চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি দেশ দিয়েছেন। সেই কল্যাণে আজ আমি মন্ত্রী। চার বার বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার জন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ ও ঋণী।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িযা সদর উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে দেয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, আপনারা আমাকে যা দিয়েছেন তার প্রতিদান আমি কখনো দিতে পারবো না। তবে নির্বাচনের আগে আমি যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছি তা বাস্তবায়ন করবো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামিমা আক্তার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম।
এরআগে মন্ত্রী ২১টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ও সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলার আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় অংশগ্রহন করেন।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, শিক্ষক, সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনার পর সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়াকে সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রওনকূল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সিদ্ধান্তে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়াকে সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারের বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী রুবেল বলেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান বিএনপি নেতা কবির আহমেদ ভূইয়া ও তার ভাই লন্ডনপ্রবাসী তারেক রহমানের পিএস আব্দুর রহমান সানি অযাচিতভাবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলকে চাপ দিয়ে আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আহ্বায়ক শাহীনুরের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, শাহীন একজন মাদককারবারি। তাকে গত শুক্রবার শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকায় পেয়ে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা মারধর করে।
এ বিষয়ে মারধরের শিকার জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, পদ চলে যাওয়ার পর থেকে তারা এসব কর্মকাণ্ড করছে। এসব ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তারা যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তা সুস্থ ধারার রাজনীতি হতে পারে না। তবে গতকাল আমাদের ওপর হামলার ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রদল তাদেরকে সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে।
জানা যায়, গত ৮ জুন মধ্যরাতে জেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এতে শাহিনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। এরপরই ফুঁসে ওঠে সদ্য সাবেক কমিটির নেতারা। এ নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায় পদবঞ্চিতরা। এছাড়াও নবগঠিত ও সাবেক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষও হয়।
এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও বিশাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগরের নবনির্মিত শেখ হাসিনা সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকায় ঘুরতে গেলে সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়ার নেতৃত্বে হামলা হয়।
এসময় জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমানকে কিল-ঘুষি দেওয়াসহ লাঠির আঘাত করা হয়। আত্মরক্ষার্থে শাহিনুর তিতাস নদীতে নেমে যান। তবে তার সঙ্গে থাকা বিশাল গুরুতর আহত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ করার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. শাহবুদ্দিন চুপ্পুকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে উল্লেখ করে পদত্যাগের দাবি জানায় তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পৌর এলাকার প্রধান সড়ক ধরে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন-শিক্ষার্থী বায়েজিদুর রহমান সিয়াম, বোরহান উদ্দিন, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে এমনভাবে কথা বলছেন, যেন এখনো তিনি প্রধানমন্ত্রী আছেন। দেশের স্বার্থে রাষ্ট্রপতি অপসারণে প্রয়োজনে সংবিধান মানা হবে না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর মিছিলে গুলিতে ছাত্রলীগের কর্মী আয়াশ রহমান ইজাজ (২৩) হত্যার বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। ৬ জুন বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এই মিছিল শুরু হয়। শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এর আগে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠে নিহত আয়াশ রহমান ইজাজের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজারো মানুষ অংশ নেয়। পরে রাত ১১টার দিকে নিহতের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামে দ্বিতীয় জানাযার পর তাকে দাফন করা হয়। মিছিল থেকে ছাত্রলীগ নেতার হত্যাকারীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আবারো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে মনোনয়ন প্রদান করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শুকরিয়া সমাবেশ, মিষ্টি বিতরণ, বিশেষ মোনাজাত ও মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৪ টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে শতশত নেতাকর্মী শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে জমায়েত হয়।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নাম ঘোষণা করার সাথে সাথে শতশত নেতাকর্মী শ্লোগানে-উচ্ছাসে ফেটে পড়েন।
