চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় দেয়াল চাপায় মোঃ আকির হোসেন (৯) নামে এক মাদরাসার ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আকির হোসেন পাশ্ববর্তী মেহারী ইউনিয়নের চৌবেপুর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে। সে চৌবেপুর জামিয়া শামছুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার নুরানী বিভাগের ছাত্র ছিলো। নিহতের চাচা দেলোয়ার হোসেন জানান, পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারনে আকির তার নানার বাড়িতে থেকে মাদরাসায় পড়তো। সোমবার দুপুরের দিকে আকির হোসেন তার নানার বাড়ি থেকে সামান্য দুরত্বে বাবুল মিয়ার বাউন্ডারির দেয়ালে উঠে বড়ই পারার সময় হঠাৎ করে পুরাতন দেয়ালটি ধসে পড়ে যায়। দেয়ালের উপর দাঁড়িয়ে থাকা আকির হোসেনও পড়ে যায়। এসময় দেয়াল চাপায় মুখমন্ডল থেতলে গিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত হয়। পরে বাবুল মিয়ার বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। দরিদ্রতার কারনে নানা বাড়িতে থেকে চৌবেপুরে গ্রামের মাদ্রাসায় গিয়ে পড়াশুনা করতো।
বাবুল মিয়া জানান, বাড়ির এই পুরাতন বাউন্ডারি দেয়ালটি ভেংগে ফেলার জন্য ভেকু মেশিন ভাড়া করেছিলেন। দু-একদিনের মধ্যে ভাংগার কথা ছিলো। সোমবার দুপুরে বড়ই পাড়তে গেলে ছেলেটিসহ দেয়ালটি ধসে পড়ে মর্মান্তিকভাবে ছেলেটি মারা যায়। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজু আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় ইমরুল হোসেন (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৭ জুলাই শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা-সৈয়দাবাদ সড়কের পৌর শহরের কদমতলী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ইমরুল পৌর শহরের আড়াইবাড়ী গ্রামের ইমতিয়াজ হোসেনের ছেলে। পুলিশ ট্রাক্টরটি জব্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে সাইকেল চালিয়ে এসে পৌর শহরের কদমতলী মোড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলো। এসময় সৈয়দাবাদের দিক থেকে আসা মাটিবাহী ট্রাক্টর শিশু ইমরুলকে চাপা দেয়। চাকায় পিষ্ট হয়ে মস্তিস্ক বের হয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই শিশু ইমরুলের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। নিহত শিশু ইমরুলদেও পরিবার কসবার আড়াইবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। তাদেও বাড়ি পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাড়ানী গ্রামে। ইমরুলের বাবা একজন অটোরিক্সা চালক। ইমরুল পৌরশহরের আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, ট্রাক্টরটিকে জব্দ করা হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েক মাস আগে স্নাতক শেষ করেছেন আশরাফুল ইসলাম (২৪)। বসে না থেকে তিন মাস আগে রাজধানীর বেইলি রোডে ইল্লিয়িন ব্র্যান্ডের পোশাকের শোরুমে খণ্ডকালীন চাকরি নেন। গত বৃহস্পতিবার ওই ভবনে আগুন লেগে আশরাফুল নিহত হন। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর জানাযা শেষে কসবায় গ্রামের বাড়িতে তাঁকে দাফন করা হয়।
নিহত আশরাফুল ইসলাম ওরফে আসিফ (২৪) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের কাইমপুর পূর্ব পাড়ার মৃত জহিরুল ইসলামের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি। বড় ভাই তরিকুল ইসলাম ঢাকায় ব্যবসা করেন। ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন।
বৃহস্পতিবার বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লাগে, সেখানে ইল্লিয়িন ব্র্যান্ডের শোরুম ছাড়াও কয়েকটি রেস্তোরাঁ আছে। ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময় আশরাফুল ওই শোরুমে ছিলেন। তিনি ভবন থেকে বের হতে পারেননি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাঁর লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। বড় ভাই তরিকুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই ছোট ভাই আশরাফুলকে খুঁজছিলেন। তিনিসহ আশরাফুলের বন্ধুরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে রাতেই আশরাফুলের লাশ শনাক্ত করেন।
শুক্রবার সকালে নিহত আশরাফুলের লাশ নিয়ে বাড়িতে আসেন বড় ভাই তরিকুল ইসলাম। ছেলের লাশ দেখে বৃদ্ধ মা সামসুন্নাহার বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত ব্যক্তির ভাই তরিকুল ইসলাম বলেন, বাবা মারা গেলেন দুই বছর আগে। ছোট ভাই আশরাফুল আইইউবি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন মাত্র। চাকরি খুঁজছিলেন। ঘরে বসে না থেকে ইল্লিয়িনের শোরুমে তিন মাস আগে চাকরি নেন। ওই ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে খুঁজতে থাকেন। পরে আশরাফুলের বন্ধুরাসহ তিনি ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
কসবার কাইমপুর পূর্ব সরকারি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জুমার নামাজের পর জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আশরাফুলকে দাফন করা হয়।
