চলারপথে রিপোর্ট :
বিভিন্ন ব্যক্তি, দালাল ও প্রতারকচক্রের সাথে অবৈধ আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারী করেছেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেল ২টার দিকে নিজের (ইউএনও সরাইল) ফেসবুক ভেরিফাইড আইডি থেকে তিনি এ বিজ্ঞাপ্তি প্রচার করেন। আর বিজ্ঞপ্তিটি মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ইউএনও’কে বাহবা জানাতে থাকেন। সর্বত্র আলোচনা হতে থাকে দালাল ও প্রতারকচক্রের নেপথ্যের নানা কাহিনী।
অনুসন্ধান, বিজ্ঞপ্তি ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সরাইল উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরকে কেন্দ্র করে ভিন্ন পরিচয় ও লেবাচে রয়েছে দালাল/প্রতারকচক্র। এদের কাজই হচ্ছে ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে আসা লোকজনের বৈধ অবৈধ সকল কাজেই দালালি করে টুপাইস কামানো। দালাল চক্রের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দলের কথিত নেতা, কথিত সংবাদ কর্মী, সুশিল সমাজের কথিত সদস্য, অমুক ভাই তমুক আপার লোক পরিচয় দিয়ে নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেয়া। এই গ্রুপের সদস্যদের নজর থাকে ইউএনও’র দপ্তর, থানা, হাসপাতাল, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস, ভূমি অফিসসহ গুরূত্বপূর্ণ অফিস সমূহের দিকে। ইউএনও’র সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পরই উপজেলা সদর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে লোকজন এমন সব আলোচনায় মেতে ওঠেছেন। অনেকে বলছেন, বর্তমান ইউএনও স্যার সৎ মানুষ। উনি যোগদানের পরই ঘুষখোর লোকজনের মন খারাপ। তিনি সুযোগ পেলেই ঠিকাদারদের ডেভেলপমেন্ট কাজ গুলো সরজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করছেন। কাজের মান ভাল না হলে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। স্বল্প সময়ে তিনি হয়ত বুঝে গেছেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের নাম ব্যবহার করে দালাল/প্রতারকচক্র অবৈধভাবে অর্থ কামাই করছে। তাই তিনি নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এ বিষয়ে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। এই বিজ্ঞপ্তিটি ফেসবুকে আসার সাথে সাথে কমেন্সে সাধারণ মানুষ ইউএনওকে ধন্যবাদ ও বাহবা জানাচ্ছেন। সেই সাথে ইউএনও’র প্রশংসা করে নানা ধরণের কমেন্স করছেন। সরাইল প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম কমেন্সে লিখেছেন-‘এবার সরাইলের সাধারণ মানুষের শান্তির বার্তা দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়। আশা করি বাস্তবায়নও হবে। নির্বাহী অফিসের নাম দিয়ে প্রতারনার মানে কি!!! উপজেলার কর্ণধার এ রকম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ প্রশংসার দাবিদার, যদি চিহ্নিতদের আইনের আওতায় আনেন। আমার সাংবাদিকতা জীবনে মনে হয় প্রথম দেখলাম এমন বিজ্ঞপ্তি। আমরা যাব কোথায়!!!…..’। ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জিব কুমার দেবনাথ কমেন্সে লিখেছেন-‘বিষয়টি পুরোপুরি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এবং প্রশংসনীয়’। সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক রূহুল আমিন রূবেল লিখেছেন, ‘যুযোপযোগী সিদ্ধান্ত। ধন্যবাদ উপজেলা প্রশাসনকে।’ সমাজকর্মী রওশন আলী লিখেছেন,‘নির্বাহী প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে দালালী করা, প্রতারণা করা, এ তো বড়ো দু:সাহসিক কাজ! আশা করি সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় এসব দালাল আর প্রতারক চক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারলে সাধারণ সেবা প্রত্যাশী মানুষের অনেক উপকার হবে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি পোষ্ট করার কথা স্বীকার করে বলেন, কারো বিরূদ্ধে কোন অভিযোগ নেই বা পাইনি। আমার ধারণা কোন ব্যক্তি বা চক্র নির্বাহী কর্মকর্তা বা দপ্তরের নাম ভাঙ্গিয়ে পাইয়ে দিবে, নিয়ে দিবে, করে দিবে বলে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। এই ধরণের পাতানো ফাঁদে কেউ যেন পা না দেয় সচেতন করার জন্যই এই পোষ্ট দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের শানু মিয়া (৪৫)। স্থানীয় সময় ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত ৩ টায় বাহরাইনের সালমানিয়া হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এর আগে গত ৫ দিন আগে বাহরাইনের আলি নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় শানু মিয়া গুরুতর আহত হয়ে সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নিহত শানু মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের পশ্চিমপাড়া বন্দেরবাড়ির মৃত মো: ওয়াদ আলী মিয়ার পুত্র।
