অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতি দমনে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের সেবা অব্যাহত রাখার এবং এ জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বলব, আপনারা দেশের মানুষের সেবা করেন। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন, এটা হচ্ছে পুলিশের মূলমন্ত্র। কাজেই পুলিশ বাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করবে―এটাই সব সময় আমাদের কাম্য।’
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ছয় দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪’-এর উদ্বোধনকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশের মানুষ পুলিশের প্রতি সে আস্থা রাখতে পারছে। কাজেই আপনারা আন্তরিকতার সাথে মানুষের সেবা করবেন, সেটাই আমরা চাই। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর এই ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হলে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা একান্তভাবে অপরিহার্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে তখনই আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। কাজেই পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সব সময় চলে আসছে এবং এটাকেই প্রতিষ্ঠা করা একান্তভাবে দরকার। সে কারণেই আমি মনে করি আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের সততা, পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, ত্যাগ, বীরত্ব ও দেশপ্রেম ও মানবীয় মূল্যবোধ নিয়েই জনগণের সেবা করবে। পুলিশ বাহিনীকে আমরা সেভাবেই গড়ে তুলছি।’
১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে জাতির পিতা প্রদত্ত ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের জনগণের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আরো একনিষ্ঠ হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জাতির পিতা বলেছিলেন, তোমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ। তোমরা ইংরেজের পুলিশ নও। তোমরা পাকিস্তানি শোষকদের পুলিশ নও।
তোমরা জনগণের পুলিশ। তোমাদের কর্তব্য জনগণকে সেবা করা। বাংলার মানুষ চায় তারা শান্তিতে ঘুমাক। তোমাদের কাছ থেকে আশা করে যে, চোর, বদমাশ, গুণ্ডা, দুর্নীতিবাজ তাদের ওপর অত্যাচার না করে। তোমাদের কর্তব্য অনেক বেশি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার ভাষণের এই মর্মবাণী ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য গভীর দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যাবে, এই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী খোলা জিপে চড়ে বাংলাদেশ পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন পুলিশ বাহিনী বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী সাহসী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৫ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-বীরত্ব) এবং ৬০ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম-বীরত্ব) প্রদান করেন।
এ ছাড়া ৯৫ জন পুলিশ সদস্য বিপিএম সেবা পদক এবং ২১০ জন পিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। সূত্র : বাসস
চলারপথে ডেস্ক :
সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে আবারও সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘বিপদ আসতে পারে, সতর্ক থাকুন।’
আজ ০১ মার্চ বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এই সতর্কতার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনা এবং বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান দেশের বাইরে থাকায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী কী ধরনের বিপদের বিষয়ে সতর্ক করেছেন- জানতে চাইলে ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের কথাই বোঝাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যান্য নিদের্শনা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য সংকট মোকাবিলায় উৎপাদন এবং সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। আমনের ফলন ভালো হয়েছে এবার। বোরো উৎপাদনে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কোনোভাবেই যেন জমি পতিত ফেলে রাখা না হয় আবারও সেই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ চলছে। এটি চালু হলে আমরা আবহাওয়া থেকে শুরু করে সব প্রয়োজনীয় তথ্য পাবো।
আজ ১০ মে শুক্রবার বেলা ১২টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছি। এতে কেউ যদি ৫০০ টাকা জমা দেয় তাহলে তাকে সরকারের পক্ষ থেকে আরও ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা চালু করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে, খাদ্যের নিশ্চয়তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারে আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে।
তিনি বলেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখা যাবে না। সারা বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে যৌথভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ২৪ মে বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তর হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ফ্রিজে কাঁচা এবং রান্না করা খাবার একসাথে রাখাসহ নানা অভিযোগে ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা জানান, মিরপুর বাজারে অভিযানকালে ফ্রিজে রান্না করা এবং কাঁচা খাবার একসাথে রাখা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সরবরাহের অভিযোগে যমুনা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার, খাবারে রং মিশ্রণের অপরাধে লোকনাথ সুইটমিটকে ৫ হাজার, বিশ্বজিৎ চা ক্যান্টিনকে ৪ হাজার, মূল্য তালিকা না থাকায় মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়কে ৩ হাজার ও আলমগীর পোল্ট্রিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন বাহুবল মডেল থানার একদল পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জমাদিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে পবিত্র জমাদিউস সানি মাস গণনা করা হবে।
আজ ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু আ হামিদ জমাদ্দার।
সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জমাদিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জমাদিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এমতাবস্থায়, শুক্রবার থেকে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জমাদিউস সানি মাস গণনা শুরু হবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মহা. বশিরুল আলম, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, চকবাজার শাহী জামে সজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ৪ অক্টোবর বুধবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ৩টায় কানাডার টরন্টোর আসোয়া শহরের লেকরিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি।
তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণীতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
কবি আসাদ চৌধুরী গত কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে কানাডার টরন্টোতে বসবাস করছেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে থাকেন অটোয়ায়।
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী এবং মায়ের নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম।
জানা যায়, কবি আসাদ চৌধুরীর ফুসফুস ও হার্ট দুটিরই খুব জটিল অবস্থা ছিল। হঠাৎ তাঁর শরীর খারাপ করলে কানাডার ওসোয়ার হাসপাতালটিতে তাকে ভর্তি করা হয়।
সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন। তার ১৯৮৩ সালে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। তার সম্পাদিত বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক গ্রন্থ ‘সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু।’
তিনি ১৯৬০ সালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ সন পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন।
১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি ‘ভয়েস অব জার্মানি’র বাংলাদেশ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে যোগদান করে দীর্ঘকাল চাকরির পর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে অবসর নেন।বাসস