চলারপথে রিপোর্ট :
সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জয়দুল হোসেন ও রফিকুল ইসলামকে গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক ২০২৪ প্রদান করেছে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ। একই অনুষ্ঠানে চারজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ আবৃত্তিশিল্পীকে দেওয়া হয়েছে ‘বৃষ্টি-দোলা স্মৃতি পদক’।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে একুশের প্রথম প্রহর উদযাপন, গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক এবং বৃষ্টি-দোলা স্মৃতি পদক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদকের মধ্য দিয়ে আমরা এমন গুণিজনদের সম্মান জানাই, যারা দীর্ঘদিন সাংগঠনিক আবৃত্তিচর্চার বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। আর বৃষ্টি-দোলা স্মৃতি পদক দেওয়া হয় মূলত তরুণ প্রতিশ্রুতিশীলদের, যারা আমাদের সামনে সম্ভাবনার দ্বার। এই পদক প্রদানের মধ্য দিয়ে আমরা গুণিজনদের সম্মান জানিয়ে নিজেরাও সম্মানিত হই।’
এরপর পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করে পদক তুলে দেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর।
সম্মানীর চেক তুলে দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তিশিল্পী ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন-আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, একুশে পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা।
গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক তুলে দেওয়ার পরপরই বৃষ্টি-দোলা তরুণ আবৃত্তিশিল্পী পদক ২০২২-২০২৩ প্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন অতিথিরা। পদক গ্রহণ করেন-পূজয়িতা দত্ত, পঙ্কজ পাণ্ডে, অনামিকা গাইন ও পারমিতা রায়।
বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘তৃণমূলে আমাদের শিশুদের নিয়ে কাজ করাটা এখন জরুরি। আমাদের প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির সঙ্গে লড়াই করে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে আমরা অগ্রসর হই।’
পদক প্রদানের পর বিভিন্ন আবৃত্তি সংগঠন দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে। তাদের মধ্যে রয়েছে-মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমি, স্রোত আবৃত্তি সংসদসহ বিভিন্ন আবৃত্তি সংগঠন।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বহিরাগত শক্তির যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে (ইবিআরসি) ‘ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট’ এর ‘দশম টাইগার্স পুনর্মিলনী’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। আমরা বঙ্গবন্ধুর ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু বহিঃশক্তির যেকোনো আক্রমণ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীকে পর্যাপ্ত সক্ষম করে তুলতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা আমাদের দেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশে রুপান্তরিত করতে চাই। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সবসময় দেশ ও জণগণের পাশে আছে। যেকোনো দুর্যোগে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাদের পাশে দাঁড়ায়, শুধু দেশে নয় বিদেশেও।
শেখ হাসিনা বলেন, যখনই বন্ধুপ্রতীম কোনো দেশে দুর্ঘটনা ঘটে তখনই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সেখানে যায় এবং উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ ও সেবা দিয়ে থাকে। পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গৌরবজনকভাবে দায়িত্ব পালন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে যাচ্ছে। তিনি সাম্প্রতিক তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধার কাজে সফলভাবে অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করেন।
‘ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট তার হৃদয়ের খুব কাছের। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে দুই ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল এই রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পুনর্মিলনীতে যোগ দেওয়া একদিকে আমার জন্য বেদনাদায়ক, অন্যদিকে আনন্দের’।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন এবং খোলা জিপে চড়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাঁর সঙ্গে ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। সূত্র- বাসস
চলারপথে ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আজ ১৮ মে বৃহস্পতিবার আসন্ন ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নির্বাচনে স্থানীয় প্রার্থীদের দ্বারা পুলিশ প্রভাবিত হওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশপ্রধান।
গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশপ্রধান, বিজিবি, র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আইজিপি বলেন, বৈঠকে প্রসঙ্গক্রমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি এসেছে। জাতীয় নির্বাচনের সময় আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবো। নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দেবেন তার আলোকে আমরা দায়িত্ব পালন করবো।
তিনি জানান, বৈঠকে তফসিল ঘোষিত পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছে। সব সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে। আমাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। আমরা সহযোগিতা প্রদান ও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছি।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের প্রশ্নে আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, নির্বাচন কমিশনের পরিপত্র অনুযায়ী অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যেসব কার্যক্রম গ্রহণ প্রয়োজন তা গ্রহণ করবো। এ ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আমাদের স্থানীয় ইউনিট সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে কাজ করছে।
