চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ওজনে কম দেয়ায় মেসার্স ভূইয়া ফিলিং স্টেশন নামক একটি পাম্পকে ১লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ ও বিএসটিআই কুমিল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমান আদালত কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত মেসার্স ভূইয়া ফিলিং স্টেশন নামক একটি পাম্পকে অভিযান চালিয়ে এই অর্থদন্ড করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই পাম্পে প্রতি ৫ লিটারে ডিজেল ও অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে যথাক্রমে ৫০ মি.লি. এবং ৯০ মি.লি. কম প্রদান করায় ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন, ২০১৮ এর ৪৬ ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। উক্ত ডিসপেন্সিং ইউনিট দুইটি উল্লে¬খিত আইনের ১৫(৩) ধারায় এই অর্থদন্ড করা হয়।
এসময় বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের প্রসিকিউটর হিসেবে অফিসের কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান, পরিদর্শক (মেট্রোলজি) উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ওমরা হজ্ব করার ইচ্ছে পূরন হলোনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নিজাম উদ্দিন সরকারের। গত সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরব রেলওয়ে জংশনের আউটার পয়েন্টে মর্মান্তিক এক ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। নিজাম উদ্দিন সরকার (৬৫) সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামে। ট্রেন দুর্ঘটনার সময় নিজাম উদ্দিন সরকারের সাথে তার পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম (২৩) নাতনি তানহা বেগম (৪) এবং ১০ মাস বয়সী নাতি মুয়াস উদ্দিন ছিলো। তারা তিনজন সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর বরইছাড়া ঈদগাহ মাঠে নিজাম উদ্দিন সরকারের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
গ্রামবাসী ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওমরা হজ্ব করার ইচ্ছে পোষন করেছিলেন নিজাম উদ্দিন সরকার। ওমরার কাগজপত্র জমা দেয়া ও পুত্রবধূ ফাতেমাকে চিকিৎসা করানোর জন্য সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা দেন তিনি।
ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে বেলা ১১টার সময় কালনী ট্রেনে করে তার ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু স্টেশনে যেতে দেরি হওয়ায় ট্রেনটি মিস করেন তিনি। পরে দুপুর তিনটার সময় পুত্রবধূ ফাতেমা ও দুই নাতি-নাতনিকে নিয়ে ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে তিনি এগারো সিন্ধুর ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এদিকে রাতে বাবার মৃত্যুর খবর শুনে সৌদি আরব থেকে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি এসে পৌছান বড় ছেলে কাঞ্চন সরকার। নিজাম উদ্দিন সরকারের ছোট ছেলে আনিস সরকার সাংবাদিকদের জানান, তার বাবা ওমরা হজ্ব করার নিয়ত করেছিলেন। ওমরা করার জন্য কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য তিনি সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওয়ানা দেন। সন্ধ্যায় শুনে ট্রেন দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেছেন। তিনি বলেন, বাবার আর ওমরা করা হলো না। মহান আল্লাহতায়ালা যেন বাবার ওমরা কবুল করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সভায় যোগদান শেষে ঢাকায় ফেরার পথে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জািতক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে বহনকারী প্রাইভেটকারকে ধাওয়া করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
৮ এপ্রিল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে, পুলিশী তৎপরতায় অল্পের জন্যে হামলার হাত থেকে বেঁচে যান তিনি।
এর আগে দুপুরে আশুগঞ্জে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচীতে যোগদান শেষে সরাইল উপজেলা সদরের গরুর বাজার এলাকায় সরাইল উপজেলা বিএনপি আয়োজিত অবস্থান সভায় যোগ দেন তিনি।
সরাইলের সভায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সম্প্রতি সরাইলে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, সরাইলের মানুষ আপনাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী দিনেও আপনাদেরকে একইভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, সরাইলের মাটি বিএনপির ঘাঁটি, তারেক রহমানের ঘাঁটি, বেগম জিয়ার ঘাঁটি। সরাইলের মানুষকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবেনা।
