অনলাইন ডেস্ক :
গ্রিসে বৈধভাবে বসবাসে অনুমতি পেলেন ৩ হাজার ৪০৫ জন বাংলাদেশি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া একটি সমঝোতা চুক্তির আওতায় এই অনুমতি দিল গ্রিস।
ইউরপের দেশটিতে বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল ১০ হাজার ৩৩৭ জন বাংলাদেশি। জাচাইবাছাইয়ের পর ১ হাজার ৯ জনের আবেদন শেনজেন ভিসা রিপোর্টের ভিত্তিতে বাতিল হয়ে যায়। বাকি ৫ হাজার ৯০০ জনের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রিসের অভিবাসন ও অ্যাসাইলেম মন্ত্রণালয়।
২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রিসে দুই বছর ধরে অবস্থান করা যেকোনো বাংলাদেশি আবেদনকারীর পাসপোর্টে ২ বছরের মেয়াদ থাকলে এই আবেদন করার ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। তবে এই আবেদন করার আগে অ্যাথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়েছে আবেদনকারীদের। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই রেজিস্ট্রেশন চলেছে।
এই বছরও একই প্রক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত ১১৩ বাংলাদেশি গ্রিসে বসবাসের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।
গ্রিসের অভিবাসন ও অ্যাসাইলেম মন্ত্রী দিমিত্রিস কেইরিদিস এই বছরের শুরুতে বলেছিলেন ২০২৪ সাল হবে বৈধ অভিবাসনের বছর। এই লক্ষে অভিবাসন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন শুরু করেছে দেশটি। গ্রিসের লক্ষ্য ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার অভিবাসন আবেদন নিষ্পন্ন করা।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় যুদ্ধাপরাধের অপরাধে গ্রেফতারের আশঙ্কায় ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি পরিকল্পিত সফর বাতিল করেছেন ইসরায়েলের প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অ্যামিচাই চিকলি। আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
কান নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে এতে উল্লেখ করেছে, প্যালেস্টাইনপন্থী ও ইসরায়েল-বিরোধী দলগুলি তার গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা চাইবে এমন আশঙ্কায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে সফর বাতিল করেছেন অ্যামিচাই চিকলি।
প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পূর্ণ সতর্কতার আলোকে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমিচাই চিকলির সফর বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেলজিয়ামের কর্মকর্তারা ইসরায়েলকে জানিয়েছেন চিকলি দেশটিতে থাকাকালীন কূটনৈতিক নিরাপত্তা পাবেন না। কারণ তার এই সফর সরকারি সফর না। এরপরই চিকলির সফর বাতিল করা হয়।
গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি সেনা ও সরকারি কর্মকর্তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে গ্রেফতারের আতঙ্কে রয়েছেন। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত বছর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এরপর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারের আশঙ্কায় গাজা উপত্যকায় অভিযানে অংশ নেওয়া ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রায় ৩০ জন সেনা ও কর্মকর্তাকে বিদেশ ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেশটি। শুধু তাই নয়, ব্রাজিল ও শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে গিয়ে পালিয়ে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল দুই ইসরায়েলি সেনাকে। সাইপ্রাস, স্লোভেনিয়া, নেদারল্যান্ডস ভ্রমণকালে আরো কিছু সেনাকে দেশে ফিরতে বলা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বিয়ের কয়েকদিন পরেই মামলা ঠুকে দেন ব্যবসায়ী স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। পরে আপস-মীমাংসায় পেয়ে যান ৭৫ লাখ রুপি। এরপর বিয়ে করেন এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে। সেখানে ছাড়াছাড়ি করে হাতিয়ে নেন ১০ লাখ টাকা। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কিছুদিন পর আরেক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে ৩৬ লাখ রুপি মূল্যের নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান। সম্প্রতি সীমা ওরফে নিক্কি নামে ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে ভারতের জয়পুর পুলিশ। তাকে বলা হচ্ছে ‘লুটকারী কনে’।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হচ্ছে, সম্প্রতি জয়পুরের এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলায় ওই নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে আসে তার অভিনব প্রতারণা বিষয়টি।
পুলিশের তদন্ত বলছে, সীমা নামের ওই নারী বৈবাহিক ওয়েবসাইটগুলোতে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়েছে কিংবা স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছে এমন ধনী পুরুষদের নিশানা করতেন। এরপর বিয়ে করে কিছুদিন পরই তিনি মামলা করে দিতেন।
আর শেষে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে মীমাংসা করে নিতেন। এভাবে তিনি সোয়া কোটি রুপির বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে জানতে পেরেছে জয়পুর পুলিশ।
জানা গেছে, উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা সীমার এই প্রতারণার প্রথম শিকার হন আগ্রার এক ব্যবসায়ী। ২০১৩ সালে বিয়ের পর তার থেকে আত্মসাৎ করেন ৭৫ লাখ রুপি। ২০১৭ সালে গুরুগ্রামের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করে হাতিয়ে নেন ১০ লাখ টাকা।
সর্বশেষ ২০২৩ সালে জয়পুরের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। সেখান থেকে তিনি ৩৬ লাখ রুপি মূল্যের স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যান। এরপরে সেই ব্যবসায়ী মামলা করলে পুলিশ সীমাকে গ্রেপ্তার করে।
অনলাইন ডেস্ক :