স্থানীয় প্রার্থীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পুলিশ পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ করে এমন অভিযোগের বিষয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, আমি সেটা মনে করি না। আইন অনুযায়ী আমাদের যে দায়িত্ব, দীর্ঘদিন ধরে আমরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি এবং অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে যে দায়িত্ব পালন করা দরকার, আমরা বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য দায়িত্ব পালন করছি।
এর আগে সোমবার জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি বলেছিলেন, স্থানীয়ভাবে যে নির্বাচনগুলো হয়, সেখানে কিন্তু পুলিশকে পক্ষপাত করার জন্য প্রার্থীরাই চেষ্টা করে থাকেন। সেখানে কীভাবে পুলিশকে নিউট্রালাইজড করা যায়, সে জন্য জাতীয় পার্টি আমাদের সহায়তা চেয়েছেন। আমরা বলেছি, আমরা চেষ্টা করবো ও সরকারের সদিচ্ছার ওপর আমরা বারবার জোর দেবো। সেটা সরকারকেও করতে হবে, আমরা জিনিসটা ভেবে-চিন্তে পরে দেখব।
পুলিশপ্রধান বলেন, ইসির সঙ্গে বৈঠকে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এখানে ছিলেন। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সিটি নির্বাচনে সেই ধরনের কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি। আমরা আশা করছি, একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটের দিনে শঙ্কা আমরা দেখছি না। তবে যেকোনো ধরনের উদ্ভূত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আমরা সব ক্ষেত্রেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জঙ্গিসহ সব বিষয় বিবেচনায় নেই ও সেই অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।
এদিকে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, আসন্ন ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত হয়েছিলেন। জননিরাপত্তা বিভাগের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে। আজকের সভায় নির্বাচন পূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কার্যক্রম কীভাবে সমন্বয় হবে, সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তারা যেসব পরামর্শ দিয়েছে, কমিশন সেই বিষয়ে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।
তিনি বলেন, ইসির পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনে সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। উপস্থিত সবাই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। যে যার অবস্থান থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনে সর্বাত্মক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।
সচিব বলেন, মাঠ প্রশাসন থেকে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, এই নির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের কোনো নাশকতা বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো সম্ভাবনা এখনও নেই।
অনলাইন ডেস্ক :
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গাড়িবহর ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার পর ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। আজ ১৬ জুলাই বুধবার বিকাল ৪টার দিকে জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান এই নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এদিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলে যায়। সে সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। একই সময়ে মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরাও দৌড়ে সরে যান। যারা হামলা চালান, তারা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে এনসিপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন।
হামলাকারীরা মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করেন, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। একপর্যায়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। এনসিপির নেতাকর্মী ও পুলিশ এক হয়ে ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে এনসিপি সেখানে সমাবেশ শুরু করে। দুপুর আড়াইটার দিকে এনসিপির সমাবেশ শেষ হয়।
নেতা-কর্মীরা ফিরে যাওয়ার সময় সড়ক দুপুর পৌনে তিনটার দিকে অবরোধ করে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতাকর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা মোতায়েন রয়েছে।
১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করছে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই কর্মসূচিকে ‘১৬ জুলাই: মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় সাপের কামড়ে রামপ্রসাদ হরি (২৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ আগস্ট রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার রাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় কোন এক সময় বিষাক্ত একটি সাপ রামপ্রসাদকে দংশন করে। রবিবার ভোরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার শরীরে সাপের কামড়ের দাগ লক্ষ্য করা যায়। আশংকাজনক অবস্থায় তালা সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ রিজাউল করিম জানান, ধারনা করা হচ্ছে রাতে কোন এক সময় জানালা দিয়ে অথবা দরজার ছিদ্র দিয়ে একটি সাপ ঘরে প্রবেশ করে রামপ্রসাদকে দংশন করলে তার মৃত্যু হয়। নিহত পরিবারটিসহ কারো কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ৪ কিশোর তাদের এক বন্ধুর স্ত্রীকে ছিনিয়ে নিতে গিয়ে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। কিশোরে গ্যাংয়ের চার সদস্য হচ্ছেন রামপাল উপজেলার আদাঘাটা গ্রামের সাগর শেখের ছেলে সাওন রহমান সান (১৮), জাহিদ সানার ছেলে ইদি সানা (১৭), ফরহাদ শেখের ছেলে নাজমুল শেখ (১৭) ও চুলকাঠি গ্রামের সেলিম শেখের ছেলে ইমন শেখ (১৭)। আজ ১৫ মে সোমবার বেলা ২টার দিকে মোরেলগঞ্জ নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে পুলিশ এদেরকে আটক করে।
আটককৃত কিশোরদের নিকট থেকে একটি খেলনা পিস্তল, লোহার পাইপ, ৪টি মোবাইল ফোন ও দু’টি মোটর সাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।
আটক কিশোর গ্যাং নেতা সাওন রহমান সান বলেন, তাদের এক বন্ধুর স্ত্রীকে মোরেলগঞ্জে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। বন্ধুর সেই স্ত্রীকে তুলে নেওয়ার জন্য তারা ৪ জন মোটর সাইকেলে করে মোরেলগঞ্জে গিয়েছিল। কিন্তু, সেই বাড়িতে যাওয়ার আগেই তারা ধরা পড়ে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।