চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে কসবা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালনে শোভা যাত্রা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহামমদ শাহরিয়ার মুক্তার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কসবা পৌর মেয়র মোঃ গোলাম হাক্কানী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ সোলেমান খান, উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার অবসরপ্রাপ্ত শামসুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে চলাচলকারী ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও কর্ণফুলি ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রেন দুটি এক থেকে দুই ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করেছে।
আজ ১৪ মে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা স্টেশনে ও চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলি এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পড়ে। তবে বিকল্প একাধিক লাইন থাকায় ওই সময়ে ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা এলাকায় পৌঁছলে ট্রেনের “গ”-বগি সংযোগ স্থলের নিচের দিকে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ট্রেনটি কসবা স্টেশন এলাকায় থেমে যায়। পরে বিকল হওয়া “গ”-বগিটি বিচ্ছিন্ন করে ওই বগিটি কসবা স্টেশনে রেখে দুই ঘন্টা পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে কসবা স্টেশন ত্যাগ করে। অপর দিকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পরে। পরে ইঞ্জিন সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সফিকুল ইসলাম জানান, বিকল হওয়ার পর দুই ঘন্টা বিলম্বে চট্টলা ট্রেনটি গ-বগি রেখে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দীর্ঘক্ষণ বিলম্বের কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পরে। তবে ওই পথে বিকল্প একাধিক রেলপথ থাকায় ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। পরে ১ঘন্টা বিলম্বের পর ট্রেনের ইঞ্জিনটি সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান মামলা ও কারাদন্ড দেওয়ার পরও কসবায় বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় কাটা। রাতের আধাঁরে কেটে নেওয়া হচ্ছে পাহাড় ও টিলা ভূমি। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের লতুয়ামুড়া এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে মামুন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে সাত দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এ আদালত পরিচালনা করেছেন প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ইকরামুল হক নাহিদ এবং তৌহিদুল ইসলাম। তাদেরকে সহযোগীতা করেছেন জেলা পুলিশ ও বিজিবি।
কারাদন্ড প্রাপ্ত মো. মামুন মিয়া কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের লতুয়ামুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে গতকাল শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নে পাহাড় রয়েছে। কসবা উপজেলার মাদলা মৌজায় এক দাগেই পাহাড় রয়েছে দুইশ ৩৭ একর। এনিয়ে দুই ইউনিয়নে পাহাড় রয়েছে তিনশ ৭৫ একর। তবে স্থানীয়দের ধারণা ৫০ একরেরও বেশী পরিমান পাহাড় কেটে নেওয়া হয়েছে। এভাবে কাটতে থাকলে এক সময় পাহাড়হীন হয়ে পড়বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র পাহাড় কাটা ও মাটি বিক্রয়ের সাথে জড়িত। তারা প্রকৃতিরখুঁটি পাহাড় ধ্বংস করছে। তাদের সাথে রয়েছে ভূমি অফিসের কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশ।
কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার দায়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মামুন মিয়া নামের একজনকে সাতদিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জহিরুল হক কবির বলেন, পাহাড় কাটার দায়ে কারাদন্ডপ্রাপ্ত মামুন মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় উঠানে ধান শুকানো নিয়ে ছুরিকাঘাতে চাচাতো ভাইকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শাওন ফকিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।
গ্রেফতার শাওন ফকির (২৫) কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিয়া গ্রামে লিটন ফকিরের ছেলে।
কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার উত্তরা থেকে শাওন ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা থেকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবার গ্যাস কসবায় চাই, শ্লোগানে গ্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। আজ ২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবার তারাপুর গ্যাসকুপ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে পৌরশহরে ষ্টেশন রোডে এসে মানববন্ধন করেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সাথে এলাকাবাসী এবং গ্যাস ক্ষেত্র তৈরিতে অধিগ্রহনে ন্যায্য মুল্য না পাওয়া জমির মালিকরাও অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক শরীফুল ইসলাম ভুঁইয়া, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিয়াউল হুদা শিপন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষে তানভীর ইসলাম শাহীন, ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে এই গ্যাসকুপটি খনন করা হয়। শতশত কোটি টাকা খরচ কুপটি খনন করা হলেও গ্যাস উত্তোলন করা হয়নি আজও। এলাকার সাবেক সাংসদ আইনমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন এখানে গ্যাস উত্তোলন করা হলে কসবাবাসী আগে গ্যাস পাবে। তারপর জাতীয় গ্রীডে যাবে বাকি গ্যাস। এই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী তানভীর ইসলাম শাহীন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার নেতৃবৃন্দের হাতে থাকা তথ্যমতে এবং বাপেক্স থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী তারাপুর গ্যাসকুপে সম্ভাবনাময় গ্যাস থাকা সত্ত্বেও অনিয়ম ও রহস্যজনক কারনে বন্ধ রাখা হয় বলে দাবি করেন। এখানে বিপুল পরিমানে গ্যাস মজুদ রয়েছে যা দেশের ঘাটতি পুরনে সহায়ক হবে। দ্রুত এটি উত্তোলনের দাবি তাদের।
এসময় তারা দাবি করেন, ভারতের সাথে আতাঁত করে এই সাত বছর ধরে গ্যাস উত্তোলনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এই গ্যাসকুপ খনন থেকে শুরু এই পর্যন্ত ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নিকট তাদের দাবি এই গ্যাস কুপ খননে সকল অনিয়ম এবং উত্তোলন বন্ধ রাখার কারণ জনতার সামনে তুলে ধরে পুনরায় গ্যাসকুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করে কসবাবাসীর দাবি যেন পুরণ করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিন বলেন, কুপ খনন কার্যক্রম শুরুতে তিনি সহ অন্যান্য কৃষকের নিকট গ্রহনকৃত জমির টাকার জন্য বাপেক্স’র সংশ্লিষ্টদের কাছে ধর্ণা দিয়েও সুফল পাচ্ছেনা। তাদের দাবি হয় জমিগুলো অধিগ্রহন করে সকল টাকা বুঝিয়ে দেয়া হোক নয়তো কৃষকের জমি কৃষককে ফেরত দেয়া হোক।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার ও বিক্রির দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৭ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার দুপুরে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সারওয়ার।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর শহরের পুরাতন বাজারে অভিযান চালানো হয়। এসময় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার করায় তিন ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১২০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।