অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাঞ্জি জাম্পিং প্ল্যাটফরম থেকে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দ্য ইনডিপেনডেন্টের মতে, ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।
মারা যাওয়া ওই নারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁর বয়স ৬০-৬৯ বছরের মধ্যে।
তিনি প্ল্যাটফরম থেকে আট মিটার নিচে কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি গেয়ংগি প্রদেশের স্টারফিল্ড আনসেং মলে অবস্থিত প্ল্যাটফরম থেকে বাঞ্জি জাম্প করার চেষ্টা করেছিলেন।
গেয়ংগি নামবু প্রদেশের পুলিশের ধারণা, ত্রুটিপূর্ণ ক্যারাবিনারের কারণে বাঞ্জি কর্ডটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ এখনো ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং শিগগিরই বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়েছে কি না সেদিকে নজর দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
দুর্ঘটনার সময় ওই নারী নিরাপত্তার সরঞ্জামে সজ্জিত ছিলেন। তবে একটি ক্যারাবিনার (একধরনের সুরক্ষা হুক) সুরক্ষিত ছিল না। তাঁকে অবিলম্বে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি বেঁচে ফেরেননি। পড়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিকে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বাঞ্জি জাম্প প্ল্যাটফরমের একটি থেকে লাফ দিয়ে এক জাপানি পর্যটক মারা যান। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ওই পর্যটকের মৃত্যু হয়। ৫৬ বছর বয়সী ওই পর্যটক ম্যাকাও পৌরসভার ম্যাকাও টাওয়ারের ৭৬৪ ফুট উঁচু থেকে লাফ দেওয়ার পর তাঁর শ্বাসকষ্ট হয়েছিল।
এর আগে ২০১৯ সালে পোল্যান্ডে ৩৩০ ফুট উঁচু থেকে বাঞ্জি জাম্পের সময় এক ব্যক্তি মাটিতে পড়ে যান। ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মেরুদণ্ডে আঘাত লেগেছিল। সূত্র : এনডিটিভি
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জনপ্রিয় মার্কিন অভিনেত্রী মিশেল ট্রাকটেনবার্গ (৩৯) মারা গেছে। নিজ ফ্ল্যাট থেকে মিশেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, পুলিশের তথ্য মতে, অভিনেত্রীর মৃত্যুর পেছনে কোনো সন্দেহজনক কারণ পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক পরীক্ষার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
অন্যদিকে, এক বিবৃতিতে অভিনেত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, মিশেল ট্রাকটেনবার্গ আমাদের মাঝে নেই। পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অনুরোধ করা হচ্ছে। ট্রাকটেনবার্গের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিনোদন জগতের অনেক তারকা।
‘গসিপ গার্ল’-এর সহ-অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি লিখেন, সে ছিল প্রাণবন্ত, দয়ালু ও ভীষণ মেধাবী। এ খবর হৃদয়বিদারক।
‘বাফি’ সহ-অভিনেতা জেমস মার্স্টার্স লিখেন, মিশেল ছিলেন বুদ্ধিমান, হাসিখুশি ও অত্যন্ত প্রতিভাবান। তার মৃত্যু বড় এক ক্ষতি।
১৯৯৬ সালে ‘হ্যারিয়েট দ্য স্পাই’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দার অভিষেক হয় ট্রাকটেনবার্গের। ৯০ ও ২০০০-এর দশকে শিশুশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত ‘বাফি দ্য ভ্যাম্পায়ার স্লেয়ার’-এ ডন সামারস চরিত্রে এবং ‘গসিপ গার্ল’-এ জর্জিনা স্পার্কস চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। এছাড়া ‘ইউরোট্রিপ’, ‘আইস প্রিন্সেস’ এবং ‘কিলিং কেনেডি’সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে বৈশ্বিক সম্প্রদায় বিশেষ করে আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে উদ্ভূত এই (রোহিঙ্গা) সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে হবে, সব বিকল্পের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই সবচেয়ে কার্যকর।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘তারা কি আমাদের ভুলে গেছে?’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক ইভেন্ট আয়োজন করে। ইভেন্টটি সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
শেখ হাসিনা তার প্রথম ও দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন, আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন বিষয়টি সমাধান করে এবং এই দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের জীবন ধারণের জন্য আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এ বিষয়টিকে তাদের এজেন্ডার শীর্ষে রাখে।
তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত, নিয়মে পরিণত করা এবং ঘৃণ্য নৃশংসতাকারী অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য চলমান এবং প্রচলিত আইনি ও বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ছয় বছর ধরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের মর্মান্তিক বিতাড়নের ঘটনা দেখে আসা বিশ্বকে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের স্থায়ী দুর্ভোগের কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে তারা আজ এখানে সমবেত হয়েছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর পর থেকে আমরা আমাদের মাটিতে তাদের আশ্রয় এবং তাদের মৌলিক ও মানবিক সেবা দিয়ে আসছি। আমি আমাদের সব অংশীজন এবং বন্ধুদের তাদের সংহতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
ইস্যুটি এখন স্থবিরতার পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ তিনি বলেন, গত ছয় বছরে একজন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেনি। বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘ উপস্থিতি কেবল তাদের আরও হতাশার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে না, এটি কক্সবাজারের পরিস্থিতিকেও অনিশ্চিত করে তুলছে। আশ্রয়দাতা সম্প্রদায় আজ তাদের উদারতার শিকারে পরিণত হয়েছে, বলেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের চাহিদার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের অভাব স্পষ্ট।
তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য অনেক কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা যে, রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় পৌঁছেছে সে বিষয়ে তারা অবগত আছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব রোহিঙ্গাদের ভুলে যেতে পারে না। কেননা, ২০১৭ সালে তাদের দেশত্যাগ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না এবং তারা কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিকারে এগিয়ে আসতে সবারই দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য মানবিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটিই সব কিছু নয়। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা মিয়ানমারে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিশ্চিত জীবনযাপন করতে পারবে। এবং এর জন্য আমাদের সমস্যাটির মূলে গিয়ে সমাধান করতে হবে, যা মিয়ানমারেই রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার দেশ জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং আমরা আইসিজে, আইআইএমএম এবং আইসিসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমি অন্য সব সদস্য রাষ্ট্রকে এই বিষয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার সাথে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানাই।
ঢাকা।।
সভাপতি পদে বরাবরের মতোই নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা; সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরও পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।সম্মেলনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন আসেনি।এনিয়ে দশমবার আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা; ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হলেন তৃতীয়বার।আজ শনিবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন দলটির ২২তম সম্মেলন উদ্বোধনের পর বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বসে কাউন্সিল অধিবেশন।কাউন্সিলে নির্বাচনী অধিবেশনে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নামের প্রস্তাবও আসে।নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে গঠিত তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সভাপতি পদে শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক পদে কাদেরের নাম কাউন্সিলরদের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করেন।
সারাদেশ থেকে আসা সাড়ে ৭ হাজার কাউন্সিলর সমস্বরে এই প্রস্তাব সমর্থন করেন।এর আগে পায়রা উরিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
অনলাইন ডেস্ক :
মেক্সিকোর মুভমেন্ট পার্টির নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চ ভেঙে নিহত হয়েছেন পাঁচজন। ২২ মে বুধবার বিকেলে দেশটির নুয়েভো লিয়নে এ ঘটনা ঘটে। সূত্র : রয়টার্স
স্থানীয় গভর্ণর স্যামুয়ের গারসিয়া বলেন, মঞ্চ দুর্ঘটনায় আরো ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে।
সেন্ট্রিস্ট সিটিজেনস মুভমেন্ট পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জর্জ আলভারেজ মেনেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, সান পেদ্রো গারজা গার্সিয়া শহরে চালানো নির্বাচনী প্রচারণায় হঠাৎ করে একটি ঝড়ে মঞ্চটি ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জর্জ আলভারেজ নিজেও। তিনি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ আছেন বলে জানান। তবে তার কর্মীরা আহত হওয়ায় তিনি নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত করেছেন।
এ দুর্ঘটনার জন্য ঝড় বৃষ্টিকে দায়ী করেছেন গভর্ণর গারসিয়া। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের বজ্রপাত ও ঝড় বৃষ্টি থেকে নিরাপদে থাকতে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।
মেক্সিকোতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২ জুন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মেয়ে ও নারীদের খেলাধুলায় ট্রান্স নারীদের (রূপান্তরিত নারী) অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ আদেশে গতকাল বুধবার তিনি সই করেন।
নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ট্রান্সজেন্ডার (রূপান্তরিত নারী–পুরুষ) খেলোয়ারদের মেয়ে ও নারী শাখায় বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ এবং নারীদের লকার রুম ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়, সেসব প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার বিরত থাকবে। খবর- আল জাজিরা
শিক্ষা খাতে ১৯৭২ সালে প্রণীত লৈঙ্গিক বৈষম্য দূরীকরণ আইনের (টাইটেল নাইন) কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমরা করদাতাদের কাছ থেকে ডলার গ্রহণকারী প্রতিটি বিদ্যালয়কে নোটিশ দিচ্ছি, যদি আপনারা নারীদের খেলার দলে পুরুষদের (ট্রান্স নারী) নিয়ন্ত্রণ করতে দিতে চান এবং আপনাদের লকার রুমে প্রবেশ করতে দিতে চান, তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে টাইটেল নাইন লঙ্ঘনের তদন্ত হবে। কেন্দ্রীয় তহবিল পাওয়া ঝুঁকিতে পড়বে।
ট্রাম্প আরো বলেন, মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা তিনি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সাথে কথা বলবেন যাতে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ২০২৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আগেই লিঙ্গভিত্তিক অংশগ্রহণকে স্পষ্টভাবে সমর্থন করা যায়। অলিম্পিক কমিটি খেলাধুলায় ট্রান্স নারী–পুরুষের অংশগ্রহণের বিষয়টি আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে। আমরা চাই, তারা অলিম্পিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ও পুরোপুরি হাস্যকর এই বিষয়ের (মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ) সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু বদলে ফেলবে, যোগ করেন ট্রাম্প।
ট্রান্স নারীদের খেলায় অংশগ্রহণের বিষয়টি সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে; যদিও মেয়েদের খেলায় অংশ নেওয়া ট্রান্স নারীদের সংখ্যা বেশ কম।
ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশনের (এনসিএএ) প্রেসিডেন্ট চার্লি বেকার গত ডিসেম্বরে সিনেট প্যানেলের সামনে এক শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। তখন চার্লি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৫ লাখ ২০ হাজার খেলোয়াড়ের মধ্যে ১০ জনেরও কম ট্রান্স নারী খেলোয়ারের কথা তিনি জানেন।