চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অমর কথাশিল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মরণে শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী অদ্বৈত গ্রন্থমেলা। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট এলাকায় এ মেলার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি মো আবদুল কুদদূসের সভাপতিত্বে ও কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়ের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্ট সাহিত্যিক অশোকানন্দ রায়বর্ধন, ছড়াকার বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ফেরদৌস রহমান, গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভৌমিক ও অদ্বৈত গ্রন্থমেলার সদস্য সচিব কবি আমির হোসেন। অদ্বৈত গ্রন্থমেলায় ২০টি স্টল বইয়ের সমাহার সাজিয়েছে। উদ্বোধনী দিনে আলোচনা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আহবায়ক কবি মো আবদুল কুদদূস জানান, তিতাসপাড়ের শ্রেষ্ঠতম সন্তান অদ্বৈত মল্ল বর্মণকে ব্রান্ড করে বিশ্বের কাছে তিতাসপাড়ের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ও সেরা সৃজনশীল মানুষদের উপস্থাপন করতেই অদ্বৈত গ্রন্থমেলার উদ্যোগ।
অদ্বৈত মল্লবর্মণকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা গোকর্ণঘাটে অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সিঁধ কেটে চুরির চব্বিশ ঘন্টা পর বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার নোয়াগাঁও থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটক ব্যাক্তিরা হলেন উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো.রকিব মিয়া (১৯) ও মো. ছোয়াব মিয়া (২২)।
পুলিশ সূত্রে জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার নোয়াগাঁও (মধ্যপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা শিখা আক্তারের ঘরে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে ড্রয়ার থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণের দোল, স্যামসাং এ্যানড্রয়েট মোবাইলসহ সর্বসাকুল্যে ৭২ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। সরাইল থানা পুলিশ চুরির এই সংবাদে রবিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই সিঁধেল চোরকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া মো. রকিব মিয়া ও মো. ছোয়াব মিয়ার কাছে থেকে নগদ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সিঁধেল চুরির মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল সোমবার তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একইদিন ও একই সময়ে পৃথক স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে জেলা আওয়ামী লীগ। শান্তি সমাবেশ শেষে উন্নয়ন শোভাযাত্রা করবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
অপরদিকে আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার একই সময়ে শহরের দক্ষিণ মৌড়াইল থেকে বিএনপি একটি পদযাত্রা বের করবে। পদযাত্রাটি শহরের জেলা পরিষদ, কালীবাড়ি মোড়, টি.এ. রোড, মঠের গোড়া প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
আজ ১৭ জুলাই সোমবার দিনভর শহরজুড়েই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার বিষয়ে মাইকিং হচ্ছে। অপরদিকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির পক্ষ থেকে শহরজুড়ে মাইকিং হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি সাংবাদিকদের বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার পদযাত্রা করবে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত সমাবেশ হবে। সমাবেশ শেষে শোভা যাত্রা হবে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, একই সময়ে দুই প্রধান দল কর্মসূচি দিয়েছে। তবে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি পালিত হবে। এ বিষয়ে নিয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন অবস্থায় রয়েছি। মঙ্গলবার পর্যাপ্ত পরিমান পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
“রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ২ এপ্রিল রবিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে স্থানীয় আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, অটিজমে আক্রান্তরা সমাজের বোঝা নয়, তাদেরকেও প্রশিক্ষিত করে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এক্ষেত্রে সবার সচেতন ও আন্তরিক ভূমিকা রাখতে হবে।
পরে অসচ্ছল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ৫৫ জন শিশুর মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মো. ওয়ালী উল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. একরাম উল্লাহ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আজ শনিবার নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় গৃহায়ণ ও গনপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপিকে গণসংবর্ধনা দিবে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ।
শনিবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে গৃহায়ণ ও গনপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে এবং একই সময়ে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপিকে গণসংবর্ধনা দেয়া হবে।
সন্ধ্যায় গণপূর্তমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গান গাইবেন রক তারকা জেমস ও আইনমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গান গাইবেন আঁখি আলমগীর।
এদিকে দুই মন্ত্রীর সংবর্ধনাকে ঘিরে জেলায় অন্তত দুই শতাধিকের বেশি তোরণ নির্মাণ ও অসংখ্য ব্যানার- পোস্টার সাঁটিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।
