চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্কাউটস আয়োজিত কাব কার্নিভাল ২০২৪, গার্ল ইন স্কাউট ইউনিট লিডারগণের ওরিয়েন্টেশন ও জাতীয় কমিশনার কাজী নাজমুল নাজুর দেয়া কম্বল বিতরণ আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস. এম. শান্তনু চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস আর এম ওসমান গনি, কুমিল্লা অঞ্চলের সম্পাদক ডিআরসি (প্রোগ্রাম) মোঃ আক্তারুজ্জামান, ডিআরসি মোঃ ছফিউল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসেম, উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান, জেলা সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ ফরিদ আহমেদ খান, সহকারী কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ তফসির, কাব লিডার মো: হারুন মিয়া প্রমূখ। সভাপতিত্ব করেন জেলা স্কাউট কমিশনার মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, কাব কার্নিভালে ৪০টি দলের ৪০জন ইউনিট লিডারের নেতৃত্বে ২৪০ জন কাব স্কাউটস অংশগ্রহণ করেন। গার্ল ইন স্কাউটস এর ওরিয়েন্টেশনে ৫০ জন ইউনিট লিডার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন এবং ৫০ জন অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে চারজনকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
মৈন্দ গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে এলেম ভূইয়া, একই এলাকার আবদুল হাসিবের ছেলে আবদুল আওয়াল, আকরাম আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম ও ঢাকার সাভারের কাটঘরা গ্রামের রফিকুল সরকারের ছেলে আসিফকে এই জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খননযন্ত্রের মাধ্যমে ফসলি জমি থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র। এসব বালু ও মাটি পাইপ ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে পুকুরও ও জলাশয় ভরাট করা হয়।
গোপন সংবাদে জানতে পেরে মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন মৈন্দ গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চারজনকে আটক করে চার জনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও ভেকু মেশিন জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, মৈন্দ গ্রামের কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার সময় চার জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী চারজনকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, পেশি শক্তির দাপট, ভিজিএফ ও ভিজিডির মাল আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন সদস্যরা। সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ৯ সদস্য এ অনাস্থা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছায়েদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে ২৭ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
অভিযোগপত্রে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, টিআর/কাবিখার জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান। সরকারের কৃষি প্রণোদনা সার এবং বীজ কৃষকের মাঝে বিতরণ না করে নিজেই তা লুটপাট করেছেন। এছাড়া গ্যাস ফিল্ড থেকে প্রাপ্ত ট্যাক্সের ৪ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা কাজ করে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাৎ করেন। ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ এলাকার জনগণ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে সম্পূর্ণ টাকা জমা না রেখে বেশির ভাগ অংশ আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, এলাকার অসহায়-হতদরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধন আবেদন, সংশোধন পরিবর্তন, পরিবর্ধন বাবদ বিভিন্ন অসুবিধা জটিলতা দেখিয়ে দুই হাজার, তিন হাজার, পাঁচ হাজার টাকা নিয়া জনগণের কাজ করে দেয় এমনকি চাহিদা মত টাকা না পেলে দীর্ঘদিন হয়রানি করেন। চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ নিজ ইচ্ছায় অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জন করার লক্ষ্যে ডালিম নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে বিভিন্ন সরকারি অনুদান যেমন প্রেগনেন্সি ভাতা, কৃষি প্রণোদনা, সার, বীজ, ধান বীজ, সরিষাসহ সরকারি টিউবওয়েল, টিসিবির পণ্য বিক্রি করে টাকা উপার্জন করে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারীদের একজন সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নাসরিন আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ নির্বাচিত হওয়ার পর নাটাই উত্তর ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে গেছেন। অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করা সব ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ হয়ে আছেন।
৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল হাই বলেন, লিখিত অভিযোগে যা লেখা হয়েছে, তা সামান্য মাত্র। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। সবশেষ বরাদ্দ পাওয়া টিউবওয়েলও লুট করে খেয়েছেন। তার সঙ্গে আমাদের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আমরা অনাস্থা দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইউপি সদস্যরা অহেতুক কারণে এমন করছেন। তাদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) রুহুল আমিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে একটি আবেদন দেওয়া হয়েছিল জেলা প্রশাসকের কাছে। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে অভিযোগ জানিয়ে আবেদন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। তিনি তদন্ত করে বিষয়টি জানাবেন জেলা প্রশাসককে। আমরা তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি ইউএনওর কাছে আবেদন করতে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও পরিচিতি সভা ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল কুমারশীল মোড়স্থ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির আয়োজনে উক্ত ‘অভিষেক অনুষ্ঠান ও পরিচিতি সভার’ উদ্বোধন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশের ট্রাস্টি, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এআইজি, বীরমুক্তিযোদ্ধা মালিক খসরু (পিপিএম)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, কবি ও গীতিকার মফিজ উদ্দীন আহমেদ ফরিদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন পিপিএম, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জয়দুল হোসেন, নবীনগর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, সোহাগপুর ইসলামিয়া পাঠাগারের সভাপতি, প্রফেসর মোঃ আলমগীর, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম লিমন, আয়োজক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোক্তা ও প্রধান সমন্বয়ক মোঃ ইমাম হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ এখলাছউর রহমান, সমন্বয়ক শিবচরণ বিশ্বাস।
