চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে। “করবো বীমা গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ১ মার্চ শুক্রবার জেলা প্রশাসন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বীমা ফোরামের যৌথ উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।
এ উপলক্ষে আলোচনা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
পরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদিন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ জামসেদুল আলম, জেলা বীমা ফোরামের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ভিপি মফিজুল ইসলাম, ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর জে এ ভিপি শাহ মোঃ সেলিম, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কামরুজ্জামান ভূইয়া, চার্টাড লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর তোরকান শাহ প্রমুখ। বক্তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে বীমা শিল্পকে স্মার্ট শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে রয়েছে ৭৬ কিলোমিটার সড়ক।
আসন্ন ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের ভোগাবে এই অংশের অন্তত ৪০ কিলোমিটার সড়ক।
দুটি সড়কে চারলেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের কারণে এ শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সড়কের বেহাল দশা ও খানাখন্দের কারণে যান চালানো এখন বড় দায়। যানজট ও ধীর গতির কারণে প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে সড়কে। এতে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে, তেমনি চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সড়ক বিভাগ জানায়, ২০২০ সালের মার্চে শুরু হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটারের চারলেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এর আওতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় থেকে ধরখার পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে।
তবে করোনাকালীন সময়সহ নানা জটিলতায় বড় এই প্রকল্পের কাজে অনেকটাই ধীরগতি এসেছে। ফলে এখনও শেষ হয়নি রাস্তা নির্মাণ কাজ। এ কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে এই সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে। এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের ৩০/৩৫ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। এরমধ্যে যাত্রীবাহী যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।
ঈদ মৌসুমে দেশের সব সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এর ব্যতিক্রম হবে না ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অধ্যুষিত এই রাস্তায়ও। এমতাবস্থায় আসন্ন ঈদে এ সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হবে ঘরমুখো যাত্রীসাধারণের।
চালক ও যাত্রীরা জানান, দুটি সড়ক দিয়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করার কারণে সড়কগুলোর অবস্থা করুণ। নির্মাণকাজ করতে সড়ক খুঁড়ে রাখাসহ একপাশ বন্ধ করে রাখায় প্রতিদিনই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে তীব্র ধুলোবালির কারণে এসব পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই।
তারা আরো জানান, সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সড়কে বিভিন্ন সময়েই ঘটেছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। ফলে ঝুঁকি নিয়েই সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। রাস্তার খানাখন্দ ও যানজটের কারণে এক ঘণ্টার যাত্রাপথ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।
এ সময় সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রাকে নির্বিঘ্নে করতে অবশিষ্ট সড়ক দ্রুত মেরামত করা হবে।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যানজট নিরসনে চালক ও হেলপারদের সচেতন করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের সাতটি টিম সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিরসনে কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাস্থ দক্ষিণ মৌড়াইলে অবস্থিত মাদরাসাতু নূহ তাহফিজুল কুরআন এর সবক ও পাগড়ি প্রদান উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ অক্টোবর শনিবার সকাল ৯টায় মুফতি রুহুল আমীন কাসেমীর সভাপতিত্বে বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সফিক আজীজির সঞ্চালনায় শুরু হলে এতে শুভাগমন করেন আওলাদে রাসূল (সা.) সাইয়্যেদ মাওদূদ মাদানী।
সভাপতির বক্তব্যে মুফতি রুহুল আমিন কাসেমী বলেন, ছাত্র ভায়েরা উস্তাদদের কাছ শুধু অক্ষর জ্ঞান অর্জন করলেই চলবে না। এর পাশাপাশি উস্তাদদের ও আকাবির আসলাফদের চিন্তা চেতনার শিক্ষাও অর্জন করতে হবে। কারণ শুধু অক্ষর জ্ঞান অর্জনের দ্বারা বর্তমানের অবস্থা হলো এমন, শুধু অক্ষর জ্ঞান শিক্ষকরা শিখিয়ে দেয়, ছাত্ররাও গ্রহণ করে নেয়। যার ফলে ছাত্র ছাত্রের জায়গায় থেকে যায়। পরবর্তীতে ছাত্র ও ওস্তাদের মাঝে দ্বীনের সম্পর্কও থাকে না। বিপরীতে উভয়ের সম্পর্ক চিরকাল থাকে। এবং দ্বীনের কাজের জন্য সহজ হয়। এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ হিসেবে শায়খুল হিন্দ মাহমুদ হাসান দেওবন্দী ও হুসাইন আহমাদ মাদানীর ইতিহাস উল্লেখ করেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি এহসানুল হক শাহীন সাফল্য ও লক্ষ্য উদ্দেশ্যের জবাবে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার শুরুলগ্ন থেকেই আমরা বিভিন্ন কুরআন প্রতিযোগিতায় সফলতার সাথে অংশগ্রহণ করে আসছি। এবং প্রতিবছরই হাফেজে কুরআনদের মাথায় পাগড়ি দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রত্যেকটা ছাত্রকে ইয়াদওয়ালা হাফেজ বানিয়ে দ্বীনের যোগ্য দায়ী হিসেবে গড়ে তোলা।
অবশেষে সাইয়্যেদ মাওদূদ মাদানী দ্বীনি বিষয়ে কিছু আলোচনা করে হাফেজদের মাথায় পাগড়ি পড়িয়ে দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করে দেন।
এসময় মুফতি বাহরুল ইসলাম, মাও. জামাল উদ্দিন, এইচ এম জাবেদ হোসাইন, হা. আবু ইউসুফ উবায়দী, হা. ইসহাক, মাও. কাউসার আহমাদ, মাও. শহীদুল হক আনসারী ও মুফতি আমীর হামজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুভেচ্ছা সমাবেশ ও কেককাটা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৪ মার্চ সোমবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম শফিকুল্লাহ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো আবদুল কুদদূস, সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি মো আরজু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক দেশ রূপান্তর জেলা প্রতিনিধি মো মনির হোসেন।
অনুষ্ঠানের জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, দৈনিক দেশ রূপান্তর শুরু থেকেই সময়োপযোগী সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা দেশের জন্য কাজ করেন, এখানে একটি দেশের উন্নয়নের জন্য তৃণমুলের কথা বলাটা দরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ও রাতে র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আটককৃতরা হলো জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদি (২৬), পৌর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক জাকির হোসেন জয়, ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন আদি।
আফ্রিদিকে র্যাব-৯ এর একটি দল ও বাকি দুই জনকে সদর মডেল থানা পুলিশ আটক করে।
পুলিশ জানায়, ওই তিনজনের বিরুদ্ধেই নাশকতার মামলা রয়েছে। ৪ ও ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাথে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলেন। তাদেরকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশী দামে জুতা বিক্রির অপরাধে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের ফরিদুল হুদা রোডের এলিগ্যান্স, গোল্ডেন মাইল্স ও স্টেপ (ফুট প্রিন্ট) নামক তিনটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে স্থিতিশীল রাখার জন্য ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
অভিযানের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন জুতার দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দেখা যায় তিনটি জুতার দোকানে অধিক মুনাফার লোভে জুতার গায়ে থাকা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যের প্রাইস ট্যাগ বসিয়ে ভোক্তাদের সাথে প্রতারনা করছে।
পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে এলিগ্যান্স নামক জুতার দোকানকে ৪ হাজার, গোল্ডেন মাইলসকে ৫ হাজার ও স্টেপ (ফুট প্রিন্ট) কে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।