চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা নৌ কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক ভূঁইয়া (১০২) আর নেই। গতকাল রবিবার দিনগত রাত ২টার দিকে নিজ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ২ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের এই মহান বীর সেনানীর মৃত্যু সংবাদ জানার পর আত্মীয়-স্বজন, রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ শেষ বারের মত তাকে দেখতে বাড়িতে যান। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।
এদিকে ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার বাদ আছর বড় বাজার জামে মসজিদে তার প্রথম জানাযা ও বাদ মাগরিব তার পৈত্রিক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কোড্ডা গ্রামে ২য় জানাযা শেষে কোড্ডা কবরস্থানে দাফন দেওয়া হবে। এই চৌকস নৌকমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা আখাউড়া পৌরশহরের বড় বাজারে তিতাস নদীর পাড় ঘেষে একটি ছাপড়া ঘরে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নিভৃতে বসবাস করেছেন। শেষ বয়সে জাতীর এই বীর সন্তান অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, আখাউড়া প্রেসক্লাব, টেলিভিশন জার্নালিষ্ট ক্লাব, উপজেলা প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নব বন্ধন খেলাঘর আসর, আত্মীয়, লেখক আলী মাহমেদ, ৫নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর শিপন হায়দার। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে জানা যায়, ফজলুল হক ভূঁইয়া ছিলেন একজন চৌকস নৌ-কমান্ডো। মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে ১৯৭১ সালের ১৩ মে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার আম্রকাননে সুইসাইডাল স্কোয়াডে নাম লিখিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর অপারেশন এবং জামালপুর ফেরিঘাট অপারেশনে অংশ নেন। মিত্রবাহিনীর সঙ্গে একটি ব্রিজও ধ্বংস করেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডো এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের স্বাক্ষরে নৌ কমান্ডো ফজলুল হককে একটি সনদপত্র দিয়েছেন। সনদে উল্লেখ আছে নৌ কমান্ডো নম্বর ০১০১।
এদিকে নৌ কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক ভূইয়ার মৃত্যুতে আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহ বলেন, আমরা একজন বীর সন্তানকে হারালাম। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তিনি আরও বলেন, আমার জানামতে আখাউড়ায় আর কোন বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডো নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত আরো একজনের পরিচয় মিলেছে। নিহত ব্যক্তি হলেন নোয়াখালি জেলার দক্ষিণ হাতিয়ার পূর্ব সোনাদিয়া গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে কামাল উদ্দিন হৃদয় (৪০)। তার ৩ বছর বয়সের ১টি ছেলে এবং ৬ বছরের ১টি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
তিনি ফলের ব্যবসা করতেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ভিডিও কল করে স্ত্রী সন্তানের সাথে কথা বলেছিলেন এবং মাজারের দৃশ্য দেখান। সন্ধ্যা এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এই মাজার ভক্ত। নিহতের শশুর জাবের হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৪ জনেরই পরিচয় পাওয়া গেলো। ১০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আখাউড়া খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফের ওরসে মাজারের পশ্চিমে রেলপথে আন্ত:নগর পারাবাত এক্সপ্রেস ট্রেনের থাক্কায় নদীতে পড়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়। ৪টি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কমীর্রা।
আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর আবীর আহমেদ বলেন, নিহত ব্যক্তির মোবাইলের নম্বর থেকে কল দিয়ে নিহতের পরিবারের লোকজনকে ছবি পাঠালে তারা পরিচয় নিশ্চিত করে। পরে পিবিআই নিহতের ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে এনআইডির তথ্য বের করে। তাদের দেওয়া তথ্যের সাথে এনআইডি কার্ডের নাম, বয়স ও বাবার নাম মিল আছে। তবে ঠিকানা কুমিল্লা লিখা। আমরা তাদেরকে লাশ নেওয়ার জন্য শুক্রবার রাতের ট্রেনে থানায় আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা না আসায় অজ্ঞাতানামা হিসেবে মরদেহটি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে দেওয়ার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিহত কামাল উদ্দিন হৃদয়ের শশুর জাবের আহমেদ বলেন, আমার জামাতা চট্টগ্রামে ফলের ব্যবসা করতো। সে মাজারের ভক্ত ছিল। প্রতি বছরই ওরশের সময় মাজারে যেত। ওই দিন দুপুরে ভিডিও কল করে আমাদের সাথে বলে। মাজার এলাকার দৃশ্য দেখায়। মাগরিবের সময় ফোন করে বলেছিল ভিডিও কল করতে কিন্তু মোবাইলে চার্জ ছিল না। পরে ফোন চার্জ দিয়ে কল দিয়ে তার মোবাইলটি বন্ধ পাই। তারপর অনেকবার ফোন করেও ফোন সচল পাইনি। পরদিন শুক্রবার দুপুরে আখাউড়া থানা থেকে আমাদেরকে ফোন করে। পরে ছবি পাঠালে আমরা সনাক্ত করি। আমাদেরকে বলেছিল ৪/৫ ঘন্টার মধ্যে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে এ ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুস্থ প্রখ্যাত আউলিয়া হযরত শাহ্ সৈয়দ আহাম্মদ গেছু দারাজ (র.) প্রকাশ্য শাহ্পীর কেল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফের বার্ষিক ওরশের বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৩ মিনিটে বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাজার শরীফ জামে মসজিদের খতীব হাফেজ মাওঃ মোঃ লুৎফুর রহমান খাদেম।
প্রায় ২৫ মিনিট ধরে চলা মোনাজাতে লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয়। মোনাজাতে ওরশে এসে ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত ৪ জনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এসময় ১৫ আগষ্ট কালরাতে শাহাদাৎবরনকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদের জন্য দোয়া কামনা করা হয়। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং বিশ^বাসীর কল্যাণ কামনা করা হয়। আগামী ১৬ আগস্ট ওরশের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
এর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাজার কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি অংগ্যজাই মারমা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, মাজার কমিটির সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টু, মাজার কমিটির সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর তাকদির খান খাদেম প্রমুখ। এদিকে ১০ আগস্ট ওরশে এসে ট্রেন দুর্ঘটায় নিহত হওয়া ৪ মাজার ভক্তের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিবে মাজার কমিটি। ওরশের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিহতদের পরিবারের হাতে সহায়তার অর্থ তুলে দেওয়া হবে।
নিহতরা হলেন নরসিংদী জেলার মাধবদি থানার নোয়াকান্দি গ্রামের গাজী মিয়ার পুত্রে শুকুর মিয়া (৬০), একই জেলার পলাশ উপজেলার মোতালেব মিয়ার পুত্র মোজাম্মেল, (২০), নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলার চিলকান্দি গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলেমতি ভূইয়া (৫৫) এবং নোয়াখালি জেলার দক্ষিণ হাতিয়ার পূর্ব সোনাদিয়া গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে কামাল উদ্দিন হৃদয় (৪০)।
এ ব্যপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাজার শরীফ পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অংগ্যজাই মারমা বলেন, প্রথমেই নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। ১৬ আগষ্ট ওরশ শেষ হবে। তারপর নিহতদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে সহায়তার অর্থ হস্তান্তর করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার সঠিক তদন্তের জন্য পুলিশকে ৫০ বছর সময় দিতে হবে’ আইনমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয় জানতে চাইলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেন, এটা বিতর্কের প্রশ্ন না। আমার কষ্ট হয়। আপনাদের জন্য ভালো কথা বললেও আপনারা অন্য ভাবে নেন। আমি বলেছি, যারা সত্যিকারের এই অপরাধটা করেছে তাদেরকে ধৃত করার জন্য সবরকম চেষ্টা করেও যদি সময় লাগে এবং আপেক্ষিক ভাবে আমি বলেছি ৫০ বছরও যদি লাগে। কিন্তু যারা এই অপরাধ করেছে তাদেরকে ধরার জন্য যত সময় লাগুক তাদেরকে আমরা ধরবো। এই কথাকে আপনারা (সাংবাদিক) মনে করেছেন যে, ৫০ বছর লাগবে।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আমার কথা হচ্ছে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। আসল অপরাধিকে ধরা উচিত। আমাদের আইনী কাঠামোতে বলা হয়, যে অপরাধি নয়, তাকে হয়রানি করা যাবে না। প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে হবে। সেই কারণে আমি এই কথা বলেছি। আপনারা (সাংবাদিক) গেলেন ক্ষ্যাপে। আমি বুঝলাম না ভালো কথা বললেও আপনারা এরকম ক্ষেপে যান কেন, প্রশ্ন তাঁর।
