চলারপথে রিপোর্ট :
সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি আজ ১৯ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০ টায় হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃতে আখাউড়া উপজেলা এসেছে। এই মিছিল বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমার সাথে সীমান্ত আছে এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাবে। কর্মসূচি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে।
কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন বাংলাদেশের প্রতিবেশি দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, ভারত সব সময় সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে, গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বি এস এফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকারের অধিকারের হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে বি এস এফ হত্যা করেছে, ১১৮৩ জন আহত হয়েছে।
আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের আভান্তরিন যুদ্ধে মটারসেলে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আমি প্রতিকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছি। তিনি আরোও বলেন, বাংলদেশের জনগন সব সময় প্রতিবেশি ও বন্ধু দেশ গুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে বৈরি আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর চোরাকারবারি, হতে পারে এরা গরু চোর বা চোরাকারবারি এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারিদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারিরা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।
হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে দলই এসেছে সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আর্ত মর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারনে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।
হানিফ বাংলাদেশী বলেন এই কর্মসূচিতে আমারা দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের সচেতন মানুষদের এই কর্মসূচি অংশ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। যেদিন যে জেলা উপজেলায় এই মিছিল যাবে সেখানে যেকোনো দল, সংগঠনকে আমাদের সাথে সংহতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য পরিবারের আবেদন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনে কোনো সুযোগ নাই।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এক-দেড় মাসের মধ্যে জেলে যেতে হবে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন শঙ্কার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি তো এখন পর্যন্ত জানিনা উনি (মির্জা ফখরুল) কোনো অপরাধ করেছেন। উনাকে কেন জেলে যেতে হবে এটা আমি জানি না। যদি উনি অপরাধ করে থাকেন তাহলে জেলে যেতে হবে।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহমেদ ভূঁইয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এর আগে সকাল সোয়া দশটায় তিনি আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এসময় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া বন্যা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। এ অবস্থায় আজ ২৬ আগস্ট সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পুরোদমে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। এর আগে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিলো তাদেরকে গতকাল রবিবার বিকেলে বিশেষ ব্যবস্থায় যাওয়া-আসা করতে দেওয়া হয়। এতে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। সকালে বন্দর দিয়ে একটি মিনি ট্রাকে করে মাছ রপ্তানি হয়। তবে আর কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি হতে দেখা যায়নি। আখাউড়া উপজেলার গাজীর বাজার এলাকায় বেইলি সেতু ধসে যাওয়ায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু হতে কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা।
এদিকে যাত্রী পারাপার শুরু হতে পারে-এমন খবরে সকাল থেকেই লোকজন বন্দর এলাকায় এসে জড়ো হয়। বেলা ১১টার দিকে বিজিবি’র ব্যারিয়ারের সামনে ৩০-৪০জন যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এর আগে যাত্রীরা কাস্টমসের কাজ সারেন। বেলা সোয়া ১২টায় তাদেরকে ইমিগ্রেশন এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়। এ সময় দু’দেশ থেকে যাত্রী যাওয়া-আসা করতে দেখা যায়।
যাত্রী পারাপার শুরুর পর অনেককে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে যারা ওপারে যাচ্ছেন তাদেরকে হয়রানি করতে দেখা যায়। কর্মরত স্থানের অনাপতিপত্র, টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাওয়া ইত্যাদি বিষয় নিয়ে অনেককে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা হয়। আবার কিছু সময় পর তাদেরকে ছেড়ে দিতেও দেখা যায়। এসব বিষয় নিয়ে যাত্রীরা বার বারই ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জের কক্ষে ভিড় করছিলেন। মূলত ওনার নির্দেশনাতেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল।
ভারত থেকে ফিরে আসা নরসিংদীতে চাকরিরত শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দা মো. স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, গত কয়েকদিন অনেক কষ্ট করেছি। যে টাকা নিয়ে গেছি সেটা শেষ হয়ে গেছিলো। কোনো রকমে ওখানে দিন পার করছি।
আশুগঞ্জের বাবুল মিয়া, সিলেটের সুুধাংশু নামে আরো দুই ব্যক্তি বন্যার কারণে আটকে থাকায় তাদের কষ্টের কথা বর্ণনা দেন। আগরতলাতেও বেশ বন্যা হয়েছে। যে কারণে সব মিলিয়ে তাদেরকে সেখানে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
