চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে নোয়াবাড়ী গোষ্ঠীর সাথে মেম্বার গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টায় উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ আনতে ৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় কমপক্ষে ১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আহতদের মধ্যে ৪৭ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকজনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কাউসার আহমেদও রয়েছেন। বিভিন্ন স্থান ও জেলা সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৩৩জনকে আটক করে পুলিশ।
চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন, কাউসার (৪২), মুখলেস (২৯), মোহন (২৫), জহুরুল হক (৩২), আব্দুল্লাহ (২৫), ছোট্ট মিয়া (৫৫), মিলন মিয়া (২৩), রিপন মিয়া (২৯), জাকির মিয়া (২৮), রিপন মিয়া (২২), আব্বাস আলি (৪৫), তানভীর (২২), আশু মিয়া (৪২), শফিকুল (৩২), রফিক (৩৮), জসিম (৩২), রিপন (২৮), আবু লাল (৪০), কাউসার (১৪), আবন মিয়া (৩০), জয়নাল (৪০), লুৎফুর (৩০), সাদেকুল (৪০), নাজমুল (২০), ওহিদ (৪০), তারেক (২০), রামিত (৩০), জসিম (২০), সিরাজ (৪৫), কুশনাহার (৪০), রাসেল (১৪), নাসির মিয়া (৪৫), ফায়েজ মিয়া (৩০), বিল্লাল মিয়া (৩৫), আব্দুল্লাহ (২৭), আবু তাহের (৯০), মোশাররফ (৩০), সাকিব (১৮), মিলন (২৮), মনা মিয়া (১৮), নাঈম (১৫), হাকিম (৩০), শামীম (৩০), আবুল হোসেন (৩৫), মোজাম্মেল (২৫), মামুন (৩৫), আজগর (৪০)। তবে কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
স্থানীয়রা জানায়, ইউপি নির্বাচন পরবর্তী বিরোধ নিয়ে স্থানীয় নোয়াব আলী গোষ্ঠীর সাথে কাউসার মেম্বার গোষ্ঠী, হাড়িবাড়ি, মোড়াবাড়ি, উত্তরপাড়া, সৈদা বাড়ি, হাজী গোষ্ঠী, মাইঝ গাঁও গোষ্ঠীসহ অন্তত ৭ টি গোষ্ঠীর সাথে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৬ মাস আগে কাউসার মেম্বারের মেয়ে নোয়াব আলী গোষ্ঠীর আব্দুল আহাদের ছেলে মহসীনের সাথে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আবারো বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে বুধবার উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় কাউসার মেম্বার গোষ্ঠীর পক্ষে হাজী গোষ্ঠী, মাইঝ গাঁও গোষ্ঠীসহ অন্তত ৭ টি গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজ মাস্টার, জনাব আলী, জাহাঙ্গীর, বিল্লাল মিয়া, শের আলী, নূর আলী, আন্দর আলী, ইয়াসিন, হাসেম উদ্দিনসহ ১৫টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। এসময় লুটপাট চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরশাদুল ইসলাম বলেন, মেয়ে সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তারা সংঘর্ষে বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে বিজয়নগর থানা পুলিশ এলাকা থেকে ১০ জন ও সদর থানা পুলিশের সহায়তায় জেলা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিতে আসা ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.বিল্লাল হোসেন। পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ও সংঘর্ষের ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২০ মে সোমবার সকালে জেলা নির্বাচন অফিস এবং বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
আগামী ০৫ জুন এই তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার হতে তিনটি উপজেলায় সরগরম নির্বাচনী আমেজ তৈরী হয়েছে। এদিন সকালে সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিজ নিজ কর্মী সমর্থক সহকারে জেলা এবং উপজেলা নির্বাচন অফিস গুলোতে ভিড় জমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের আনারস প্রতীক তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী পছন্দ করায় লটারীর মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। পরে প্রার্থীরা কর্মীদের আনন্দ মুখর মিছিলে প্রতীক প্রচার করে এলাকায় ফিরে যান। দুপুর দুইটা হতে প্রতীক সম্বলিত লিফলেটসহ প্রচারণা মাইকিং শুরু হয়েছে তিনটি উপজেলায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিজয়নগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর হল রুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার মূল আলোচনা করেন বিজয়নগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মাছুম।
পরে বক্তব্য রাখেন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রমজান, উপজেলা মডেল মসজিদ এর খতিব মাওলানা মিজবাহ উদ্দীন, পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম, চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান শান্ত প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সিঁধ কেটে চুরির চব্বিশ ঘন্টা পর বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার নোয়াগাঁও থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটক ব্যাক্তিরা হলেন উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো.রকিব মিয়া (১৯) ও মো. ছোয়াব মিয়া (২২)।
পুলিশ সূত্রে জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার নোয়াগাঁও (মধ্যপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা শিখা আক্তারের ঘরে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে ড্রয়ার থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণের দোল, স্যামসাং এ্যানড্রয়েট মোবাইলসহ সর্বসাকুল্যে ৭২ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। সরাইল থানা পুলিশ চুরির এই সংবাদে রবিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই সিঁধেল চোরকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া মো. রকিব মিয়া ও মো. ছোয়াব মিয়ার কাছে থেকে নগদ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সিঁধেল চুরির মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল সোমবার তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিগত ২০২২ – ২০২৩ অর্থ বছরের সার্বিক বিশ্লেষণে ‘সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অভিলক্ষ্যে পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহ ৭ টি ক্যাটাগরিতে বিচার বিবেচনায় বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কে উপজেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে শুদ্ধাচার পুরষ্কার ২০২২-২০২৩ প্রদান করা হয়।
২৫ জুন রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত শুদ্ধাচার পুরষ্কার ২০২২-২৩ বিতরন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম এ পুরস্কার হস্তান্তর করেন।
এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বিজয়নগর উপজেলায় যোগদান করেন। তার কর্মদক্ষতায় বদলে গেছে উপজেলার সার্বিক চিত্র।
উপজেলার প্রতিটি দপ্তরের কর্মকান্ডে পূর্বের চেয়েও ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। বিজয়নগর উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক উপজেলা গড়তে তিনি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও এএইচ ইফরান উদ্দিন আহমেদ অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, প্রিয় বিজয়নগরবাসীর জন্য এই পুরষ্কার অর্জন। এর প্রকৃত মালিক বিজয়নবাসী। সকলের সেবায় নিয়োজিত থেকে যেন সরকার আরোপিত সকল সিদ্ধান্ত সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি সেজন্য সকলের দোয়া চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে আবু লাল (৬০) নামের এক নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে রবি মোবাইল কোম্পানীর টাওয়ারের ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের রবি মোবাইল টাওয়ারের কক্ষ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আবু লালের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আবু লাল ওই এলাকার আবদুল জব্বার ভূঁইয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, আবু লাল রবি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারের নৈশ প্রহরি ছিলেন। সেখানে রাতের কোন এক সময় চোরেরা হানা দিয়ে টাওয়ারের কক্ষের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে আবু লালের হাত-পা বেঁধে তাকে হত্যা করে মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে যায়।
নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। আবু লালের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে, কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাবেনা।