চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে উপজেলার ইসলামাবাদ (গোগদ) এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার নিজ সরাইল এলাকার মুগল মিয়ার ছেলে তারেক মিয়া (২৮), দামাউড়া এলাকার আবুল উদ্দিনের ছেলে মো. শিপন মিয়া (২৭), অরুয়াইল এলাকার শওকত মিয়া ছেলে হাবিব মিয়া (৫০) ও নাসিরনগরের চাতলপাড় এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে সাদেক মিয়া (৩৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের পাশে ইসলামাবাদ এলাকায় খুঁটি থেকে ট্রান্সমিটার খুলছিলেন চোর চক্রের সদস্যরা। ট্রান্সমিটারটির ভেতরের কয়েলে ব্যবহৃত তামার ক্যাবল বের করার সময় টের পায় স্থানীয়রা। এরপর তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ট্রান্সফরমারের ভেতরের কয়েল থেকে পিতলের তার চুরির সময় ৪ চোরকে হাতেনাতে আটক পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। তাদেরকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে চোর সন্দেহে বজলু মিয়া (২২) নামে এক যুবককে গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হয়েছে। এ সময় গণপিটুনিতে বজলু মিয়ার সাথে থাকা সুজন মিয়া নামে অপর যুবকও আহত হয়। গতকাল সোমবার গভীর রাতে উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত বজলু মিয়া লোপাড়া গ্রামের আলী আফজলের ছেলে। আহত সুজন মিয়া একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। আহত সুজন মিয়াকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, সোমবার গভীর রাতে বজলু ও সুজন মিয়া একই গ্রামের মৃত আলফাজ মিয়ার বাড়িতে আলফাজ মিয়ার কন্যা রাজিয়া বেগমের ঘরে চুরি করতে যায়। রাজিয়া বেগম বিষয়টি টের পেলে বজলু ও সুজন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজিয়া বেগমের চিৎকারে প্রতিবেশীরা বজলু ও সুজনকে ধরে আলফাজ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে বেদম মারধোর করলে বজলু মিয়া মারা যায় ও সুজন মিয়া আহত হয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে নিহত বজলুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল হাই বলেন, সোমবার গভীর রাতে বজলু মিয়ার মা ও তার বোন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলেন, গ্রামের লোকজন বজলু মিয়াকে ঘর থেকে তুলে আলফাজ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে গেছে।
পরে আলফাজ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখি বজলু ও সুজনকে গ্রামের লোকজন আলফাজ মিয়ার ঘরের বারান্দার একটি পিলারের সাথে বেঁধে মারধোর করছে। তখন গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি তারা রাজিয়া বেগমের ঘরে চুরি করতে আসছিলো। আমি সুজন ও বজলুকে চুরির ঘটনা জিজ্ঞেস করলে তারা কিছু বলেনি। পরে আমি তাদের হাতের বাঁধন খুলে দেই।
এক পর্যায়ে ফজর নামাজের আজান পরলে আমি তাদেরকে যেন আর মারধোর করার অনুরোধ করে সেখান থেকে চলে যাই। সকালে খবর পাই বজলু মিয়া মারা গেছে। ইউপি সদস্য আবদুল হাই আরো বলেন, সুজন মিয়ার স্বভাব চরিত্র ভালো নয়। তবে বজলুর বিষয়ে কখনো কোন খারাপ কথা শুননি।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জেনেছি, সুজন ও বজলুর স্বভাব চরিত্র ভালোনা।
সোমবার গভীর রাতে তারা এলাকার মৃত আলফাজ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার কন্যা রাজিয়া বেগমে ঘরে চুরি করতে গেলে গ্রামবাসী তাদেরকে ধরে গণপিটুনি দিলে বজলু মারা যায় ও সুজন আহত হয়। আমরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় কবির হোসেন-(৩৬) নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার এক যুবক নিহত হয়েছে। সৌদি আরবে ওমরাহ হজ্ব পালন শেষে কর্মস্থল কাতারে ফেরার পথে গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সৌদি আরব-কাতারের সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা তিনি মারা যান।
নিহত কবির হোসেন সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের কালা মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাতার প্রবাসী ছিলেন। নিহতের মরদেহ সৌদি আরব আল হাসান হোপ কিং ফাহাদ হসপিটালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি শনিবার বিকালে নিশ্চিত করেছেন নিহতের ছোট ভাই আতাউল্লাহ।
আতাউল্লাহ জানান, তারা ১০ ভাই-বোন। এর মধ্যে কবির হোসেন তৃতীয়। তিনি গত ৯ বছর ধরে কাতারে চাকুরি করতেন।
দেশে ছুটি কাটিয়ে গত ৩ মাস আগে আবার কাতার যায় কবির। গত সপ্তাহে বন্ধুদের নিয়ে কাতার থেকে সৌদি আরব যান ওমরাহ হজ্ব করতে। ওমরাহ শেষে শনিবার সৌদি আরব থেকে কাতার ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কবির মারা যায়।
আতাউল্লাহ আরো বলেন, কবিরের স্ত্রী ও ৩ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। কিভাবে সৌদি আরব থেকে তার ভাইয়ের লাশ দেশে আনা যায় তারা সে ব্যাপারে যোগাযোগ করছেন।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। তার মরদেহ দেশে আসার পর তার পরিবারকে আর্থিক অনুদানের ব্যাপারে আমরা সহযোগীতা করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
