চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার আনন্দবাজারে পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহযোগিতায় আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
পরিচালিত মোবাইল কোর্টে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন মজুদ ও বিক্রয় করায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ২ টি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং দোকানগুলো থেকে মোট ২৮ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করে। একইসাথে প্রায় ৫০ টি দোকানে পলিথিন মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার বন্ধে প্রচারনা চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আপওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের সংগঠন। জন্ম নেয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ গণমানুষের অধিকার আর স্বাধীনতা নিয়ে মাঠে-ময়দানে সোচ্চার থেকেছে। মহান ভাষা আন্দোলন, সামরিক সরকার বিরোধী আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন, গণঅভুত্থান, ৭০ এর নিবাচন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকমীরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে গণমানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগই বাতিঘরের ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ আজ সারা বিশে^ উন্নয়নের রুল মডেল। প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আজ ২৩ জুন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় শহরের হালদারপাড়াস্থ দলীয় কাযালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ গৃহীত দু’দিনের কমসূচির অংশ হিসাবে কেককাটা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো.হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন,পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সৈয়দ মিজানুর রেজা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানজিল আহমেদ, শেখ মো. আনার, মাহমুদুর রহমান জগলু, জাহাঙ্গীর আলম, স্বপন রায়, মো. মনির হোসেন, আবদুল খালেক বাবুল, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ,যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম ভূঞা, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তানিম, জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখী, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, জেলা ওলামা সমন্বয় পরিষদ সভাপতি মাও ক্বারী আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাও. আবদুল্লাহ, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসে শোভন।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আপওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের নেতৃত্বে জেলা আপওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সকাল ৮ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। আজ ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।
ফিরোজুর রহমানের পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহ পরাণ ইশতেহার পাঠ করে শুনান। ফিরোজুর রহমান এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
ইশতেহার ঘোষণার সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক ভূঁইয়া, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. উমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইশতেহারের শ্লোগান হিসেবে শুরুতে উল্লেখ করা হয়, ‘গণ মানুষের ভালোবাসায়ই জয়ের মূল উৎস। স্যার নয় ভাই হতে চাই, কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। জনগণের ভালোবাসায় জীবনের শেষ নি:শ্বাস পর্যন্ত মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ রাখার অঙ্গীকার।
‘শেষের দিকেও তিনি লিখেন, ‘বড় নেতা বা শাসক, স্যার হতে নয়, মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসায় ভাই হয়ে মানুষের পাশে থাকার, সুখ দুখের সাথী হওয়ার দৃঢ় শপথে আমি প্রার্থী হয়েছি।’ এ সময় তিনি কাঁচি প্রতীকে ভোট প্রার্থণা করেন।
ইশতেহারে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়তে নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (সদর-বিজয়নগর) উপজেলাকে ঘিরে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়।
ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার কথাও বলা হয় ইশতেহারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একটি হত্যা মামলার আসামী হিসেবে গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোস্তফা কামাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামের বাসিন্দা।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারে পতনের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি মডেল কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি নবীনগর উপজেলার দানবীর মহেশ ভট্টাচার্য বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্রে করে সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন হয়। ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় গুলিতে নিহত হন বুধল ইউনিয়নের বুধল উত্তরপাড়ার কাউসার আহম্মেদ। এ ঘটনায় কাউসারের চাচা আকরাম হোসেন গত ১০ সেপ্টেম্বর সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ১৯৫ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার আসামী মোস্তফা কামাল। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। এদিকে মোস্তফা কামাল গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতা বলেন, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরির্তনের পর ১৩ সেপ্টেম্বর একটি সাদা কাগজে হাতে লিখে স্বাক্ষর করে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোস্তফা কামাল। দায়িত্বশীল পদে থেকেও দলের কঠিন মুহুর্তে তিনি দলের পাশে থাকেননি, বরং নিজেকে বাঁচাতে দল ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেও তার শেষ রক্ষা হয়নি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, একটি হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামালকে বৃহস্পতিবার রাতে কালীবাড়ি মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল বাজারে অনুষ্ঠিত বিশাল গণসংবর্ধনায় সংবর্ধিত জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, সাদেকপুর ইউনিয়নের আটটি গ্রামের সর্বস্তরের মানুষের এই ভালবাসার কাছে আমি চিরঋনী হয়ে গেলাম। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতুলীর এই অবহেলিত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অবকাঠামো এবং যোগাযোগসহ শিক্ষার উন্নয়নে আমি আপনাদের সন্তানের মতো পাশে থেকে সহযোগীতা করে যাবো।
সমাজসেবায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২০’’ অর্জন উপলক্ষে সাদেকপুর ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে গতকাল দামচাইল বাজারে সাবেক সফল চেয়ারম্যান এডভোকেট হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জনাব তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ¦ মোঃ শাহ আলম, কৃষকলীগ সভাপতি সাদেকুর রহমান শরীফ সহ জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, মৎস্যজীবীলীগ, তাঁতিলীগ এবং মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় আবুল কাশেম মাষ্টার, মতিউর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান, শাহআলম, আবুল কালাম আজাদ, এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে শতশত নারী ও পুরুষ এলাকার কৃতি সন্তান হিসাবে জনাব আল-মামুন সরকারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। পাশর্^বর্তী বড়াইল ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার : আজ ২১ জানুয়ারি শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পশ্চিম মেড্ডা বড় বাড়ি এলাকার সবুজ আলীর বাসা থেকে শিরিনা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি সবুজ আলীর স্ত্রী। ভাড়াটিয়া আমিনকে (২৬) পিটুনির পর পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
শিরিনার ছেলে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের বসবাস করা একটি বাড়ি ছাড়াও পাশে আরো একটি বাড়ি ভাড়া দেওয়া আছে। সেখানে তিনটি ঘরে আলাদা ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন। বেলা ১১টার দিকে মা সে বাসার ভাড়া তুলতে যান। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও মাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকেলে ভাড়াটিয়া আমিন মিয়ার ঘরে খুঁজে খাটের নিচে দেখি মা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক এনামুল হক বলেন, শিরিনা বেগম হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। তার মরদেহ মর্গে রাখা আছে।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। এলাকাবাসীর পিটুনিতে আহত আমিনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহত শিরিনের গলায় দাগ আছে। ধারণা করা হচ্ছে গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।