চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইলে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ।
২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি: প্রধান কার্যালয়ের ভিজিলান্স টিম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের একটি টিমের যৌথ অভিযানে ৪০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন করে। এসময় তারা ৮শত ফুট অবৈধ গ্যাস পাইপ উত্তোলন, কিলোমিটার অধিক ১ইঞ্চি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক নিষ্ক্রিয় করে।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি প্রধান কার্যালয়ের ভিজিলেন্স টিমের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর বাদশা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম, ব্যবস্থাপক জসীম উদ্দীন, সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম অভিযানে অংশ নেন।
জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি গোপন সূত্রে তথ্য সংগ্রহও করে আসছে বাখরাবাদ।
বাখরাবাদের সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ের লক্ষ্যে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে বাখরাবাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের পাশাপাশি প্রধান কার্যালয়ের ভিজিল্যান্স টিম।
আভিযানিক টিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইল এলাকার প্রতিটি মহল্লার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা করে সংযোগ অবৈধ হলে বিচ্ছিন্ন করছেন, বিল বকেয়া থাকলে আদায় করছেন, তাৎক্ষণিক বিল পরিশোধ না করে সময়ক্ষেপণ করলে সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে শহর, সদর উপজেলা, ও সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে বাখরাবাদের আওতাধীন সবগুলো পাড়া-মহল্লা-গ্রাম পরিদর্শনের কাজ চলমান আছে।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপন প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, রামরাইলে অভিযানে ৪০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৮শত ফুট অবৈধ গ্যাস পাইপ উত্তোলন, কিলোমিটার অধিক ১ইঞ্চি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ চিহ্নিত করনে ও বকেয়া বিল আদায়ে আমাদের টিম ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মো. মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীকে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার তিনি চাঁদপুরে যোগদান করেছেন।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত আন্তঃজেলা বদলিসংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘প্রশাসনিক কারণ’ দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মো. মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীকে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে বদলি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে মুমিনুল ইসলামের বদলিকে অভিহিত করা হয় ‘মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফার’ হিসেবে। এর অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মো. ছানাউল্যা তালুকদার তার স্থলাভিষিক্ত হবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে বদলি এবং নাজির মো. মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীর শাস্তির দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা দুই আদালত বর্জন করে আসছিলেন। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে সব আদালত বর্জন শুরু করেন আইনজীবীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারও বিচারপ্রার্থী।
চলারপথে রিপোর্ট :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঘূূর্ণিঝড় ‘‘মোখা’’ মোকাবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের এক জরুরী প্রস্তুতি সভা আজ ১৩মে শনিবার সকাল ১০টায় রেড ক্রিসেন্ট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিটের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারের সভাপতিত্বে ইউনিটের সেক্রেটারী আলহাজ¦ মোঃ শাহ আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জায়েদুল হক ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, নজরুল ইসলাম , শাহাজাদা, মাসুকুল কবীর, সালাউদ্দিন সরকার, ইউনিট লেবেল অফিসার পঙ্কজ সরকার, যুব রেড ক্রিসেন্টের পক্ষে ফাহিম মুনতাসির আফরিন আক্তার জুই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে সম্ভাব্য ঘূূর্ণিঝড় ‘‘মোখায়’’ ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরী সাহায্যে যুব রেড ক্রিসেন্ট কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানানো হয়। তাছাড়া রেড ক্রিসেন্ট ভাইস চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারী তত্ত্বাবধানে জরুরী পরিস্তিতি মোকাবেলায় পচিশ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীত পড়ার সাথে সাথেই জমে উঠেছে পিঠা ব্যবসা। শহরের বিভিন্ন ফুটপাতে প্রায় শতাধিক দোকানে সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে হরেক রকমের পিঠা বিক্রির ধূম।
