অনলাইন ডেস্ক :
ভুল চিকিৎসায় ও চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে রোগী মারা গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাসহ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমসসহ কুমুদিনী কমপ্লেক্সের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যাতে ঘরে বসেই চিকিৎসার সেবা পায় এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় কাজ শুরু হয়েছে।
এ সময় তিনি জানান, যেকোনো উপায়ে দেশের চিকিৎসাসেবার মান আমূল পরিবর্তন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গত পরশু দিন আমি দেখা করেছি। দেশের চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধিসহ ঘরে বসে মানুষ যেন চিকিৎসা সেবা পান সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
আমি একেবারে তৃণমূল গ্রাম থেকে উঠে এসেছি। চিকিৎসা সেবার কোথায় কোথায় সমস্যা রয়েছে আমি তা জানি। দেশের উপজেলা সরকারি হেলথ কমপ্লেক্স এবং জেলা সদরের হাসপাতালগুলোকে স্বাবলম্বী করতে হবে, বলেন ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ যাতে শহরে চিকিৎসার জন্য এসে বিড়ম্বনার শিকার না হয় সে জন্য চিকিৎসকসহ আমদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধিসহ সরকারি সেবা ছড়িয়ে দিতে হবে।
এ সময় কুমুদিনী হাসপাতালের সেবার মান, পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা, নিয়ম-কানুন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চর্চার পরিবেশ দেখে প্রশংসা করেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
চলারপথে ডেস্ক :
মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গাজীপুর। সেখানে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশের এপিসি কারে এক বিস্ফোরণে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত সব পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আজ ৮ নভেম্বর বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো নাওজোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি এখনো (সন্ধ্যা ৬টা) উত্তপ্ত রয়েছে।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, আহতাবস্থায় পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য প্রবীর (৩০), ফুয়াদ (২৮) ও খোরশেদকে (৩০) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশিকুল (২৭) ও বিপুলকে (২৪) হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ফুয়াদের অবস্থা বেশি গুরুতর, তিনি ডান হাতের আঙ্গুল ও কব্জির নিচের অংশে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এপিসি কারের ভেতরে পুলিশ সদস্যদের অসাবধানতায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা আহত হন। একজনের হাতের কব্জি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই বিস্ফোরণেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কারখানা শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, সফিপুর ও মৌচাকসহ আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। বুধবার সকালেও আন্দোলনে নামেন পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক নারী শ্রমিক নিহত হন। এরপর বেশ কয়েক ঘণ্টা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক ছিল।
দুপুরের পর কোনাবাড়ী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আবার সংঘর্ষে জড়ান শ্রমিকরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাবের সমন্বয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া দেওয়া হয়। এসময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। শ্রমিকরা পিছু হটে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ভাওয়াল বদলে আলম সরকারি কলেজের সামনের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, বুধবার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মোট আটজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন ও বিকেলে নাওজোড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিকেলে যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এদের মধ্যে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পাশাপাশি এপিসি কারে বিস্ফোরণেও আহত হওয়ার ঘটনা আছে। এখন শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো আলাউদ্দিন বলেন, গাজীপুর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজন পুলিশকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ফুয়াদ নামে এক পুলিশ সদস্যের ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অনলাইন ডেস্ক :
মিথ্যা বিয়ের আশ্বাসে দিয়ে প্রতারণার ফাঁদে আটকে অবাধে মেলামেশা করে এখন বিয়ে করতে গড়িমসি করায় তৃপ্তি নামের এক তরুণী প্রেমিকের অফিসের গেটের সামনে অবস্থান নেন। ১৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই তরুণী অফিসের সামনেই থাকেন। তার একটাই দাবি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রেমিক আব্দুল খালেক তাকে বিয়ে করতে হবে। অবস্থা বেগতিক দেখে নিজ কর্মস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান প্রেমিক আব্দুল মালেক। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে। অভিযুক্ত প্রেমিক আব্দুল মালেক সমাজসেবা অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত।
আরও পড়ুন
ওবায়দুল কাদেরের ‘ছেলে’ হিরু গ্রেফতার
