চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের আয়োজনে আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার ছবিআকাঁ ক্লাস চলাকালীন সময়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিশু ও ৯ম আর্ট ক্যাম্প, আমাদের গ্রাম বাংলা শীর্ষক আলোচনা, পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিশিষ্ট লেখক কবি মোঃ আঃ কুদদূস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের উপদেষ্টা চিত্রশিল্পী মোঃ আসাদুর রহমান আলমগীর ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ খান বিটুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, শিশু নাট্যমের উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়া সুলতানা এ্যানি, উপদেষ্টা ও সাবেক ছাত্র ডাঃ রিয়াজ উদ্দিন মিতুল, ঢাবির সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ রিফাত আমিন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সম্পাদক দিপ্ত মোদক।
প্রধান অতিথি বিশিষ্ট লেখক কবি মোঃ আঃ কুদদূস বলেছেন, শিশুদের মানবিক মানুষ করে গড়ে তুলতে হলে শিল্প সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারায় তাদের কে নিয়ে যেতে হবে। তিনি ছোট বেলার স্মৃতিচারণ করে বলেছেন খালে বিলে, পুকুরে নদীতে সাঁতার কেটে ও গ্রামের যে ফল গাছে উঠে ফল পেড়েছি আর এখন শিশুরা ইট-পাথরের দালান-কোঠায় বসবাস করে ফার্মের মুরগী বানিয়ে ফেলছি।
শিশু নাট্যম যে উদ্যোগ নিয়েছে প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিশু এ ভাবনা নিয়ে গ্রামে আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা শিশু মেধা বিকাশে ভালো একটি কাজ। তিনি আরো বলেন, গ্রাম বা প্রকৃতি নিয়ে কবিতা, আর্টিকেল লিখেননি বা ছবিআকাঁ ও ছবি তুলেননি পৃথিবীতে এমন কবি বা শিল্পী নেই। এ পৃথিবীতে আমরা শিশুদের পুতুল বানিয়ে ফেলেছি, এ জায়গা থেকে শিশুদের মুক্তি দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
প্রধান অতিথি পল্লী কবি জসীম উদ্দিন ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের জন্মদিন উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
তার পূর্বে শিশু নাট্যমের ছবি আঁকা বিভাগের ছাত্র এসএসসি পরীক্ষার্থী তন্ময় দেবনাথ প্রান্ত ও আবদুল্লাহ আল জিহাদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
দোকান থেকে দিয়াশলাই আনতে গিয়ে ফাতেমা (৫) ও মঈন উদ্দিন (৩) নামে দুই ভাই-বোন নিখোঁজ হয়েছে।
আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকাল ৭টার দিকে পৌর শহরের মধ্যপাড়া শান্তিবাগ এলাকার পোয়া পুকুরের উত্তর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ ফাতেমা ও মঈন উদ্দিন ভাই-বোন। তাদের বাবার নাম কাউসার মিয়া।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাউসার মিয়া স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে পোয়া পুকুরের উত্তর পাড় হাজী মোহাম্মদ আলী ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকেন। কাউসারের স্ত্রী অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করেন। সোমবার সকালে ফাতেমা ও মঈন উদ্দিনকে দিয়াশলাই আনার জন্য পার্শ্ববর্তী মুদি মালের দোকানে পাঠালে তারা নিখোঁজ হয়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, সকালে দুই শিশু নিখোঁজ হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ ছেলে-মেয়েদের খোঁজে পুলিশ কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক মামলা ৬ মাসের কারাদন্ড প্রাপ্ত হারুনুর রশিদ (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। হারুন জেলা শহরের শেরপুরের মৃত কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হারুনুর রশিদ বিরুদ্ধে থানায় ইয়াবাসহ গ্রেফতারের মামলা ছিল। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে আদালত ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। একই সঙ্গে এক হাজার টাকা জরিমানা অথবা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদন্ডের রায় দেন। রায়ের পর দীর্ঘ ৯ বছর তিনি পলাতক ছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতে পাঠান।
চলারপথে রিপোর্ট :
যৌথ বাহিনীর পৃথক দুটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক, দেশীয় অস্ত্র, পুরাতন মোবাইল ফোনসেট, ল্যাপটপসহ অন্যান্য পণ্য উদ্ধার হয়েছে। এ সময় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে একজনের কাছ থেকেই পাওয়া যায় ৩৯টি মোবাইল ফোনসেট। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটের মাদক ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ (৩৮), বিজয়নগরের বিষ্ণুপুরের রুবি আলমগীর (৩৩), মো. সামি ভূঁইয়া (১৬), মো. সিয়াম ভূঁইয়া (১৪) ও মো. সানি ভূঁইয়া (২৪)।
তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে সদর ও বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অভিযান সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি দেশীয় অস্ত্র, ৫০৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি ক্ষুর, দুটি ল্যাপটপ, চারটি ট্যাব, ১৭টি অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট, ২২টি বাটন মোবাইল ফোনসেট, চারটি পাসপোর্ট ও প্রায় দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বুধবার রাত আড়াইটার দিকে যৌথ বাহিনী বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে (ভূঁইয়া ফার্ম হাউস) অভিযান চালানো হয়।
এ সময় মাদক ব্যবসায়ী রুবি আলমগীর তার ছেলে সামি ভূঁইয়া, সিয়াম ভূঁইয়া ও সানি ভূঁইয়াকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে ২০টি দেশীয় অস্ত্র (কুড়াল, চাপাতি, রামদা, ছুরি, হাতুড়ি), ৫২৫ বোতল ফেনসিডিল, ৭৪৫ বোতল স্কাফ সিরাপ, ৬০০ গ্রাম গাঁজা, ৯৯ হাজার ১০০ টাকা, দুই হাজার ২৯০ ইন্ডিয়ান রুপি, ৩০ কাতার রিয়াল, দুটি পাসপোর্ট, একটি অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট, একটি বাটন মোবাইল ফোনসেট ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মায়ের দুধের উপকারিতা ও গুড়া দুধের অপকারিতা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা আজ ১০ জুন শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ ডাঃ মিলন সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডাইরেক্টর প্রফেসর মিজানুর রহমান হেলাল। সভায় মাতৃদুগ্ধ, বিকল্প শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও তা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অবহিতকরণ সভায় উপস্থাপন করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মনিরুজ্জামান।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মিজানুর রহমান হেলাল বলেন, বাচ্চা জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ পান করবে। যদি কোন কারনে বাচ্চা মায়ের দুধ পান না করতে পারে তাহলে, নির্দিষ্ট ডাক্তার দিয়ে প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে ওষুধের দোকান থেকে বাচ্চার জন্য বিকল্প খাদ্য কিনে নিতে হবে।
কোন ওষুধের দোকান ছাড়া মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য বা তা ব্যবহারের সরঞ্জামাদির আমদানি, স্থানীয়ভাবে উৎপাদন, বিপণন, বিক্রয় বা বিতরণের উদ্দেশ্যে কোন বিজ্ঞাপন মুদ্রণ, প্রদর্শন, প্রচার বা প্রকাশ করতে পারবে না।
প্রদর্শন বা প্রচার করলে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও তা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করেন। অবহিতকরণ সভায় সদর উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারি, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার ৬০ জন অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের প্রয়াত সভাপতি, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার এবং বাংলাদেশ বেতারের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা রিয়াজউদ্দিন জামির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার বাদ আসর জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামে মসজিদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সহ সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সভাপতি খ, আ, ম রশিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি মনজুরুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাবেক সহসভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক সহসভাপতি ইব্রাহিম খান সাদত, সাবেক কোষাধক্ষ্য আশিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধক্ষ্য মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, আইসিটি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, কার্যকরী কমিটির সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আইসিটি সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমি, সদস্য ইসহাক সুমন, সাংবাদিক খন্দকার স্বপন, মনিরুজ্জামান পলাশ, আশেক মান্নান হিমেল, মেহেদী নূর পরশ, প্রকাশ দাস। এছাড়াও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক, সূধী সমাজসহ নানা শ্রেণী পেশার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন। মরহুম রিয়াজ উদ্দিন জামির রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন সদর হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আনোয়ার।
এছাড়াও আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের উদ্যোগে মরহুম রিয়াজ উদ্দিন জামির রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। জেলা সদর হাসপাতাল জামে মসজিদে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে আগামীকাল শুক্রবার মরহুম রিয়াজ উদ্দিন জামির পরিবারের পক্ষ থেকে কালইশ্রী পাড়াস্থ বাসভবনে দোয়া এবং দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৬ মার্চ রাত সোয়া ১১টার দিকে তিনি ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, স্ত্রী, ভাইবোন, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মেধাবী ও সাহসী সাংবাদিক জামি ১৯৭৪ সালের ৩০ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশের শীর্ষ দৈনিক জনকণ্ঠ, দেশের প্রথম বেসরকারী টিভি চ্যানেল একুশে টিভি, আরটিভি, এনটিভি, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গনমাধ্যমে সুনামের দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর পিতা মরহুম আব্দুস সাহিদ ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বহু গ্রন্থের প্রণেতা গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক উপাধক্ষ্য ও মাতা মরহুম ফাতেমা বেগম। তাঁদের তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ের সবাই উচ্চশিক্ষিত এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত।