অনলাইন ডেস্ক :
ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। কাজের সুবাদে এই তরুণী সঙ্গে সিঙ্গাপুরে পরিচয় হয় বাংলাদেশি যুবক শামীম মাদবরের।
সেখানে থাকা অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এভাবেই কেটে যায় দুই বছর। অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়েছে বিয়েতে।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামে জাঁকজমকে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রেমযুগলের।
জানা গেছে, সিঙ্গাপুর থেকে গত ৩০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন শামীম মাদবর। বাড়িতে এসে ইন্দোনেশীয় তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছার কথা পরিবারকে জানান তিনি। ভীনদেশি তরুণীকে বিয়ের বিষয়টি প্রথমে শামীমের পরিবার মেনে নেয়নি। পরে অনলাইনে ওই তরুণীরর সঙ্গে কথা বলে বিয়েতে মত দেন তারা। অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। শামীমের পরিবার তাকে সানন্দে গ্রহণ করেন। শুক্রবার বিয়ের হয় শামীম-ইহফার।
শামীম মাদবরের আত্মীয় সালমা আক্তার বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয় হলেও কাজের সুবাদে সিঙ্গাপুরে থাকেন। তবে ওর পরিবার ইন্দোনেশিয়া থাকে। আমরা ফোনে ওই মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছি। মেয়েটা খুবই ভালো। বাড়িতে ছেলের পরিবার প্রথমত বিয়েতে মত না দিলেও পরে সবাই রাজি হয়। মেয়ের পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারাও রাজি। পরে গত ১৭ তারিখে ইফহা বাংলাদেশে আসেন। ’
এদিকে ইন্দোনেশীয় তরুণীর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। প্রায় ৮ শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
প্রতিবেশীরা বলেন, বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায়। মেয়েকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করে।
শামীমের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কয়েকদিন পর বিদেশি মেয়েও বাড়িতে আসে। শুক্রবার শামীম ও আমার ছোট ছেলে সুমনের একত্রে বিয়ে দিয়েছি। একসঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি।
শামীম বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয়ান তরুণী। তবে সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থাতে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে দেখা হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রেমে গড়ায় সম্পর্ক। আমাদের কারো পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়।
ইফহা বলেন, আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাব। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যাব বাবা-মায়ের কাছে।
অনলাইন ডেস্ক :
হলিউডের প্রভাবশালী অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আবারও গাজার মানুষের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের’ একটি শক্তিশালী প্রতিবেদন শেয়ার করে গাজার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন এ অভিনেত্রী। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) শুভেচ্ছা দূত এবং বিশেষ দূত হিসেবে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা জোলির পোস্টে গাজার পরিস্থিতিকে ‘ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের সাহায্যকারীদের জন্য গণকবর’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