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বড় অংশটাই বাবার সাথে কাজ করে কাটিয়েছেন। আবাসন খাতে যখন ট্রাম্প শীর্ষে ছিলেন, তখন ইভাঙ্কা নতুন হোটেলের নকশা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প টেলিভিশনের শো-তে সক্রিয় থাকাকালে ইভাঙ্কা ছিলেন তার বোর্ডরুমের সদস্য। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার সময় বাবার প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সি শুরু হলে ২০১৭ সালে ইভাঙ্কা হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে কাজ শুরু করেন।
কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইভাঙ্কা ওয়াশিংটন ছেড়ে দেন। ২৩ বছর বয়স থেকে ওয়াশিংটনে থাকা এই নেত্রী এবার শহরটি ছেড়ে রাজনীতি থেকে একেবারে সরে দাঁড়ান। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘আমি আর রাজনীতিতে ফিরছি না।’
২০২২ সালে ট্রাম্প তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলে ইভাঙ্কা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানান, ‘আমি আমার বাবাকে খুব ভালোবাসি। তবে এখন আমার ছোট শিশুদের এবং আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছি না।’
২০২৪ সালে বাবার বিজয়ের পরও ইভাঙ্কার এই অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠরা। ইভাঙ্কা ও তার স্বামী জ্যারেড কুশনার এখন ফ্লোরিডার মিয়ামিতে ব্যক্তিগত জীবনযাপন করছেন। চার বছর ধরে তারা সেখানেই আছেন, জনসমক্ষে খুব একটা দেখা যায়নি তাদের।
রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ
হোয়াইট হাউসে চার বছর কাজ করার সময় ইভাঙ্কা ছিলেন অত্যন্ত সক্রিয়। তবে বাবার নেয়া কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে না পারায় তিনি সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন। তখন নিউইয়র্কে উদারপন্থী বন্ধুদের মধ্যেও তিনি কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। নৈতিকতার প্রশ্নে সমালোচনার মুখে তাকে নিজের সফল ব্র্যান্ডও বন্ধ করতে হয়েছিল।
রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে এখন ইভাঙ্কা স্বাধীন জীবনের স্বাদ পাচ্ছেন। তিনি দ্য লেক্স ফ্রিডম্যান পডকাস্টে বলেন, রাজনীতি একটি অন্ধকার জগৎ, যেখানে নেতিবাচকতার আধিক্য। আমার কাছে যা ভালো মনে হয়, রাজনীতি তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত হলেও ইভাঙ্কা এবার বাবার প্রশাসনে সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন না। তিনি দৃশ্যপটের বাইরে থেকে পরামর্শ দেবেন বলে জানিয়েছেন। ইভাঙ্কার বন্ধু ম্যাগি কর্ডিশও বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য ইভাঙ্কা সবসময়ই একজন বিশ্বস্ত কণ্ঠস্বর ছিলেন।
অন্যদিকে, ইভাঙ্কার স্বামী জ্যারেড কুশনারও নতুন প্রশাসনে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নিতে রাজি নন। তবে, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে ট্রাম্পকে উপদেষ্টা হিসেবে সহযোগিতা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রাম্প পরিবারের প্রতি প্রেসিডেন্টের বিশেষ আস্থা এখনো দৃশ্যমান। উদাহরণ হিসেবে জ্যারেড কুশনারের বাবা চার্লস কুশনারকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
খাবারের জন্য অপেক্ষার সময় ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৫৫ জন। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরাইল। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
খবরে জানানো হয়েছে, ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, আহতদের জন্য হাসপাতাল পেতে অনেক সময় লাগছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, তারা কুয়েত স্কয়ারে কোনো হামলা চালায়নি। ওই ঘটনার জন্য সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরই দায়ী করেছে দেশটি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সেখানে ছড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটি মরদেহ। রাস্তায় কাতরাচ্ছে আহত মানুষ। ইব্রাহিম আল-নাজার নামের এক ব্যক্তি জানান, আমরা সেখানে বসে ছিলাম। হঠাৎ তারা আমাদের ওপর বোমা ফেললো।
অনেক অনেক মানুষ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আমাদের শিশুদের জন্য খাবার সংগ্রহ করতে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সবশেষ ব্যাপক আকারে বিমান হামলা শুরুর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ইসরাইল পরামর্শ করেছিল বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। আজ ১৮ মার্চ মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ফক্স নিউজকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, গাজায় সবশেষ আক্রমণ শুরু করার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে পরামর্শ করেছিল ইসরাইল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন স্পষ্ট করে বলেছেন, হামাস, হুথি, ইরান — যারা কেবল ইসরাইলকে নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রকে আতঙ্কিত করতে চায় — তাদের মূল্য দিতে হবে এবং তাদের ওপর সমগ্র নরক ভেঙে পড়বে।
ক্যারোলিন লিভিট আরো বলেন, হুথি, হিজবুল্লাহ, হামাস, ইরান এবং ইরান-সমর্থিত প্রতিনিধিদের উচিৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়া। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, তিনি আইন মেনে চলা মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে এবং যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের বন্ধু ও মিত্র ইসরাইলের পক্ষে দাঁড়াতে ভয় পান না।
এদিকে দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর মঙ্গলবার গাজায় ব্যাপক আকারে ইসরাইলি বিমান হামলায় দুই শতাধিক প্রাণ হানির ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ এ হামলায় আহত হয়েছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি।
এদিকে আল জাজিরা তাদের সরাসরি সম্প্রচারিত আপডেটে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়েছে ইসরায়েল এবং এরপর অবরুদ্ধ এই উপত্যকা জুড়ে বিমান হামলা শুরু করেছে। বর্বর এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জন ফিলিস্তিনির নিহত এবং অন্যান্য আরো অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এটিই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা।