চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান মাসকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারধর মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার বেলা ১১ টায় আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্যাট শ্যামল চন্দ্র বসাকের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং করা হয়।
এসময় আশুগঞ্জ বাজারের চক বাজার, মাছ বাজার, মাংসের বাজার, সবজি বাজার পরিদর্শন করা হয়।
বাজার মনিটরিংয়ে দায়িত্বে থাকা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্যাস্ট শ্যামল চন্দ্র বসাক প্রত্যেক দোকানীকে পণ্যের সঠিক মূল্য তালিকা পর্দশন ও গুণগতমান বজায় রেখে পণ্য বিক্রয় করার নির্ধেশ দেন। পুরো রমজান মাস জুড়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হবে বলে জানান।
এসময় মেসার্স মকবুল স্টোরে মূল্য তালিকা না থাকায় দোকানী কে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বাজার মনিটরিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, এস আই জসীম উদ্দিনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন দপ্তরে এক লাখ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি থেকে এক লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা সারমিন।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ২৫ দফা দিক-নির্দেশনা সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, রূপকল্প ৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্যে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে আশুগঞ্জ উপজেলার কলেজ, মাদ্রাসা ও উচ্চ বিদ্যালয়সহ ২৮টি প্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজার এবং ৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫ হাজার বিভিন্ন জাতের ওষুধি, ফলজ, বনজ ও ফুল গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এছাড়া সব ইউনিয়ন পরিষদ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী ও সব পর্যায়ের সরকারি দপ্তরগুলোতে বাকি ৪৫ হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি :
তিনদিন পর ফের আশুগঞ্জে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, দোকানপাট-বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৮ জানুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে প্রথমে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ও পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১৫ জনকে আটক করে। এখনো পুলিশের অভিযান চলছে। এদিকে ফায়ার সর্ভিসের দুটি দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিভানোর কাজ করে। দুর্গাপুর গ্রামের জারুর গোষ্ঠি (রাসেল চেয়ারম্যানের গোষ্ঠি গং) এবং বারঘরিয়া (মিজান মেম্বারের গোষ্ঠি গং) গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার ও শনিবারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০- ৪০০ জনের নামে মামলা দায়ের করে। গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরই মধ্যে বুধবার সাড়ে ৭টার দিকে একদল দাঙ্গাবাজ অর্তকিতে দুর্গাপুর বাজারে হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০টি দোকান, ৩-৪টি বাড়িঘর ও ২০টির বেশি খড়ের ডিবিতে অগ্নিসংযোগ করে। বেশ কয়েকটি দোকানও ভাংচুর করে। মূহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করলে সংঘর্ষকারীরা সেখানেও বাধা দেয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে গোটা গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষকারীরা বিভিন্ন স্থানে খড়ের ডিবিতে আগুন লাগিয়ে এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে। পুলিশ একদিকে গেলে অন্য দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে অতিরিক্তি পুলিশ এলে বিভিন্ন দিক থেকে টিয়ারশেল, শর্টগানের গুলি ছুড়া শুরু ও ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। এরপর সংঘর্ষকারীরা পিছু হটে এবং বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ আরো জানায়, সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশসহ কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বাহার নামে একজনসহ কয়েকজনের বল্লমের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গায়ে সিএনজির ধাক্কা লাগা নিয়ে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের জারুর গোষ্ঠি (রাসেল চেয়ারম্যানের গোষ্ঠি গং) এবং বারঘরিয়া (মিজান মেম্বারের গোষ্ঠি গং) গোষ্ঠির লোকজনের মধ্যে গত শুক্রবার ও শনিবার দুদফা সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আশুগঞ্জে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মূল নায়ক আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে আডা মিজানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ বাজার থেকে আশুগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসাইন জানান, আটক মিজানের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় একাধিক বিস্ফোরক মামলা রয়েছে।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আশুগঞ্জ গোল চত্বর এলাকায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর মূল নেতৃত্ব দেন মিজান। শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সময়ের মিজানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় উঠেছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে যুবলীগ নেতা জনি মিয়াকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে পায়ের রগ কেটে হত্যার ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
১৬ আগস্ট বুধবার রাতে নিহতের বাবা মকসেন মিয়া বাদী হয়ে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সামা ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমির হোসনসহ ১৫ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। বাবা-ছেলে দুজনই আওয়ামী লীগ নেতা এবং দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১১টায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। তারা হলেন, তালশহর গ্রামের আজহার শেখের ছেলে আজিম শেখ (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩২)।
এর আগে গত সোমবার রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারের অদূরে ওই গ্রামের মকসেন মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া নামে দুজনকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তারা জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর জখম করে এবং আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।
আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে হত্যা মামলা রজু করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন জানান আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোহেল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যা ঘটনার মামলায় প্রধান আসামী খলিল মিয়া (৩৬) ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (২৮) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গতকাল শনিবার বিকেলে সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা হতে প্রধান আসামী খলিল মিয়া ও তার স্ত্রী আকলিমাকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ ২৪ মার্চ রবিবার দুপুরে র্যাব-৯-এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মশিহুর রহমান সোহেল সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত খলিল মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে ও আকলিমা বেগম খলিল মিয়ার স্ত্রী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আড়াইসিধা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা রোকন উদ্দিনের সাথে জায়গা সম্পত্তি তার ভাই কাশেম মিয়ার বিরোধ ছিলো।
এরই জেরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রোকন উদ্দিনের সাথে তার ভাতিজা আলমগীর, খলিল, মাইনুদ্দিন ও রমজানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা রোকন উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এই অবস্থায় রোকন উদ্দিনের ছেলে সোহেল মিয়া বাবার চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের লোকজন সোহেলকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় সোহেল মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকন উদ্দিন বাদী হয়ে ০৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের নামে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা গা ডাকা দেয়। গত শনিবার বিকেলে সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা হতে প্রধান আসামী খলিল মিয়া ও তার স্ত্রী আকলিমাকে গ্রেফতার করা হয়। সহকারী পুলিশ সুপার মশিহুর রহমান সোহেল বলেন, গ্রেফতারকৃতদেরকে আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।