অনলাইন ডেস্ক :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সংসদ সদস্যদের স্ব স্ব এলাকায় উন্নয়নের অঙ্গীকার পূরণের জন্য ২০ কোটি করে টাকা বরাদ্দ পাচ্ছেন তারা।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সংসদে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, এমপিরা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেন। তাছাড়া তার এলাকার উন্নয়নে এর আগেও একটা থোক বরাদ্দ থাকতো। এখন নতুন সরকার, এ সরকারের আমলে এমপিদের নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দ সরকার দেবে কি না?
এর জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্যরা স্ব স্ব এলাকায় উন্নয়নের জন্য মানুষের কাছে অনেক অঙ্গীকার করেন, এটাই স্বাভাবিক। স্বাভাবিকভাবে সেসব অঙ্গীকার পূরণ করার জন্য এমপিদের যেমন আগ্রহ, তেমনি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে অনুধাবন করেছেন বলে একটি প্রকল্প করে প্রতিজন এমপির নির্বাচনী এলাকার জন্য এরই মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য ২০ কোটি টাকা দেওয়ার একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছেন।
এটি চলমান। এ প্রকল্প শেষ হলে বা এমপিদের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন ও অঙ্গীকার পূরণে আবারও নতুন করে প্রকল্প নেওয়ার কথা বিবেচনা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদকরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ‘অন্তত দুই থেকে তিন বছর’ দায়িত্ব পালনের পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ২০ সম্পাদকের মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গত শনিবার রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ে বলেছিল, অন্তর্বর্তী সরকার যেন ‘যৌক্তিক সময়’ পর্যন্ত থাকে। এই যৌক্তিক সময় আসলে কতটুকু? এ বিষয়ে ড. ইউনূস দেশের শীর্ষ সম্পাদকদের কাছে জানতে চেয়েছেন। এই অন্তর্বর্তী সরকারকে কী কী কাজ করতে হবে, ন্যূনতম কতটুকু কাজ করতে হবে- এসব প্রশ্ন রেখেছেন।’ সম্পাদকদের মতামত তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রকম কথা এসেছে, সর্বনিম্ন যে সময়টা এসেছে- ২ বছর যাতে এই অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হয়। অনেকে আবার দুই থেকে তিন বছরের কথা বলেছেন।’ ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপর ৮ অগাস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তবর্তী সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করায় সংবিধানে এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো উল্লেখ নেই। কিন্তু সরকার পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হয়েছে। কিন্তু এ সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে, তা এখনও সুনির্দিষ্ট করা হয়। সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস তার সরকারের কর্ম-পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেছিলেন, ‘কখন নির্বাচন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন।’প্রেস সচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে (সম্পাদকদের) বেশির ভাগই বলেছেন, যেসব এজেন্ডার বাস্তবায়ন বা যে কাজ অন্তর্বর্তী সরকার করবে, সেই কাজটাই আসলে নির্ধারণ করবে এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ প্রসঙ্গে সম্পাদকদের বক্তব্যে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, তাও ব্রিফিংয়ে তুলে ধরেন শফিকুল আলম। ‘অনেক কথা এসেছে, সংবিধান সংশোধন, সংবিধান নতুন করে লেখা, আইন কমিশন, সংবিধান কমিশন, মিডিয়া কমিশন, পুলিশের জন্য কমিশন, পুলিশকে কীভাবে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কথা এসেছে। এই নির্বাচন কমিশনকে পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ এসেছে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এটা একটা মস্ত বড় সুযোগ, বাংলাদেশের জন্য, আমাদের সবার জন্য। রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য। বাংলাদেশকে নতুন শিখরে নেওয়ার জন্য, যা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আমাদের দিয়েছে, এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের দোষত্রুটি নিয়ে লেখার অনুরোধ জানিয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের বলেছেন, ‘আপনারা লিখবেন, প্রচুর লেখেন, আপনারা জানান। আমাদের যদি দোষ-ত্রুটি থাকে এগুলো নিয়েও আপনারা বলেন। আমরা আপনাদের কাছ থেকে শুনতে চাই।’
প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বার বার বলেছেন, তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন এবং ‘ভাইব্রেন্ট’ মিডিয়া দেখতে চান। সম্পাদকগণ বলেছেন, মিডিয়াতে যেসব কালা কানুন আছে সেই কালাকানুনগুলো যাতে বাদ দেওয়া হয়; সংশোধন করা হয়।’ মিডিয়া কমিশন করার প্রস্তাব এসেছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যাতে কোনো সাংবাদিক কোনো অসুবিধায় না পড়ে, সে বিষয়ে একটা মিডিয়া কমিশন করার প্রস্তাব এসেছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের বিবেচনাধীন আছে।’
প্রধান উপদেষ্টার আরেক উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীরও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রেস সচিব জানান, মোট ২২ জন সম্পাদককে মতবিনিময়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন বিদেশে থাকায় আসতে পারেননি।
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, ইত্তেফাক তাসমিমা হোসেন, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সম্পাদক ইনাম আহমেদ, কালের কণ্ঠের হাসান হাফিজ, আমাদের সময় সম্পাদক আবুল মোমেন, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, প্রতিদিনের বাংলাদেশের মুস্তাফিজ শফি, দেশ রূপান্তরের মোস্তফা মামুন, কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
এ ছাড়া দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন, দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদও উপস্থিত ছিলেন।
সব কালাকানুন বাতিলের দাবি: রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা মতবিনিময় শেষে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম। তিনি বলেন, বিটিভি, বিএসএস এবং রেডিওর মত যেসব সংবাদমাধ্যম সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার দাবি তিনি মতবিনিময়ে জানিয়েছেন। ‘বলেছি, তারা যেন পেশাগতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সারাবিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা উৎসুক বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চাই।’
মাহফুজ আনাম বলেন, ‘আমরা কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আশা করছি। সেই সংস্কারের মধ্যে সংবিধান পরিবর্তন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করা, বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো, এন্টি করাপশন কমিশন, হিউম্যান রাইটস কমিশন, নির্বাচন কমিশন এগুলোকে সংস্কার করা। ‘সত্যিকার অর্থে গণমুখী সংস্থা আমরা চাই। নির্বাচন কমিশন যাতে ভবিষ্যতে ভোটারদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটান, এরকম একটা সংস্থা চাই। আমরা এমন দুর্নীতি দমন কমিশন চাই, যেন তারা স্বাধীনভাবে দেশের দুর্নীতি দমন করতে পারে।’ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরোধী সব কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়েছে জানিয়ে ডেইলি স্টার সম্পাদক বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, সাইবার সিকিউরিটি আইনের মধ্যে সাংবাদিক নিপীড়নের যে অধ্যায়গুলো আছে, সেগুলো কার্যকর হবে না- এমনটা যাতে ঘোষণা করা হয়। এটা সংস্কারের জন্য উনারা সময় নিয়ে করতে পারেন।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সূত্র ধরে মাহফুজ আনাম বলেন, ‘তিনি সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করেন। আমাদেরকে বিশেষ আবেদন করেছেন, আমরা যেন আমাদের লেখনীর মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করি। এ সরকারের ভুল ত্রুটি সোচ্চারভাবে, নির্দ্বিধায় সেটা যেন কাগজে ছাপি। এই সরকারকে সাহায্য করি। ‘প্রধান উপদেষ্টা সত্যিকার অর্থে মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন। মিডিয়াবান্ধব যদি কোনো সরকারপ্রধান আমরা পেয়ে থাকি, তাহলে আমরা এখন পেয়েছি। আমরা এর জন্য অত্যন্ত আনন্দিত।’ ডেইলি স্টার সম্পাদক বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা যদি মনে করেন যে, একটা গ্রুপ করে দেওয়া বা একটা বিশেষ কমিটি করে দিয়ে সব ধরনের আইনের যে পরিবর্তন, সেটা করা। আমারও সংবিধান সংস্কার চাই। আমরা গণতান্ত্রিক রিফর্ম চাই।’ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ ধরে মাহফুজ আনাম বলেন, ‘মেয়াদ কতদিন থাকবে সেটা সম্পাদকদের কাছে জিজ্ঞেস করেছেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস। সে বিষয়ে অনেকের মতামত দিয়েছেন। তবে এই সরকারের মূল এজেন্ডা কী? সেটার অনুপাতে সময়। ২, ৩, ৫ বছরৃ উনার নিজস্ব কোনো চিন্তা নেই। জাতি কী চায়? জনতা কী চিন্তা করছেন? সেটা তিনি জানতে চান? তিনি মিডিয়াকে আহ্বান করেছেন। আমরা যেন জনগণের কথা লিখি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
