অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধীদলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এ সব তথ্য জানান। তবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী জানান, সারাদেশের অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো নিবন্ধনের জন্য সরকার রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করিয়াছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া তথ্য অধিদফতর নিবন্ধনের কাজ পরিচালনা করিয়া থাকে। তথ্য অধিদফতর হইতে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়েছে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়টি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আরো অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অনলাইন পোর্টালগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনিয়া সরকারিভাবে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের রহিয়াছে। ইহা ছাড়া, দেশের অনিবন্ধিত কোনো অনলাইন সংবাদপত্রে বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে দেশ-বিরোধী সংবাদ প্রচার বা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাহা বন্ধের প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
চলারপথে ডেস্ক :
নির্বাচনে অনিয়ম করে কেউ জয়ী হওয়ার পর ফলাফলের গেজেট প্রকাশ হলেও তা বাতিলের ক্ষমতা পাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এমন ইঙ্গিত দেন।
তিনি জানান, গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ভোট বাতিলের ক্ষমতা সংক্রান্ত ওই সংশোধনী প্রস্তাবে আইন মন্ত্রণালয়ের সায় মিলেছে।
আরপিও সংশোধনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক এ জেলা জজ বলেন, দুয়েকটি জায়গায় আরো চিন্তাভাবনা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয় বলেছিল। ইভিএমে আঙুলের ছাপ মেলে না, তাই ১ শতাংশ ভোটারের ভোট প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার আঙুলের ছাপ ব্যবহারের বিষয়টি আমরা নির্ধারিত করে দিতে চাচ্ছিলাম। আইনে এক শতাংশের বেশি অনুমোদন করবো না, এমনটি আসুক। উনারা (আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা) জানালেন, এটা বিধিমালা দিয়ে আওতায় আনা সম্ভব। এ বিষয়টিতেই তারা আপত্তি করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের গেজেট হওয়ার পর অনিয়ম হলে আরপিওতে কোনো কিছু করার ক্ষমতা নাই। বন্ধ করা বা এ সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য সংশোধনীর প্রস্তাব আমরা দিয়েছিলাম। যাতে ফলাফল ঘোষণার পর ক্ষমতা কমিশনের হাতে থাকে। কিন্তু উনারা বললেন, ৯১ (ধারা) দিয়েই কাভার হচ্ছে। কিন্তু তা হয় না আমরা জানি। উনাদের যুক্তিটা তুলে ধরলাম।
বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আমি কমিশনে যোগ দেওয়ার পর একটি ফাইল এলো। ময়মনসিংহের দুর্গাপুরে একটা নির্বাচনে হয়ত ব্যালট ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। তখন কমিশন গেজেট হওয়ার পর ভোট বাতিল করেছিল। কিন্তু মাননীয় হাইকোর্ট বললেন, গেজেট হওয়ার পর কমিশনের করার কিছু থাকে না। আমরা এজন্য কমিশনের হাতে ক্ষমতা যেন থাকে; প্রস্তাব করেছিলাম। উনারা জানতে চাইলে আমরা এই ঘটনাটি ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম।
গেজেট হওয়ার পরে ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে, তার আগে তো পারা যাবে না। যখন একজন হারবেন, তিনি আইনের আশ্রয় নিতেই পারেন, উনার অধিকার। তখন কোর্ট কমিশনের কাছে ব্যালট চাইলেন। কিন্তু সেটি তো উদ্ধার হয়নি। কখন কার কাছে চলে গেছে। তো যেটা উদ্ধার হয়নি, সেটা কীভাবে কোর্টকে দেবে? এক্ষেত্রে তো কমিশনের কিছু করার থাকবে না। এই রকম পরিস্থিতি যদি সামনে আসে কমিশনের হাতে অবশ্যই একটা ক্ষমতা থাকা উচিত যাতে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া যায়। কারণ, যিনি ডিপ্রাইভড হলেন বলে মনে করেন, তার তো ক্ষতিপূরণের জায়গা নেই। এই কারণে আমরা সংশোধন আনার প্রয়োজন মনে করেছি।
এ নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের যারা বৈঠকে ছিলেন তারা আমাদের জাস্টিফিকেশনে খুশি। তারা বলছেন আর কোনো অসুবিধা নেই। এখন কেবিনেটে যাবে। পাশ হবে সংসদে। এটাই উনারা পাঠাবেন। ভেটিংয়ে আর বাদ যাচ্ছে না। কেবিনেট থেকে সংসদে যাবে। উনারা যদি মনে করেন কোনটা রাখবো, কোনটা রাখবো না, এতে তো কারোরই কিছু বলার নাই। আইন মন্ত্রণালয়েরও প্র্যাকটিক্যালি কিছু করার থাকবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রত্যেকটা নির্বাচনে আমরা বলেই দেব কত শতাংশ ভোটারের আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে ইভিএমের ব্যালট ইউনিট ওপেন করতে পারবেন। কেননা, যার আঙুল নেই তাকে তো ভোট দেওয়ার সুযোগটা দিতে হবে। ১ শতাংশ একটি জাস্টিফাইড সংখ্যা। প্রতি নির্বাচনের আগে বিধি দ্বারা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। অতীতে নাকি ৫ শতাংশও দেওয়া হয়েছিল; এমন অভিযোগ অনেকে করেন। কাজেই জাস্টিফাইড একটা সংখ্যা দিলে কেউ আর বলতে পারবে না তাই আমরা ১ শতাংশ দিতে চেয়েছিলাম।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের আপত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসিনি। প্রত্যেক ভোটের আগে আমরা সার্কুলার দিয়ে দিতে পারবো। কমিশন যখন সার্কুলার দেয় সেটাও কিন্তু আইন। আমরা আরপিওতে পাচ্ছি না, তবে বিধি দিয়ে করতে পারবো। আমরা সার্কুলার দিয়েই আগে করেছি। একটা পরিপত্র দিয়ে দিলেই হবে।
