চলারপথে রিপোর্ট :
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। এর পরে জেলা পুলিশের একটি চৌকষ দল শহিদদের স্মরনে গার্ড অব অর্নার প্রদান করেন।
পরে শহীদ মিনার জন সাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দিলে পৌরসভার পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস, পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলার পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিট, সিভিল সার্জন কার্যালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি, গণপূর্ত বিভাগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে পুষ্পস্তবক অর্পনকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের উদ্যোগে ৮০০ শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার বেলা ১১টায় শহরের সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মিজানুর রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ও সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইউনিটের নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান লিটন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করছে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি। সকল ভালো কাজের সাথে রেডক্রিসেন্ট জড়িত। রেডক্রিসেন্ট কাজ করে মানবতার জন্য। আজকের এই কম্বল বিতরণ প্রতিষ্ঠানটির একটি মহৎ উদ্যোগ। এই কম্বল শীতার্ত মানুষের একটু হলেও শীত নিবারন হবে।
তিনি সমাজের বিত্তবান লোকদেরকেও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। তিনি বলেন, আমি আশা করি ভবিষ্যতেও রেডক্রিসেন্ট এই ধরনের মানবিক কাজ অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, এই শীতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরনের জন্য কম্বল পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে তিনি শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ইউনিটের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মধ্যে ৮০০ কম্বল বিতরণ করা হয়। এই শীতে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১৪ দলীয় রাজনৈতিক জোটের সমন্বয়ক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় রক্ষায় পাশ্ববর্তী বৃহৎরাষ্ট্র ভারতের সাথে বন্ধু সুলভ সুসম্পর্ক রক্ষা করা অপরিহার্য্য। কেননা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ব বা স্বাধীনতা পরবর্তী স্বাধীনতা বিরুধী অপশক্তি এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জিকির তুলে এবং ভারত বিরুধী অপপ্রচার এবং প্রভাকান্ডের মাধ্যমে জাতীকে বিভক্ত করে ক্ষমতায় ঠিকে থাকার অপচেষ্ঠা করেছে।
তিনি আজ ২৬ আগস্ট শনিবার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা ১৪ দলীয় রাজনৈতিক জোট আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ¦ মোঃ শাহআলমের সঞ্চালনায় জোটের অন্যতম শরীক জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, জেলা ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জেলা জাসদ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, ওয়াকার্স পার্টির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম এবং যুবমৈত্রির আহবায়ক উমর ফারুক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াছেল সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন ভূঁইয়া বকুল এবং মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ অন্যতম অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. হুমায়ুন কবির, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমানুল হক সেন্টু এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেজর (অবঃ) জহিরুল হক খাঁন বীর প্রতীক এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এবং বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তানভীর ভূইয়ার প্রয়াণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর শহরের হালদার পাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সঞ্চালনায় দোয়া অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মোঃ ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানজিল আহমেদ, শেখ মোঃ মহসিন, সেলিম রেজা হাবিব, কাছন মিয়া, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক এ এস এম সায়েম, সিবিএ নেতা তৌফিক বেলাল, শ্রমিক নেতা আমিন শাহ, জেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি এহসান উল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম।
দোয়া পরিচালনা করেন মাওলা আব্দুল্লাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ৭ বছর পর বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৯ জুন শনিবার শহরের শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি নাটমন্দির চত্বরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে জেলার ৯ উপজেলা থেকে আনন্দ মিছিল নিয়ে শহরের হালদার পাড়াস্থ শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি নাটমন্দির চত্বরে সম্মেলনস্থলে সমবেত হন।
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা।
সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনিল চন্দ্র দেবের সভাপতিত্বে ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদেও সদস্য সচিব সঞ্জীব চন্দ্র সাহা বাপ্পীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিন্দ্র নাথ বসু, সাংগঠনিক সম্পাদক এড: কিশোর কুমার রায় চৌধুরী পিন্টু, কার্যকরী সদস্য ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী ও কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা দেওয়া হবে। আজ ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে এ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রথম ডোজের এইচভিপি টিকাদান কর্মসূচি। কিশোরী ও মাতৃমৃত্যু ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
সকালে সাবেরা সোবাহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জয়নাল আবেদীন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার গোপা পাল, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মো. শামছুল হাছান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বদিউজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দিন পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ১৪৭৮ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার নয়টি উপজেলা ও পৌরসভার ২৪৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ণরত এক লাখ ৯১ হাজার ২০৬ জন পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে একটি করে ডোজ দেওয়া হবে। পরবর্তীতে ৩০৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যালয় বহির্ভুত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি ১১ হাজার ২২৮ জন কিশোরীকে টিকা দেওয়া হবে।
সূত্রটি আরো জানায়, টিকার জন্য অনলাইন জন্মনিবন্ধন দিয়ে নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে নিজের বিদ্যালয়ের নাম খোঁজে পাওয়া না গেলে, নিকটস্থ বিদ্যালয়ের নামে অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে। টিকাকার্ড প্রিন্ট করে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।