চলারপথে রিপোর্ট :
নাছিমা আক্তার ও ফজিলা বেগম নামে দুই মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রাধিকা বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত নাছিমা আক্তার ঢাকা জেলার কামরাঙ্গীচর এলাকার মোঃ বশির আহমেদের স্ত্রী ও ফজিলা বেগম ময়মনসিংহ জেলার দুবাউড়া উপজেলার কড়িগড়া গ্রামের আলাল মিয়ার স্ত্রী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাধিকা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দুই মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে বোরকা পরিহিত দুই মহিলার দেশ তল্লাশী করে ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি ঝুট কাপড়ের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই কারখানার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মালিকপক্ষ।
আজ ২১ জুলাই শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার রামরাইলে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্র ও ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা জানান, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ করে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
ঝুট কাপড়ের মালিকপক্ষের আতিকুজ্জামান ভূঁইয়া সুমন বলেন, কিভাবে আগুন লেগেছে তা তিনি জানতে পারেন নি। অগ্নিকান্ডে তার কমপক্ষে ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুস সামাদ জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। এর পরে জেলা পুলিশের একটি চৌকষ দল শহিদদের স্মরনে গার্ড অব অর্নার প্রদান করেন।
পরে শহীদ মিনার জন সাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দিলে পৌরসভার পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস, পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলার পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিট, সিভিল সার্জন কার্যালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি, গণপূর্ত বিভাগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে পুষ্পস্তবক অর্পনকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে হাদিসুর রহমান নামে (২৯) এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৩০ আগস্ট শুক্রবার সকালে থানা পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সেনা সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। হাদিসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। সে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে শহরের পীরবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হাদিসুর রহমান মাদকাসক্ত ছিল। রাতে সে ঘরের মধ্যে ইয়াবা সেবনের পর ভোর থেকে দা হাতে নিয়ে অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সে ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে গ্লাসের জানালায় দা দিয়ে কোপাতে থাকে। পরে শহরের সিও অফিস এলাকায় একটি পুকুরে ঝাঁপ দেয়। সেখান থেকে সে পালিয়ে সদর মডেল থানার ফটক ডিঙ্গিয়ে ভিতের প্রবেশ করে থানা পুকুরেও ঝাঁপ দেয়। পরে সে উঠে না আসায় পুলিশ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা সকাল ৮টায় পুকুর থেকে হাদিসুরের মরদেহ উদ্ধার করে।
তবে হাদিসুরের মা আলেয়া বেগম ও পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, হাদিসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী শেফালী বেগমের সাথে তার আগের স্বামীর যোগযোগ নিয়ে প্রায়শই কলহ চলত। এমনকি আগের স্বামী মনির বর্তমান স্বামী হাদিসুরকে মারধরও করেছিলো। এনিয়ে সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল। তারা হাদিসুরের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত দাবী করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
এক মণ গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মো. জাহের মিয়া (৪০) কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল (আশাবাড়ি) এলাকার তফদল হোসেনের ছেলে।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেলের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা বস্তা তল্লাশি করে ৪১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটর সাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো দু’জন আহত হয়েছেন।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাদুঘর ফাঁটা পুকুর পাড় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহাদাত হোসেন (১৭) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, ভাদুঘর থেকে তিন বন্ধু মোটর সাইকেল যোগে জেলা শহরের দিকে আসার পথে পথিমধ্যে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাদুঘর ফাঁটা পুকুর পাড় এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে মোটর সাইকেল চালক শাহাদাত ছিটকে ট্রাকের নিছে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তিনি আরো জানান, শাহাদাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বে-সরকারি কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।