চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় টিকটক করতে বাধা দেয়ায় তানিয়া আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধুর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার ভোরে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের গাববাড়ী গ্রাম থেকে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তানিয়া আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি তাদের মেয়েকে মেরে ফেলেছে স্বামীর বাড়ির লোকজন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
তানিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের গাববাড়ী গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে এনামুল হকের সাথে ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার মেয়ে তানিয়া আক্তারের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য তানিয়ার উপর নির্যাতন করতো স্বামীর বাড়ির লোকজন। এসব বিষয় নিয়ে আগে একাধিকবার সালিশ সভাও হয়েছে। তার দাবি, শনিবার রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার মেয়ে নির্যাতন করে মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। পরে স্থানীয় মেম্বার তাকে তার মেয়ের মৃত্যুর খবরটি জানায় ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মুজিবুর রহমান জানান, গৃহবধু তানিয়া টিকটক করতো। স্বামী এনামুল হক সৌদি আরবে থাকেন। অন্য ছেলেদের সাথে টিকটক করার ছবি স্বামী এনামুলের নজরে আসলে প্রবাস থেকে স্ত্রী তানিয়াকে এসব করতে নিষেধ করেন। স্বামীর অবাধ্য হওয়ায় একপর্যায়ে স্বামী এনামুল এসব ছবি তার শ্বশুড়ের নিকট পাঠানো হবে বলে স্ত্রীকে ধমক দেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমলিন্যের সৃষ্টি হয়। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে তানিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে জানান তিনি। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজু আহাম্মেদ জানান, গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। শরীরে কোনো প্রকার আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্ত শেষে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২২ ডিসেম্বর রবিবার কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিডিসি স্কুলের প্রধান সমন্বয়কারী তাসলিমা আক্তার কাকলি জানান, চিলডেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় কসবা উপজেলার ৪ টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল এবং ১৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯৮ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেছে। চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় পর্যবেক্ষণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চেয়েও পাকিস্তানিরা বিশ্ববাসীর চাপে পারেনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে তাকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল দেশটাকে আবারও পাকিস্তান বানানোর জন্য। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশটাকে টেনে তুলে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখা যায় না। এর কারণ তিনি বুজতে পেরেছিলেন এই পাকিস্তান রাষ্ট্রের মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তি আসবে না। তাই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং জীবনের ১৩ বছরেরও অধিক সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি কখনো পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপস করেননি।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানিরা নিরীহ বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা করলে তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোর রাতে স্বাধীনতার ডাক দেন। বাঙালি জাতি তার ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার পথকে তরান্বিত করবেন। আমি কসবা-আখাউড়ায় বহু উন্নয়ন করেছি। প্রায় আড়াইহাজার বেকারকে চাকরি দিয়েছি। তাই আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে থাকতে চাই।
শোকসভায় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভুঁইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এম জি হাক্কানি, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সোহাগ, কাজী আজহারুল ইসলাম, এমরান উদ্দিন জুয়েল, মনির হোসেন, শামিম আহম্মেদ, বাহাদুর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন। পরে মিলাদ ও মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৯ নভেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও নবীনগর উপজেলায় পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো:- সেলিম (৬১), মো. ইসরাইল মিয়া (৫০), মো. হাসান উদ্দিন (৫৩) ও মো. মোরসালিন আহম্মদ চৌধুরী (২৮)।
সেলিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের উলচাপাড়া এলাকার মৃত ছাহেদ আলীর ছেলে। তিনি রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া মো. ইসরাইল মিয়া পৌর শহরের বিরাসার এলাকার মৃত সফর আলীর ছেলে। ইসরাইল মিয়া বিরাসার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
মো. হাসান উদ্দিন নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ৪নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবং আটককৃত মোরসালিন কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার স্বপন চৌধুরী ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বিভিন্ন স্থানের অভিযান পরিচালনা করে দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা ও একজন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম, ইসরাইল এবং ছাত্রলীগ নেতা মোরসালিনকে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে, নবীনগর থানার ওসি হুমায়ূন কবির বলেন, জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হাসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা ও নাশকতার মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এমপি’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া শুভাগমন উপলক্ষে জেলাপরিষদের পক্ষ থেকে গতকাল রবিবার সার্কিট হাউজ ভিআইপি কক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, পরিষদ সদস্য এম এ আজিজ, অধ্যাপিকা রুমানুল ফেরদৌসী এবং কসবা পৌরসভার মেয়র এম এ জি হাক্কানী।