চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলের বিখ্যাত বংশীবাদক মো. রুবেল (৩২) চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। উদীয়মান এই নক্ষত্রের আকস্মিক মৃত্যুতে সরাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তির মৃত্যুতে এতিম ৩ সন্তান নিয়ে দিশেহারা এখন স্ত্রী রুপা বেগম (৩২)।
পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার শাহবাজপুর প্রথম গেইট এলাকার প্রয়াত হাসনাত মিয়ার ছেলে রুবেল। রুবেল ২ ছেলে সন্তানের জনক। ছাত্র জীবন থেকেই সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল তার। সেই থেকেই বাঁশি বাজানো অনুশীলন করতে থাকেন। এক সময় রুবেল ভাল বংশীবাদক হয়ে ওঠেন। বড় বড় অনুষ্ঠানে রুবেলের ডাক আসতে থাকে। ইউনিয়ন ছাড়িয়ে উপজেলা, জেলায় ও সমগ্র দেশে রুবেলের পরিচিতি বিস্তৃতি লাভ করে। আর এভাবেই রুবেলের বংশীবাদকের ক্যারিশমা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার ভক্তের কাছে রুবেল হয়ে ওঠেন প্রিয় বংশীবাদক। তাঁর আচার আচরণ ও সদালাপের সুনাম খ্যাতিও মানুষের মন কাড়ে। অগণিত দর্শক শ্রোতার প্রিয় রুবেল প্রথমে ডায়বেটিস ও পরে লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে হঠাৎ করে রুবেলের শাররীক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত নিয়ে যান জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন রুবেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কৃষির উন্নয়েনে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্টের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
আজ ২২ এপ্রিল সোমবার সকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্ট (ফ্রিপ) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকায় ফসল উৎপাদনে আগাম ও আকস্মিক বন্যা, সেচের পানির অপ্রতুলতা ইত্যাদি নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি’র অর্থায়নে ফ্রিপ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিভিন্ন ধরনের সেচ অবকাঠামো নির্মান ও যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে অনবাদী জমি আবাদের আওতায় আনাতে ভূমিকা রাখতে পারবে।
সরাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষক হিসবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি অফিসার (অতিরিক্ত) এবিএম রকিবুল হাসান।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা উপকরণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ‘দেশ প্রেমের শপথ নিন, দুর্নীতিকে বিদায় দিন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সরাইল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে গতকাল ২৩ অক্টোবর বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় সভাপতি মো. আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা প্রধান অতিথি ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনীর কায়ছান।
বক্তব্য রাখেন- জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু, মাধ্যমিক শিক্ষার অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার ইতি বেগম, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহসভাপতি ও ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জিব কুমার দেবনাথ, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মানিক, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব খান, অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদী ও সাংবাদিক জুলকার নাঈন।
বক্তারা বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ প্রদানের আয়োজন করা হয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রত্যেককে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে। তবে এটা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। পারিবারিক শিক্ষাটা প্রত্যেকটা মানুষ আজীবন মনে রাখে। তাই কাজটি প্রথম প্রত্যেকের পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। এই কাজে সফলতার জন্য একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। আসুন, দুর্নীতির মতো জঘন্য কাজ প্রতিরোধে সকলে সচেষ্ট হয়। সুন্দর স্বচ্ছ পরিবার সমাজ দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখি।
প্রসঙ্গত: এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে সরাইল উপজেলার পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৩ জুন শুক্রবার সকালে উপজেলার বাড়িউড়া নামক স্থানে মরদেহটি পাওয়া যায়।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সকালে মহাসড়কে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মরদেহ দেখে মনে হয়েছে, হেঁটে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় কোনো গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা গেছেন। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কালেমা পাঠ ও অর্থকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণের মাধ্যমে এক সময়ের হিন্দু সম্প্রদায়ের হেমেন্দ্র দেবনাথ এখন মো. হিমেল তালুকদার নামে পরিচিত।
গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল সদরের শাহী জামে মসজিদে (হাটখোলা) হিমেল জুম’য়ার নামাজ আদায় করে উপস্থিত ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল মুসল্লিদের সহায়তা চেয়েছেন।
এ সময় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কুতুব উদ্দিন, খতিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আল হুদা, পেশ ইমাম মাওলানা শেখ মো. আমান উল্লাহ হিমেলকে গ্রহন করে নেন। আজ থেকে সকলকে হিমেলের পাশে থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। হিমেল জানায়, সরাইল সদরের নাথপাড়ায় তার বাসা। পিতা রামধন দেবনাথ। শিশুকাল থেকে হিমেল ইসলাম ধর্মের লোকজনের সাথে চলাফেরা উঠাবসা করে আসছে। ইসলামের পারিবারিক, সামাজিকসহ সকল রীতিনীতিই শান্তি ও কল্যাণের। তাছাড়া পবিত্র কোরআনের বাংলা কপি পাঠ করে বুঝতে ও উপলদ্বি করতে পেরেছি, ইহার বিধি বিধান ঠিক ভাবে পালন ইহকাল ও পরকালে শান্তি নিশ্চিত। আখেরাতের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি জান্নাতেও প্রবেশ করা যাবে। তাই ইসলাম ধর্মকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে একজন মুসলমান হওয়ার স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। গত ১২ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রি. তারিখে জনৈক মাওলানা’র মাধ্যমে ইসলামের মূল বাণী “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” পাঠ ও অর্থ মনে প্রাণে করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ ক্রমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। নোটারী পাবলিক রেজি: নম্বর-১২৫, তারিখ-১২.০১.২০২৩ খ্রি.। ওইদিন থেকে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করছি কিয়ামত, ফুলসেরাত, মিজান, হাসর, বেহেস্ত, দোযখ, ভালমন্দ সব কিছুই আল্লাহর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পূর্বের নাম বাদ দিয়ে ইসলাম ধর্মের বিধান অনুসারে আমার নাম রেখেছি মো. হিমেল তালুকদার। আমি ইসলামের বিধি অনুসারে ধর্মকর্ম প্রতিপালন করব। এই কাজে কেউ বিঘ্নের বা বাঁধার সৃষ্টি করতে পারবে না। তিনি জানান, ইসলাম ধর্ম গ্রহন করায় তাকে এক বছরেরও অধিক সময় আত্মগোপন করে থাকতে হয়েছে। এখনও অনেক চাপে আছেন। বেশী সমস্যা হলে তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের ভাইদের সহযোগিতা চাইবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সরাইল প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সরাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সরাইল প্রতিনিধি মো. মুরাদ খান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন, সরাইল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার ইসমত আলী, সরাইল টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার।
বক্তব্য রাখেন- সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজ আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি হাজী ইকবাল হোসেন, সরাইল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন, সাংবাদিক তৌফিক আহমেদ তফসির, সাংবাদিক মোহাম্মদ মাসুদ, সাংবাদিক মাহবুব খন্দকার, সাংবাদিক দীপক কুমার দেবনাথসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একমাত্র পাঠকপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর। পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বাংলার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশনের জন্য যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক, সংবাদ কর্মীসহ সব শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। সেই সঙ্গে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করা হয়।