চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতি বিশেষ আহবান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি।
সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি সম্বলিত একটি লিফলেটে ‘রমজানের বিশেষ আবেদন’ শিরোনামে রমজান মাসে জিনিষপত্রের সরবরাহ, সংকটের গুজব ছড়িয়ে মূল্য বৃদ্ধির প্রবনতা এবং অতিরিক্ত জিনিষ ক্রয়ের ব্যপারে সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শনেরও আহবান মন্ত্রী। আজ ৩ মার্চ রবিবার সকালে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল দলীয় নেতাকর্মী ও পৌর কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে পৌরশহরের সড়ক বাজারে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মাঝে আইনমন্ত্রীর এই বিশেষ প্রচারপত্রটি বিতরণ করেছেন।
‘রমজানের বিশেষ আবেদন’ শিরোনামে আইনমন্ত্রীর প্রচারপত্রে লেখা আছে, ‘রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর যাতে কোনো ধরণের ঘাটতি বা সংকট না দেখা দেয়, এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্যসামগ্রী দেশ-বিদেশ থেকে সংগ্রহ করে যথাসময়ে আপনাদের হাতের নাগালে সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো লিখেছেন, ‘রোজা শুরুর পূর্ব মুহুর্তে আমাদের মধ্যে অনেকেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কিংবা ঘাটতির আশঙ্কা করে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত, প্রচুর পরিমাণ নিত্য পণ্যসামগ্রী একসাথে ক্রয় করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এই সুযোগে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ি বাজারে কৃত্রিম ঘাটতি ও সংকটের গুজব ছড়িয়ে অযৌক্তিভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে দেয়। ফলে সাধারন জনগণকে অনেক সময় কষ্ট ভোগ করতে হয়। তিনি আহবান জানান, রমজান মাস আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাস। শুধুমাত্র পানাহার করে বিরত থাকাই রমজানের শিক্ষা নয়। প্রতিক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করাই রমজানের আদর্শ।
আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য আমরা যার যার অবস্থান থেকে প্রকৃত সংযম প্রদর্শণ করে আত্মশুদ্ধি লাভে ব্রত হওয়ার আহবান জানান তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল। ‘রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে একটা বিভ্রান্তি ছড়ায়। এছাড়া অনেকে একসঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস কিনে জিনিসের দাম বাড়াতে নিজের অজান্তেই সহযোগিতা করে। এসব থেকে উত্তোরণে আইনমন্ত্রী সাধারন মানুষের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার ও জনবহুল স্থানে লিফলেট বিতরন করা হবে। মাইকিং আকারেও প্রচার করা হবে।
লিফলেট বিতরণকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর মোঃ বাবুল মিয়া, বাহার মিয়া, শিপন হায়দার, সফিকুল ইসলাম স্বপন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মিলি আক্তার, নার্গিস বেগম, রেখা খানম, উপজেলা আওয়ামীলীরে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ হান্নান মেম্বার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৪ জুলাই সোমবার দুপুরে আশুগঞ্জ নৌবন্দর উন্নয়ন ও সরাইল-ধরখার-আখাউড়া বন্দর পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী নেতৃত্তে ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
এসময় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামনের দিন গুলোতে আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে বিবেচনায় আমরা চেষ্টা করছি প্রকল্পের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে। যাতে করে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারি। তিনি বলেন, আমি খুবই খুশি যে এখানকার সাধারণ মানুষজন খুবই আন্তরিকতার সহিত আমাদের সহযোগিতা করেছেন যেন আমরা প্রকল্পের কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, আমি আজ এখানে এসেছি ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে চার লেনের জাতীয় মহাসড়ক যে প্রকল্পের কাজ হচ্ছে সে কাজের গতিবিধি কেমন চলছে এবং প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে আমাদের আরও কি করনীয় আছে তাই দেখলাম। কানেক্টিভিটির এই প্রকল্পটি আমাদের দু’দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করবে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এর আগে দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনার আশুগঞ্জ নৌবন্দর হয়ে সড়ক পথে আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌছালে তাকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার অংগ্যজাই মারমা ও স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মো. আতিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের পরিচালক শোয়েব আহমেদ, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক খালেদ সাহিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন এবং আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক চার লেনের জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন পায়। তবে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পের কাজ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় তিন দফায় বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ, যা শেষ হবে ২০২৫ সালের জুন মাসে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। ভারতের ঋণ সহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
খুদে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটানো এবং প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আখাউড়ায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মেধা যাচাই (বৃত্তি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্ডারগার্টেন ইউনিটি অব আখাউড়ার আয়োজনে শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্কুলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির দুই শতাধিক ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
