চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অগ্নিবীণা রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপের ৩০ বছর পূর্তি ও ৩১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা সভা, লগো উন্মোচন ও কেক কেটে আনন্দ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া রেলওয়ে কুমার পাড়া কলোনীস্থ গ্রুপ কার্যালয় বর্ণিল সাজে সাজানো হয়।
কার্যালয় চত্বরে শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও স্কাউটদের অংশগ্রহণে আনন্দঘন পরিবেশে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীয় পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জমান খান। প্রধান অতিথি ছিলেন রেলওয়ে জেলা স্কাউটস এর সহ-সভাপতি ও রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ রাকিব উদ্দিন খান খাদেম, বিশেষ অথিথি ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ইমরান, রেলওয়ে জেলা স্কাউট সম্পাদক এস. কে. খাদেম সেলিম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে গ্রুপের প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৩০ বছরের কার্যক্রম তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রুপের সম্পাদক মোহাম্মদ হালিম। তিনি জানান, ১৯৯৪ সালে মোস্তাক আহমেদ খাদেম টিটু অগ্নিবীণা রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রুপটি রেলওয়ে অঞ্চলে সুনামের সাথে স্কাউটিং কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এ গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার অর্জন করেছে। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রুপের সহ সভাপতি সাংবাদিক হান্নান খাদেম, শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের প্রভাষক সামসুল আরেফিন, রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম, সাংবাদিক জুটন বনিক, সুর্য সৈনিক স্কাউটের সহ সভাপতি সমীর চক্রবর্তী, রেলওয়ে জেলা স্কাউট সাবেক সম্পাদক আহসান কবির লিটন, সাংবাদিক নাজমুল আহমেদ রনি, যুবলীগ নেতা তারেক আহমেদ সজল, অভিভাবক জামাল আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আব্দুল করিম চৌধুরী রাসেল।
বক্তারা বলেন, যে কোন একটি সংগঠনের জন্য ৩০ বছর পূর্ণ করা অত্যন্ত দূরুহ কাজ। অগ্নিবীণা রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপ সুনাম ও দক্ষতার সাথে তাদের সাফল্য অর্জন করেছে। বক্তারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লন্ডন প্রবাসী উডব্যাজার মোস্তাক আহমেদ খাদেম টিটুসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রশংসা করেন। আগামী দিনে স্কাউটিং কার্যক্রম আরও বেগবান করে ছাত্রছাত্রীকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
আলোচনা শেষে গ্রুপের নতুন লগো উন্মোচন করা হয় এবং কেক কাটা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে জের ধরে বড় ভাই আব্দুর রহমান ভূঁইয়াকে (৫২) পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
হত্যাকারী তার আপন ছোট ভাই খলিলুর রহমান ভূঁইয়া ও তার ২ ছেলে। সোমবার রাতে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নুনাসার গ্রামে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রহমান ওই গ্রামের আব্দুল কাদের ভূঁইয়ার ছেলে। এ ঘটনায় খলিলুর রহমানের দুই মেয়ে ইমা ও হাবিবাকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে ছোট ভাই খলিলুর রহমান সঙ্গে বিরোধ চলছিল বড় ভাই আব্দুর রহমানের। জায়গা সম্পত্তি নিয়ে উভপক্ষের একাধিক মামলাও চলছে।
গতকাল সোমবার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যায়। মামলায় ছোট ভাই খলিলুর রহমানের দুই ছেলেকে আসামি করেন আব্দুর রহমান।
এনিয়ে সোমবার দিনের বেলায় দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যায় ইফতারের পর আব্দুর রহমান মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাড়িতে আসলে খলিলুর রহমান ও তার ছেলেরা অতর্কিত হামলা চালায়।
একপর্যায়ে আব্দুর রহমানকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তারা। এসময় স্বজনরা আব্দুর রহমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম জানান, পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যরা পালিয়েছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত হয়েছে। আজ ১ অক্টোবর রবিবার সকালে আখাউড়া প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পৌরশহরের সড়ক বাজারস্থ সংঘের কার্যালয় চত্বরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম চৌধুরী।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ কাদিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংঘের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মোঃ নাজির হোসেন মাস্টার, এরশাদ হোসেন তালুকদার ও মোঃ বজলুর রহমান প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রবীণরা পরম শ্রদ্ধেয়। তাদেরকে সম্মান করতে হবে। তাদেরকে সময় দিতে হবে। খোঁজ খবর রাখতে হবে। অসুস্থ্য হলে চিকিৎসা করা হবে। তারা যেন কষ্ট না পায়। বৃদ্ধ বয়সে তারা নাতি-নাতনিসহ স্বজনদের আদর যত্ন পেতে চায়। তাদের সাথে মিশতে হবে। তারা আরও বলেন, প্রবীণের যুক্তি আর নবীনের শক্তি এই মূল মন্ত্র নিয়ে দেশ গড়তে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যেসব পণ্য আসার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো আমদানীর সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম। আজ ৬ মে শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে স্থাপিত ব্যাগেজ স্ক্যানারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভারত থেকে যে পণ্যগুলো আমদানির সুযোগ আছে সেগুলোর তালিকা দিলে আমরা আমদানির অনুমতি দেব। তবে সব পণ্য আমদানির অনুমতি দিতে গেলে- বন্দরে আমদানিকৃত পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যেসব সুবিধা প্রয়োজন, সেগুলো এখানে নেই। সেজন্য আমরা একসাথে সব পণ্যের জন্য বন্দর খুলে দিতে পারি না।
তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অবৈধ সুবিধা দেওয়া হবে না। এতে যদি বাণিজ্য কমে যায় তাহলে কিছুই করার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতকে নিজ দেশে পণ্য পরিবহনের সুযোগ দেয়ায় বন্দর ও কাস্টমস রাজস্ব পাবে। পরিবহন খাতেও কিছু কর্মসংস্থান হবে। সড়ক ব্যবহারের জন্যও মাশুল পাব আমরা। সর্বোপরি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরালো হবে।
পরে তিনি বন্দর সভাকক্ষে কাস্টমস, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি পরিচালনায় নানা সমস্যাসহ বন্দরসংশ্লিষ্ট বাধাগুলো তার কাছে তুলে ধরেন। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান এসব সমাধানে দ্রæত পদক্ষেপ নেবেন বলে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।
পরে ব্যবসায়ীরা জানান, ৬টি পণ্য আমদানীর অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান এগুলোর অনুমতি দেওয়ার ব্যপারে ব্যবসায়ীদেরকে আশ^স্ত করেছেন।
এসময় এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় আবারও আইন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হক।
আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জাতীয় চারনেতা হত্যা মামলার প্রধান কৌশলী। এ ছাড়া, বিডিআর হত্যা মামলা, দুদকের মামলাসহ রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন। ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে পরিচিত আনিসুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
আনিসুল হকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। আনিসুল হকের প্রয়াত পিতা সিরাজুল হক ওরফে বাচ্চু ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন। আনিসুল হকের বাবা-মা দু’জনই মুক্তিযোদ্ধা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক মাদক পাচারকারী হলো কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত দেঠৎ মোহাম্মদের ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রকাশ রয়েল(৩৮)।
আখাউড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার এস. আই মোঃ মোবারক আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মনিয়ন্দ এলাকার নোয়ামোড়া- গোপীনাথপুর সড়কের থেকে মোঃ আমিনুল ইসলামকে আটক করে। তাকে তল্লাশী করে প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, আমিনুলের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় নিয়মিত মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও ২টি মাদক মামলা ও ০১টি অন্যান্য ধারায় মামলা সহ ০৩টি মামলা রয়েছে। তাকে রবিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।