অভিনব কায়দায় এক জেলায় চুরি করে অন্য জেলায় বিক্রি করতেন এমন আন্ত:জেলা গরু চোর চক্রের মূল হোতাসহ ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সিপিসি-২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মবিন খান এতথ্য জানান। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার আলগাদিয়া এলাকার চাঁন মোল্লার ছেলে আব্দুর রহিম (৩৪), একই এলাকার হারেস মুন্সীর ছেলে শফিকুল মুন্সী আদিল (২৫), কোতয়ালী থানার বাটিলক্ষীপুর এলাকার মোতালেব মোল্লার ছেলে গাফফার মোল্লা ((২২), রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার ভবানীপুর এলাকার মৃত রফিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আব্দুল রাজ্জাক (৩৮), ফরিদপুর জেলার সালথা থানার রামকান্তপুর এলাকার আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে জামাল (২৩), বোয়ালমারি থানার শিরগ্রাম ধোপাপাড়া এলাকার ইয়াসিন মোল্লার ছেলে বাগানে মোল্লা (২০), নাগদি এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে মফিজুল ইসলাম (২২), মধুখালী থানার ডুমাইন এলাকার হারুন বিশ্বাসের ছেলে অনিক বিশ্বাস, বোয়ালমারীর সাতুর বাজারের মজিবুর রহমানের ছেলে মো: মিল্টন (২৪), নগরকান্দা থানার সন্তোষী এলাকার ইউনুছ মিয়ার ছেলে নাহিদ মিয়া (২৬), বোয়ালমারী থানার খামারপাড়া এলাকার আব্দুল বাকের শেখের ছেলে আব্দুল্লাহ শেখ (২৫), রাজবাড়ীর পাংশা থানার ভবানীপুর এলাকার রফিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো. মুন্না (১৯) এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার কোলদিয়ার ভুরকাপাড়া এলাকার মল্লিক সরদারের ছেলে মো: নুতফার (৪৯)।
তৌহিদুল মবিন খান আরো জানান, তাদের বাড়ি ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলায় কিন্তু তারা ওই এলাকায় চুরি করে না। তারা মাদারীপুর, নড়াইল, মাগুড়া, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়াসহ আশপাশের জেলায় গরু চুরি করে। সেইসব গরু আবার অন্য আরেক জেলায় স্থানান্তর করে বিক্রি করতো। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি ভাড়া করা বাসা থেকে মুলহোতা আব্দুর রহিমসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করি। পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৪টি গরু উদ্ধার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসীসহ দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত প্রবাসী মায়ের মরদেহ দেখতে ইতালি থেকে দেশে এসেছিলেন। এরপর সড়কপথে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান তিনি। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রবাসীর নাম শাহ আলম (৬২)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাজাহান মেম্বারের ছেলে। অপরজন হলেন শাহ আলমের ছোট বোন জামাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৫) নিহত হন।
নিহতের স্বজনরা জানান, মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে শাহ আলম সকালে বাংলাদেশে আসেন।
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাকে আনতে ছোট বোনজামাই সেলিম ও ভাগনে সাব্বির একটি মাইক্রোবাস ঢাকা নিয়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরের পুকুরপাড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং তিনজনই গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেলিমের মৃত্যু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাত্র ১২ বছর বয়সে চট্টগ্রামে খালাতো ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিক। দীর্ঘ ১৫ বছর পর সেই আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিককে ফিরে পেল তার পরিবার।
আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিক নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বিষ্ণপুর গ্রামের নোয়াবাড়ির রফিক উল্লার ছেলে। এক ভাই তিন বোনের মধ্যে সে সবার বড়।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের বটতলি রেলস্টেশনে খালাতো ভাই মোহরার সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যায় ১২ বছর বয়সের আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিক। তখন থেকেই শিশুসন্তানকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পায়নি তার পরিবার। এর পর থেকে ছেলের সন্ধানে বাবা-মা এমন কোনো চেষ্টা বাকি রাখেননি।
সম্প্রতি আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিককে চট্টগ্রামের বটতলি রেলস্টেশনে দেখেন তার চাচাতো ভাই নুর মোহাম্মদ। সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে তার বাড়িতে পরিবারকে জানায় বিষয়টি। এর পর তার বাবা রফিক উল্লা ও মা আয়েশা খাতুন চট্টগ্রামে পৌঁছে চাচাতো ভাই নুর মোহাম্মদের সহযোগিতায় আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিককে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন।
আবদুল্লাহ আল মামুনের মা-বাবা বলেন, আমাদের সন্তানকে পেয়ে আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া। এখন আর তাকে কোথাও হারিয়ে যেতে দেব না।
অনলাইন ডেস্ক :
কোনো দেশ স্যাংশন দিলে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছু কিনবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৩ মে শনিবার রাজধানীর রমনায় ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬০তম কনভেনশন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরেকটা সিদ্ধান্ত আমি নিতে বলেছি, এখন আবার ওই স্যাংশন দেওয়ার একটা প্রবণতা, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি তাদের ওপর স্যাংশন, আমি বলে দিয়েছি যে দেশ স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে আমি কিচ্ছু কিনবো না। ’