চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের ও সুুবিধাবঞ্চিত নারী পুরুষদের মধ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র চলতি মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। একই সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা এলাকার ১২টি ওয়ার্ডে এবং সদর উপজেলার নির্ধারিত স্থানে ট্রাকসেলের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় শুরু করা হয়েছে। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা দরে ২ কেজি করে মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাউল এবং ৫৫ টাকা দরে ১ কেজি ছোলা বুট দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী নারী পুরুষদের মাঝে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পৌরসভায় ৪৯৫২ জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র এ পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। সোমবার পৌরসভার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে, মেড্ডা কালভৈরব, কালাইশ্রীপাড়া কারখানাঘাট- আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহসহ মাঠ চারটি স্থানে পণ্য বিক্রি করা হয়।
তিনি আরো বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। মানুষ যেনো সঠিকভাবে এই পণ্য পায়, তার জন্য জোরদার ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। কোন ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমানকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে এই ফুলের শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আশরাফ স্বাস্থ্য, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সমাজসেবা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার চক্রবর্তী, শিক্ষা বিভাগের মণির হোসেন, নজরুল ইসলাম সড়ক জনপথ, আবু নাছের যুব উন্নয়ন, শামীম মাদকদ্রব্য নি:অধিদপ্তর লোমান শিক্ষা, দিদার হেলথ, শেখ মণির সমাজসেবা অধিদপ্তর, আসিফা সমাজসেবা অধিদপ্তর, মণির হোসেন স্বাস্থ্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রুবেল মিয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী আব্দুল মতিন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী হিরণ খান, আব্দুল্লা জনস্বাস্থ্য, ইয়াসির আরাফাত বরকত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জাকির হোসেন চৌধুরী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মো: ইসমাইল মিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, উত্তম কুমার দাস সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রমুখ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে হাদিসুর রহমান নামে (২৯) এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৩০ আগস্ট শুক্রবার সকালে থানা পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সেনা সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। হাদিসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। সে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে শহরের পীরবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হাদিসুর রহমান মাদকাসক্ত ছিল। রাতে সে ঘরের মধ্যে ইয়াবা সেবনের পর ভোর থেকে দা হাতে নিয়ে অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সে ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে গ্লাসের জানালায় দা দিয়ে কোপাতে থাকে। পরে শহরের সিও অফিস এলাকায় একটি পুকুরে ঝাঁপ দেয়। সেখান থেকে সে পালিয়ে সদর মডেল থানার ফটক ডিঙ্গিয়ে ভিতের প্রবেশ করে থানা পুকুরেও ঝাঁপ দেয়। পরে সে উঠে না আসায় পুলিশ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা সকাল ৮টায় পুকুর থেকে হাদিসুরের মরদেহ উদ্ধার করে।
তবে হাদিসুরের মা আলেয়া বেগম ও পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, হাদিসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী শেফালী বেগমের সাথে তার আগের স্বামীর যোগযোগ নিয়ে প্রায়শই কলহ চলত। এমনকি আগের স্বামী মনির বর্তমান স্বামী হাদিসুরকে মারধরও করেছিলো। এনিয়ে সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল। তারা হাদিসুরের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত দাবী করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবনিযুক্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
জেলা কমিটির নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি আরশাদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের দপ্তর সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নেতা ও নাসিরনগর উপজেলার আহবায়ক, জেলা যুগ্ম সম্পাদক আলী আকরাম খন্দকার স্বপন, চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ও সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজির আহমেদ, সদর উপজেলার সভাপতি মোঃ রুবেল মিয়া, চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-মহিলা সম্পাদিকা ও বিজয়নগর উপজেলার যুগ্ম সম্পাদক তাসলিমা খন্দকার, জেলা সহ-সভাপতি ও কসবা উপজেলার সাবেক সভাপতি মোঃ জামাল উদ্দিন, নাসিরনগরের সদস্য সচিব ফজল ভূইয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলমাছ উদ্দিন, জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সরাইল উপজেলার সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল কবির শিহাব, অর্থ সম্পাদক রফিকুজ্জামান, মনির হোসেন।
জেলা অর্থ সম্পাদক রাজীব চন্দ্র দাস, সদর উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত দেবনাথ, মোঃ সুজন খান, মোঃ রানা মিয়া, মতিয়া চৌধুরী, মোঃ ফরিদ মিয়া, তানিয়া সুলতানা, মারজান বেগম, নিলু রানী ধাম। আখাউড়া উপজেলার সভাপতি মাহবুব আলম, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, মোঃ মিশুক। বিজয়নগরের মোঃ মনির হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলার সভাপতি মোঃ মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মামুন প্রমুখ।
এসময় নবনিযুক্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া বলেন, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সহিত অর্পিত দায়িত্ব নিজ নিজ অবস্থান থেকে সঠিকভাবে পালন করুন। ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে জেলা বিজয় হয়েছে তা ধরে রাখতে বৈষম্য দূর করুন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
খোকন নামের এক মাদকসেবিকে ৩ মাসের কারাদন্ড ও এবং ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই যুবককে এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদা আক্তার জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে টিকেট কালোবাজারি মুক্ত করতে প্রায়ই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে রেলওয়ে স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে টিকেট কালোবাজারিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে স্টেশনে খোকন নামে এক যুবকের আচরণবিধি সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করা হলে তার কাছে ট্রেনের একটি টিকেট ও এক পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরে ওই যুবককে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩ মাসের কারাদন্ড এবং ৫০০টাকা জরিমানা করা হয়। ট্রেনের টিকেটটি যাচাই করে এর বৈধতা পাওয়া যায়।