এসময় পুরো বঙ্গবন্ধু স্কয়ার শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং এমপি প্রার্থী জননেতা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, বিজ্ঞ পিপি এড. মাহবুবুল আলম খোকন।
মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা সমন্বয় পরিষদ আহবায়ক ক্বারী মাও.আনিসুর রহমান।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা হাজী তাজ মো. ইয়াছিন, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, শেখ মো. মহসিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানজিল আহমেদ, মহসিন মিয়া, সৈয়দ মিজানুর রেজা, স্বপন রায়, মাহমুদুর রহমান জগলু, কাচন মিয়া, সৈয়দ মো. আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, খোকন কান্তি আচার্য, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ্এইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুৃল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি এড. আবু কাউসার, সিনিয়র সহসভাপতি আলাউদ্দিন আলাল, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, ওলামা সমন্বয় পরিষদ সদস্য সচিব মাও. আবদুল্লাহ।
মোনাজাত শেষে উপস্থিত নেতাকর্মী সহ পথচারীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরে একটি আনন্দ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশে উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এর যৌথ আয়োজনে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের হলরুমে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম লিমন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন পিপিএম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জয়দুল হোসেন, বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন।
বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ-এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরাইল বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি শেখ এখলাছুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন টোটোগ্রাম সাহিত্যের রচয়িতা, কেষ্ট কবি খ্যাত ইকবাল সর্দার মোহাম্মদ নাজমুল কবির (ইসমোনাক), উদীচী জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ ফারুক আহমেদ রূঁইয়া, এএমটিভি নিউজ বাংলার বার্তা সম্পাদক কবি রুদ্র মোঃ ইদ্রিস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভোর সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসা অথবা সন্ধ্যা নামার আগেই বাসায় ফিরে পড়তে বসা এই অভ্যাসটি এখনকার ছেলে মেয়েদের মধ্যে নেই বললেই চলে। এখনকার ছেলে মেয়েরা পড়াশোনার জায়গা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তারা বাহিরে ঘুরে বেড়াতে বা মোবাইল দেখা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে। এই পড়াশুনার বিচ্ছিন্ন হওয়ার জায়গা থেকে ছেলেমেয়েদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে ঘরমুখী করতে হবে, স্কুলমুখী করতে হবে, বইমুখী করতে হবে। তাদেরকে জ্ঞানমুখী করতে হবে। এজন্য অভিভাবকদের বেশি সচেতন হতে হবে।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, স্মার্ট হওয়া মানে শুধু স্মার্ট ডিভাইস পরিচালনা করা, সুন্দর পোশাক পরিচ্ছেদ পরা বা চলনে-বলনে স্মার্ট হওয়াকে বুঝায় না। স্মার্ট হওয়া মানে বুঝায় বই পড়া। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হওয়ার মাধ্যমে প্রকৃত স্মার্ট মানুষ হওয়া যায়। তিনি আরো বলেন- জ্ঞান এমন এক জিনিস যা বিতরণ করলেও এটি শেষ হয়ে যায় না। তিনি তরুণদের আহ্বান জানিয়ে বলেন- এসো আমরা সবাই মিলে বই পড়বো, নিজে আলোকিত মানুষ হবো, সমাজকে আলোকিত সমাজ হিসেবে গড়ে তুলবো।
সভায় কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন বলেন- পড়িলে বই আলোকিত হই। না পড়িলে বই অন্ধকারে রই। তিনি বলেন- যারা বই পড়েন তারা আলোকিত মানুষ হন। তাদের চেহারায়, চলনে বলনে জ্ঞানের আলো দীপ্তিমান হয়। যা সে নিজে না বুঝতে পারলেও তার আশেপাশের মানুষজন তা বুঝতে পারেন। যে এই ব্যক্তি একজন জ্ঞানী মানুষ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন- সমাজে জ্ঞানের আলোর খুব প্রয়োজন। সমাজে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতেই সরকারের এত স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতেই এত লেখক, কবি, সাংবাদিকের জন্ম হয়েছে। তিনি বলেন- তরুণ প্রজন্ম আলোকিত হলেই আমাদের বাংলাদেশ আলোকিত হবে, স্মার্ট হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে বই ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে লেখক-সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন গ্রন্থাগার প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।