অনলাইন ডেস্ক :
মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) শতভাগ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধানদের উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক/দপ্তর সংস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় এমন কাজ করতে হবে। নিজের দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে অহেতুক বিলম্ব করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতীয় গড় থেকে বেশি হলেও তা যথেষ্ট সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। আগামী ৩০ জুনের আগেই প্রত্যেক দপ্তর/সংস্থার এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সকল দপ্তর/সংস্থার চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি (ভৌত ও আর্থিক) তুলে ধরে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৩০.২৮%। গতবছর একই সময়ে এই অগ্রগতির হার ছিল ৩৮.১০%। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি ২৭. ১১%।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজি ওয়াছি উদ্দিন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিয়া পিএএ, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রধানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পাচারকালে মালিকবিহীন ভারতীয় ৯৯ বস্তা চিনিসহ ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ট্রাকটি শিমুলতলী এলাকা থেকে আটক করা হয়। তবে বড় এই চালানের সাথে জড়িত কাউকে পায়নি পুলিশ। এমনকি ট্রাক চালককেও ধরতে পারেনি।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান, ৯৯ বস্তা চিনিসহ ট্রাক জব্দ রয়েছে। চালক পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা যায়নি। তবে এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। চোরাকারবারিদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ পথে মাদকের সাথে চিনি পাচার হচ্ছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর সীমানা দিয়ে। স্থানীয়রা দেখে ফেললে মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযানে অল্প পরিমাণ মাদক ও চিনি ধরা পড়ে। এরই ধারবাহিকতায় সোমবার সন্ধ্যার পর দুর্গাপুরের শিমুলতলী এলাকা দিয়ে একটি ট্রাক ভর্তি চিনি নেত্রকোনায় আসার পথে স্থানীয় ও গোয়েন্দাদের নজরে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকটি জব্দ করে। তবে চালক পালিয়ে যায়।
সোমবারের চালানে জব্দ ৯৯ বস্তায় ৪ হাজার ৪৫৫ কেজি চিনি যার বর্তমান বাজারদর ৪ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকা বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্বাস আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান, চিনি কার সেটি জানা নেই তবে মামলা হয়েছে। পাচারকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চিনি পাচারে পুলিশের সরাসরি সহযোগিতা থাকার বিষয়টি এক চোরাকারবারীর ফোনালাপে ফাঁস হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, সবটাই মিথ্যা।
এদিকে জব্দ চিনির বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদের কাছে জানতে মঙ্গলবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
বরিশাল প্রতিনিধি :
জলবায়ু সংকটের পাশাপাশি বায়ু দূষন প্রাণঘাতি হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালে নির্মল বায়ু আইনের খসড়া তৈরি হলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। সরকার ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫’ এর অধীনে বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০২২ জারি করলেও এতে কোন সুফল মিলছে না। বায়ুদূষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারকে এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। বরিশালে পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক এক আলোচনা সভার বক্তারা এসব কথা বলেন।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘নির্মল বায়ু আইন ও নবায়নযোগ্য শক্তির প্রয়োজনীয়তা, সম্ভাবনা ও বর্তমান পরিস্থিতি’ বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুব প্লাটফর্ম ইয়ুথ ফর কেয়ার’র উদ্যোগে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, দ্য আর্থ সোসাইটি এবং ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ যৌথভাবে বিষয়ক এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বরিশাল জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহেল মারুফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসবি) ইকবাল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় প্রথম সারিতে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দুর্যোগে প্রাণহানি কমলেও, ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। এ সংকট মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের কোন বিকল্প নেই। বায়ু দূষণ সহ সকল ধরনের দখল-দূষণ বন্ধে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালাতে হবে।
আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, সবার সহযোগিতায় বরিশাল এলাকাকে জলবায়ু ঝুঁকি মুক্ত করতে হবে। তরুণরাও এই কাজের অংশ হয়ে একসাথে ইতিবাচক কাজের মধ্যে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি এ শহরকে একটি জলবায়ু নিরাপদ শহর হিসেবে বিশ্বদরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সমন্বিত কাজের পাশাপাশি নাগরিকদের জনমনে সচেতনতা সৃষ্টিতে তরুণরাই এগিয়ে আসবে। সবুজায়নের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দুষণকারী প্রতিষ্ঠানে কার্বন ট্যাক্স বসানোর পাশাপাশি ইটভাটা রুখে দিতে হবে, সবুজ ইট ও হলোগ্রামের ব্যবহার বাড়ানো, গণপরিবহন ও সাইকেলিংয়ের প্রসার ঘটাতে হবে, পৃথক লেন করা, বায়ু দুষণ ও জীবাশ্ব জ্বালানির বিরুদ্ধে জনমত ও আন্দোলন গড়ে তোলার সুপারিশ জানানো হয়। আলোচনা সভায় মূল তথ্যপত্র উপস্থাপন করেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান। যুব নেতৃত্বের প্রচারাভিযান ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন আর্থ সোসাইটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোসলেহ উদ্দিন সূচক ও প্রোগ্রাম অফিসার মোহাম্মাদ মনোয়ারুল ইসলাম (মনিব)।