শানু মিয়ার ছোট ভাই রোবেল মিয়া জানান, ১৪ বছর আগে তার বড় ভাই শানু মিয়া জীবিকার টানে বাহরাইনে পাড়ি জমান ইতিমধ্যে ৪ বার তিনি ছুটিতে দেশে এসেছেন।
পারিবারিকভাবে রোকসানা, হাফসানা ও ফাতেমা নামে ৩ মেয়ের জনক তিনি। সর্বশেষ ৩ মাসের ছুটি কাটিয়ে গত ৯ দিন আগে ফের বাহরাইন গিয়েছেন শানু মিয়া। বাহরাইনে কর্মরত এক আত্বীয়ের মাধ্যমে পরিবারের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় শানু মিয়া নিহত হওয়ার খবর আসে। এ খবরে পুরো পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।
স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে এখানকার আকাশ বাতাস। এলাকাবাসীর মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শানু মিয়ার এতিম তিন কন্যা সন্তান তাদের পিতার লাশ এবং স্বামীহারা কোহিনূর বেগম তার স্বামীর লাশ দেশে এনে এক নজর দেখার আকুতি জানিয়েছেন। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন অসহায় পরিবারের লোকজন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ৯৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সুমন কুমার দাস (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কুট্টাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সুমন কুমার দাস কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার পুটিয়াপাড়ার শান্তি রঞ্জন দাসের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে কুট্টাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ থেকে সুমন কুমার দাসকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার শরীর তল্লাশী করে ৯৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের ভৈরবের শম্ভুপুর এলাকায় ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে আব্দুল জব্বার (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সীমা বেগম (২০) ও তোফায়েল আহমেদ (২৫) নামে দুইজন। তারা সবাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার সকাল ৮টার দিকে ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সামনের সড়কে।
খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিক্সা ও ট্রাকটি আটক করে পুলিশ। তবে পালিয়ে গেছে অটোরিক্সা ও ট্রাকের উভয় চালক।
অটোরিক্সার যাত্রী আজিজুর রহমান ও সাবিকুন্নাহার জানান, ঢাকা যাবার উদ্দেশ্যে সকালে তারা রাজাপুর থেকে নৌকাযোগে ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের মেন্দিপুর আসেন। পরে সেখান থেকে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড যাবার উদ্দেশ্যে অটোরিক্সাটি নিয়ে যাত্রা করেন। শম্ভুপুর এলাকায় অটোরিক্সাটি অপর একটি অটোরিক্সাকে অভারটেক করে মহাসড়কের মাঝখানে আসলে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জগামী ট্রাকটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিক্সাটির সামনে বসা তাদের মামা আব্দুল জব্বার, আজিজুর রহমানের স্ত্রী সীমা বেগম ও অপর আত্মীয় তোফায়েল আহমেদ গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আব্দুল জব্বারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তোফায়েলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে অটোরিক্সাটি এবং তাড়া করে বাজিতপুরের পিরিজপুর থেকে ট্রাকটিকে আটক করা হলেও উভয় পরিবহণের চালক পালিয়ে যায়। হতাহতের পরিবারের আবেদন সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে আগুনে পুড়ে একটি বসতঘর ও একটি রান্না ঘর ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা কর হচ্ছে।
১১ অক্টোবর বুধবার বিকালে রাজাবাড়িয়া কান্দি গ্রামের মোঃ মজিবুর রহমানের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সরাইল ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে বসতঘর ও রান্না ঘরে থাকা মালামাল ভস্মিভূত হয়ে যায়।
সরাইল ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার রিয়াজ বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেড় লাখ টাকার মত হবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে জুয়া খেলার সময় ৬ জুয়ারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত ৩ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কুট্টাপাড়ার শরীফ মিয়ার বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুট্টাপাড়া গ্রামের হেলাল মিয়া (২৭), একই এলাকার মোঃ সাচ্চু মিয়া (৩৯), আনিস মিয়া (২৫), আব্বাস মিয়া (২৯), শান্ত মিয়া (৩২) মোঃ শরিফ (২৯)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ৩ টার পশ্চিম কুট্টাপাড়ার শরীফ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলা অবস্থায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার ৬ হাজার ১১০ টাকা ও বিভিন্ন জাতের তাস উদ্ধার করা হয়। শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।