জোলির শেয়ার করা ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী যখন আকাশপথ, স্থলপথ ও সমুদ্রপথে গাজায় তাদের সামরিক অভিযান আবারও শুরু ও সম্প্রসারিত করছে, তখন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং মানবিক সহায়তা ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের জীবনব্যবস্থা আবারও পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে।
পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়, গাজায় ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলা মানবিক সহায়তা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার ওপর স্পষ্ট হুমকি তৈরি করেছে। যদিও জোলির এমন পোস্টে বেশ ক্ষেপেছেন ইসরায়েলি উগ্র ডানপন্থিরা। তারা অভিনেত্রীর অবস্থানের বেশ সমালোচনা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে, এতে মোটেও বিচলিত নন বলে জানিয়েছেন জোলি।
বরং শরণার্থী ও মানবাধিকারের জন্য অভিনেত্রীর দীর্ঘস্থায়ী সমর্থন তার মন্তব্যকে আরও জোরালো করে তুলেছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শুভেচ্ছাদূত এবং পরে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের বিশেষ দূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করা জোলি গাজার সহিংসতা নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ।
অনলাইন ডেস্ক :
দিনের শুরুটা ভালো না হলেও পরবর্তীতে বোলার ও ব্যাটারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭০ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে বসে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পিতবার সকালে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। এতে প্রথম ইনিংস থেকে টাইগাররা ২৩৬ রানের লিড পেলে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানিস্তানকে ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মত ব্যাট হাতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ১৩৪ রান করে বড় লিড দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিন শেষে ৭৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান করেছিলো বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪৬, মাহমুদুল হাসান জয় ৭৬ রানে আউট হন। দিন শেষে মুশফিকুর রহিম ৪১ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ, দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের পরের দিকের ব্যাটাররা। বাকী ৫ উইকেটে মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। ৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরমধ্যে ৩টিই নেন আফগানিস্তানের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা নিজাত মাসুদ।
মুশফিক ৭৬ বলে ৪টি চারে ৪৭ ও মিরাজ ৮টি চারে ৮০ বলে ৪৮ রানে আউট হন। লোয়ার অর্ডারে তাসকিন আহমেদ ২, তাইজুল শূন্য, শরিফুল ইসলাম ৬ রানে আউট হন। বল হাতে আফগানদের পক্ষে সেরা বোলার ছিলেন প্রথম দিন ২ উইকেট নেয়া মাসুদ। ১৬ ওভারে ৭৯ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও আব্দুল মালিক। ৫ ওভারে ১৭ রান তুলে ফেলেন তারা। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বিচ্ছিন্ন হতে পারতেন জাদরান ও মালিক। শরিফুলের বলে লিটনের হাতে জীবন পান জাদরান।
জীবন পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি জাদরান। ষষ্ঠ ওভারে শরিফুলের শিকার হন তিনি। ৬ রান করেন জাদরান। এরপর আফগানিস্তানের উপর চাপ বাড়ান আরেক পেসার এবাদত। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আফগানদের ২ উইকেট তুলে নেন এবাদত। মালিককে ১৭ ও রহমত শাহকে ৯ রানে শিকার করেন এবাদত। এতে ৩ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে বিরতিতে যায় আফগানিস্তান।
বিরতি থেকে ফিরে আফগানিস্তান শিবিরে দ্বিতীয়বারের মত আঘাত হানেন শরিফুল। অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদিকে ৯ রানে থামান তিনি। এতে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এ অবস্থায় দলের হাল ধরে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আফসার জাজাই ও নাসির জামাল। জুটিতে ৭৩ বলে ৬৫ রান তুলে উইকেটে সেট হয়ে যান তারা। এ অবস্থায় জুটি ভাঙ্গতে মরিয়া ছিলো বাংলাদেশ।
অবশেষে দলীয় ১১৬ রানে জামালকে লেগ বিফোর আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মিরাজ। ৬টি চারে ৩৫ রান করেন জামাল।
মিরাজের ব্রেক-থ্রুর পর আফগানিস্তানকে চেপে ধরেন এবাদত ও তাইজুল। এতে ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানে শেষ হয় আফগানদের প্রথম ইনিংস। আফগানদের পক্ষে জাজাই সর্বোচ্চ ৩৬ ও জানাত ২৩ রান করেন।
এবাদত ৪৭ রানে ৪টি, শরিফুল ২৮ রানে, তাইজুল ৭ রানে এবং মিরাজ ১৫ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫০ ও মিরপুরের ভেন্যুতে ৫০ শিকার পূর্ণ করেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানদের ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
জাকির হাসানকে নিয়ে ইনিংস শুরু করে প্রথম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আফগানিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার আমির হামজার বলে আউট হন ৪টি চারে ১৩ বলে ১৭ রান করা জয়।
দলীয় ১৮ রানে জয়ের বিদায়ের পর জাকিরকে নিয়ে ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৯ রানে জীবন পেয়ে আহমাদজাইর করা ১৮তম ওভারে শেষ চার বলে চারটি বাউন্ডারি মারেন শান্ত।
ইনিংসের ২১তম ওভারে বাউন্ডারি মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান জাকির। পরের ওভারের প্রথম বলে চারের সহায়তায় টেস্টে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি করেন শান্ত। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন জাকির ও শান্ত। দু’জনই ৬৪ বল করে খেলে সমান ৫৪ রানেই অপরাজিত আছেন। জাকির ৬টি ও শান্ত ৮টি চার মারেন।
স্কোর কার্ড (টস-আফগানিস্তান)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস (প্রথম দিন শেষে ৩৬২/৫, ৭৯ ওভার, মুশফিক ৪১*, মিরাজ ৪৩*) :
মাহমুদুল হাসান ক ইব্রাহিম ব রহমত ৭৬
জাকির হাসান ক আফসার ব নিজাত ১
নাজমুল হোসেন শান্ত ক নাসির ব হামজা ১৪৬
মোমিনুল হক ক আফসার ব নিজাত ১৫
মুশফিকুর রহিম ক জামাল ব মাসুদ ৪৭
লিটন দাস ক ইব্রাহিম ব জহির ৯
মিরাজ ক হামজা ব আমাদজাই ৪৮
তাসকিন এলবিডব্লু ব আজাদজাই ২
তাইজুল ক মালিক ব নিজাত ০
করিফুল বোল্ড মাসুদ ৬
এবাদত অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (বা-৮, লে বা-১, নো-১৬, ও-৭) ৩২
মোট (অলআউট, ৮৬ ওভার) ৩৮২
উইকেট পতন : ১/৬ (জাকির), ২/২১৮ (মাহমুদুল), ৩/২৫৬ (মোমিনুল), ৪/২৭১ (শান্ত), ৫/২৯০ (লিটন), ৬/৩৭৩ (মিরাজ), ৭/৩৭৫ (মুশফিক), ৮/৩৭৫ (তাইজুল), ৯/৩৭৭ (তাসকিন), ১০/৩৮২ (শরিফুল)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ১০-১-৩৯-২ (নো-১),
মাসুদ : ১৬-২-৭৯-৫ (ও-১, নো-৪),
জানাত : ১১-৩-৩৩-০ (ও-১),
জহির : ১৬-০-৯৮-১ (ও-১, নো-৮),
হামজা : ২৪-১-৮৫-১ (নো-৩),
শাহিদি : ৩-০-৯-০
রহমত : ৬-১-৩০-১।
