চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কালিসীমা গ্রামের দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫জন আহত হয়েছে। এসময় উভয়পক্ষের দাঙ্গাবাজরা অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের খানিবাড়ি গোষ্ঠী ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠী একটি পক্ষ এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠী অপর একটি পক্ষ। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়া ও অন্য একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আরজু মিয়া। উভয়পক্ষের সাথে রয়েছে এলাকার বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে মত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শুক্রবার রাতে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এসময় দাঙ্গাবাজরা কমপক্ষে অর্ধশতাধিক বাড়িঘওে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট করে। দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মামুন (৩৮), সম্রাট (১৬), মনির (৪০), রামিম (২০), সাকিব (২০), বাছির মিয়া (৫১), সোহেল (৪০), তাজিম (১০), সাগর (২৪), আশিক (৩২), রোকসানা (৫০) ও আলম (৩৪) জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাকি আহতরা জেলা শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৪জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে শহরে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত রবিবার থেকে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা-ঘাট।
কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি রাস্তা উপচে বিভিন্ন দোকান-পাট ও বাড়ি-ঘরে ঢুকে পড়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। শহরের অধিকাংশ ড্রেনগুলো ময়লায় আটকে আছে। দিনের পর দিন পার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এসব ড্রেন পরিষ্কার করার তেমন কোনো উদ্যোগ নেয় না। সে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয় মাঝে মধ্যে পৌরসভার কিছু কর্মীদের ড্রেনগুলোকে নামমাত্র পরিষ্কার করতে দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন মহল্লায় থাকা খাল, নালা এবং পুকুর প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে ভরাট করে ইমারত নির্মাণ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের হালদারপাড়া, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, লোকনাথ উদ্যানের (টেংকের পাড়) সামনের রাস্তা, পাইকপাড়া রামকানাই হাই একাডেমির সামনের রাস্তা, মেড্ডা সিও অফিসের মোড়, মেড্ডা পোদ্দার বাড়ির সামনের রাস্তা, মেড্ডা আরামবাগ, নোয়াপাড়া, কাউতলী থেকে মৌড়াইল জেলা পরিষদের সামনের রাস্তা, কালাইশ্রীপাড়ার রাস্তা, কালীবাড়ি মোড় থেকে পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড, কুমারশীল মোড়, ফুলবাড়িয়ার রাস্তাসহ একাধিক এলাকায় রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। শহরের বেশিরভাগ জায়গায় হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোথাও গোড়ালি পর্যন্ত পানি। আবার কোথাও কোথাও বাড়ি ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ওই সব এলাকার শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
শহরবাসীর অভিযোগ পৌরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তবে, পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি মানুষের সচেতনতার অভাবে শহরে বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে। তাদের দাবি পর্যাপ্ত ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও শহরের বিভিন্ন মহল্লার কিছু কিছু মানুষ তাদের বাসা বাড়ির বর্জ্য ডাস্টবিনে না ফেলে ড্রেনে ফেলে দেওয়ায় ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যার দরুন শহরে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদদুস বলেন, ফুলবাড়িয়া এলাকায় একটি ক্যানেল তৈরি করা হয়েছিল সেটি দিয়ে পানি টাউন খালে নেমে যেত। ফোরলেন কাজের সময় সেই ক্যানেলটি বন্ধ করে দিয়েছে তাই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই পানি নেমে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটি হয়েছে। সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে আজ ৩ জুন সোমবার।
পদাধিকার বলে এই কমিটির চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়া।
এ্যাডহক ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিশিষ্ট নারী নেত্রী এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতকে এবং সেক্রেটারী হয়েছেন মোহনা টেলিভিশন ও দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহাজাদা।
১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, এম. এ. এইচ মাহাবুব আলম, এম সাইদুজ্জামান আরিফ, রবিউল হোসেন রুবেল, এডভোকেট ইফতেখার বারী তানভীর, মোঃ নাজির হোসেন ভূঁইয়া ও খন্দকার রায়হান। উল্লেখ্য, ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান পদে এই প্রথম একজন নারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কমিটির বিষয়ে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের কার্যনিবাহী কমিটির কার্যক্রম সচল ও গতিশীল রাখার লক্ষ্যে সোসাইটির চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ জুন থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ মাস মেয়াদী এই কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ নির্বাহী কমিটি গঠনে কাজ করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন ও তিনজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ ৯ জুন রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার উত্তর পৈরতলার দাড়িয়াপুর গ্রামের কানু দাসের ছেলে কাজল দাস (৩৯), রঞ্জন দাসের ছেলে জুনু দাস (৩৮) ও অশ্বিনী দাসের ছেলে অভিরাম দাস (৩৬)।এছাড়া কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, একই গ্রামের রঞ্জন দাসের ছেলে জুয়েল দাস (৩৯), হীরালাল দাসের ছেলে স্বপন কুমার দাস (৪৪) ও হরি দাসের ছেলে অশ্বিনী দাস (৭৬)। রায় ঘোষণার সময় শুধু স্বপন কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ১৬ জুন রাতে নিখোঁজ হন শহরের উত্তর পৈরতলার সের আলী মিয়ার ছেলে মো. নাঈম। ১৮ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে স্বজনরা। পরে ২৩ জুন উত্তর পৈরতলা-কালিসীমা সড়কের সেতুর নিচ থেকে নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে নাঈমের চাচা আলী মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ চার্জশিট দেন। কিন্তু আসামি পক্ষ নারাজি দিলে মামলাটি সিআইডিতে অধিকতর তদন্তের জন্যে স্থানান্তর করা হয়। পরে তদন্ত শেষে সিআইডি ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর আদালত চার্জ গঠন করে। আদালত এ মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে সাতবছর করে কারাদণ্ড দেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রকিব আহাম্মদ তুরান বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।
তবে, বিবাদী পক্ষের আইনজীবী মো. রাকিব আহমেদ বলেন, মামলার জবানবন্দিতে নিজেদের না জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কোনো সাক্ষী আসামির নাম বলতে পারেননি। এ রায়ে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে পারভেজ মিয়া (২৭) নামের এক যুবক স্ত্রীর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর ১টার দিকে জেলা শহরের ভাদুঘর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
পারভেজ আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের বোরহান মিয়ার ছেলে৷
হাসপাতাল সূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পারভেজ প্রেম করে বিয়ের পর স্ত্রীর মামা বাচ্চু মিয়ার বাড়ি ভাদুঘরে ভাড়া থাকতেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক তেমন ভাল ছিল না। পারভেজ হতাশাগ্রস্ত ছিল। প্রায় সময় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হতো। ঝগড়ার জেরেই সোমবার দুপুরে স্ত্রীর ওড়না গলায় পেছিয়ে সিলিংয়ের সাথে ফাঁস লাগিয়ে পারভেজ আত্মহত্যা করে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এক যবুক আত্মহত্যা করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রেফতারকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তি ও চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে পুণর্বহালের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানববন্ধন হয়েছে। আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ছাত্র ও ছাত্রজনতার ব্যানারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী স্বপ্না আক্তার, আনিক হাসান, মোঃ শরীফ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা- কর্মচারীদের চাকুরীচ্যুত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে গ্রেফতার করতে হবে তা মেনে নেয়া যায়না। তাই বক্তারা, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও চাকুরীতে পুণঃর্বহালের দাবি জানানোর পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে বৈষম্যদূর করার দাবি জানান। মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।