তৃপ্তির অভিযোগে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের আশ্বাসে তারা বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টে থেকেছে। এমনকি তাদের শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে আব্দুল মালেকের পরিবারকে সব কথা জানিয়ে ওই তরুণী বিয়ের দাবি জানান। তার দাবির প্রেক্ষিতে ছেলের পরিবার ৬ মাস সময় নেয়। এই সময় অতিবাহিত হলে তিনি আবার ছেলের বাড়ি যান। তখন আব্দুল মালেক বিয়ে করে তাকে পালকিতে করে নিয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন।
ওই তরুণী আরো বলেন, সম্প্রতি মালেক তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। তিনি আর কোনো উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবিতে মালেকের কর্মস্থল ঈশ্বরদী উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে সেখানে মালেক ও তার পরিবারের লোকজন ওই তরুণীকে লাঞ্ছিত করেন।
আরও পড়ুন
এইচএমপিভিতে আক্রান্ত সেই নারী মারা গেছেন
এ বিষয় আব্দুল মালেক অস্বীকার করেন। তিনি জানান, তৃপ্তির সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমন অভিযোগ নিয়ে এসেছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, ওই তরুণী অফিসে এসে অবস্থান করছেন। এটা তো আমাদের অফিসিয়াল কোনো বিষয় না। এবিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে তিনি আমাদের অফিসেরই একজন। কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে আমার ঊর্ধ্বতনদের জানাবো এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন
মেঘনা নদী থেকে অবাধে লুট হচ্ছে বালু
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সাপের কামড়ে জুলফিকার আলী (৩৪) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত জুলফিকার আলী দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামের নজির আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, জুলফিকার বৃহস্পতিবার বিকালে মাঠে কৃষি কাজ করার সময় একটি সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি’র মাতৃভাষা পদক -২০২৫ এ মনোনীত হয়েছেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক। হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আলমগীর বলেন আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় জহুর হোসেন চৌধুরী হল, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকায় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উনাকে মাতৃভাষা পদক ২০২৫ এ ভূষিত করা হবে।
অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৪০ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় জন্ম গ্রহন করেন।তার পিতা মুহাম্মদ আবদুল হাকিম এবং মাতা জাহানারা খাতুন। এ সংবাদ দিয়েছেন মিজানুর রহমান।
তিনি ১৯৫৯ সালে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। ১৯৬১ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিজ্ঞানে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে তিনি অনার্স এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স পাশ করেন।
আবুল কাশেম ফজলুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘ চার দশক শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের একজন অধ্যাপক ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২১ টির ও অধিক গ্রন্থের প্রণেতা আবুল কাশেম ফজলুল হক। পত্র-পত্রিকায় তিনি নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। তিনি লোকায়ত নামক একটি মননশীল পত্রিকা ১৯৮২ সাল থেকে সম্পাদনা করেছেন। তিনি সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত” রাষ্ট্রভাষা বাংলা সুরক্ষা কমিটি” এর আহবায়ক।
তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে আলাওল সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০০৬ সালে আলক্ত সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক কে বাংলা একাডেমির সভাপতি নিয়োগ প্রদান করেন। মাতৃভাষা ২১ পদকে ভূষিত হওয়ায় সম্মানিত অধ্যাপক ড.আবুল কাশেম ফজলুল হককে অভিনন্দন জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতি যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতি, লেখক, সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ও সাধারণ সম্পাদক কবি ও সংগীত শিল্পী শেলি ভৌমিকসহ প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও নিরীহ কারাবন্দী বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন হয়েছে। আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া – এর ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা এ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার নীলনকশা করেন। সেনা কর্মকর্তাদের খুন ও গুমের পর এ দেশের হাজার হাজার নিরীহ বিডিআর সদস্যকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। যাদের মধ্যে এখনো অনেক বিডিআর জওয়ান বিনা বিচারে জেলখানায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলায় যারা জড়িত, তাদের খুঁজে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। আর যারা নিরীহ ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। আর যারা এখনো কারাবন্দী আছেন, তাদেরও জেল থেকে মুক্তি দিয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাবিলদার ইকবাল, হাবিলদার শামসুল আলম, হাবিলদার ফয়েজ, সৈনিক মোহাম্মদ আলী খান, প্রয়াত সৈনিক বদিউল আলম এর স্ত্রী রুবিনা আলম প্রমুখ।