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস :
জাদরান ক লিটন ব শরিফুল ৬
মালিক ক জাকির ব এবাদত ১৭
রহমত ক তাসকিন ব এবাদত ৯
শাহিদি ক মিরাজ ব শরিফুল ৯
জামাল এলবিডব্লু ব মিরাজ ৩৫
জাজাই ক শরিফুল ব এবাদত ৩৬
জানাত স্টাম্প লিটন ব মিরাজ ২৩
হামজা ক মোমিনুল ব এবাদত ৬
আহমাদজাই ক লিটন ব তাইজুল ০
মাসুদ ক জাকির ব তাইজুল ০
জহির অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (লে বা-১, নো-৪) ৫
মোট (অলআউট, ৩৯ ওভার) ১৪৬
উইকেট পতন : ১/১৮ (জাদরান), ২/২৪ (মালিক), ৩/৩৫ (রহমত), ৪/৫১ (শাহিদি), ৫/১১৬ (জামাল), ৬/১১৬ (জাজাই), ৭/১২৮ (হামজা), ৮/১৪০ (আহমাদজাই), ৯/১৪৬ (মাসুদ), ১০/১৪৬ (জানাত)।
বাংলাদেশ বোলিং :
তাসকিন : ৭-০-৪৮-০ (নো-৪),
শরিফুল : ৮-২-২৮-২,
এবাদত : ১০-১-৪৭-৪,
তাইজুল : ৫-০-৭-২,
মিরাজ : ৯-১-১৫-২।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস :
মাহমুদুল হাসান ক জাদরান ব হামজা ১৭
জাকির হাসান অপরাজিত ৫৪
নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৫৪
অতিরিক্ত (নো-৩, ও-৬) ৯
মোট (১ উইকেট, ২৩ ওভার) ১৩৪
উইকেট পতন : ১/১৮ (জয়)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ৫-০-৩৪-০,
মাসুদ : ৩.৫-০-৩০-০ (নো-৩),
হামজা : ৬.১-০-২৭-১,
জানাত : ৪-০-২৪-০ (ও-২),
জহির : ৪-০-১৯-০।
অনলাইন ডেস্ক :
ফ্রেঞ্চ লেফটব্যাক থিও হার্নান্দেজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলো টিভি মডেল লুইসা ক্রেমলেভা। সেটাও বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে প্রমাণিত হয়েছে, অভিযোগটি মিথ্যা ছিলো। এ কারণে আজ আদালত ক্রেমলেভাকে শাস্তি দিয়েছেন।
রাশিয়ায় জন্ম নেওয়া টিভি মডেল লুইসা ক্রেমলেভা দাবি করেছিলো, মেরবেয়ার একটি নাইটক্লাবের বাইরে তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন হার্নান্দেজ। ঘটনাটি ২০১৭ সালের। তখনো এতটা পরিচিত নন এই লেফটব্যাক। আতলেতিকো মাদ্রিদের একাডেমি থেকে ধারে আলাভেসে খেলতে গিয়েছিলেন। তখনই নাকি এই ঘটনা।
ক্রেমলেভা দাবি করেছিলো, ২০ বছর বয়সী হার্নান্দেজ নাইট ক্লাবের বাইরে একটি পোর্শের পেছনের আসনে তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন। ২০১৭ সালে জুনের সে ঘটনার এক মাস পরই রেয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন এই লেফটব্যাক।
কিন্তু শুনানিতে স্বীকার করেন, তাঁর অভিযোগ মিথ্যা। এসি মিলান তারকার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের দায়ে তাঁকে ছয় মাসের স্থগিত জেল খাটার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই বছরে এমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তাকে জেল খাটতে হবে। ২৮ বছর বয়সী টিভি মডেল নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটরদের সহযোগিতা করাতেই শাস্তি কম হয়েছে। অবশ্য দেড় হাজার ইউরো জরিমানাও হয়েছে তাঁর।
গত অক্টোবরেই শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রেমলেভা নিজে কোর্টে হাজির হননি, আর তাঁর আইনজীবী অসুস্থতার কথা বলে যেতে পারেননি।
অনলাইন ডেস্ক :
সাত পাকে বাঁধা পড়তে যাচ্ছেন ভারতীয় অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। যিনি শাকিব খানের বিপরীতে ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
গেল বছরের শুরুর দিকে টলিউডে জোর গুঞ্জন চাউর হয় সহশিল্পী সৌরভ দাসের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন দর্শনা। তবে টলিপাড়ায় এসব কথা রটলেও সৌরভ আর দর্শনা সেসময় বলেছিলেন, উই আর জাস্ট ফ্রেন্ডস!