ভোটে সাংবাদিকদের দূরে রাখার বিষয়ে কমিশনার বলেন, সাংবাদিকদের দূরে রাখতে চাই না। রংপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা আমরা দিইনি। কোথা থেকে যে হলো আমি নিজেও জানি না। হয়তো আগের কোনো নির্দেশনায় ছিল। সম্ভবত মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছিল। আমরা আপনাদের জন্য আরপিওতে ব্যবস্থা রাখছি। যন্ত্র কেড়ে নিলে শাস্তির প্রস্তাব করেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
বেশি মাছ ধরা এবং অন্যান্য মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে ভঙ্গুর সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতির হাত থেকে বিশ্বের মহাসাগর ও নদীগুলোকে রক্ষায় মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেনারেল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিংয়ের ট্রিটি ইভেন্ট চত্বরের গ্রাউন্ড ফ্লোরে বুধবার ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি’র অধীনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ কথা জানান। চুক্তিতে সাধারণ ঐতিহ্য হিসেবে বর্ণিত জেনেটিক সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান এবং নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী লিজে শ্রেইনেমাচারের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগদানের পাশাপাশি জলবায়ু গতিশীলতার ওপর সম্মেলন এবং ১৮তম এশিয়া সহযোগিতা সংলাপসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন।
মোমেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ বাকি দেশগুলোর জন্য রোল মডেল হয়ে উঠেছে। ধনী দেশগুলো মূলত কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবদান মাত্র ০.৪৭ শতাংশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধনী দেশগুলোকে প্রতি বছর জলবায়ু তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে না। তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা উচিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জলবায়ু তহবিল থেকে নামমাত্র অর্থ পেয়েছে। প্রতিশ্রুতি মেনে চলার জন্য ধনী দেশগুলোর রাজনৈতিক অঙ্গীকার দরকার।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ উপস্থিত ছিলেন। খবর-বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরব প্রবাসী এক বাংলাদেশি লটারিতে প্রায় তিন কোটি টাকা জিতেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘মাহজুজ ড্র’ জেতা ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ শাহিন (৩১)। তিনি দাম্মামের একটি বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার পদে চাকরি করেন।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ সাপ্তাহিক মাহজুজ ড্রতে ১ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রা ২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা) জিতেন বাংলাদেশি প্রবাসী শাহিন।
হঠাৎ করে লটারি জয়ের ই-মেইল পেয়ে হতবাক হয়ে যান শাহিন। ইমেইলে মাহজুজ ড্রয়ের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়, তাদের সাপ্তাহিক র্যাফেল পুরস্কারটি পাচ্ছে তিনি। তার টিকিটের আইডি নম্বর ৩৮২২৫৮১৯।
প্রথমে শাহিন লটারি জয়ের বিষয়টি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। পরে তার অ্যাকাউন্টে লগইন করে নিশ্চিত হন এক মিলিয়ন দিরহাম জিতেছেন তিনি।
শাহিন বলেন, আমি হতবাক ও বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমার মাহজুজ অ্যাকাউন্টে এত টাকা দেখে আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
লটারি জয়ের সুসংবাদটি বাংলাদেশে তার পরিবারকেও জানিয়েছেন শাহিন।
অনলাইন ডেস্ক :
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢালাও হারে মামলা দিয়ে মামলা বাণিজ্য করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শেল্টার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শেখ হাসিনার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
