অনলাইন ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রধান বাহক ছিলেন। তিনি গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি হিসেবে স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পাশাপাশি তিনি সমাজের প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচারের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আইনি সহায়তা প্রদানের গুরুত্ব অনুধাবন করেন এবং সমাজে অবিচার ও অসমতা মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।
আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘স্ট্রেংদেনিং ক্যাপাসিটি অব জুডিসিয়াল সিস্টেম ফর চাইল্ড প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিশু সংবেদনশীল আদালত কক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ন্যায়বিচার ও সমতার নীতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় দূরদৃষ্টি, সাহস ও নিষ্ঠা বাঙালি জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথপ্রদর্শক উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রথমেই নব্য স্বাধীন দেশের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, যাতে সকলের নাগরিক অধিকার সু-প্রতিষ্ঠিত হয় ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, নতুন অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু বিশ্বমানের একটি সংবিধান প্রণয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন এবং মাত্র ১০ মাসের মধ্যে তা সম্ভব করে তুলেছিলেন। এই সংবিধানে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতি নির্ধারণ করা হয়, যা দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে।
মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বঙ্গবন্ধু সংবিধান প্রণয়ন ছাড়াও সকল নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইনের সংস্কার ও নতুন নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, শিশুদের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, স্বাস্থ্য এবং সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ প্রণয়ন করা হয়। এরও ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শিশু আইন প্রণয়ন করেন, যা বাংলাদেশে শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষার ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।
আনিসুল হক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের কল্যাণে যুগান্তকারী বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০১৩ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়, যা শিশুদের সুরক্ষা, অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য একটি আইনি কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করেছে। শিশুদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত প্রচেষ্টা আমাদের সকলের নিকট অনুসরণীয় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাঁর সরকারের আমলে প্রণীত শিশু আইনের বিভিন্ন ধারায় আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু, আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর অধিকার রক্ষাসহ শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের কার্যকর বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। এই আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণে পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট, পৃথক আদালত কক্ষ, উপযুক্ত পরিবেশ এবং প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন। একই সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রাসঙ্গিক জ্ঞান ও দক্ষতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট বলেন, ইউনিসেফ সুরক্ষা ও পরিচর্যার প্রয়োজন রয়েছে, এমন সকল শিশুর ক্ষেত্রে অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার প্রয়োগে বিশ্বাস করে। আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশুদের স্বাধীনতা হরণ এবং আটকাবস্থা শুধু শেষ উপায় এবং যতটা সম্ভব কম সময়ের জন্য ব্যবহার করা উচিত।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক শেখ হুমায়ুন করীর বক্তৃতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপি ৪৫তম ইজতেমা শুরু হয়েছে। আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে এ ইজতেমা শুরু হয়।
ইজতেমায় উদ্বোধনী বয়ান পেশ করেন ঢাকা কাকরাইল মসজিদের ইমাম হযরত মাওলানা মুফতি রেজাউল করিম। ইজতেমায় নবী রাসূলের তরিকা ও আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীসহ ধর্মীয় বিষয় নিয়ে প্রতিদিন ফজর, যোহর, আছর ও মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে দেশ ও বিদেশের ওলামায়ে কেরামগণ কোরআন ও হাদিস থেকে বয়ান পেশ করবেন।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে ইজতেমা ময়দানে হাজার হাজার মুসল্লির আগমন ঘটেছে। মুসল্লিরা কাঁধে ও পিঠে প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান করছেন। ইজতেমা প্রাঙ্গনের আশপাশের এলাকায় শীতের পোশাক, খাবারের দোকান ও কাঁচা বাজারের ব্যবস্থা রয়েছে।
ইজতেমা আয়োজন কমিটির সদস্য হুমায়ন কবির জানান, প্রতিবারের মতো এ বছরেও ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মেহমানদের তত্ত্বাবধানে ইজতেমা পরিচালিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও সৌদি আরব, শ্রীলংকা, মালেয়শিয়ার মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে সমবেত হয়েছেন। এখানে মুসল্লিদের জন্য নিরাপত্তাসহ সকল ধরণের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইজতেমার মধ্য দিয়ে ঢাকার টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে এবং দ্বীনি দাওয়াতে তাবলিগের কাজের জন্য জামায়াত তৈরি করা হবে। আগামী শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, মুসল্লিদের জন্য ইজতেমা ময়দানের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখানে পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা রয়েছে। এছাড়াও পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, আনসার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিয়োজিত রয়েছেন। ইজতেমা স্থলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল টিমও রয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
কৃষকের কাছে ভালো মানের বীজ সরবরাহ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কৃষির নতুন নতুন কৌশল প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
‘সিড কংগ্রেস- ২০২৩’ উপলক্ষে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ বিপর্যয়, অন্যদিকে দেশের ক্রমহ্রাসমান জমি হতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কৃষির একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে সরকারি বীজ প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি বীজ প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। তাহলেই কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সিড এসোসিয়েশন কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘সিড কংগ্রেস- ২০২৩’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। এ উপলক্ষে আমি বীজ শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।”
