চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে সদ্য সাবেক মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদ খালিদ জামিলকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমি ও সরকারি কলেজ।
এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিকালে ইউএনও মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার দফতরে উনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধণা সভায় বক্তব্য রাখেন- সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, শিল্পকলা একাডেমির সম্পাদক সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, উত্তর কালিকচ্ছ মর্ডাণ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার ও শাহজাদাপুর ইউপি আ’লীগের সভাপতি মো. ছায়েফ উল্লাহ ঠাকুর।
এ ছাড়াও সরকারি কলেজের প্রভাষকবৃন্দ ও শিল্পকলা একাডেমির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খানের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগ আপ্লোত হয়ে পড়েন। কর্ম ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও কৃতিত্ব তুলে ধরে বলেন, নানাবিধ মেধা ও প্রজ্ঞার অধিকারী খালিদ জামিল সরাইলকে অনেক কিছু দিয়েছেন। কর্ম গুণেই তিনি সরাইলের মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন আজীবন। নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে খালিদ জামিল বলেন, দীর্ঘদিনের কর্মক্ষেত্র সরাইলের জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সাহিত্যিকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ গুলো খুবই আন্তরিক।
সর্বক্ষেত্রে তারা আমাকে সহায়তা করে কাজে সফল করেছেন। আমি সকলের পরিবার পরিজন সহ সকলের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। সবশেষে খালিদ জামিল খানকে ফুলেল শুভেচ্ছার মাধ্যমে বিদায় জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে মাদকের বিস্তৃতি বৃদ্ধি পাঁচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের এমন বক্তব্য স্বীকার করেছেন ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম। ওসি বলেন পুলিশের একার পক্ষে মাদক প্রতিরোধ অসম্ভব। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অভিভাবক ও সুশিল সমাজসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া মাদক প্রতিরোধ সম্ভব নয়।
আজ ২৯ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে নবনির্মিত সরাইল উপজেলা কমপ্লেক্সে ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সভায় ওসি এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।
বক্তব্যে সরাইল সদরের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, অরূয়াইলের মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কালীকচ্ছের মো. ছায়েদ হোসেন, শাহবাজপুরের খায়রূল হুদা চৌধুরী বাদল, নোয়াগাঁও-এর মো. মনসুর আহমেদ চুন্টার মো. হুমায়ুন কবিরসহ অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান সম্প্রতি সরাইলে উল্লেখযোগ্য হারে মাদকের বিস্তৃতি নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেন।
সভায় উপস্থিত সুশিল সমাজের লোকজনও মাদক প্রতিরোধে পুলিশের সহায়তা কামনা করেন।
এ ছাড়া অনেকেই সরাইলের কৃষি জমির মাটি বিক্রি ও রাতের অন্ধকারে কেটে জেলা শহরে ও বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনায় আসে অরুয়াইল সদরে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমি খেকুদের সরকারী জায়গা, সালিসের নামে টুপাইস কামানো, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত নদীর ঘাটলা দখল ও দুই পাড়ে তিতাস নদী দখলের বিষয়টি।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম সম্প্রতি মাদকের বিস্তৃতি বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে? বিদ্যালয়ে না গিয়ে অন্য কোথাও যাচ্ছে কিনা? কি করছে? পড়ালেখা ঠিকঠাক মত করছে কিনা? এসব খোঁজখবর রাখার দায়িত্ব আপনার। এসব না করে মাদক প্রতিরোধ বা আসক্ত ব্যক্তির বিচারের দায়িত্ব শুধু পুলিশের উপর ছেড়ে দিলে চলবে না। কারণ পুলিশের একার পক্ষে মাদক প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা আপনার এলাকায় মাদকাসক্ত ব্যবসায়ি, মাটি ও ভূমি খেঁকুদের চিহ্নিত করে গ্রাম আদালতের আওতায় আনুন। সহযোগিতার জন্য আমাদেরকে (পুলিশকে) ডাকুন। আপনাদেরকে এসব কাজে সহযোগিতা করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া মাদকসহ অন্যান্য অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব না।
চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযথ মর্যাদায় সরাইলে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে।
উদযাপন উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১মিনিটে সরাইল উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরাইল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিক উদ্দিন ঠাকুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. রকিবুল হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা, সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস।
সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমত আলী, আওয়ামী লীগের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. নাজমুল হোসেন, উপজেলা বিএনপির পক্ষে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. নুরুজ্জামান লস্কর তপু, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরিদ, আওয়ামী লীগ নেতা মো.মাহফুজ আলী সহ উপজেলার প্রশাসনের র্কমকর্ত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নেতা কর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে এগারোটায় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সরাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন। আলোচনা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
এছাড়াও সকল ভাষা শহীদ ও প্রয়াত ভাষা সৈনিকদের আত্মার শান্তি কামনা করে উপজেলা সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিল, মোনাজাত এবং অন্যান্য সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ক আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ফাঁকা স্টলে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রাণী প্রদর্শনী। ডেকোরেশনের লাল-নীল কাপড়ে সাজানো থাকলেও মেলায় দেখা মিলেনি আশানুরূপ খামারির। একটি স্টলে বিদেশি ২টি কুকুর থাকায় কিছু লোক দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেন। ২-১টি স্টলে দেখা মিলে কয়েকটি রোগা দেশীয় প্রজাতির গরুর। কাগজে প্রচারে দিনব্যাপী মেলা হওয়ার কথা থাকলেও দুপুরের আগেই সবশেষ। ১টার পরই অন্নদার মাঠ হয়ে পড়ে নীরব নিস্তব্ধ।
গতকাল ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় এমন চিত্র দেখা যায় অন্নদার মাঠের মেলায়। একাধিক খামারি বলছেন, এটি আইওয়াশ। দায় সারা মেলার নামে সরকারের টাকা লুটপাট করে খাওয়ার একটি কৌশল মাত্র। কর্তৃপক্ষ বলছেন, মেলার বাজেট বলা যাবে না।
সকল নিয়ম-কানুন মেনে সফলভাবে মেলা সম্পন্ন করেছি। পুরস্কার বিতরণের পর বেলা ১টায় মেলা শেষ করেছি। সরজমিন দেখা যায়, বৃহস্পতিার দুপুর ১২টা। সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে সদরের সরকারি অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চলছে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী। রঙিন কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে ৪০টি স্টল। বেলা তখন ১২টা। অধিকাংশ স্টলই ফাঁকা। কয়েকটি স্টলে দেশীয় প্রজাতির কয়েকটি দুর্বল গরু। মেলায় প্রদর্শন করার মতো চাকচিক্য নেই গরুগুলোর। একটি স্টলে বিদেশি ২টি কুকুর। কুকুর দেখার জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে আছে কিছু লোক। ২টি স্টলে দাঁড়িয়ে আছেন ওষুধ কোম্পানির এমআর। তবে কোনো স্টলে চোখে পড়েনি নামি-দামি কোম্পানির কোনো এমআর। অনেক স্টলে শুধু সবুজ ঘাস ছাড়া কিছুই নেই। খাঁ খাঁ করছে মেলাস্থল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক খামারি বলছেন, মেলাটি মূলত খামারিদের। কিন্তু প্রকৃত খামারিরা বঞ্চিত। মুখ চিনে মুগের ডালের অবস্থা। এজন্যই ১২টার সময়ই মেলা ফাঁকা। পুরস্কারসহ যা কিছু হবে সব আগেই হয়ে আছে। এখন চলছে আইওয়াশ। এটা তো মেলার বাজেটের বড় অংকের টাকা লুটপাটের একটা কৌশল মাত্র। সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোছা. নইফা বেগম বেলা ১টার পর মেলা শেষ হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহে পানি ঢেলেও গরুগুলোকে সুস্থ রাখা যাচ্ছিল না। তাই মেলা সমাপ্ত করে দিয়েছি। ফাঁকা নয়, ৪০টি স্টলেই সক্রিয় ছিল। গবাদি পশু ছিল ৬৭টি। ৪টি স্টলে ছিলেন ওষুধ কোম্পানির এমআর’রা। ষাঁড় আর গাভী দুই ক্যাটাগরিতে আমরা পুরস্কার দিয়েছি। উভয় ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার ৩৫০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ২৫০০ টাকা আর তৃতীয় পুরস্কার দেয়া হয়েছে ১৫০০ টাকা করে। এছাড়া আমরা সান্ত্বনা পুরস্কারও দিয়েছি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না’ মেলার বাজেট তো বলা যাবে না।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সিঁধ কেটে চুরির চব্বিশ ঘন্টা পর বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার নোয়াগাঁও থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটক ব্যাক্তিরা হলেন উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো.রকিব মিয়া (১৯) ও মো. ছোয়াব মিয়া (২২)।
পুলিশ সূত্রে জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার নোয়াগাঁও (মধ্যপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা শিখা আক্তারের ঘরে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে ড্রয়ার থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণের দোল, স্যামসাং এ্যানড্রয়েট মোবাইলসহ সর্বসাকুল্যে ৭২ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। সরাইল থানা পুলিশ চুরির এই সংবাদে রবিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই সিঁধেল চোরকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া মো. রকিব মিয়া ও মো. ছোয়াব মিয়ার কাছে থেকে নগদ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সিঁধেল চুরির মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল সোমবার তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলার সরাইলে চোর সন্দেহে এক কিশোরকে দড়ি দিয়ে বেধে পেটানোর ঘটনায় আব্দুল লতিফ (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১৮ এপ্রিল শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বাদে অরুয়াইল গ্রামের এক কিশোরকে চোর সন্দেহে দড়ি দিয়ে বেঁধে ৮-১০ জন মিলে মারধর করেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান বলেন, চোর সন্দেহে এক কিশোরকে লাঠি দিয়ে পেটানোর একটি ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ অভিযোগে পুলিশ আব্দুল লতিফকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মারধরের শিকার কিশোরের ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।