চার-পাঁচ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে সিএসও’কে শক্তিশালী করতে মিতালী উপলব্ধি ও মেঘনা নামক তিন স্বেচ্ছাসেবক সংঘটনকে নিয়ে পিফরডি প্রকল্পের সহায়তায় মাঠে কাজ শুরু করেছিল ব্রিটিশ কাউন্সিল। ৩ বছর কাজ করার পর জেলা শহরে গড়ে ওঠে ‘জেলা পলিসি ফোরাম’ (ডিপিএফ)। এক সময় প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ শেষ হলেও থামেনি ডিপিএফ। নিজস্ব ও স্থানীয় দাতাদের অর্থায়নে দ্রুত গতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে নানা সামাজিক কর্মসূচি। এসব কাজে বরাবরই ‘র্যাপ’-এর সহায়তা উল্লেখযোগ্য। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার ডিপিএফ’র উদ্যোগে ও ‘র্যাপ’ নামক এনজিও’র আর্থিক সহায়তায় দিন ব্যাপি ‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ে উঠান বৈঠক’ অনুষ্ঠিত হয় জেলার চান্দুপুর ইউনিয়নের দু-বাড়িয়ায়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। সূত্র জানায়, দু-বাড়িয়া গ্রামের র্যাপ এনজিওটি মানবিক ও সামাজিক কাজে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। র্যাপ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান ভূইয়াও ডিপিএফ-এর সদস্য। ‘বাল্যবিয়েকে না বলি, ঘৃণা করি’ এমন শ্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারীরা জড়ো হতে থাকে ‘র্যাপ’ অফিসের সামনে। সকাল ১১টার দিকে কাণায় কাণায় পরিপূর্ণ হয় স্থানটি। অজপাড়া গায়ের দেড় শতাধিক নারীর উপস্থিতির ওই বৈঠকে ছুটে আসেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক। র্যাপ ও ডিপিএফ ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন তাঁকে।
ডিপিএফ’র সদস্য এস.এম শাহিনের সঞ্চালনায় সভাপতি মো. আরজু মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিপিএফ’র সম্পাদক মো. শরীফ উদ্দিন।
অন্যান্যের মধ্যে প্রকল্পের সাবেক ডিএফ খোদেজা বেগম, সদস্য মোহাম্মদ মাহবুব খান, মো. আশিকুর রহমান ভূঁইয়া, সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির, র্যাপ-এর সদস্য শেফালি বেগম ও জেসমিন আক্তার।
গ্রামীণ পরিবেশে কর্মব্যস্থতার সময়েও মহিলাদের মিলনমেলায় অভিভূত হয়ে পড়েন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। তিনি অত্যন্ত সাবলিল, শ্রুতিমধুর, সহজ-সরল ও হাস্যরসে ভরা ভাষার বক্তব্যে স্বল্প সময়ে মাতিয়ে তুলেন উঠান বৈঠককে। তিনি নিজের মেয়েকে পুত্রবধূ ও পুত্রবধূকে নিজের মেয়ে ভেবে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে বিয়ে না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
প্রধান অতিথি বাল্যবিয়ের কুফল গুলো সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করে বলেছেন, শিশু ও কিশোরীকে বিয়ে না দিয়ে শিক্ষিত করুন। ফলে সে পরিবার, গ্রাম, দেশ ও জাতীর জন্য সম্পদে পরিণত হবে। আপনার ছেলে মেয়েকে মাদক থেকে দূরে রাখুন। কারণ একটি পরিবারকে চিরতরে ধ্বংস করতে একজন মাদকসেবীই যথেষ্ট।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবি’র চোরাচালান বিরোধী অভিযানে কোটি কোটি টাকা মূল্যের উন্নতমানের বিভিন্ন অবৈধ ভারতীয় মালামাল আটক করেছে বিজিবি।
২৫ বিজিবি এর অধীনস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের একটি বিশেষ টহল দল, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স টিম এই অভিযানে অংশ নেন।
আজ ৭ আগস্ট বুধবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে গত ৪ আগস্ট ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড এলাকায় ঢাকাগামী বালু বোঝাই ট্রাকে অভিযান পরিচালনা করে অভিনব উপায়ে বালু বোঝাইকৃত ট্রাকের অন্তরালে আচ্ছাদিত অবস্থায় কোটি কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের সানগ্লাস এবং চশমা আটক করে। যার মূল্য ৯ কোটি ২০ বিশ লক্ষ ৬৮ হাজার একশত টাকা। এছাড়াও গত ১ আগস্ট ২ কোটি ২৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০ টাকা মূল্যের ভারতীয় কসমেটিকস, চকলেট ও চিনি এবং ৩০ জুলাই ২০২৪ তারিখে ৩ জন আসামীসহ ভারতীয় চিনি ১৪ হাজার কেজি এবং ১টি কাভার্ড ভ্যান, যার মূল্য ৭২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সরাইল ব্যাটালিয়ন কর্তৃক আটক করতে সক্ষম হয়।
সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, বিজিওএম, পিএসসি, সিগন্যালস জানান, দেশে চলমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সময় রাষ্ট্রীয় সম্পদ, স্থাপনা এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সার্বক্ষণিক সচল রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত বিজিবি সদস্যগণ কর্তৃক দিবারাত্র টহল কার্যক্রম পরিচালনাকালে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের সহযোগিতায় এ বিপুল পরিমাণ চোরাচালানী মালামাল আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরো বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা কতৃর্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় অগ্নি সংযোগের কারণে আটককৃত চোরাচালানী মালামাল বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত দোকান উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৪ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশে অবৈধভাবে নির্মিত ২০ টি দোকান উচ্ছেদ করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশে ১০ শতক সরকারি জায়গায় অবৈধ ভাবে দখল করে ২০ টি দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিল একটি প্রভাবশালী মহল। বিকেলে সেখানে অভিযান করে সরকারি খাস জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত ২০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
তিনি আরো জানান, সরকারি জায়গা দখল করে কেউ দোকান নির্মাণ করতে পারবে না। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় সরাইল সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনীরা কায়ছান, সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ও সরাইল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।