চলারপথে রিপোর্ট :
প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট ২০২৩-২৪ এর ফাইনাল খেলা নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার অপারেশন ম্যানেজার মোঃ আতিকুল ইসলাম খান।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাজমুল হক সেলিম, আবু কাউছার খান, আহমেদ হোসেন বুলবুল, আইডিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক রাজিব রায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচচ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সামন্নুহার প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সার্বিক পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মোঃ রুহুল কুদ্দুছ (শামীম)।
খেলায় টসে আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ জয়লাভ করে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ৪৪.৫ ওভারে ১৬৯ রান করে অল আউট হয়। অধিনায়ক তপু দত্ত ৫৫ ও আব্দুর ২০ রান করে। সম্মান ৩টি উইকেট পায়। বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় ২১.৪ ওভারে ৪১ রান করে অল আউট হয়। অধিনায়ক মেহেদী হাসান সর্বোচচ ১০ রান করে। আইডিয়ালের আরমান হোসেন তারেক ৫টি ও তপু দত্ত ২টি উইকেট পায়।
প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের তপু দত্ত।
খেলা পরিচালনা করেন আম্পায়ার মোঃ আজিম ও আব্দুল্লাহ আল গাফ্ফার রিমন। স্কোরার আল মামুন ও রাহিম খান।
অনলাইন ডেস্ক :
গত বছর প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। চলতি সফরে ওয়ানডেতেও ১ম জয় পেয়েছে টাইগাররা। তাসমান সাগর পাড়ের এই দেশটাতে এতদিন টি-টোয়েন্টিতেও জয়হীন ছিল বাংলাদেশ। আজ সেই আক্ষেপ ঘুচেছে। ৫ উইকেটের জয়ে ইতিহাস গড়ে সিরিজ শুরু করেছে টাইগাররা।
আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান এসেছে জিমি নিশামের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ২৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। জবাবে ১ ওভার ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। এলো-মেলো ব্যাটিংয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন রনি তালুকদার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মিলনেকে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১০ রান।
তিনে নেমে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। উইকেটে এসে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন তিনি। কিন্তু থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৪ বলে ১৯ রান করে মিড অফে সহজ ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন সৌম্য। ওয়ানডের ফর্মটাই যেন টি-টোয়েন্টিতে টেনে এনেছেন তিনি। দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটার ঝোড়ো শুরু করেছিলেন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নবম ওভারে বেন সিয়ার্সের ‘ইউ মিস আই হিট’ টাইপের বলে লাইন মিস করেন সৌম্য, বল আঘাত হানে সরাসরি স্টাম্পে। সৌম্যের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ২২ রান।
সৌম্য ফিরলে তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দেখে-শুনে ব্যাটিং করেন লিটন দাস। প্রয়োজনীয় রান রেট বজায় রেখে ব্যাটিং করছিলেন তারা। ক্রমশই ম্যাচ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছিলেন কিউইদের। ১৪তম ওভারে হৃদয়কে ১৯ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন স্যান্টনার। পরের ওভারেই ফেরেন আফিফ হোসেনও। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সেই চাপ পাকা হাতে সামাল দেন লিটন। শেখ মেহেদি তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন। শেষ পর্যন্ত লিটন অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৪২ রান করে। আর মেহেদির ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১৯ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কিউই ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত হানে বাংলাদেশ। চতুর্থ বলে টিম সেইফার্টকে সাজঘরের পথ ধরান শেখ মেহেদি। অফ স্টাম্পের ওপর খানিকটা খাটো লেন্থে সোজা বল করেছিলেন এই অফ স্পিনার, টার্নের আশায় খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন সেইফার্ট।
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে রীতিমতো আগুন ঝরান শরিফুল। ওভারের দ্বিতীয় বলটি লেন্থ ডেলিভারী ছিল এই বাঁহাতি পেসারের। সেখানে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে সৌম্যের হাতে ধরা পড়েন ফিন অ্যালেন।
পরের বলেও উইকেট পান শরিফুল। এই বাঁহাতি পেসারের লেগ স্টাম্পের ওপর করা বল ভেতরের দিকে ঢোকার সময় ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন গ্লেন ফিলিপস। ব্যাটে খেলতে পারেননি, বল আঘাত হানে তার প্যাডে। তবে লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। গোল্ডেন ডাক খেয়ে ফিলিপস ফিরে গেলে ১ রানেই ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বোলিং ইউনিটের অসাধারণ এক পারফরমেন্স!
