চলারপথে রিপোর্ট :
সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ট্রাকের ধাক্কায় দুইজন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
আজ ২ মার্চ শনিবার সকাল ৭টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উত্তর সুহিলপুর নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, জেলা শহরের মেড্ডার নোয়াপাড়া এলাকার নোয়াব আলির ছেলে আব্দুল হাই (৫০) ও সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে জুনায়েদ (২৭)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা শহর থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা চার জন যাত্রী নিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে খাঁটিহাতার দিকে যাচ্ছিল। সিএনজিতে যাত্রী একজন কম থাকায় তা তুলতে পথিমধ্যে উত্তর সুহিলপুর সড়কের পাশে দাঁড়ায়। এসময় একটি ট্রাক সিএনজিটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে আব্দুল হাই মারা যায়। এই ঘটনায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হলে জুনায়েদ নামে আরো একজন মারা যায়।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ থানায় ও আরেকজনের মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা আছে। নিহতদের পরিবার অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী গ্রামে ঘরে ঢুকে সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেকি আক্তার (৩৫), তার দুই পুত্র মাহিন (১৪) ও মহিন (৭) কে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় খুনি জহিরুল ইসলাম (২৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার একটি বাড়ি থেকে তাকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃত জহিরুল ইসলাম নিহত জেকি আক্তারের বড় বোন শিল্পী আক্তারের মেয়ের জামাই এবং নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নের আলগিরচর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।
আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত জহিরুল ইসলামকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, বাঞ্ছারামপুর আদালতের বিজ্ঞ বিচারক স্বাগত সৌমের আদালতে সোপর্দ করা হলে জহিরুল ইসলাম ত্রিপল হত্যাকান্ডে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেসবিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস্) মোঃ সোনাহর আলী শরীফ বিষয়টি সাংবাদিকদেরকে নিশ্চিত করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, গত ডিসেম্বর মাসে জহিরুল ইসলাম নিহত জেকি আক্তারের বড় বোন শিল্পী আক্তারের কন্যা আনিকা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিলো। দাম্পত্য কলহের জের ধরে আনিকা আক্তার প্রায়ই তার বাবার বাড়ি নরসিংদী জেলার মাধবদী গ্রামে চলে আসতো। বর্তমানেও আনিকা তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে।
বড় বোন শিল্পী আক্তারের পরিবারে প্রভাব বিস্তার করতো নিহত জেকি আক্তার।
দাম্পত্য কলহ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সোমবার সকাল ৮টার দিকে খালা শ্বাশুড়ি জেকি আক্তারের বাসায় আসে জহিরুল ইসলাম। সেখানে নাস্তা খেয়ে সে চলে যায়। রাত সাড়ে রাত ৮টার দিকে জহিরুল ইসলাম পুনরায় জেকি আক্তারের বাড়িতে যায়। পরে জহিরুল জেকি আক্তারের কাছে তার শাশুড়ি (শিল্পী আক্তার) ও তার স্ত্রীর সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলা শুরু করলে জেকি আক্তারের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জহিরুল ইসলাম ঘর থেকে বটি দা নিয়ে জেকি আক্তারকে মাথার পিছন দিকে ও ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করে। জেকি আক্তারের চিৎকারে ঘুমিয়ে থাকা তার বড় ছেলে মাহিন মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে জহিরুল তাকেও কোপ দেয়। মাহিন দৌড় দিয়ে নিজ রুমে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা ও চিৎকার শুরু করলে জহিরুল সেখানে গিয়ে গামছা দিয়ে মাহিনের মুখ বেঁধে ফেলে পরে তাকে টেনেহিচড়ে মায়ের পাশে এনে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে।
এসময় ছোট ছেলে মহিন ঘুম থেকে উঠে দরজায় দাড়িয়ে থাকলে মহিন তাকে চিনে ফেলতে পারে এইকথা চিন্তা করে মাহিনের শয়নকক্ষ থেকে একটি বাটাল এনে মহিনের দিকে তাকালে মহিন ভয়ে বাথরুমে চলে যায়। পরে জহিরুল বাথরুমে গিয়ে মহিনের কন্ঠনালীতে বাটাল ঢুকিয়ে দেয় ও পরে তার মাথায় বাটাল ঢুকিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত তার লাশ বাথরুমে ফেলে রাখে। এসময় ঘুমিয়ে থাকা ৭ মাসের ওজিহা তাকে চিনতে পারবেনা ভেবে জহিরুল তাকে খুন করেনি। পরে রাত ১টার দিকে জহিরুল জেকি আক্তারের ঘরের দরজায় তালা দিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নূরে আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, ত্রিপল খুনের ঘটনায় নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানি গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের বাসার দরজা ভেঙ্গে তার স্ত্রী জেকি আক্তার দুই পুত্র মাহিন ও মহিনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় শাহআলমের ৭ মাস বয়সী কন্যা সন্তান ওজিহাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পিতার দেওয়া অভিযোগে মাদকাসক্ত ছেলেকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল ৩০ মে বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাব্বর হোসেন এ সাজা প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার শেরপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, আশরাফুল ইসলাম মাদকাসক্ত। মাদকের টাকার জন্য সে প্রায়ই বাড়িতে অত্যাচার করত। সম্প্রতি তার অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। কিছুদিন ধরে সে নেশা করে বাড়ির পাশাপাশি বাইরে মানুষের উপর লাঠি-দা নিয়ে হামলা করতে যায়। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার পিতা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ করেন। পরে তাকে পুলিশ দিয়ে আটক করে রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদকাসক্ত আশরাফুলকে তিন মাসের সাজা দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাব্বর হোসেন জানান, ঐ যুবক মাদকাসক্ত হয়ে অত্যাচার চালাত। তার পিতা এ অভিযোগ করলে তাকে রাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সালের (৩৬)(৫) ধারায় তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সে নিজেও মাদক সেবন ও অত্যাচারের কথা স্বীকার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোঃ কামরুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক মোঃ আরজু, জেলা হোটেল এন্ড রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ শাহআলম, সাংবাদিক নিয়াজ মোঃ খান বিটু, শিহাব উদ্দিন বিপু, এনজিও নেতা এস.এম শাহীন, সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, মোশাররফ হোসেন বেলাল, মোজাম্মেল চৌধুরী, মোঃ মনির হোসেন প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হোটেল রেস্তোরার কিচেনে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
সভায় বক্তারা শহরের বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরায় ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, বরফকল ও আইসক্রীম ফ্যাক্টরীগুলোতে নিয়মিত অভিযান, শহরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে পশু জবাইয়ের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত কসাইখানা ও গবাদি পশু জবাইয়ের আগে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার দাবি জানান।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, সু-স্বাস্থ্যের জন্যই নিরাপদ খাদ্য দরকার। তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে হোটেল রেস্তোরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, শিশু খাদ্যের বিষয়ে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজতে ইসলামের সংগ্রামী মহাসচিব আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতৃবৃন্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলমের সাথে আজ ১৯ সেপ্টেম্বর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতের শুরুতে নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, ২০২১ সনের হত্যাকান্ডের মূলহোতা উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী সহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানান। মূল হোতা সহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনেক শান্ত হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২০২১ সনে আমার সন্তানরা শহীদ হয়ছে। পুনরায় আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা কেহ দুই বৎসর, কেহ এক বৎসর কেহ নয় মাস কারাবরণ করেছে। কারো বিরুদ্ধে ৪১ মামলা, কারো বিরুদ্ধে ৩০ মামলা, কারো বিরুদ্ধে ২৬ মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা যেন আর হাজিরা দিতে না হয় এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আপনাদের আর কোন নেতাকর্মী হাজিরা দিতে হবে না এই বলে হেফাজতে ইসলামের সংগ্রামী মহাসচিব কে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের সভাপতি আল্লমা মুফতি মোবারক উল্লাহ, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা মেরাজুল হক, কাসেমী হাফেজ ইদ্রিস, মাওলানা আব্দুল হাফিজ নাটাই, মাওলানা তানভীরুল হক সিরাজী, মাওলানা শরিফ উদ্দিন, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মুফতি জাকারিয়া খান, মুফতি এনামুল হাসান, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ মাদানী, মাওলানা রাকিবুল হাসান মুফতি জুনায়েদ কাসেমী, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা বেলাল হোসাইন, মাওলানা তারেক জামিল, মাওলানা সাব্বির প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের অ্যাডহক নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের অ্যাডহক নির্বাহী কমিটির সেক্রেটারি মনোনীত হওয়ায় তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সংবর্ধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবর্ধনা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজের সঞ্চালানায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অনুভূতি করে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদেকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক কবি জয়দুল হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. কাউসার এমরান, সিনিয়র সদস্য আবদুন নূর, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোঃ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সংবর্ধিত অতিথি সৈয়দ মিজানুর রেজা ও মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিটের নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদে সৈয়দ মিজানুর রেজা ও সেক্রেটারি পদে মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাকে নিযুক্ত করায় বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাটির চেয়ারম্যান, মহাসচিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট ইউনিটে কোন নির্বাচন হয়না। তারা ইউনিটের আজীবন ভোটারদের তালিকা হালনাগাদ ও তাদের পরিচয়পত্র তৈরী করে দ্রুত একটি সুন্দর ও সুষ্ঠ নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য নব-নিযুক্ত দুই নেতার প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথিরা বলেন, সোসাইটির দেয়া নির্দেশনা মেনেই আমরা ইউনিটকে পরিচালনা করবো। তারা দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের সহযোগীতা প্রত্যাশা করে তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করার জন্য প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।