আখাউড়া স্থল বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, বন্যার পানি আরো আগে নেমে গেলে যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক করতে সময় লেগে যায়। প্রকৌশলী এসে সবকিছু ঠিক করার ৫দিন পর বেলা সোয়া ১২টা থেকে যাত্রী পারাপার শুরু হয়। তবে উপরের নির্দেশনা থাকায় অনেক যাত্রীর বিষয়ে খোঁজ নিতে হচ্ছে। তাদেও যাচাই-বাছাই শেষে যেতে দেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বছরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সে হিসাবে নির্বাচনের আরও বাকী আছে প্রায় ৮ মাস। অনেকটা আগে ভাগেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করছেন কসবা- আখাউড়ার সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। ২ মে মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করবেন তিনি। সোমবার সকালে আখাউড়ায় সাংবাদিক সস্মেলন করে মন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ নির্বাচনী প্রচারণার তথ্য তুলে ধরেন উপজেলা আওয়ামী লীগ। আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। সাংবাদিক সম্মেলনে আখাউড়ার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২০১৪ সাল থেকে পরপর দুই মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হয়ে আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কসবা আখাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। গত ১০ বছরে আইনমন্ত্রী এলজিইডি এবং পিআইও দপ্তরের মাধ্যমে প্রায় ৩২০ কোটি টাকার উন্নয়ণ করেছেন। এছাড়া পৌরসভার মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা এবং পৌরসভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জন ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবন মেরামতের জন্য এক কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গণপূর্ত, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুত বিভাগ, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
কসবা আখাউড়াবাসীর সার্বিক উন্নয়ন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দর্শন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জনগণের সমর্থনের মাধ্যমে আনিসুল হককে আবারও এমপি নির্বাচিত করে এলাকার উন্নয়নে অংশীদার হতে সকলের সহযোগিতা চাওয়া হয় সাংবাদিক সম্মেলনে।
তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচনী প্রচার করা যায় কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামীলীগ সেক্রেটারি বলেন উনি উনার জনগণের সাথে গণসংযোগ করতে মনে হয় এতে কোন সমস্যা হবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ আসনে আনিসুল হক আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাবেন এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। সাংবাদিক সম্মেলনে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, আওয়ামীলীগ নেতা দীপক ঘোষ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তোরণ নির্মাণের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হানিফ মিয়া (৪৫) নামে এক ডেকোরেটর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া (৪২) আহত হয়েছে।
২০ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে আখাউড়া থানা মসজিদের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ মিয়া পৌরশহরের কলেজ পাড়ার মৃত আতর আলীর পুত্র। তিনি ১ ছেলে মেয়ের জনক। আহত ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া রাধানগর ভাড়া বাসায় থাকে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংবর্ধনা উপলক্ষে তোরণ নির্মাণ করছিলেন ডেকোরেটর শ্রমিকেরা। ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা।
প্রত্যক্ষদর্শী ইলিয়াস মিয়া বলেন, হানিফ মিয়া আমার পূর্ব পরিচিত। আমি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলাম হানিফ মিয়া গেইটের উপরে উঠে গেইট বানানোর কাজ করছিল। হঠাৎ দেখি হানিফের হাত দিয়ে ধোঁয়া উড়ছে। সেলিম মিয়া বাঁশ ধরা অবস্থায় কাঁপছে। তৎক্ষনাৎ আমি আরেকটা বাঁশ দিয়ে সেলিমকে সজোরে বারি দিয়ে সরিয়ে দেই। আমিও শট পাই। এসময় হানিফ মিয়া উপর থেকে নীচে সড়কে পড়ে যায়।
আহত সেলিম মিয়া বলেন আইনমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষে অর্ডার পেয়ে গেইট নির্মাণ করছিলাম। তখন হানিফ মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইকরাম চৌধুরী বলেন ৫ টা ১০ মিনিটে হানিফ মিয়াসহ দুইজন আহত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে। আমরা রোগীর ইসিজি করে কোন রেসপন্স পাইনি। ব্ল্যাড প্রেসার পাইনি। হাসপাতালের আনার আগেই হানিফ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। সেলিম মিয়া শঙ্কা মুক্ত আছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন শ্রমিকরা কার গেইট নির্মাণ করছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থার তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ৩০ জুন রোববার বিকালে জেলার সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার আখাউড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে গিয়ে অব্যবস্থাপনা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখতে পেয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করেন এবং বিষয়টি ভিডিও কলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হককে দেখালে মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। দায়িত্ব পেয়ে রোববার তদন্ত কমিটির সদস্যরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে তদন্ত করেন। পরে বিকালে সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আলী আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। রিপোর্টে বড় কোন অব্যস্থাপনা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে স্টোর না থাকায় নিলামযোগ্য মালামালগুলো হাসপাতালের ভেতরে রাখা হয়েছিল। এজন্য দেখতে খারাপ লাগছিল। শিগগিরই এগুলো নিলাম দেওয়া হবে। ওই দিন হাসপালের রোগীদের খাবার দেওয়ায় বিলম্ব এবং নিম্নমানের খাবার সরবরাহের বিষয়ে ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।