এই মামলাটির তদন্ত ধীর গতি হচ্ছে কিনা এবং এরকম বিলম্বে তদন্তের আর নজির আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আমি যেই কারণে সময়ের কথাটা বলেছি। পৃথিবীতে এরকম অনেক মামলা আছে। ৪২ বছর পরে ইউনাইটেড কিংডমে (যুক্তরাজ্য) একটি খুনের মামলার আসামীদেরকে ধরতে পেরেছে। এমেরিকায় কিছু দিন আগে ২৪ বছর পরে একটি খুনের মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে। আমার কথা হচ্ছে-পুলিশ চেষ্টা করছে। তাদের তদন্ত চলছে। প্রকৃত আসামীকে এখন পর্যন্ত তদেেন্ত ধরতে পারছে না, এই জন্য তদন্তে সময় লাগছে।
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, আপনারা কি চান তদন্ত বন্ধ হয়ে যাক। আমি এই কারণেই বলেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত অপরাধিকে না ধরা হবে ততদিন পর্যন্ত তদন্ত চলবে।
এর আগে ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে আইনমন্ত্রী আনিসুল সকাল সোয়া দশটায় আখাউড়া জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি ২ দিনের সফরে নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন। তিনি বিকালে কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় যোগদান করবেন। পরদিন আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে একটি সেতু উদ্বোধন এবং দলীয় জনসভায় যোগদান করার কথা রয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন, উপজেলা মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক পিয়ারা আক্তার পিওনা প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২০ জুন মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার সকল সাংবাদিকবৃন্দের ব্যানারে পৌরশহরের সড়ক বাজার মুক্তমঞ্চের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা পরিষদের সদস্য ও বাংলা টিভির আখাউড়া প্রতিনিধি মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার আখাউড়া প্রতিনিধি কাজী হান্নান খাদেম, কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, যুগান্তর পত্রিকার আখাউড়া প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশু, দিনকাল পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল জলিল, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি জুটন বনিক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার আখাউড়া প্রতিবেদক রুবেল আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা সাংবাদিকরা গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে সাংবাদিক সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ মিছিল করে স্টেশন রোডসহ প্রদক্ষিণ করে কর্মসূচি সমাপ্ত করে।
এশিয়ান টেলিভিশনের আখাউড়া প্রতিনিধি অমিত হাসান আবিরের উপস্থাপনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন লিটন, নাসির উদ্দিন, ফজলে রাব্বি, সফিকুল ইসলাম খান, সাদ্দাম হোসেন, মোশাররফ হোসেন, নাজমুল আহমেদ রনি, শেখ মনির হোসেন নিজাম, জহিরুল ইসলাম সাগর, হাসান মাহমুদ পারভেজ, ইসমাঈল হোসেন, জুনাইদ আহমেদ পলক, মাসকুর রহমান আলম, অমিত হাসান অপু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে এখনও কোনো কাগজপত্র আসেনি। এজন্য তাদেরকে (বিএনপি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইতে পারে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পরেও উনার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে এভার কেয়ার হাসতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন এটা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায়। সেক্ষেত্রে তারা (বিএনপি) আবেদন করার পরে সেটা দেখা যাবে।
বিএনপির হরতাল অবরোধ কর্মসূচির হুমকি প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি আইন ভঙ্গ করে তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সকাল পৌনে এগারটায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে তিনি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। পরে তিনি সড়ক পথে নিজ এলাকা কসবা উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।