১ম থেকে ৩য় শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা বাংলা, অংক, সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি বিষয়ে মোট ৩০০ নম্বর এবং ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীরা ৬ টি বিষয়ে ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা দেয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অংকুর কিন্ডারগার্টেন এর প্রতিষ্ঠা পরিচালক শফিকুল আলম তুরান বলেন, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য মেধা যাচাই বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এতে ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা ভীতি দূর হয়। মেধার বিকাশ ঘটে।
বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীরা একে অপরের সাথে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায় ভূমিকা পালন করে।
এসম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিন্ডারগার্টেন ইউনিটি অব আখাউড়ার উপদেষ্টা রাধা কৃষ্ণ নুনিয়া,
শিক্ষক আহসান কবির লিটন, সরাফুল ইসলাম, সম্রাট খাদেম, ফারজানা আক্তার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আখাউড়া প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৫ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন ভূইয়া।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জুয়েল মজুমদার, উপজেলা যুবলীগের য্গ্মু আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাক হান্নান খাদেম, টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জালাল হোসেন মামুন প্রমুখ।
এর আগে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ২৫ মার্চের গণহত্যার উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
এসময় বক্তারা ২৫ মার্চের তাৎপর্য তুলে ধরেন বলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী সেই রাত্রে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালী জাতির উপর নির্মম ধ্বংষযজ্ঞ চালায়। পৈশাচিক নির্যাতন করে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে। বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার তরুণেরা দিন দিন ইউটিউব ও ফেসবুক ভিডিও ব্লগিংয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আখাউড়ার বেশ কয়েকজন ছাত্র, যুবক ইউটিউব ও ফেসবুক পেইজ খুলে কৃষি, মৎস্য, গরুর খামার, ফুল-ফল সবজি, দর্শনীয় স্থান, সাফল্য-সম্ভাবনা, দূর্ভোগ, বিনোদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্লগিং করছে।
সাবলিল উপস্থাপনা, ব্যতিক্রম কনটেন্টের কারণে ভিডিওগুলো প্রশংসা পাচ্ছে সবার। এদের মধ্যে কয়েকজন হলো আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন, আব্দুল্লাহপুর গ্রামের পারভেজ, হীরাপুর গ্রামের শরীফুল ইসলাম আবির, পৌরশহরের নারায়ণপুরের মোঃ কাইয়ুম, খড়মপুরের মেহেদী রহমান মোল্লা ও দূর্গাপুরের মোঃ ফরহাদ আহমেদ। তাদের প্রত্যেকের শুরুটা শখের বশে। কয়েকজন ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করছে। স্বপ্ন দেখছে আরো ভালো কিছু করার।
‘কৃষকের কথা’র নামক ইউটিউব চ্যানেল থেকে ব্লগিং করেন মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন। তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার ও গরুর খাদ্যের ব্যবসা করতাম। নিজেদের মাছের চাষ থাকায় দোকানে রাখতাম মাছের খাদ্যও। শখের ফেসবুকে বশে পুকুরের মাছ চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, জমির চাষাবাদের ছোট ছোট ভিডিও করে ফেসবুকে পোষ্ট করতাম। বন্ধু-বান্ধবের উৎসাহে ২০১৯ সালে কৃষকের কথা ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজ খুলে ভিডিও দেওয়া শুরু করি। প্রায় ৩ বছর পর মনিটাইজেশন পেয়ে ইনকাম পাচ্ছি। এখন ভালো ইনকাম পাচ্ছি। বর্তমানে ইউটিউবে ‘কৃষকের কথা’র ফলোয়ার প্রায় ৯ হাজার। ফেসবুক পেইজের ফলোয়ারের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে জানালেন মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন।
লিটনের সরল স্বীকারোক্তি শুধু টাকা ইনকামের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর দেশ। কৃষি ও কৃষককে উৎসাহিত করে আনন্দ পাই। চেষ্টা করি বিষয় ভিত্তিক তথ্য এবং পরামর্শ তুলে ধরার জন্য।এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ভিডিও প্রতিবেদন করেছি। একটি ভিডিও সর্বোচ্চ ৪ লাখ ভিউ হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুরুতে তাকে কেউ কেউ নিরুৎসাহিত করেছে। তবে সাব্বির ভূঁইয়া নামে এক প্রবাসী বড় ভাই এবং এক আন্টি (খালাম্মা) তাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন বলে জানান লিটন।
প্রাণের আখাউড়া টিভি নামে ফেসবুক পেইজে শিক্ষামূলক তথ্যসহ বিভিন্ন সরজমিনে প্রতিবেদন করেন কলেজ ছাত্র মেহেদী রহমান মোল্লা। তার পেইজের ভিডিও ভালো ভিউ হয় বলে জানান তিনি। শিক্ষামূলক ও দুর্ভোগ-সমস্যা তুলে ধরেন মোঃ ফরহাদ আহমেদ। তিনি বলেন, দুই বছর ধরে ফেসবুক পেইজ খুলে ভিডিও দিচ্ছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি। তিনিও মোটামুটি ইনকাম পাচ্ছেন বলে জানান।
পারভেজ ব্লগে ঢুকে দেখা যায়, কৃষির বিভিন্ন রকম ভিডিও। এছাড়াও রয়েছে দর্শনীয় স্থান ও হাট বাজারে ভিডিও। তার ফেসবুক পেইজের ফলোয়ার প্রায় ২০ হাজার।
ইউটিউবার মোঃ কাইয়ুম নামে বলেন, ব্যবসার পাশাপাশি ব্লগিং করি। আমার ফেসবুক পেইজে ফলোয়ার ৭ হাজার। ব্লগ দেখে সবাই যখন ভালো বলে তখন খুব আনন্দ লাগে।
ধারাভাষ্যকার সিকান্দার নামে একটি ফেসবুক পেইজ থেকে স্থানীয় ক্রিকেট খেলার সরাসরি প্রচার এবং ধারাভাষ্য দেন আল আনিম সেকান্দার।
এ ব্যাপারে আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন বলেন, তথ্য প্রযুক্তিকে সঠিক ব্যবহার করে ছাত্র-যুবারা ভালো কিছু করার চেষ্টা করছে এটা খুবই ইতিবাচক। তাদের প্রতিবেদনে মানুষ অনেক কিছু দেখতে ও জানতে পারছে। সঠিকভাবে ডিজিটাল প্লাট ফরম ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।