অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী চার বছরে গ্যাসের শতভাগ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন এবং বঙ্গবন্ধু কর্নার ও প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ডাটা সেন্টার উদ্বোধন শেষে একথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাস মিটার স্থাপন করলে অপচয় কমে যাওয়াসহ অনেক সুবিধা রয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব প্রিপেইড মিটার স্থাপন শেষ করতে চাই। এখন বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ অনেকে অর্থায়ন করতে চায়। তারা প্রায় ৩০ লাখ মিটার কানেক্ট করবে।
জালালাবাদ গ্যাসের সার্ভিস দেখে তিনি বলেন, এখানে কোনো সিস্টেম লস নেই, কোনো অবৈধ সংযোগও নেই। ডাটা সেন্টার চমৎকার মনে হয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের মোট ২ লাখ ২১ হাজার ১৪৫ গ্রাহকের মধ্যে আবাসিক গ্রাহক রয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৪৫ জন। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দেওয়া হয়েছে। আরও দেড় লাখ মিটার স্থাপনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড পরিদর্শনকালে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নসরুল হামিদের সঙ্গে ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
রক্তাক্ত ও বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট আজ। বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে মুহুর্মুহু গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ।
মানুষের আর্তনাদ আর কাতর ছোটাছুটিতে তৈরি হয় বিভীষিকা। এই দিনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস-বিরোধী মিছিলপূর্ব সমাবেশে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে ঘাতকরা।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক। যাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
কেউ কেউ আজও ফিরে পাননি স্বাভাবিক জীবন। গ্রেনেডের স্পিন্টারের দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন মৃত্যুর দিকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে এবং হতাহতদের স্মরণে প্রতিবছর সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী নানা কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। এবারও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হবে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার। সেদিন ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছিল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ।
আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন প্রধান অতিথি। সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশের আগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ট্রাকে স্থাপন করা হয় অস্থায়ী মঞ্চ। বিকাল ৫টার কিছু পর।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মাত্র তার বক্তৃতা শেষ করেছেন। হঠাৎ সমাবেশস্থলের দক্ষিণ দিক থেকে মঞ্চ লক্ষ্য করে ছোড়া হয় গ্রেনেড। দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ।
হামলার লক্ষ্যই ছিল আওয়ামী লীগের সমাবেশ ও শেখ হাসিনা। সেদিন আকস্মিক এসব গ্রেনেড নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
রক্তাক্ত মানুষের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। সেসময়ে দলীয় নেতা এবং হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী তাৎক্ষণিকভাবে এক মানববলয় তৈরি করে নিজেরা আঘাত সহ্য করে শেখ হাসিনাকে গ্রেনেডের হাত থেকে রক্ষা করেন।
হামলায় অল্পের জন্য শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচন্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তির গুরুতর ক্ষতি হয়। সেদিনের সেই ঘটনায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন।
এই বর্বরোচিত হামলায় নিহত অন্যারা হলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারি, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুনশী, হাসিনা মমতাজ রিনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মোহাম্মদ হানিফ, আবুল কাশেম, জাহেদ আলী, মোমেন আলী, এম শামসুদ্দিন, ইসাহাক মিয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গার ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তাকারীরা ও কুমিল্লায় ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে গ্রেফতারকৃত এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ সময় গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি পাসপোর্টসহ অন্য কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে এসব তথ্য জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া।
পুলিশ জানায়, মিয়ানমারের বলিবাজার থেকে কক্সবাজার হয়ে কুমিল্লায় এসে ভুয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করার সময় এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করা হয়। পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলার সময় কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তাঁরা তাঁকে আটক করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করেন।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়। এ মামলার মূল আসামি রোহিঙ্গা নাগরিক মো. ইয়াছিরের তথ্যর ভিত্তিতে আজ ডিবি ও কোতোয়ালি থানা-পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আড়াইওরা এলাকার মো. মোশারফ হোসেন (৪২), একই জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ (২২) ও ব্রাহ্মণ চাপিতলা এলাকার মো. ফয়সাল মিয়া (২৮)।
অভিযানে আসামি মোশারফকে কুমিল্লা সদরের নোয়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতারের সময় তাঁর প্রতিষ্ঠান আল-মদিনা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস থেকে ছয়টি ভুয়া পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট জমার স্লিপ উদ্ধার করা হয়।
ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তাকারী অপর আসামি কম্পিউটার অপারেটর শরিফকে (২৫) মুরাদনগর কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় নকিব ট্রাভেলস থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে আটটি ভুয়া পাসপোর্ট ও কিছু পাসপোর্ট জমার কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক ইয়াছির মিয়ানমারের বলিবাজার এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে। তিনি মিয়ানমার থেকে ২০ দিন আগে কক্সবাজারের বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-৯-এ আসেন।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া জানান, ভুয়া পরিচয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে পাসপোর্ট করার সময় গ্রেপ্তারকৃত রোহিঙ্গা নাগরিক ও রোহিঙ্গা নাগরিকের ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তাকারী আরো তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিকেলে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করি, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি’ এই প্রতিপাদ্যে বগুড়ায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালি শেষে বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আলোচনা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক মাসুম আলী বেগ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, জম্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বর্তমানে সরকারি সুযোগ সুবিধা নিতে হলে প্রথমে প্রয়োজন জম্ম নিবন্ধন। একটি শিশু জম্ম নেওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে জম্ম নিবন্ধন বিনা খরচে করা যায়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আল মারুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহনাজ পারভীন, বগুড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলম, প্যানেল মেয়র-২ আলহাজ শেখ, সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি, বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডালিয়া নাসরিন রিক্তা।
এ সময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিববৃন্দ, গ্রাম পুলিশের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতিসহ দুইজন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও একজন গ্রাম পুলিশকে-কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের বহির্গমন পথের ডিজিটাল স্ক্রিনে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’ লেখা স্লোগান ভেসে ওঠার ঘটনায় ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মোবারক হোসেনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২৬ অক্টোবর শনিবার সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বের হওয়ার পথে ডিজিটাল স্ক্রিনে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’ লেখা স্লোগান প্রচারিত হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। নেটিজেনদের একটি পক্ষ এই ঘটনায় জড়িতদের স্বৈরাচারের দোসর উল্লেখ করে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান। সূত্র : কালেরকণ্ঠ
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন প্রকল্পে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন পিডি (প্রকল্প পরিচালক) নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাকে পিডি হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কোনো দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন হয় না। তিনি বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে যাতে শুধু দালান তৈরি না হয়। সেদিকে নজর রাখতে হবে। কেননা বিল্ডিং তৈরির পর দেখা যায় লোকবল নেই, যন্ত্রপাতি নেই ফলে বিল্ডিং কোনো কাজে লাগে না। ভবিষ্যতে এসব কাজ করা যাবে না।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গ্রাম আদালত সক্রিয়করণসহ ৯ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে । এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ১ হাজার ৯৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
আজ ২১ মার্চ মঙ্গলবার অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনার কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
এর আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ইমদাদউল্লাহ মিয়ান এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন প্রমুখ।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বৈঠকে দেশীয় মাছ চাষে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, পিরানহা ও আফ্রিকান মাগুরের মতো মাছ চাষ বাদ দিয়ে দেশীয় পুঁটি, খলিসা, টেংরা ও চিংড়ি চাষ বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে চিংড়ি ঘেরে যদি বালু পড়ে যায় তাহলে বালু অপসারণ বা অন্য কোনো ফসল চাষ করা যায় কিনা- সে বিষয়ে চাষীদের পরামর্শ দিতে হবে। পাশাপাশি জমি পতিত ফেলে না রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।
‘এ ছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি গাড়ি না কিনে প্রগতির গাড়ি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রগতির জিপ ব্যবহার করলে দেশীয় কোম্পানি লাভবান হবে। এখন থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণ না বলে বলতে হবে মানবসম্পদ উন্নয়ন। নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার বাদ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ডাল চাষ বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন।’
ব্রিফিং এ পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে একটু বেড়েছে। মার্চেও বাড়বে। তবে তারপরে কমে যাবে। রোজার আগে অনেকে তেল, ডাল, পেঁয়াজ ও চিনি মজুত করে রাখে। যার কারণে দাম বাড়ে। এর প্রভাব পরে মূল্যস্ফীতিতে।
তিনি বলেন, কার্তিক ও চৈত্র মাসে আমাদের দেশে খাবারের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে একটু সংকট থাকে। তবে বোরো ধান যদি ভালোভাবে ঘরে তোলা যায় তাহলে সমস্যা থাকবে না। এ ছাড়া রেমিট্যান্স এবং রিজার্ভ ভালো থাকলে আমাদের আর কোনো চিন্তা নেই। এ সবই এখন ভালোর পথে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প। এ ছাড়া ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১১২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প, পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের সমীক্ষা, দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প, ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন, প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন এবং গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প।