চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ, গুজব, অপপ্রচার ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নারী উন্নয়ন কেন্দ্রে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতামূলক কাজটি করে যাচ্ছে। জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসললামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক ভিকারুন নেছা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাবেয়া সুলতানা ইভা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় চারটি ড্রেজার জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় আটক চারজনকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কানাইনগর এলাকায় মেঘনা নদীতে এ অভিযান চালানো হয়।
কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. সোহাগ (২০), নীরব মিয়া (১৯), শাহীন মিয়া (৩২) ও মো. আব্দুল্লাহ (২৪)। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মেঘনা নদীর মরিচাকান্দি ও কানাইনগর এলাকা থেকে নরসিংদীর রায়পুরার একটি বালুখেকো চক্র গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল। রায়পুরা উপজেলার আলোকবলী ইউনিয়ন যুবদল নেতা কাইয়ূম মিয়া চক্রটির নেতৃত্ব রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ধরাভাঙ্গা এলাকায় রায়পুরা উপজেলার আরেকটি চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এনিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়। এর প্রেক্ষিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় কানাইনগর থেকে চারটি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আটক চারজনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল ২৯ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আজ ২৮ মে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৫০ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দুটি উপজেলার ১৫০টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট, বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে এসব সরাঞ্জাম পৌছে দেয়া হয়। তবে নির্বাচনের দিন ভোর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা জানান, নির্বাচনে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমান পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, দুই উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৩ হাজর ৮৮২ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস নদী দখল করে দেয়াল ও ঘাটলা নির্মাণকাজ চলছে। এতে নদী সংকুচিত হয়ে নৌ চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদী দখলের ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের ঝুনারচর গ্রামে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের পশ্চিম পাশে মেঘনা নদী থেকে উৎপন্ন হয় তিতাস নদী। এর পর হোমনা সদর হয়ে রামকৃষ্ণপুর-রামচন্দ্রপুর হয়ে তিতাস উপজেলায় গিয়ে আবার তিতাস নদীর সঙ্গে মিলিত হয় নদীটি। রামকৃষ্ণপুর অংশ থেকে আরেকটি শাখা নদী ভুরভুরিয়া, ঝুনারচর, কলাকান্দি, নিজকান্দি, ফরদাবাদ, পূর্বহাটি, পিপিরিয়াকান্দা, দূবাচাইল, বাজেভিশারা, ভিটিভিশারা গকুলনগর ও ইমামনগর গিয়ে শেষ হয়। এই নদী ব্যবহার করে হাট-বাজারে পণ্য পরিবহন করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু রামকৃষ্ণপুর ওয়াই সেতুর উত্তরে ঝুনারচর গ্রামে নদীর জায়গা দখল করে বালু ফেলে ভরাট করে দেয়াল ও ঘাটলা নির্মাণ করা হচ্ছে। ঝুনারচর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে এ নির্মাণকাজের অভিযোগ উঠেছে।
ঝুনারচর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, রামকৃষ্ণপুর থেকে ফরদাবাদ গ্রামের দিকে গেছে তিতাস নদীর একটি শাখা। রামকৃষ্ণপুর থেকে ৫০০ মিটার উত্তরে ঝুনারচর গ্রামের দক্ষিণ পাশে নদী দখল করে দেয়াল ও ঘাটলা নির্মাণকাজ চলছে। তীর থেকে নদীর ভেতরে ৭-৮ ফুট দখল করে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। এর পরও আরেকটি দেয়াল নির্মাণের জন্য নদীতে কয়েকটি কলাম নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণকাজ করছেন ৪-৫ জন শ্রমিক। কার নির্দেশে কাজ করছেন জানতে চাইলে ঝুনারচর গ্রামের মোখলেসুর রহমানের কথা বলেন তারা।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক নির্মাণশ্রমিক বলেন, ‘আমাদের যেভাবে বলা হচ্ছে, সেভাবে কাজ করছি আমরা। তবে এখানে দেয়াল ও ঘাটলা নির্মাণ করা হলে বর্ষাকালে নৌ চলাচল ব্যাহত হবে। পাশাপাশি দুটি বড় নৌকা চলাচল করতে পারবে না।’
ট্রলারের মাঝি জানান, তিতাস নদীর এই অংশটি এমনিতেই সরু। তার ওপর এভাবে নদী ভরাট করে দেয়াল ও ঘাটলা নির্মাণ করা হলে নৌযান চলাচল কঠিন হয়ে পড়বে।
ফরদাবাদ বাজারের ব্যবসায়ী আলম মিয়া বলেন, ‘আমরা এই নদী দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে মালপত্র নিয়ে আসি। যে জায়গাটি ভরাট করা হয়েছে, সেখানে দুটি নৌকা পাশাপাশি যেতে পারবে না। এতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।’
নদী দখলের অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হয় মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে বাড়ি করার জন্য আমার ধানের জমি ভরাট করেছি। আমার জায়গায় ওয়াল দিচ্ছি, ঘাটলাও আমার জায়গায় করতেছি। নদীর মধ্যে আমি আরও জায়গা পাবো।’ আপনি পরিমাপ করেছেন কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমার জায়গা আমি ভরাট করেছি, পরিমাপের কী দরকার।’
ফরদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলামের ভাষ্য, তিতাস নদী দিয়ে নৌকায় পণ্য পরিবহন করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। এভাবে নদী ভরাট করা হলে নৌ চলাচল ব্যাহত হবে। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হবে।
সলিমাবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হেলাল হোসেন জানান, নদী দখলের বিষয়টি শুনেছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সরেজমিন দেখে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এখনই খবর নিচ্ছি। নায়েবকে পাঠিয়েছি। নদী দখলের সত্যতা পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় মেঘনা নদী থেকে অবাধে লুট হচ্ছে বালু। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার একটি চক্র অবৈধভাবে প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করছে। বালু লুটের ফলে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো যেমন ভাঙন ঝুঁকিতে, তেমনি বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এছাড়া চড়া মূল্যে বালুমহাল ইজারা নেওয়া বৈধ ইজারাদার প্রতিষ্ঠানও বিপাকে পড়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসন ও নৌপুলিশকে ম্যানেজ করেই দিনের পর দিন চলছে বালু লুট। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ধরাভাঙ্গা এলাকায়ও মেঘনা নদী থেকে বালু লুট করছে রায়পুরার আরেকটি চক্র।
আরও পড়ুন
শীগ্রই ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি এলাকায় মেঘনা নদী থেকে প্রতিদিন অন্তত ১০টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার একটি বালুখেকো চক্র। প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করছে চক্রটি। যার বাজারমূল্য অন্তত প্রায় ৫০ লাখ টাকা। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অবাধে বালু লুট করে বিক্রি করছে ওই চক্রটি। রীতিমতো অস্ত্রে সজ্জিত ক্যাডার বাহিনীর পাহারায় দিনভর চলে বালু উত্তোলন। বালুখেকো চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন যুবদল নেতা কাইয়ূম মিয়া। তার সাথে আছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। অবাধে বালু তোলার কারণে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি, কানাইগর ও শান্তিনগর গ্রাম।
অপরদিকে, নবীনগর উপজেলার ধরাভাঙ্গা এলাকায় মেঘনা নদীতে ৫-৭টি ড্রেজার দিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে রায়পুরা উপজেলার অপর একটি চক্র। স্থানীয় বিএনপির কয়েকজনকে নিয়ে এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রায়পুরা উপজেলার মির্জাচর গ্রামের বাসিন্দা নূর ইসলাম। এই চক্রটি কয়েক মাস আগে নবীনগর উপজেলার চরলাপাং এলাকা থেকেও বালু উত্তোলন করে। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচটি ড্রেজার জব্দ করে। সম্প্রতি ড্রেজারগুলো ছাড়ানোর পর আবারও ধরাভাঙ্গা এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো। এসব গ্রামের বাসিন্দারা নদীগর্ভে ঘর-বাড়ি বিলীন হওয়ার আতঙ্কে আছেন।
আরও পড়ুন
কসবায় ৫শ টাকার জন্য ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন
এদিকে, মেঘনা নদীর জাফরাবাদ বালু মহালটি প্রায় ৭৫ কোটি টাকায় ইজারা নিয়ে বিপাকে পড়েছে মুন্সি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ইজারার এক বছরের মধ্যে ইতোমধ্য ৯ মাস পেরিয়ে গেছে। মূলত এই মহালে বালুর জন্য আসা ক্রেতাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রায়পুরার বালুখেকো চক্রটি নিজেদের কাছ থেকে বালু কেনার জন্য বাধ্য করছে বলে অভিযোগ করছে মুন্সি এন্টারপ্রাইজ। এর প্রতিবাদ করায় বালুমহাল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত মুন্সি এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ওই চক্রটি কয়েকবার এসে হামলাও চালিয়েছে।
মুন্সি এন্টারপ্রাইজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নবীর হোসেন জানান, বৈধ ইজারাদার হয়েও আমরা নদী থেকে ঠিকমতো বালু উত্তোলন করতে পারছি না। সরকারি কোষাগারে যে টাকা দিয়ে মহাল ইজারা নিয়েছি, মেয়াদ ফুরিয়ে আসলেও সেই টাকা তুলতে পারছি না। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পাশাপাশি রায়পুরার ওই চক্রটি ক্রেতাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে বালু কিনতে বাধ্য করে। যেহেতু তাদের ইজারা মূল্য দিতে হয়নি, সেহেতু তাদের পুরোটাই লাভ।
আরও পড়ুন
জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এর জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। খুব দ্রুতই আমরা বড় রকমের অপারেশনে যাব। যেহেতু এটি বারবার হচ্ছে, সেজন্য শাস্তিও দ্বিগুণ হবে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কিমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্নকে হৃদয়ে ধারণ করে আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠে ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা সৃষ্টি করবে। দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য আমাদের সকলের বেশি করে বই পড়তে হবে।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের উদ্যোগে শাহ-রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একদল ষড়যন্ত্রকারী নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে দেশ-বিদেশে ঘুরে ঘুরে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়ই সামনের সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহনে নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ লামাগনা সদস্য ট্রাস্টিবোর্ড ড. কারমেন জেড, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ডক্টর হাসিনা খান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন পরিচালক ওমর ফারুক বাবলু, বিশিষ্টি শিক্ষানুরাগী ফারাহ ইসলাম প্রভা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কি মিত্র চাকমা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া বকুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান, পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, শাহ রাহাত আলী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম সোহেল রানা, ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী, মাওলানা জাকির হোসেন, শাহ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া প্রমুখ।