শুরুর ধাক্কা সামলে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন ড্যারিল মিচেল ও মার্ক চ্যাপম্যান। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে পারেননি মিচেলও। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন মেহেদি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১৪ রান।
ইনিংসের দশম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন রিশাদ হোসেন। আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পান এই লেগ স্পিনার। রিশাদের ফুল লেন্থের বলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ কভার পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দেন চ্যাপম্যান।
এরপর স্যান্টারকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটির পথে এগোচ্ছিলেন নিশাম। ১৫তম ওভারে স্যান্টনারকে ফিরিয়ে ৪১ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল। অবশ্য সেখানে বড় অবদান সৌম্যের। মিড উইকেটে সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তিনি। খালি চোখে আম্পায়ার বুঝতে পারেননি, আসলে কী ঘটেছে। এরপর থার্ড আম্পায়ার বেশ কয়েকবার দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন।
৯১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও কিউইদের আশার আলো হয়ে এক প্রান্তে জ্বলছিলেন নিশাম। ৪৮ রানে তাকে ফেরান মুস্তাফিজ। নিশাম ফেরার পর রানের গতি কমে যায় স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকটি জেলার ১০ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থায়ীভাবে চাকুরি চাকরিচ্যুৎ করা হয়। এরই প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার বিদ্যুৎ সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দাবি আদায় না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে না বলে নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন।
বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চাকরি বিধি ১৯৯২ (সংশোধিত, ২০১২) অনুযায়ী চাকরি হতে অব্যাহতি দেয়া হলো।
চাকরি হতে স্থায়ী বহিস্কৃতরা হলো- ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. সালাহ উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান ভূইয়া, নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ম্যানেজার মনির হেসেন, মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রাহাত, ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল হাকিম, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৪ এর সিনিয়র সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওয়্যারিং পরিদর্শক সালাম জাবেদ, বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারমো. হুমায়ুন কবীর, মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস ও কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দিপক কুমার সিংহ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের ৮০ ভাগ অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ৪৭ বছর ধরে চলমান আছে। তাদের শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব অনিয়মিত ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবি তোলা হয়। বিদ্যুৎ সচিবসহ প্রধান উপদেষ্টার দাবি তাদের দাবিকে যৌক্তিক বললেও বাস্তবায়ন না করে উল্টো আমাদের ১০ কর্মকর্তাকে চাকুরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং একজনকে আইসিটি আইনে গ্রেফতার করা হয়। যা আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে।
নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আরইবির লোকজনের কেনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য নির্মাণসামগ্রী থেকে শুরু করে সব মালামাল খুবই নিম্নমানের। এসবের কারণে ভূতুড়ে বিল আসে। এর দায় আসে আমাদের ওপর। আমরা এসবের প্রতিবাদ করায় আমাদের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। চাকরি থেকে বহিষ্কার করা ১০ কর্মকর্তার সব মামলা বাতিল করে সসম্মানে চাকরিতে পূনর্বহালসহ আমাদের যৌক্তিক সকল দাবি না মানলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুনরায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দিলেন আইনজীবীরা। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনজীবীর সমিতিরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভা ও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে তাদের সকল আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু হবে চলবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জেলা আইনজীবী সমিতির সূত্রে জানা গেছে, আদালতের শীতকালীর ছুটির আগে গত ১ ডিসেম্বর আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন তিনটি মামলা না নেয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন শুরু করেন আইনজীবীরা। ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে একদিনের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেন আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে দুই আদালত ব্যতিত (জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত) সকল আদালতে ফিরে যান আইনজীবীরা। এতে আদালতের অচলাবস্থা দূর হয়।