জানাযায় কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া, কাইমুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকতিয়ার আলম, সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন সরকারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে আশরাফুলের মৃত্যুর খবরে তিনি খুবই মর্মাহত। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা মাত্র শেষ করেছে। অকালেই ঝরে গেল। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ঘরে ঢুকে এক কিশোরীকে ছুরি মেরে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে তার মা, বোন, ভাইসহ চারজন আহত হয়েছেন। আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার ভোরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হোসনেয়ারা আক্তার (১৪) ওই গ্রামের নাছির মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় শ্যামবাড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। আহতরা হলেন হোসনেয়ারার মা নাদিরা বেগম, ছোট বোন ফাহিমা আক্তার (১২), ছোট ভাই নাজমুল ইসলাম (৯) ও নাহিদুল ইসলাম (৭)। তাঁরা কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নাদিরা বেগম বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। আজ বুধবার ভোরে ফজরের নামাজের আগে তিন-চারজন দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে, আরো কয়েকজন বাইরে ছিল। তারা হোসনেয়ারাকে ছুরিকাঘাত করতে থাকে। তাকে রক্ষা করতে গেলে আমাকেও ছুরিকাঘাত করে। আমার হাত কেটে যায়। আমার একটি মেয়ে ও ছোট দুই ছেলেকেও তারা মারধর করেছে।’
নাদিরা বেগম অভিযোগ করেন, গ্রামে দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে হোসনেয়ারাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক মো. ইকরামউল্লাহ বলেন, হোসনেয়ারা নামের ওই কিশোরীকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। তার মাথায় কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নিয়ে গেছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, ছুরিকাঘাতে হোসনেয়ারা আক্তার নামের এক ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, নিমবাড়ি গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই গ্রামে আগেও দুটি খুন হয়েছিল। হোসনেয়ারাকে রাতের আঁধারে কে খুন করেছে কিংবা আগের বিরোধের জন্য খুন হয়েছে কি না-জেলা পুলিশসহ একাধিক বাহিনী তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে বেলা দুইটা পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলার কসবা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় পাঁচজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।আজ ৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান।
আটককৃতদের মধ্যে তিনজন ভারতে পাচার হচ্ছিল বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়। পাশাপাশি পাচারের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়।
পাচার হতে যাওয়ারা হলেন, নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার বিজয়পুর গ্রামের উসমান গনির ছেলে সোহাগ মিয়া (২৬), একই জেলার পূর্বধলা থানার বলিয়া কান্দা গ্রামের রহম আলীর ছেলে সাইদুর হক (২৪) ও নেত্রকোনার রানি খং থানার বিজয়পুর গ্রামের উসমান গনির ছেলে মো. হজরত আলী (২৮)।
আটক হওয়া মানব পাচারকারীরা হলো: কুমিল্লার বুড়িচং থানার খারেরা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মো. বিল্লাল (৪৫), একই জেলার বুড়িচং থানার পাহাড়পুর গ্রামের মো. আবদুর সাত্তারের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩০)। অভিযানকালে পাচার চক্রের দুই সদস্য পলিয়ে যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সোমবার রাতে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ খারেরা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ২০৭১/২ এস থেকে প্রায় ২০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে কুমিল্লার বেলবাড়ী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি অটোরিকশার গতিবিধি সন্দেহ হলে বিজিবির সদস্যরা যানটির গতিরোধ করে। পরে অটোরিকশা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিন জন জানান, তারা অবৈধ পথে ভারতে যাচ্ছিল।
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বুড়িচং থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পলাতক দুই পাচারকারীকেও আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টাকালে আরাফাত ভূইয়া (১৯) নামে এক যুবককে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ২৬ মে রবিবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. রাহাতুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের ৪০নং বাইসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাকে ৫দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত আরাফাত ভূঁইয়া উপজেলার কুটি গ্রামের বাসিন্দা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. রাহাতুল ইসলাম জানান, দুপুরে কুটি ইউনিয়নের ৪০ নং বাইসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টাকালে আরাফাত ভূঁইয়াকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১-চ ধারায় আরাফাত ভূঁইয়াকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল রবিবার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সকাল ৮টা থেকে ১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আহমেদ দেখতে পান ব্যালট পেপারে তার প্রতীক অটোরিকশার বদলে প্যাডেল চালিত তিন চাকার রিকশা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে তার ভোটারা বিব্রত হচ্ছিলেন। পরে দুপুর ১টার দিকে তিনি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগের বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করলে সেখান থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান। রবিবার স্থগিত হওয়া চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।