আজ ৮ মে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসবের জন্য একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেন সারজিস।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সারজিস এসব অন্যায় অপকর্ম থেকে দলটির নেতাকর্মীদের বেরিয়ে আসার আহ্বানও জানান।
সেই সাথে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, জনগণের সামনে মুখোশ উন্মোচিত হলে মুখ দেখানো কঠিন হয়ে পড়বে।
সারজিস তার পোস্টে লিখেছেন, ‘মিথ্যা মামলা দেওয়ার পূর্বে ফোন দিয়ে মামলায় আসামি হিসেবে নাম না দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় নাম দেওয়ার পর নাম কাটানোর জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যায়-আপকর্মে জড়িত ছিল না তারপরও চাপে রাখার জন্য কিংবা অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীদের নামে মিথ্যা মামলায় দেওয়া হচ্ছে।’
সারজিস আরো লিখেছেন, ‘অপরদিকে টাকা কিংবা ম্যানপাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অসংখ্য সন্ত্রাসীকে শেল্টার দেওয়া হচ্ছে।’
এসবের পেছনে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের আধিপত্য সবচেয়ে বেশি জানিয়ে সারজিস আরও লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক দলের কিছু কালপ্রিট নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে এই কাজগুলো করা হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দলের আধিপত্য এখানে সবচেয়ে বেশি।’
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে ভাগ বাটোয়ারায় জড়িয়ে পড়েছে পুলিশ- এমন অভিযোগ এনে সারজিস বলেন, ‘অধিকাংশ পুলিশ এক্ষেত্রে আগের মতই সঙ্গ দিচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের চাটুকার মনোভাবের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। ভাগ বাটোয়ারা করে কাজ চলছে।’
পোস্টের শেষাংশে রাজনৈতিক দলটির নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে সারজিস বলেন, ‘সময় থাকতে এসব অন্যায় অপকর্ম, মামলা বাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসুন।
জনগণের সামনে মুখোশ উন্মোচিত হলে মুখ দেখানো কঠিন হয়ে পড়বে।’ সূত্র : যায়যায়দিন
চলারপথে রিপোর্ট :
ধামরাইয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাওনা ও বসত বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাই ফারুক হোসেনকে (৪০) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে বড় ভাই। এ ঘটনার পরই স্থানীয় এলাকাবাসী ঘাতক বড় ভাই ওসমান গনি ও তার স্ত্রী জিয়াসমিনকে আটকের পর পুলিশে সোর্পদ করেছে।
আজ ৪ অক্টোবর বুধবার দুপুরে ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাকরান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফারুক হোসেন কাকরান গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাকরান গ্রামের কালা মিয়ার বড় ছেলে ওসমান গনির সঙ্গে ছোট ভাই ফারুক হোসেনের বাড়ির সীমানা এবং ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাওনা নিয়ে গত এক মাস ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি দুই ভাইয়ের বসতবাড়ির মাঝখান নিয়ে ফারুক হোসেন টিনের বেড়া দেয় এবং পাওনা টাকা দাবি করে। গত রবিবার বড় ভাই ওসমান গনি কোন টাকা দিবে না জানিয়ে টিনের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে বুধবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির উঠানেই বড় ভাই ওসমান গনি অতর্কিতভাবে ধারালো দা দিয়ে ছোট ভাই ফারুক হোসেনের মাথায়, পেটে ৬টি কোপ দেয় এবং তার ডান পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এসময় ঘটনাস্থলেই ওসমান গণির স্ত্রী জিয়াসমিন উপস্থিত থেকে তার স্বামীকে সহযোগিতা করেছেন বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন। পরে স্থানীয়রা ফারুক হোসেনকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুপুর ২ টার দিকে অস্ত্রোপাচার করার সময় হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয় বলে স্থানীয় সোহেল মোল্লা জানান। এসময় স্থানীয় লোকজন ঘাতক ওসমান গনি ও তার স্ত্রী জিয়াসমিনকে আটকের পর পুলিশে সোর্পদ করেন।
স্থানীয় ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আদর আলী জানান, পাওনা টাকা ও বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য ফারুক হোসেন আমাদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওসমান গণি মিমাংসায় রাজি ছিল না।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, পাওনা টাকা ও বসত বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই ছোট ভাই ফারুক হোসেনকে মাথায়, পেটে ও ডান পায়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় ওসমান গণি ও তার স্ত্রী জিয়াসমিনকে আটক করা হয়েছে। তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নিহত ফারুক হোসেনের স্ত্রী সীমা আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।