গত ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আইনজীবীদের দাবি পূরন না হওয়ায় তারা ওইদিন বিশেষ সাধারণ সভা করে তারা তাদের কর্মসূচি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ৩০ জানুয়ারি মধ্যে তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় তাদের কর্মসূচি আবার ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার আইনজীবীরা তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় বিশেষ সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ তানবীর ভূঞা জানান, গত ৩০ জানুয়ারি সমিতির সাধারণ সভা করে তাদের কর্মসূচি ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। ওই সভায় বলা হয়েছিল উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে পুনরায় বিশেষ সাধারণ সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।
কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরা মঙ্গলবার পুনরায় সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। সকল আইজীবীর মতামতের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার থেকে তাদের সকল আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাজিলের কোপাকাবানায় মার্কিন পপ তারকা লেডি গাগার কনসার্টে বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল একটি শিশু-কিশোর অপরাধচক্র। পুলিশ সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে হামলার মূল হোতা এবং এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের পুলিশ। গতকাল রবিবার কনসার্টের পরদিন এ তথ্য প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এমনকি লেডি গাগা ও তাঁর টিমও প্রথমে সংবাদমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানতে পারেন।
লেডি গাগার একজন মুখপাত্র দ্য হলিউড রিপোর্টারকে বলেন, ‘আমরা আজ সকালে গণমাধ্যমে খবর দেখে এই কথিত হুমকির কথা জানতে পেরেছি। কনসার্টের আগে কিংবা চলাকালীন কোনো নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের তথ্য আমাদের জানানো হয়নি।’
ব্রাজিলের পুলিশ ও বিচার বিভাগের বরাতে বিবিসি জানায়, পরিকল্পনাকারীরা হাতে বানানো বিস্ফোরক দিয়ে হামলা করতে চেয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল লেডি গাগার কনসার্টে হামলা চালিয়ে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পাওয়া। পুলিশ আরও জানায়, এই গ্যাং এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের বিরোধী মনোভাব পোষণ করত এবং বেশিরভাগ সদস্যই শিশু ও কিশোর।
মূল পরিকল্পনাকারীর বিরুদ্ধে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ রয়েছে। অপর কিশোরটির বিরুদ্ধে হামলার ছকে যুক্ত থাকা এবং শিশু পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই চক্রটি শিশু-কিশোরদের চরমপন্থায় উৎসাহিত করত— সহিংসতা, এমনকি আত্মঘাতী প্রবণতার দিকেও।
ব্রাজিলের বিচার বিভাগ জানায়, এ গ্যাং নিজেদের ‘লিটল মনস্টার’ পরিচয়ে পরিচিত করত, যা লেডি গাগার ভক্তদের ব্যবহৃত শব্দ। তবে তাদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই পুলিশের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। মূলত তারা অনলাইন গ্রুপে সাংকেতিক ভাষায় চরমপন্থা ছড়াত। এর ভিত্তিতে পুলিশের ‘অপারেশন ফেক মনস্টার’ অভিযানে রিও ডি জেনিরো, মাতো গ্রোসো, রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল এবং সাও পাওলোতে অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও অন্যান্য সরঞ্জাম।
গত শনিবার নিজের অষ্টম অ্যালবাম ‘ম্যাহেম’-এর প্রচারের অংশ হিসেবে কোপাকাবানায় কনসার্ট করেন লেডি গাগা। এ সময় সৈকতে উপস্থিত ছিল প্রায় ২১ লাখ শ্রোতা। এর আগে তিনি ২০১২ সালে ব্রাজিলে পারফর্ম করেছিলেন।
সূত্র: বিবিসি, দ্য হলিউড রিপোর্টার
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
চতুর্থবারের মত গ্র্যামি জয় করলেন জনপ্রিয় কলম্বিয়ান সংগীতশিল্পী শাকিরা। ‘লাস মুজেরেস ইয়ো না লোরান’ অ্যালবামের জন্য সংগীতশিল্পী শাকিরা এই পুরস্কার পেয়েছেন। আর এর সাথেই একটি বড় সিদ্ধান্ত নিলেন গায়িকা! জানালেন, তার এই পুরস্কারটি উৎসর্গ করছেন অভিবাসী ভাইবোনদের জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে প্রতিবারের মতো এবারও বসে গ্র্যামির আসর। ৬৭ তম আয়োজনে বিশ্বখ্যাত তারকাদের দ্যুতিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এই অনুষ্ঠান। এদিন সংগীতশিল্পী শাকিরার হাতে পুরস্কার তুলে দেন মার্কিন তারকা জেনিফার লোপেজ। সে সময় দর্শক আসনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রীর দুই সন্তান মিলান এবং সাশা।
পুরস্কার হাতে নিয়ে রীতিমতো আবেগি হয়ে পড়েন গায়িকা। এরপর বক্তব্যের শুরুতে আমেরিকার ভয়াবহ দাবানলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কথা বলেন তিনি। এরপর তার পাওয়া পুরস্কার ‘অভিবাসী ভাইবোন’দের উৎসর্গ করেন শাকিরা। বলেন, আমি আমার পুরস্কার অভিবাসী ভাইবোনদের উৎসর্গ করছি। তারা ভালোবাসার যোগ্য। তাদেরই এটা প্রাপ্য। আমি সবসময় তাদের লড়াইয়ের পাশে আছি।
এ সময় বিশ্বের প্রতিটি কর্মজীবী নারীর পরিশ্রমকেও কুর্নিশ জানান শাকিরা।
শাকিরার এই অর্জনে শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন লাস্যময়ী গায়িকা। পুরস্কার নেয়ার পর সংগীতশিল্পী শাকিরা পারফর্মও করেন। যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই বাকরুদ্ধ দর্শকরা।