সংগঠনের নব নির্বাচিত জেলা কমিটির সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাদৈর মৈত্রী পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা, উদীচী জেলা সংসদের সভাপতি, লোকো গবেষক জহিরুল ইসলাম স্বপন, কবি ও গীতিকার আব্দুর রহিম, বজলুর রহমান পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন নাহার, মাতৃভাষা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, কবি আনিস মুহাম্মদ, তরী পাঠাগারের সদস্য, কবি ও গল্পকার শিরিন আক্তার, এএম টিভি নিউজ বাংলার বার্তা সম্পাদক কবি রুদ্র মুহাম্মদ ইদ্রিস, পথিক টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কবি লিটন হোসাইন জিহাদ প্রমুখ।
সংগঠনের নবনির্বাচিত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ-এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক, সরাইল সফেরা বেগম স্মৃতি গণপাঠাগারের সভাপতি মোঃ শরিফ উদ্দিন। কোরআন তেলওয়াত করেন মাতৃভাষা একাডেমির সদস্য মাওলানা আমানুল্লাহ মুর্তাজা, গীতা পাঠ করেন নাসিরনগর হরিশচন্দ্র স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক তাপসী রায়।
সভায় উদ্বোধক বীর মুক্তিযোদ্ধা মালিক খসরু তাঁর বক্তব্যে বলেন- বর্তমান যুগে ডিজিটালাইজেশনের যুগে তরুণ প্রজন্ম মোবাইল আসক্তিতে মাতারা হয়ে থাকে। মাত্রারিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কুফলে তরুণ প্রজন্ম যেভাবে জ্ঞানহীনভাবে বেড়ে উঠছে, সেই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে একমাত্র পাঠাগার আন্দোলনই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। দেশব্যাপী পাঠাগার আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি পাঠাগার আন্দোলনে সকলকে সক্রিয় হতে উদাত্ত আহ্বান জানান।
সভায় প্রধান অতিথি মফিজ উদ্দীন আহমেদ ফরিদ তার বক্তব্যে বলেন- আমার ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে ছোট একটি পাঠাগার দেখেছি। সাধারণ বাঁশের তাকে বাবার বানানো সেই পাঠাগারই আমাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আমি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতে পারছি এবং লেখালেখির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারছি। তিনি বলেন- বিভিন্ন পাঠাগারে যে বইগুলো থাকে এগুলোই মূলত পাঠ্যবই। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যা পড়ানো হয় তাকে আমরা পাঠ্য বই ভেবে ভুল করি। আর আমরা যাকে আউট বই মনে করি সেই আউট বই তথা পাঠাগারের বই-ই আসল বই। এই বই পড়ার মাধ্যমে আমরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে পারি।
সভায় কবি জয়দুল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন- বর্তমানে যেভাবে ঘরে ঘরে মোবাইল পৌঁছে গিয়েছে, সেভাবেই প্রতিটি ঘরে ঘরে ছোট করে হলেও একটি করে পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। বক্তব্যে সরকারের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সফলতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন- সরকারকে ‘একটি বাড়ি-একটি পাঠাগার’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় প্রধান সমন্বয়ক মোঃ ইমাম হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন- দেশের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসংখ্য পাঠাগার গড়ে উঠলেও আর্থিক সংকট, নানা অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনা এবং সরকারের তদারকি না থাকায় দেশের অসংখ্য পাঠাগারের কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এসব পাঠাগারকে পুনরায় চালু করতে হবে এবং নতুন নতুন পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে পাঠাগারমুখী করতে সরকারি ব্যবস্থাপনাসহ সমাজের সর্বস্তরের ব্যক্তিদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
আগামী পহেলা নভেম্বর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। দিবসটি উদযাপনে কর্মসূচি প্রণয়নের লক্ষ্যে ২৩ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী পরামর্শ সভায় কর্মসূচির বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে অভিমত প্রকাশ করেন উপদেষ্টা এবং বিগত জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরার আজমপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ এর পিতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক কর্মকর্তা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাড. শেখ জাহাঙ্গীর, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মো. আবুল হাসনাত অপু, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, সংগ্রহ ও প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, বশির আহমদ, হারুন অর রশিদ, সমবায় মার্কেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ রকিব প্রমুখ।
পরে নেতৃবৃন্দ সাবেক প্রতিমন্ত্রী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব অ্যাড. হারুন আর রশিদ এর বাসভবনে যেয়ে উনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাঁর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জয়নাল উদ্দিন (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে নগদ আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ মার্চ রবিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকায়।
জয়নাল উদ্দিন অলিম্পিক গ্রুপের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবেশক ক্ষণিকা ডিস্ট্রিবিউশনের ম্যানেজার পদে আছেন।
ক্ষণিকা ডিস্ট্রিবিউশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইখতেয়ারুল বারী তানভীর জানান, পুনিয়াউট এলাকা দিয়ে ম্যানেজার জয়নাল আরো দুইজন সহকর্মীসহ ডিস্ট্রিবিউশনের নগদ টাকা নিয়ে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ১০/১২জন ছিনতাইকারী তাদেরকে ঘিরে ধরলে জয়নাল ছাড়া বাকি দু’জন পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
এসময় ছিনতাইকারীরা জয়নালের কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিতে হামলা করে। তারা একপর্যায়ে জয়নালকে ছুরিকাঘাত করে নগদ আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে জয়নালকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে এসে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।