চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি আব্দুল মোত্তালিব। বিগত ১৯৯৩ সালে মাদরাসায় যোগদান করে সুদীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশী সময়কাল তিনি কৃতিত্বের সাথে মাদরাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ছিল তার চাকরির শেষ কর্মদিবস। এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রেখেছেন তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে প্রিয় অধ্যক্ষকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে অবস্থিত নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিলেন তারা।
এদিকে শেষ কর্মদিবসে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মোত্তালিবকে বিদায় জানাতে মাদরাসা প্রাঙ্গণে উষ্ণ বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শওকত আকবর খান, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মাদরাসা গভর্ণিং বডির সদস্য আব্দুল্লাহ আল নোমান, ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ, দাতা সদস্য ফরিদুল আমিন, শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ কবির হোসেন প্রমুখ। উল্লেখ্য অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদেরও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
প্রিয় অধ্যক্ষের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে মাদরাসা প্রাঙ্গণ সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। অনুষ্ঠানে তার সম্মানে পাঠ করা হয় হৃদয়গ্রাহী মানপত্র। দেওয়া হয় সম্মাননা। সব শেষে প্রিয় অধ্যক্ষকে কর্মস্থল থেকে নিজ বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয় সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে। গাড়িতে ওঠার সময় বিদায়ী অধ্যক্ষকে ফুলের মালা পরিয়ে ও ফুল ছিটিয়ে ভালবাসার বহি:প্রকাশ করে আয়োজকরা। বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গভর্ণিং বডির সদস্য এবং সূধীমহলের এমন আয়োজনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অধ্যক্ষ অব্দুল মোত্তালিব।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্মার্ট সিটিজেন গড়ার লক্ষ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষার মানোন্নয়নে স্মার্ট অভিযোগ বক্স অ্যাপ চালু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। আজ ২১ আগস্ট সোমবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ স্মার্ট অভিযোগ বক্সের অ্যাপের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা ও আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা সারমিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শওকত আকবর খান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ. এইচ. এম. শাহরিয়ার রসুল, আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহাম্মেদ, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।
প্রধান অতিথি বলেন, এবার লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি- এই চারটি ভিত্তির ওপর গড়ে তোলা হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রস্তুত হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের রোডম্যাপ। আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের এ “স্মার্ট অভিযোগ বক্স” অ্যাপটি আশুগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী-শিশু সহ ১০জন আহত হয়েছেন। আজ ৯ জুলাই রবিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার তারুয়া ইউনিয়নের তারুয়া, খারাসার ও নাওঘাট গ্রামে ১০জনকে কুকুরে কামড়ায়।
আহতদের মধ্যে ৭জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরা হলেন, হামিদা বেগম (২৪), লামিম (৬), মিহির (১২), ইয়ামিন (৫), লামিছা (৩), ফাহিম (১০) ও খাদিজা বেগম (১০)।
হাসপাতালে আহতদের স্বজনরা জানায়, উপজেলার রবিবার সকাল থেকেই উপজেলার খারাসার গ্রামে একটি পাগলা কুকুর এসে উৎপাত শুরু করে। পরে কুকুরটি খারাসার গ্রামে কয়েকজন পথচারীকে কামড়িয়ে তারুয়া ও নাওঘাট এলাকায় চলে আসে। পরে সেখানেও নারী-শিশুদের কামড়িয়ে আহত করে। ৪ শিশুকে কামড়িয়ে কোমড় ও পায়ের মাংস ক্ষতবিক্ষত করে। আহতদের মধ্যে ৭জনকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বাকী ৩জন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
এ ব্যাপারে তারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদল সাদির জানান, পাগলা কুকুর কামড়ানোর বিষয়টি জানতে পেরেছি। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, কুকুরে কামড়ানোর বিষয়টি আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলায় ২ হাজার ৪০০ কেজি (৮০ বস্তা) ভারতীয় জিরাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ২১ অক্টোবর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর রাজমনি হোটেলের সামনে থেকে কাভার্ড ভ্যান বোঝাই জিরাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুনামগঞ্জের বিশম্ভরপুর উপজেলার বোনপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবু সিদ্দিক, জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার লিলাশিখা (নতুনপাড়া) গ্রামের মো. আলমের ছেলে মো. বাহাদুর, রাজশাহীর শাহমখদুম উপজেলার নবা নতুনপাড়া গ্রামের আব্দুল গাফ্ফারের ছেলে মো. সাগর।
সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর রাজমনি হোটেলের সামনে থেকে একটি কাভার্ড ভ্যানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। কাভার্ডভ্যান তল্লাশি করে ৮০ বস্তা ভারতীয় জিরা উদ্ধার করা হয়। জিরার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে জিরা আনা হয়েছে বিধায় তাদের কাছ থেকে ৮০ বস্তা জিরা (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) ও জিরা বহনকারী কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন সৃষ্টি করেছিল বলেই তাদের নজিরবিহীন পতন হয়েছে। আমাদের বর্তমান দায়িত্ব হলো, সব ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
আজ ২৩ আগস্ট শুক্রবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার সাবেক বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি সাদেকুর রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফাইজুর রহমান, সাবেক বিএনপি নেতা ইব্রাহিম মোল্লা, মানিক চৌধুরী, হাজী আলাল শাহ, কবির সিকদার, শফিক ভূঁইয়া, আইয়ুব খান, হাবিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সেলিম সিকদার, মজিবুর রহমান, ইব্রাহিম, এনামুল হক, কালাম সিকদার, আবুল খায়ের, আকবর, হাজী জয়নাল, রোমান মিয়া ও সাবেক ছাত্রদল নেতা আক্তার হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আরো বলেন, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। তাই কোনো চক্রান্তে পা দেওয়া যাবে না। সব চক্রান্ত রুখে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। বিএনপি একটি পরিবার। দলে পদ থাকুক আর নাই থাকুক পরিবারের সঙ্গে থাকতে হবে। জনগণ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে জাতি তা দেখতে পাবে। আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিতে হবে। দেশকে ভালবেসে দেশের মানুষের জন্য কাজ করলে জনগণ বারবার আমাদেরকে সেবার সুযোগ করে দেবে ইনশাআল্লাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহাসড়কের যানবাহনে তল্লাসী করে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল, গাঁজা ও বিদেশী মদসহ ৪ পাচারকারীকে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার রাত ৮টা থেকে আজ ১১ আগস্ট রবিবার ভোর রাত পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
আটককৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৫৫৬ বোতল ফেনসিডিল, ২০ কেজি গাঁজা ও ৪ বোতল বিদেশী মদ।
আটককৃতরা হলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোঃ হাসনাত, হবিগঞ্জের চুনারঘাটের জীবন, হবিগঞ্জের মাধবপুরের মাহমুদুর রহমান, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের জাবেদ হোসেন। পরে আটককৃতদের মাদক দ্রব্যসহ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত তিনটি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার আটক করা হয়। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক জয়ন্তি বিশ্বাস জানান, মহাকসড়কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম না থাকায় সেই সুযোগে মাদক কারবারীরা সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমান মাদক বিভিন্ন পরিবহনে করে মাদক পাচার করছে। তাই শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে মহাসড়কের উপর চেক পোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাসী করে এসব মাদক উদ্ধার করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগপর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে জানান।
আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা এ সব মাদক ক্রয় করে ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় পৌছে দিতে তারা মাদক বহন করে পাচার করছিলেন।