এদিকে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাইলে আসার খবর পেয়ে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উচালিয়াপাড়া মোড়ে জড়ো হয়। পরে তারা প্রতিবাদ মিছিল বের করে। সভা শেষে পুলিশী প্রহরায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার গাড়িটি উচালিয়া পাড়া মোড়ে পৌছামাত্র ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে গাড়ীটিকে নিরাপদে স্থান ত্যাগ করার সুযোগ করে দেন।
এ সময় সরাইল উপজেলা ছাত্র ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফ উদ্দিন বলেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাইল-আশুগঞ্জের কেউ নন। তিনি এই এলাকায় বহিরাগত। তিনি প্রায়ই সরাইল এলাকার এসে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন। পাশাপাশি সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে কটুক্তি করেন। তার প্রতিবাদে আমরা তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছি। আগামীদিনেও একইভাবে তার মিথ্যাচারকে প্রতিহত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ২৩ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যার পর বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। সরাইল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ আলী ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুর আলমের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তরুণ দল সরাইল উপজেলা শাখার কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সভায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও স্থানীয় বিএনপি যুবদল ছাত্রদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ আলীর ভাই আজির উদ্দিন আহমেদ পান্নার সঙ্গে তরুণ দলের নেতা আরাফাত রহমান হৃদয়ের বিতণ্ডা হয়। এ সময় সরাইল উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুর আলম আরাফাতের পক্ষ নিয়ে কথা বলে। এ নিয়ে দুলাল ও নুর আলমের মধ্যে বিতণ্ডা হয়।
এরই জের ধরে দুই নেতার সমর্থকরা উপজেলা সদরের সড়কের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এতে সরাইল-অরুয়াইল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নদী ও প্রকৃতির সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ সরাইল উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার দুপুরে তরী বাংলাদেশ সরাইল শাখার উদ্যোগে সোমবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার নিজ দপ্তরের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই লিফলেট বিতরণী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুকের পরিচালক মোমিন হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোতাহার হোসেন, লেখক ও গবেষক সঞ্জিব কুমার দেবনাথ, তরী সরাইল শাখার আহবায়ক ও সরাইল মহিলা কলেজের আহবায়ক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সদস্য সচিব শাহগীর মৃধা, সমাজসেবক শফিকুল ইসলাম সেলু, উদীচী সরাইল শাখার সভাপতি মোজাম্মেল পাঠান, সাংবাদিক জুলকার নাইন, তরীর সদস্য মোছা: নাজমা বেগম, মো: জুনায়েদ আহমেদ, শাহীন শাহ, সৈয়দ নাদির হোসেন, আনিসুর রহমান, আব্বাস উদ্দিন, শাকিল আহমেদ, দীপক কুমার দেবনাথ, মজিদ বক্স, মো: পারভেজ প্রমুখ। এ সময় সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। পরে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে নিষিদ্ধ সিএনজি, অটোরিক্সা, থ্রি-হুইলার ও অযান্ত্রিক যানবাহনের বিরুদ্ধে খাটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালায়।
আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া, বিশ্বরোড, বাড়িউড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই অভিযান পরিচালনা করেন খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. মারগুব তৌহিদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এসআই মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, এসআই আছিফউজ্জামান, সার্জেন্ট মো. বায়েজিদ মাহমুদ সাগরসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মহাসড়কে উঠা বেশ কয়েকটি থ্রি হুইলার আটক করা হয়। এছাড়াও বিশ্বরোড মোড়ে বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার লোকজনকে ডেকে মহাসড়কের উপর গাড়ি যেন এলোমেলো করে যানজট সৃষ্টি না করে সতর্ক করেছে ওসি।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে মহাসড়কে চলাচলরত সিএনজি-২০টি, ইজিবাইক-৩৫টি, বিভাটেক-১৪টি, ট্রাক্টর-১৩ টি সহ নিষিদ্ধ ঘোষিত ৮২টি যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন প্রদান পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. মারগুব তৌহিদ বলেন, রাস্তায় যে সকল বৈধ যানবাহন আছে এবং যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে সেই লক্ষ্যে অবৈধ যানবাহন রাস্তা থেকে অপসারণ করার জন্য অভিযান পরিচালনা করছি। তারই অংশ হিসেবে আজকে আমরা বেশ কয়েকটি থ্রি হুইলার ও অবৈধ যানবাহন আটক করেছি।