চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ নবীনগর ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আসন্ন নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌসের পক্ষে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের সুর সম্রাট দ্য আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
নবীনগর ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. মিনহাজের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুমির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জর্জ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, কাইতলা (উত্তর) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক দুলাল, আওয়ামী লীগ নেতা খসরু মিয়া, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুর রৌফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামাল, নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট কবির আহমেদ, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মুন্সি, প্রফেসার মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. আলাউদ্দিন খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু কাউছার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি কলেজের প্রিন্সিপাল মোস্তফা জামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বড়াইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ কাউছার, নাটঘর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক নোয়াব মোল্লা, বিদ্যাকুট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দীন, বিদ্যাকুট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিন, অত্র সংগঠনের সাবেক সভাপতি মনির মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মুন্সি।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে ফেরদৌসকে নির্বাচিত করতে হবে। তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে একজন সাহসী মুজিব সেনা হিসেবে পরিচিত। অনেকই নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিন্তু যোগ্য, সৎ ও ত্যাগী এবং মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করে এমন একজনকে নির্বাচন করতে হবে। তাই আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌসকে নির্বাচন করার আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে মো. সোহাগ (২৮) নামে এক সৌদি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১০ জুন সোমবার দুপুরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের বাইশমৌজা বাজারের পাশে আব্দুল্লাহ্ চরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহাগ কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সাতঘর হাটির আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি তিনমাস আগে ছুটিতে দেশে এসে বিয়ে করেছিলেন।
পরিবারের লোকজন জানায়, সোহাগ বাইশমৌজা বাজারের পাশে আব্দুল্লাহ্ চরে ১০/১৫টি মহিষকে ঘাস খাওয়াচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ঘুস না দেওয়ায় আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাছির আলমের প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৩ আগস্ট বুধবার নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের কালঘরা বাজারে লহরি-কালঘরা সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, জেলে পাঠানোর ভয় দেখিয়ে রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এসআই বাছির আলম ২০ হাজার টাকা ঘুস দাবি করেন। এনিয়ে আসামিপক্ষের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যানের সামনে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। পরে আরও টাকা দাবি করলে সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় আদালতে তদন্ত বিহীন প্রতিবেদন দাখিল করে।
মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দা হবি মিয়া, রুবেল মিয়া, খলিল মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম খান, ফয়সাল চৌধুরী,শাহীন আহমেদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির জানান, আমার সামনে কোনো ধরনের ঘুষ লেনদেন হয়নি।
বিষয়টি অস্বীকার করে নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাছির আলম বলেন, অভিযোগ নেওয়ার দায়িত্ব ওসি সাহেবের। আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছি।
গত ৩০ জুলাই কালঘড়া হাফিজ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক সুমন আহমেদের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে স্থানীয় ফয়সাল চৌধুরীসহ তিন শতাধিক অভিভাবক-শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে ফয়সাল চৌধুরীসহ কয়েকজন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষক সুমনের প্রত্যাহারের দাবিতে লিখিত অভিযোগ করতে যান। সেখানে শিক্ষক সুমন আহমেদ অভিযোগ দিতে যাওয়া ফয়সাল চৌধুরীসহ সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এর জের ধরে ফয়সাল চৌধুরী ও শিক্ষক সুমন আহমেদ নবীনগর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। অভিযোগগুলোর তদন্তের দায়িত্ব পান নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাছির আলম। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) বাছির আলম কোনো ধরনের তদন্ত না করে ২০ আগস্ট সুমন আহমেদের অভিযোগটির প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করেন। কিন্তু তিনি ফয়সাল চৌধুরীর অভিযোগটির কোনো তদন্তই করেননি। তাই পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ফয়সাল চৌধুরী। এতে সুষ্ঠু তদন্ত করে এস আই বাছির আলমকে প্রত্যাহারের দাবি করা হয়।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর উপজেলায় নিখোঁজের পরদিন শিশু সাইমনকে (৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। আজ ২৩ জানুয়ারি সোমবার উপজেলার জিনোদপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাইমন উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের ইলেকট্রিশিয়ান ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। সে বাবা-মায়ের সাথে পাশের ইউনিয়নের জিনোদপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাইমন গতকাল রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিল। তার পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজেও তার সন্ধান পাননি। অবশেষে সোমবার সকালে ওই শিশুকে মৃত অবস্থায় বাড়ির পাশের পুকুরে পাওয়া যায়।
নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শিশুটি নিখোঁজ ছিল বলে জানতে পেরেছি। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে নিখোঁজের একদিন পর আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার হেলাল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকালে নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া কৃষি জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। হেলাল মিয়া নবীনগর উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। হেলালের মা পিয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে তার বউ প্রতিনিয়ত মারধর করতো। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। কিভাবে মারা গেলো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার ছেলের মৃত্যুর সাথে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন জড়িত থাকতে পারে। হেলালের বোন পারভীন বেগম বলেন, আমার ভাই নবীনগরে ভাড়া বাসায় থেকে ঝাল মুড়ি ফেরি করে বিক্রি করতো। আবার মাঝে মাঝে রিকশা চালাতো। বউয়ের নির্যাতন ও পারিবারিক অশান্তির কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, নারায়ণপুর গ্রামে কৃষি জমিতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল করেছে। তিনি আরো বলেন, লাশের দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঠান্ডার কারণে তার শরীর শক্ত হয়ে গেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ১৯ অক্টোবর বিকেলে প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা অডিটরিয়ামে শারদীয় দূর্গা উৎসব উদযাপন উপলক্ষে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এম.পি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, পৌর মেয়র অ্যাড. শিব শংকর দাস, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার ওসি মাহাবুব আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুজিত কুমার দেব, পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায় বিনয় কুমার চক্রবর্তী, পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সভাপতি অজন্ত কুমার ভদ্র, নবীনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মুছা, নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল, মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠনের সভাপতি আবু কাওসার, মুফতি মো. বেলায়েতুল্লা সহ জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা/ কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, বিভিন্ন পূজামন্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষকসহ সর্বস্তরের জনগণ।