চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর (বড়গোষ্ঠী ও মহাজোট) লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩৫জন আহত হয়েছে।
এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে দাঙ্গাবাজরা। এ সময় ৪/৫টি ঘরে অগ্নি সংযোগ করা হয়।
আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিরাসার গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা, ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে ৫জন পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩৫জন আহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি ককটেল, ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলিসহ মোঃ জসিম উদ্দিন (৩৫) সহ ৮ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করে। অস্ত্রধারী মোঃ জসিম উদ্দিন বিরাসার বড় গোষ্ঠীর মোঃ নূরুল ইসলামের ছেলে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলি করার সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বিরাসার গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বড়গোষ্ঠীর কাসেম মাস্টার ও চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক বাবুল মিয়ার গোষ্ঠীর আল-আমিনের সাথে একই এলাকার মহাজোট হিসেবে পরিচিত পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজান আনসারীর গোষ্ঠী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও সৈয়দ আলী মিয়ার গোষ্ঠীর নূরুল্লাহ ও সুজনের প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনার জেরে সোমবার বিকালে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র রিভলবার এবং ককটেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
আড়াই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩৫জন আহত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট এবং ৪/৫টি ঘরে অগ্নি সংযোগ করে দাঙ্গাবাজরা। এ সময় ককটেলের বিষ্ফোরনে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। নারী ও শিশুরা ভয়ে এদিক-সেদিক ছুটাছুটি শুরু করে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা, ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ সময় পুলিশ গুলি করার সময় একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলিসহ বড়গোষ্ঠীর মোঃ জসিম উদ্দিন-(৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে আরো ৭ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।
সংঘর্ষের সময় ইটপাটকেলের আঘাতে সময় টিভির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের ব্যুরোচীফ উজ্জ্বল চক্রবর্তী, সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মোঃ সোহেল সহ ৫ পুলিশ সদস্য এবং উভয় পক্ষের আরো ৩০ জন আহত হয়।
আহতরা পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নেয়।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, জুয়া খেলার ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সোমবার সংঘর্ষের বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। তিনি বলেন, বিরাসার গ্রামের কয়েকটি গোষ্ঠী এই সংঘর্ষে জড়িত হয়েছে। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বড়গোষ্ঠীর নেতা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মোঃ বাবুল মিয়ার সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইল নাম্বারে-০১৭১১-৪৬৪৪৮৫ চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও আনসারী গোষ্ঠীর নেতা মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী বলেন, মঙ্গলবার সকালে বড়গোষ্ঠীর আহত একজন মারা গেছেন এমন গুজব তুলে বড়গোষ্ঠীর দাঙ্গাবাজরা মহাজোটের লোকদের বাড়ি-ঘরে হামলা করলে সারা গ্রামে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, সংঘর্ষ এখন নিয়ন্ত্রনে আছে। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয় এবং ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে গুলি করার সময় একটি বিদেশী পিস্তলসহ ৫ রাউন্ডগুলিসহ মোঃ জসিম উদ্দিন নামে এক অস্ত্রবাজকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১৮তম শিশু মেধাবৃত্তি ও শিশু মেলা আজ ০১ মার্চ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত, বুদ্ধিজীবী ও ইতিহাসবিদ, সাবেক সচিব সিরাজ উদদীন আহমেদ। মেলা উদ্বোধন করেন বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডঃ আবদুল মান্নান চৌধুরী।
চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার ও মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিশু মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মকবুল আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল হোসেন। বক্তব্য রাখেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন ও কসবার ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সচিব সিরাজ উদদীন আহমেদ বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের দেশের কর্ণধার। তারাই দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাই শিশুদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি প্রতিযোগীতা দেশের একটি মডেল। তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে তৈরী করতে পারবে। তিনি এই মেধাবৃত্তি চালু করায় আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভা শেষে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির নগদ টাকা ও সাটিফিকেট তুলে দেয়া হয়। চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭৭৮ জন শিক্ষার্থী (প্রথম শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনী) মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৯৮জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়। এদের মধ্যে ৫৭জন ট্যালেন্টপুলে, ১৩৬জন সাধারণ গ্রেডে ও উপজেলা কোটায় ৫জন বৃত্তি পায়।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে নগদ ৩ হাজার টাকা, সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তদেরকে নগদ ২ হাজার ৫০০টাকা ও উপজেলা কোটায় বৃত্তিপ্রপ্তদেরকে নগদ ১হাজার ৫০০ টাকা করে প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে গতকাল রবিবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সামি আহমেদ নাবিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আজকের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারামুক্ত হয়েছিল বলেই আজ বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশকে পিছিয়ে নেয়ার জন্য এখনো বিএনপি- জামাত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা আবারো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সেজন্য দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভায় জেলা ছাত্রলীগসহ দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো ভ্যাকসিন সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ২১ অক্টোবর শনিবার বেলা ১১টায় শহরের কুমারশীল মোড়ে “আল শিফা ভ্যাকসিন সেন্টারে” এর উদ্বোধন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে ভ্যাকসিন সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি আহাম্মদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও বাচিক শিল্পী হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ও রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, ইনসেপটা ভ্যাকসিন ডিভিশন চট্টগ্রাম বিভাগের চীফ মোঃ আমিনুল ইসলাম, জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আল শিফা ভ্যাকসিন সেন্টারের কর্ণধার এইচ.এম মুরাদ।
দোয়া পরিচালনা করেন কুমারশীল মোড়ের মদিনা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জুনায়েদ আইয়ূবী।
সভায় বক্তারা বলেন আল শিফা ভ্যাকসিন সেন্টারের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্যসেবার নব-দিগন্তের সূচনা হয়েছে। এই সেন্টারে সকল রোগের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।
বক্তারা ভ্যাকসিন সেন্টারের তাপমাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য ও বিশেষ করে অভিজ্ঞ নার্সের মাধ্যমে মানুষকে ভ্যাকসিন পুশ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। আলোচনা সভা শেষে অতিথিগন ফিতা কেটে আল শিফা ভ্যাকসিন সেন্টারের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন ফার্মেসীর মালিকগন ও জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাবের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনাক্রমে যে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে র্যাব প্রস্তুত।
তিনি আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ার সরকারপাড়ায় র্যাব-৯-এর অধীনে ক্রাইম প্রিভেশন কোম্পানী-১ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এ সময় র্যাব মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন আরো বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে ভালোবাসতেন। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাস করি, আমরা দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি আমরা তারই অনুসারী। আমরা দেশের এবং মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃংখলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। তারা যেভাবে পরিচালনা করেন ঠিক সেভাবে পরিচালিত হবে।
তবে আমাদের দায়িত্ব হবে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তারা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এই বিষয়টি নিশ্চিত করা। আমরা এটা দৃঢ়ভাবে করবো। এ ধরনের যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় র্যাব মানসিকভাবে প্রস্তুত।
পরে তিনি র্যাবের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল মাহাবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সূধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খান রফিকুল ইসলাম এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন র্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মোঃ মুমিনুল হক।
অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম শফিকুল্লাহসহ র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূধী সমাবেশে র্যাবের মহাপরিচালক এম.খুরশীদ হোসেন বলেন, দেশের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্য আর্ন্তজাতিকভাবে সুপরিকল্পিতভাবে দেশে মাদক ঢুকছে। মাদকের সাথে আপোষ করলে পরবর্তী প্রজন্মের কি হবে? দেশে এখন মেয়েরাও মাদক সেবন করে। উচ্চ ও মধ্যবিত্তের ছেলে মেয়েরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা চলমান থাকলে আগামী ১০বছর পর কাউকে পাব না যারা আইনশৃংখলা বাহিনীতে যোগ দিতে পারবে।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায় সংক্ষিপ্ত সময়ে অনেক টাকার মালিক হওয়া যায়। জনপ্রতিনিধিরাও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। মাদকের গড ফাদারদের গ্রেফতার করতে হবে। তাই মাদক পাচার প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সূধী সমাবেশের পর র্যাব-৯-এর অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-১-এর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন র্যাব মহাপরিচালক। এর আগে র্যাব মহাপরিচালক র্যাবের নিজস্ব হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাজীপাড়ায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অবতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্কাউটস আয়োজিত কাব কার্নিভাল ২০২৪, গার্ল ইন স্কাউট ইউনিট লিডারগণের ওরিয়েন্টেশন ও জাতীয় কমিশনার কাজী নাজমুল নাজুর দেয়া কম্বল বিতরণ আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস. এম. শান্তনু চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস আর এম ওসমান গনি, কুমিল্লা অঞ্চলের সম্পাদক ডিআরসি (প্রোগ্রাম) মোঃ আক্তারুজ্জামান, ডিআরসি মোঃ ছফিউল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসেম, উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান, জেলা সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ ফরিদ আহমেদ খান, সহকারী কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ তফসির, কাব লিডার মো: হারুন মিয়া প্রমূখ। সভাপতিত্ব করেন জেলা স্কাউট কমিশনার মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, কাব কার্নিভালে ৪০টি দলের ৪০জন ইউনিট লিডারের নেতৃত্বে ২৪০ জন কাব স্কাউটস অংশগ্রহণ করেন। গার্ল ইন স্কাউটস এর ওরিয়েন্টেশনে ৫০ জন ইউনিট লিডার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন এবং ৫০ জন অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ বিতরণ করা হয়।