চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে স্থানীয় জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে মতবিনিময় করেছেন নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, নবীনগর উপজেলার কনিকাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহ আলম।
মতবিনিময় সভায় তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবীনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবার ঘোষনা দিয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে শাহ আলম বলেন, ছাত্র রাজনীতি শেষ করে আমি আমার প্রিয় জন্মভূমি নবীনগরে এসেছি ভালোবাসা নিতে এবং দিতে।
নবীনগরবাসীর সেবা ও এলাকার উন্নয়নে নিয়োজিত করার লক্ষ নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়ে ফয়জুর রহমান বাদল ভাইয়ের দিক নির্দেশনায় সকল কাজ করে যাবো ইনশাহ্ আল্লাহ্।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় জান্নাতুল রাইসা (৫) ও রাইকা আক্তার রাইসা (৪) নামে আপন দুই বোনের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের বাড়িখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই দুই বোন বাড়িখলা দক্ষিণ পাড়ার সিঙ্গাপুর প্রবাসী মাহাবুবুর রহমান সাইফুল এর সন্তান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো বাড়ির আঙিনায় খেলাধুলা করছিলেন দুই বোন জান্নাতুল রাইসা (৫)ও রাইকা আক্তার মাইশা(৪) সেখানে থেকে হঠাৎ করে ফুটবল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন বাড়ির উঠানে।
কিছুক্ষণ পর তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাদের খোঁজ শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ খুজে তাদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা টেনশনে পাড়ে প্রতিবেশীদের ডাক দেন।সবাই মিলে অনেক খোঁজাখুঁজি ও মার্কিং শুরু করেও কোন ফল পাচ্ছিলেন না। পরে তারা নিকটস্থ রাধানগর গ্রামের কয়েকজন জেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন,এমন সময় তারা বাড়ির পাশে জলাশয়ে ফুটবল ভাসছে দেখে সন্দেহ করে পানিতে নেমে দুই শিশুকে পানির নিচ থেকে উদ্ধার করেন।মুহুর্তের মধ্যে মৃত্যু দুই বোনের লাশ দেখে ওই বাড়িতে কান্নার রোল নেমে আসে।
স্থানীয়দের ধারণা, ফুটবল খেলার সময় বলটি পানিতে পড়ে যাওয়ার কারণে নিশ্চয়ই তারা দুই বোন একে একে বলটি আনতে গিয়ে জলাশয়ে নামেন। এরপর পিছলিয়ে সেখানে পড়ে গিয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে মাহাবুবুর রহমান সাইফুলের স্ত্রী রূপালি আক্তার গ্রামে বসবাস করতেন। হঠাৎ করে আদরের দুই মেয়েকে হারিয়ে তিনি সহ পুরো পরিবার বাকরুদ্ধ। এ ঘটনায় বাড়িখলা গ্রামে শোকে মাতম হয়ে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে আজ ১৯ আগস্ট শনিবার উপজেলার রতনপুর ৭নং ওয়ার্ডের শাহপুর গ্রামে একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। মেয়েটি শাহপুর জয়দুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে মেয়ের অভিভাবক, স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে বিবাহ দেওয়া হবে না মর্মে অঙ্গীকারনামা গ্রহণ করেন।
এসময় স্থানীয় কাজীকে ও সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া উপস্থিত এলাকাবাসীকে বাল্যবিবাহ রোধ করতে সকল ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে প্রায় ৩’শ বছরের প্রাচীন ‘নবীনগর বড় বাজার’ রক্ষায় নির্মানাধীন হাইওয়ে সড়কের এ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তন করতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাজারের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় লোকজন স্মারকলিপিটি প্রদান করেন। এর আগে তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে মিছিল শেষে মানববন্ধন করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন নবীনগর বড় বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম জনি, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জহির রায়হান প্রমূখ। বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির আলোকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থেকে নবীনগর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হাইওয়ে সড়ক নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের এ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী নবীনগর অংশে নবীনগর বড় বাজারের ৫’শত দোকান অধিগ্রহনের আওতায় আসবে। তারা বলেন, নবীনগরের প্রধান অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল এই বাজারটি ধ্বংস হলে অন্তত ৭ থেকে ৮ হাজার লোক বেকার হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় তারা বাজারটি রক্ষায় সড়কের নকশা পরিবর্তন করে সড়কটি নির্মাণে সরকারসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, সড়ক বিভাগের সাথে কথা বলে নকশা পরিবর্তনের সুযোগ থাকলে তা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে আশুগঞ্জ-নবীনগর সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়কটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪শ ৩৬ কোটি টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে নদী থেকে অধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের দায়ে ৯ জনকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের জাফরাবাদ এলাকায় নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম অভিযান চালিয়ে এ সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্ত হলেন বরগুনা কাউতলী উপজেলার লাউখাড়া এলাকার মো. নিয়ামুল ইসলাম, বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর এলাকার সিফুর রহমান, একই উপজেলার বীরাঙ্গল এলাকার রেজাউল করিম, একই জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চরনন্দপুর এলাকার আজিজুল হক, একই এলাকার মো. মাইদুল, একই জেলার সদর উপজেলার টঙ্গীবাড়ি এলাকার মো. মনির, নরসিংদী সদর উপজেলার নেকজানপুর এলাকার এবাদুল্লাহ, ভোলা সদর উপজেলার নন্দনুর এলাকার ওমর ফারুক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার চরমরিচাকান্দি এলাকার রাজিব মিয়া।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের জাফরাবাদ ও নতুনচর এলাকায় সরকার নির্ধারিত ড্রেজার মেশিনের চেয়ে অধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনার সময় সরকার নির্ধারিত ড্রেজার মেশিন থেকে অধিক সংখ্যক ড্রেজার মেশিন দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করায় দায়ে ৯জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নদীর তীরকে ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে ফেলার অপরাধে ৯ জনকে ২০দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এ সময় বালু মহালের ইজারাদারকে ইজারার শর্ত মেনে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় নবীনগর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলো।
স্টাফ রিপোর্টার:
ভূমি ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ নেয় সরকার। এবার ভূমি কর দেওয়া সহজ করার লক্ষ্যে সরাসরি ভূমি অফিসে গিয়ে কর দেওয়া বন্ধ করে অনলাইনে জমার নিয়ম চালু হচ্ছে। আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে দেশের কোথাও ভূমি কর অনলাইন ছাড়া দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে। ভূমি নিয়ে নাগরিকদের দ্বন্দ্ব কমাতে সব জমির মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ঘুষ বাণিজ্যের লাগাম টানতে সব এসিল্যান্ড অফিস সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সব ভূমি মালিককে একটা স্মার্ট কার্ড দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। সেখানে সব ডেটা থাকবে। এই যে ঝগড়া-ঝাটি, তার কার্ডটা দিলেই সব বের হয়ে আসবে- তার কী পরিমাণ জমি আছে, কী পরিমাণ জমি ছিল, তিনি কী পরিমাণ জমি বিক্রি করেছেন। বিক্রি করা জমি অটোমেটিক ডিডাকশন হয়ে যাবে, অ্যাডজাস্ট হয়ে যাবে। ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব আমরা অনেকটা সাকসেসফুল বাট মাঠ পর্যায়ে সমস্যা এখনও রয়ে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এমনও কমপ্লেইন আসবে যে ৫০০ টাকা কর দিত আর কিছুটা আলাদা করা হতো। এখনও কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম ৩১ ডিসেম্বর থেকে ম্যানুয়ালি ভূমিকর নেওয়া বন্ধ করতে। কিন্তু সচিব বললেন, এটা বাংলা মাসের সঙ্গে হিসাব-নিকাশ। আমরা যদি বাংলা নববর্ষ থেকে এটা করি ভালো হয়। সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘তাই আগামী ১ বৈশাখের পর থেকে আর কেউ ম্যানুয়ালি ভূমি দিতে পারবে না। তাহলে আমার এটা বন্ধ হয়ে গেলো, তাহলে তো সে (ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা) কিছু করতে পারবে না। কারণ সে ম্যানুয়ালি নিতেই পারবে না। আমরা চাইছি মাঠ পর্যায়ের সমস্যাকে মিনিমাম লেভেলে নিয়ে আসতে।’
এসময় মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয় পার্বত্য এলাকায় জমি জরিপের অগ্রগতির বিষয়ে। জবাবে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি রয়েছে। এখানে কাজ করতে আমাদের একটু কষ্ট হচ্ছে। সেখানে জরিপের কাজ করাটা, সেখানে কিছু জটিলতা রয়েছে। আমরা চাচ্ছি একটু স্লোলি, গ্র্যাজুয়ালি, কনফিডেন্স রেখে কাজটা করতে। সেখানে একটা কমিশন রয়েছে। কাজ করতে গেলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমি এখানে দিতে এসেছি। আমার কাছে অভিযোগ আসলেই আমি বলি, তদন্ত করুন এবং ব্যবস্থা নিন এবং আমাকে জানান কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অফিসারদের মধ্যে আমি একটা প্যানিক রেখেছি। আমি এসব ক্ষেত্রে খুবই রূঢ়।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে বসেছি সম্মান কামানোর জন্য। এত কষ্ট করে যদি ওদের জন্য দুর্নাম কামাতে হয়, তাহলে লাভটা কী? এ মেসেজ অলরেডি মাঠে আছে, তারপরও ওই যে কথা আছে না, চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি। বাট নো প্রবলেম তারা তাদের মতো চলুক, আমি আমার মতো চলব। সিস্টেম ডেভেলপ করেছে সিস্টেমের মধ্যে আটকাব। সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। আমরা আউটসোর্সিং করে সারাদেশে সব এসিল্যান্ড অফিসে সিসি ক্যামেরা বসাব। এ প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।