মহান স্বাধীনতার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন। নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে তাঁকে গণসংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।
অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৪-(কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তৃতীয়বারের মতো আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন আনিসুল হক। তিনি কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
নতুন সরকারের এই দুই মন্ত্রী শনিবার নিজ নিজ এলাকায় সংবর্ধিত হচ্ছেন। শনিবারের দুই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। তবে সংবর্ধনার অনুষ্ঠানের আকর্ষণ হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেমসের আগমনের বিষয়টি ব্যাপক হারে প্রচাল হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির আগমনকে কেন্দ্র করে আশুগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কের পাশে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও দলের নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়েছেন।
মহান স্বাধীনতার পর স্বাধীন বাংলাদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন। এর আগে পাকিস্তান আমলে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের রামরাইল গ্রামের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউট গ্রামের আবদুর রহমান খান। সেই হিসেবে প্রায় ৭০ বছর পর র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ায় চলছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস
শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জেলার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে মোকতাদির চৌধুরী এমপির গণসংবর্ধণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১-(নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২- (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত মঈন উদ্দিন এমপি, ব্র্র্রাহ্মণবাড়িয়া -৫-(নবীনগর) আসনে আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত ফয়জুর রহমান এমপি।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মোকতাদির চৌধুরীকে সংবর্ধণা জানাবেন। এরপর সন্ধ্যায় রক তারকা ব্যান্ড নগরবাউলের জেমস, ব্যান্ড আবাস ও সঙ্গীত শিল্পি লায়লা।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী জানান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে এবারই প্রথম কাউকে মন্ত্রী পরিষদে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে রাখা হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। শনিবার গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। তিনি বলেন, মন্ত্রীকে বরণ করতে নেতাকর্মীরা শতাধিক তোরণ নির্মাণ করেছে। তিনজন সংসদ সদস্যসহ জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে ৫০ হাজার লোকের সমাগম ঘটবে।
এদিকে শনিবার একই সময়ে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের মাঠে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গণসংবর্ধণা দেয়া হবে। উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শুক্রবার সকালে দুই দিনের সফরে এলাকায় পৌঁছেছেন। শনিবার বিকাল তিনটায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬- (বাঞ্ছারামপুর) আসন থেকে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান। সন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করবেন আঁখি আলমগীর পুলক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা বলেন, মন্ত্রী মহোদয়কে সংবর্ধনার পাশাপাশি চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুরো আখাউড়া শহরসহ উপজেলায় অসংখ্য তোরণ নির্মাণের পাশাপাশি নেতাকর্মীরা ফেস্টুন ও ব্যানার সাটিয়েছেন।
চারপথে রিপোর্ট :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবেই প্রয়োজনীয় সময়ের একদিনও বেশি ক্ষমতায় থাকবে না।
তিনি জানান, এই সরকার ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে গঠিত এবং আমাদের দায়িত্ব হলো এমন পরিবেশ তৈরি করা যাতে জনগণের নির্বাচিত সরকার গঠন হতে পারে।
আজ ১৭ নভেম্বর রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আয়োজিত আন্তঃস্কুল বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন এবং উন্নয়ন সংস্থা এআরডির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী এই মেলায় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবিত প্রকল্পগুলো প্রদর্শন করে।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘আমরা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সময়ই নিচ্ছি। সংস্কারের কাজে কোনো ধরনের বিলম্ব হবে না। তবে, এই সময়টা কেউ যদি বেশি মনে করে, তা হলে সেটা তাদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করছে। আমরা একদম চাই না, আমাদের সময়ের একদিনও বেশি থাকুক। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারের রিপোর্ট পাওয়া যাবে এবং তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর যে নতুন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে, তা যেন পূর্বের অনাচার, দুর্নীতি ও অত্যাচারের দিকে ফিরে না যায়। আমরা পুরোপুরি সবকিছু ঠিক করতে পারব না, তবে যদি সঠিকভাবে নির্বাচিত সরকার গঠিত হয়, তাহলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান এবং এআইইউবির অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম। মেলার উদ্বোধনের পর ফরিদা আখতার অতিথিদের সঙ্গে স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। মেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ক্লাব অংশগ্রহণ করে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন করেন।