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ করে দেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি ও কৃষকের সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন এবং স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করতে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি কৃষি পেশার মর্যাদা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে কৃষি কর্মকর্তাদের মর্যাদা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি গবেষণা জোরদার করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট পুনর্গঠন করেন। এছাড়া তিনি অন্যান্য ফসলের গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ এবং উন্নয়ন বাজেটে কৃষিতে সর্বাধিক বরাদ্দসহ অনেক গণমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা কৃষি উন্নয়নে বীজকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেশে মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ‘রাষ্ট্রপতি কৃষি পুরস্কার’ প্রবর্তন করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করার পর এদেশের কৃষির অগ্রযাত্রা থেমে যায়। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্যকে প্রাধান্য দিয়ে কৃষি প্রধান এ দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে কৃষিতে ভর্তুকি, প্রণোদনা প্রদান ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমাদের সরকার দেশের কৃষক ও কৃষি খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নিরলস কাজ করছে।
তিনি বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের লাভের কথা বিবেচনা করে সরকার কয়েক দফা সারের দামসহ কৃষি উপকরণের দাম কমিয়েছে। সেচের জন্য ডিজেলে ভর্তুকি ও গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সাথে সাথে এ অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে চায়। এবারের সিড কংগ্রেস আমাদের এ ভিশন বাস্তবায়নে গতি সঞ্চার করবে বলে আমি মনে করি।’
তিনি ‘সিড কংগ্রেস- ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, ‘সিড কংগ্রেস- ২০২৩’ শুরু হচ্ছে শনিবার থেকে। তিন দিনব্যাপী এ কংগ্রেস চলবে সোমবার পর্যন্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদের আমেরিকান হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ বিপুল পরিমাণ অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে থাকা মা ফার্মেসি, মা মেডিকেয়ার এবং স্বাগতা ফার্মেসি থেকে চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বিক্রয় নিষিদ্ধ প্রায় ৬ লাখ টাকার অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তিন ফার্মেসিকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১৯ জুন সোমবার অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (আমেরিকান হাসপাতাল) যৌথ অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁরা পিলে চমকানোর মতো তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন। আমেরিকান হাসপাতালের পাশে থাকা তিনটি ফার্মেসি থেকে তাঁরা বিপুল পরিমাণ বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করেছেন। এ অপরাধে প্রত্যেক ফার্মেসিকে ২০ হাজার করে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্টদের সতর্কও করা হয়েছে। তবে ফার্মেসি মালিকদের অভিযোগ, হাসপাতালের চিকিৎসকরাই অনিবন্ধিত ওষুধ রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে লেখেন।
প্রতীক দত্ত জানান, অভিযানের সময় তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশ কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরাই এসব বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধগুলো লেখেন। এসব ওষুধ কেবল এখানকার কয়েকটি ফার্মেসি ছাড়া বাইরে পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ‘রোগীদের দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে সরকারি হাসপাতালের স্লিপে বিভিন্ন অনিবন্ধিত ওষুধ লেখার প্রমাণও পেয়েছি আমরা। বিক্রয় নিষিদ্ধ এসব ওষুধ বিক্রি বাবদ চিকিৎসকরা মোটা অঙ্কের কমিশন পান বলে ফার্মেসি মালিকরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া হাসপাতালের সব রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা পাশের মেডিলিভ নামক ল্যাবে করানোর জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এসএম সুলতানুল আরেফীন বলেন, অভিযানে জব্দ করা ওষুধগুলো ঔষধ প্রশাসনের নিবন্ধিত নয়। এসব ওষুধ কোনো ফার্মেসিতে বিক্রি করা যাবে না ও ডাক্তাররাও সেগুলো ব্যবস্থাপত্রে লিখতে পারবে না বলে আইনে উল্লেখ আছে। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের এমন আচরণ চরম উদ্বেগের।
হাসপাতালের একজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট বলেন, হাসপাতালকে ঘিরে দালালরা উঠেপড়ে লেগেছে। কয়েকজনকে এরই মধ্যে বেরও করে দেওয়া হয়েছে। এরা আগে রোগীদের হয়রানি করে বেনামি কিছু ক্রিম বিক্রি করে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিত। এরাই অনিবন্ধিত ওষুধ বিক্রির সঙ্গে জড়িত।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীতে অক্টোবরে গণপরিবহনে যুক্ত হচ্ছে ১০০ এসি বৈদ্যুতিক বাস বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৭তম সভা শেষে কমিটির সভাপতি শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের নগর পরিবহন বীরদর্পে এগিয়ে চলছে। এ বছরের মধ্যেই ১০০টি বৈদ্যুতিক বাস নামবে, যা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন পরিচালনা করবে।
তিনি আরো বলেন, এর মাধ্যমে আমরা ঢাকা শহরকে পরিবেশবান্ধব নগরে পরিণত করতে পারব। আমরা বায়ুদূষণের যে তকমা ছিল তা থেকে বের হতে পারব।
চলারপথে রিপোর্ট :
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ রোধ এবং মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুবকদের ভূমিকা শীর্ষক জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়। আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের হলরুমে এ জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
হবিগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম আবদুল্লাহ ভূঞার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাজেদুল হাসান, হবিগঞ্জ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মোঃ মাহবুবুল আলম।
সভায় বক্তরা মাদক কি, মাদকের কুফল, মাদকাসক্তের কারণ, মাদক নিয়ন্ত্রনে সরকারের উদ্যোগ, মাদক নিয়ন্ত্রনে সরকারের আইন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও জঙ্গিবাদ কি, জঙ্গিবাদের কারণ, জঙ্গিবাদের উত্থান, জঙ্গিবাদের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। যুব উন্নয়নের বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষণার্থীসহ যুব উদ্যোগতারা উপস্থিত ছিলেন।