শহরের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ ফুটপাত থেকে পিঠা কিনে খায়। আবার কেউ কেউ অর্ডার দিয়ে পিঠা তৈরী করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন ফুটপাতের বেশ কয়েকটি দোকানে সারা বছরই পিঠা বিক্রি করা হয়। তবে শীতকালে বেড়ে যায় পিঠার দোকানের সংখ্যা।
সরজমিনে দেখা গেছে, শীত পড়ার সাথে সাথে পৌর শহরের মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড, কুমারশীল মোড়, লোকনাথ উদ্যানের সামনে (ট্যাংকের পাড়) শহরের কেন্দ্রস্থল কোর্ট রোডের পৌর সুপার মার্কেট, সিটি সেন্টারের সামনে, আধুনিক পৌর সুপার মার্কেটের সামনে, মসজিদ রোড, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে, মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার, কাজীপাড়া সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক, রেলওয়ে স্টেশনের সামনে, কান্দিপাড়া মাদরাসা রোড, কাজীপাড়া জেলা ঈদগাহ ময়দানের সামনে, ডাঃ ফরিদুল হুদা রোড, টি.এ. রোড আশিক প্লাজার সামনে, মৌড়াইল ডাক বাংলার মোড়, জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে, কাউতলী জেলা পরিষদের মার্কেটের সামনে, সড়ক বাজারসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন রাস্তার ফুটপাত ও শহরের বিভিন্ন মহল্লার মোড়ের পিঠা বিক্রি করা হয়।
পিঠা ব্যবসায়ী সকাল ১০টার পর থেকেই মাটির চুলা, এলপি গ্যাস ও কোরোসিনের চুলা ও বাক্স নিয়ে বসে যান ফুটপাতে। এসব দোকানে চিতল পিঠা চিতই), চুয়া পিঠা (মেরা পিঠা), ভাঁপা পিঠা, পোয়া পিঠা (তেলের পিঠা) ও পাটিসাপটা পিঠা করা হয়। তবে ক্রেতাদের কাছে চিতল পিঠা ও ভাপা পিঠারই কদর বেশী।
ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী খেজুরের গুড়, ধনেপাতা-কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাঁপা পিঠা তৈরী করা হয়। এ ছাড়া চিতল পিঠার সাথে ক্রেতাদেরকে সরিষার ভর্তা ও সিদল শুটকির ভর্তা দেয়া হয়। ক্রেতারাও গরম গরম পিঠা পেয়ে খুশী।
প্রতিটি বড় সাইজের ভাঁপা পিঠা ১৫ টাকা ও ছোট সাইজের ভাঁপা পিঠা ১০ টাকা, চিতল পিঠা ১০ টাকা, ছোট সাইজের চিতই পিঠা ৫ টাকা করে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও চুয়া পিঠা প্রতিটি ৫টাকা করে বিক্রি করা হয়।
শহরের শ্রমজীবী মানুষরাই মূলত এসব পিঠার ক্রেতা। এছাড়াও শহরে শপিং করতে আসা গৃহিনীরা চাহিদামতো পিঠা কিনে বাসায় নিয়ে যান। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই আসেন ফুটপাতে পিঠা কিনতে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে পিঠা-বেচা-বিক্রি।
শহরের আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনের পিঠা বিক্রেতা আকবর আলী জানান, প্রতিদিন তিনি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন। এতে তার ৫০০/৬০০ টাকা লাভ হয়। তিনি বলেন, আগে তিনি প্রতিদিন ৫/৬ কেজির চালের গুঁড়ার পিঠা বিক্রি করলেও বর্তমানে ৭/৮ কেজি চালের গুড়ার পিঠা বিক্রি করতে পারেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল ১১টার পর তিনি দোকান নিয়ে বসেন। রাত ১০/১১টা পর্যন্ত চলে তার বেচা-কেনা। তিনি বলেন, তার দোকানে চিতই ও ভাঁপা পিঠাই বেশী বিক্রি হয়। ধনে পাতা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে তৈরী ভাঁপা পিঠা এবং নারকেল-খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরী ভাঁপা পিঠার চাহিদাই বেশী। তিনি জানান, অনেকেই তার কাছ থেকে পিঠা কিনে বাসা-বাড়িতে নিয়ে যান।
শহরের কাজীপাড়ার জেলা ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন রাস্তার পাশের পিঠা বিক্রিতা আসমা বেগম বলেন, তিনি মূলত চিতই পিঠা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহতায়ালার কৃপায় বেচা-বিক্রি ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, চিতই পিঠার সাথে ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী সরিষার ভর্তা ও শুটকির ভর্তা দেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন তিনি ৬/৭ কেজি চালের গুড়ার পিঠা বিক্রি করতে পারেন।
আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে পিঠা কিনতে আসা রফিক ও জুয়েল নামের দুই বন্ধু জানান, তাদের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে। তারা হোস্টেলে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পড়াশুনা করেন। তারা বলেন, শীতের দিনে বাড়িতে মা-চাচীরা তাদেরকে হরেক রকমের পিঠা বানিয়ে খাওয়াতেন। হোস্টেলে থাকায় তারা এখন মা-চাচীর হাতে তৈরী পিঠা খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারা বলেন, সুযোগ পেলেই তারা ফুটপাত থেকে চিতই পিঠা ও ভাঁপা পিঠা কিনে নিয়ে যান হোষ্টেলে।
পৌর এলাকার মেড্ডার বাসিন্দা শিপন মিয়া বলেন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে ইচ্ছে করলেই গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেন না। তাই তিনি ফুটপাত থেকেই হরেক রকমের পিঠা কিনে বাসায় নিয়ে যান।
পুষ্প আক্তার নামে একজন মহিলা জানান, তিনি শপিং করতে মার্কেটে এসেছিলেন। শপিং শেষে বাসায় যাওয়ার সময় পরিবারের সদস্যদের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাউদকান্দিতে মো. মহিউদ্দিন নামের একজনকে হত্যা করে কাটা হাত নিয়ে হেঁটে চলা সেই যুবককে তার সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ্ প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার আনিস (২৪) চান্দিনার শালিখা এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি দাউদকান্দির গৌরিপুর এলাকায় নানা বাড়িতে থাকতেন। অপরজন শাকিল মিয়া (২৪) গৌরিপুর এলাকার মতি মিয়ার ছেলে।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর হত্যাকাণ্ডের পর গা ঢাকা দেন ঘাতক আনিস, শাকিলসহ অন্যান্যরা। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত শনিবার রাতে আনিস ও শাকিলের অবস্থান শনাক্ত করা হলে ওইদিন রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক আনিস ও শাকিল জানান, মাদকের টাকা নিয়ে মহিউদ্দিনের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়। এই কিলিং মিশনে অংশ নেয় আরও কয়েকজন।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারের পর ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে আনিস ও শাকিলকে আদালতে তোলা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দির ওলানাপাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মহিউদ্দিন নামের এক যুবককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর মহিউদ্দিনের ডান হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে এক হাতে চাপাতি অন্য হাতে কাটা হাত নিয়ে হেঁটে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজের ক্লিপ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নিহত মহিউদ্দিন ওলানপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
চলারপথে রিপোর্ট :
একদিকে লোডশেডিং, পাশাপশি বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগ করলেও সংশ্লিষ্ট মহলের সাড়া মিলে না যথাসময়ে। বিপদজনক হলেও অবহেলার কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর মাঝে।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এমনই এক ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ (ঘাটুরা)র আওতাধীন হালদার পাড়া এলাকায় গভঃ মডেল গার্লস স্কুলের সামনে। এখানে বেলা বারোটার দিকে বিদ্যুৎ এর মূল সার্ভিস তারের একটি তার পথের মাঝে ঝুলে পড়ে। সেখানে ট্রান্সফর্মারে সংযোগ সহ তারটির প্লাস্টিকের কালো আবরণ অনেক জায়গায় নেই।
ঝুলে পড়ে তারের পাশ দিয়ে পথ চলেছে স্কুলের কোমলমতি শিশু কিশোর শিক্ষার্থী সহ পথচারীরা।
বিপদজনক অবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে স্থানীয় লোকজন বড় ড্রাম, বালতি ফুটের টব রেখে বিপদ এড়ানোর প্রাথমিক চেষ্টা করে এবং বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে অভিযোগ জানান।
অভিযোগকারী নাইটিংগেল হাসপাতালে কর্মরত রতন রায় গণমাধ্যমকে জানান, তার ঝুলে পড়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অভিযোগ কের্ন্দের ইঞ্জিনিয়ার নূর আলমকে জানানো হয়েছে। কিন্তু দুপুরের পরও কেউ আসেনি। এছাড়া তারটি কিছুদিন পরপরই ছিঁড়ে পড়ে থাকে, কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে যায় কতৃপক্ষ, এতে করে প্রাণহানীর আশঙ্কা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদের কাছে বিকেল সাড়ে তিনটায় বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, অভিযোগ কেন্দ্রে খবর নিচ্ছি। বেলা সাড়ে চারটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খবর নিয়ে জানা গেছে পথে পথচারীদের নাগালের মধ্যে ঝুলে থাকা বিদ্যুৎ তারটি সরানোর জন্য কেউ আসেনি। এ অবস্থায় স্থানীয় এবং পথচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।