মূল তথ্যপত্রে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান বলেন, বায়ুদূষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারকেও এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন জরুরি। বিশ্ব বর্তমানে প্রাক শিল্প বিপ্লবের সময়ের ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী রাখতে হবে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এই মুহূর্তে আমরা বৈশি^ক উষ্ণতায় ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দিকে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে বায়ু দূষণ কমাতে আমাদের অবশ্যই নবায়নযোগ্য শক্তির উপর নির্ভরতা বাড়াতে হবে এবং অনবায়নযোগ্য শক্তির উপর নির্ভরতা কমাতে হবে। পাশাপাশি নির্মল বায়ু আইন অবিলম্বে পাশ করতে হবে, প্রয়োগ করতে হবে। সৌরশক্তির উপর নির্ভরতা বাড়াতে নবায়নযোগ্য শক্তিকে ব্যবসার একটি অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যবসায়ীদের আহবান জানান তিনি। আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রাশেদ খান, বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক জালিস মাহমুদ, বীর প্রতীক মহিউদ্দিন মানিক, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব এর সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার, বরিশালের বেলা প্রতিনিধি লিঙ্কন হোসেন, শহীদ আব্দুর রব সেরানিয়াবাত প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, প্রতীকি যুব সংসদের চেয়ারপার্সন আমিনুল ইসলাম’র (ফিরোজ মোস্তফা) প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে কুমিল্লা থেকে একজন এবং সিলেট থেকে ৭ জন চোর চক্রের সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করছে। এসময় চুরি হওয়া ৩টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়।
আজ ৩১ মে বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং-এ এসব তথ্য জানান এসপি মিলন মাহমুদ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার আনহার আলী (৩৫), সিলেট মহানগর মোঘলা বাজার থানার বিল্লাল আহম্মদ (৩৪), সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার বিল্লাল হোসেন (২৪), হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার মো. নজরুল খান (২৬), বাহুবল থানার সোহান মিয়া (২৪), সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানার শিমুল আহম্মদ (২৪), গোলাপগঞ্জ থানার আবুল বাছিত (৪০) ও গোয়াইনঘাট থানার আলমগীর আহম্মদ (২৬)।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ দেবনাথ, হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ, প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়া পরিদপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচী ২০২৩-২৪ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত আন্ত:উপজেলা এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠান আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়া শত শত ছাত্র/ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ জামসেদুল আলম।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হোসেন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহ্ফুজা আখ্তার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি আবুল কাশেম, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মহিম চৌধুরী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য বুলবুল, মোঃ আজিম, মোঃ আজাদ, আতাউর রহমান ইয়াকুব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল ৫ হাজার মিটার দৌড়, বালক বালিকাদের ৪০০ এবং ২০০ মিটার দৌড়, গোলফ নিক্ষেপ, বর্ষা নিক্ষেপ, লং জাম, মোরগ লড়াইসহ মোট ৪২টি ইভেন্ট।
এসময় জেলার ৯টি উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/শিক্ষিকসহ অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোট
নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রাম ও মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজবাড়ীয়া গ্রামের একমাত্র সংযোগ সেতুটি ১০ বছর ধরে ভেঙে থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে। সেতুটি ভাঙার প্রায় ১০ বছর পার হলেও এখনো সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। নারী-পুরুষ, বয়স্ক মানুষ, রোগীসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দায়িত্বশীল কেউ উদ্যোগ নেয়নি সেতু মেরামতের বা নির্মাণের। ফলে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার বাসিন্দা সেতুটি পারাপার হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে দুই ইউনিয়নের সংযোগ এই সেতু ভেঙে আছে। লোকজন থেকে কিছু টাকা তুলে কাঠ দিয়ে সেতুটি প্রতিবছর সংস্কার করা হয়। কিন্তু অনেক গাড়ি ও লোকজন চলাচল করায় কাঠ দিয়ে সংস্কার করলে বেশিদিন টিকে না। ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। এই সেতুটি বছরের পর বছর পার হলেও নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভাঙা ওই সেতু দিয়ে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়িসহ যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এ ছাড়াও ভারী যানবাহন চলাচল না করতে পারায় অনেকেই দুর্ভোগে পড়ছেন।
মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজা বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল বারেক হাওলাদার বলেন, ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটা অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে আর ভোগান্তি থাকবে না।
রানাপাশা ইউনিয়নের ইসালাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ বলেন, সেতুটির জন্য হাজার হাজার মানুষ বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে কেউ নতুন করে সেতু তৈরির জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে না।
অটোরিকশা চালক দেলোয়ার হাওলাদার ও রাজ্জাক ফকির বলেন, আমাদের প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা পারাপার করতে হয়। এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে যেতে এই সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। কিছুদিন আগে এই সেতু দিয়ে একটি টমটম পার হতে গিয়ে উল্টে যায়। আমরা গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে তারপর গাড়ি পার করি। এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মোল্লারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেএম মাহাবুবুর রহমান সেন্টু বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু কিছু কাছ অসমাপ্ত রয়েছে। এই সেতুটির কারণে দুই ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নলছিটি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইকবাল কবীরের সঙ্গে সেতুর বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
ঝালকাঠি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকার বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে আন্ডার হান্ড্রেড মিটার প্রকল্পের আওতায় ওই সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনুমোদন পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।