অবশেষে সব জল্পনার ইতি টেনে এবার সৌরভ-দর্শনার প্রেমের গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়বেন এই জুটি। কলকাতার একটি বিলাসবহুল হোটেলে বসবে তাদের বিয়ের আসর।
জানা যায়, বন্ধুত্ব থেকে তাদের প্রেমের শুরু। ‘অল্প হলেও সত্যি’সহ একাধিক সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন সৌরভ-দর্শনা। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। পরে সময়ের সঙ্গে তা গাঢ় হয়। প্রায় দুই বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন তারা। কাজ করতে গিয়ে চেনা জানা হলেও কাজের বাহিরেও একটা সময় তারা অবাধ দেখা যেত। তবে সম্পর্ক নিয়ে বরাবরই এড়িয়ে গিয়েছেন তারা।
দুই পরিবারের উপস্থিতিতে সৌরভ-দর্শনার বিয়ে হচ্ছে। সমস্ত নিয়ম মেনেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। পুরো ঘটনায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত নায়িকা। এরই মধ্যে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র অতিথিদের কাছে পাঠানো শুরু করেছেন বলেও জানা গেছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যার লগ্নে দর্শনা সৌরভের চার হাত এক হবে বলেই খবর।
দর্শনা এই মুহূর্তে ব্যস্ত শুভ্রজিৎ মিত্রর ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার কাজ নিয়ে। ইতোমধ্যেই হাজির হয়েছে তার চরিত্রের লুক। বর্তমানে ঢালিউড, টলিউড, তেলেগু ও হিন্দি মিলিয়ে একগুচ্ছ কাজ দর্শনার হাতে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই ছকভাঙা অভিনয়। নার্গিস ফাখরিকে মানুষ আবিষ্কার করেন ‘রকস্টার’ সিনেমার ‘হির’ চরিত্রে। যে চরিত্রে অনেক বলিউড অভিনেত্রীই নাকি বাতিল হয়েছিলেন। তার পর একে একে ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’, ‘ম্যায় তেরা হিরো’, ‘হাউসফুল’-এর মতো সিনেমায় দর্শকের মন কেড়েছেন এই অভিনেত্রী। হঠাৎ করেই ঘটে ছন্দপতন। বলিউড থেকে অভিনেত্রী নিজেকে গুটিয়ে নেন।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম ও বেড়ে ওঠা নার্গিসের। তবে ঘটনাচক্রে নার্গিস ফাখরি পরিচিতি পান বলিউডে অভিনয় করে। অথচ মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রির জার্নিটা ঠিকঠাক ধরে রাখলেন না তিনি। মায়ানগরী থেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। কিন্তু কেন?
সম্প্রতি বলিউড এবং তার ক্যারিয়ারের প্রসঙ্গে মনের কথা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। বলিউড হাঙ্গামার এক সাক্ষাৎকারে নার্গিস জানান, বলিউডের কিছু গত্বাঁধা বিষয়ে বিরক্ত হয়ে তিনি সরে গেছেন। অনেকের সাথে কাজ করে দারুণ উপভোগও করেছেন বলে জানালেন নার্গিস।
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন যেসব হলিউড তারকারা
তিনি বলেন, ‘একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনায় আমি বলিউড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। ওটা নিয়ে কথাও বলতে চাই না। পুরুষদের ইগো দুনিয়াজুড়েই, সুতরাং এটার কথা আলাদা করে না বলি। তা ছাড়া ইগোর ব্যাপারটা সবার ক্ষেত্রে সঠিকও নয়। অনেক অসাধারণ মানুষের সাথেও কাজ করেছি আমি।’
নার্গিসের মতে, তিনি বলিউডের গত্বাঁধা নাচের সাথে মানিয়ে নিতে পারেননি। ‘আইটেম গান’ বিষয়টিও তাঁর কাছে একেবারে নতুন ছিল। বলেন, ‘কোনো মেয়ে আইটেম গান করছে, সেটা মানুষ খুব একটা ভালোভাবে দেখে না। হিন্দি ভাষার মতো বলিউডের নাচও আমার কাছে অনেকটা এলিয়েনের মতো! আমি শুধু শেখার চেষ্টা করেছি।’
‘ম্যায় তেরা হিরো’ অভিনেত্রীর মতে, যাঁরা বাইরে থেকে বলিউডে কাজ করতে আসেন, তাঁদের নিয়ে ‘অতিরিক্ত’ আকর্ষণ দেখানো হয়। আলিয়া ভাট, সারা আলী খান কিংবা জাহ্নবী কাপুরের মতো যেসব শিল্পী চলচ্চিত্র পরিবার থেকে এসেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটে না। কিন্তু যখন কেউ সাধারণ পরিবার থেকে আসে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশ থেকে, তখন তাদের বিবেচনা করা হয় ‘আবেদনময়ী’ হিসেবে এবং যখন-তখন চাইলেই পাওয়া যাবে।
নার্গিস অবশ্য বলিউড একেবারেই ছেড়ে দেননি; বরং কাজ কম করছেন। বর্তমানে অক্ষয় কুমারের ‘হাউসফুল ৫’ রয়েছে তাঁর হাতে।