জন্য আসতে পারে না। লজ্জায় পড়তে হয়।’ শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে তাঁর এক সন্তানও নোংরা পানির কারণে অসুস্থ হয়েছিল। পরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়।
হাবিবুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুধু আমার বাড়ির গোয়ালের পানিই নয়, আরো কয়েকটি পরিবারের পানি রাস্তায় পড়ে।’ তবে মানুষ চলাচলের জন্য রাস্তাটি উপযোগী করতে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কয়েকটি পরিবারের ময়লা পানির কারণে শতাধিক পরিবার ওই পথ দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। বিষয়টি চেয়ারম্যানও জানেন। তিনি দ্রুতই উভয়পক্ষকে ডাকবেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন বলেন, রাস্তায় কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। সবার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের আশা করছেন।