চলারপথে রিপোর্ট :
ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড জনবীমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া এরিয়া-১৯ এর আয়োজনে ফেব্রুয়ারি ক্লোজিং মাস উপলক্ষে ব্যবসা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টি.এ রোডস্থ ফারুক টাওয়ারে এরিয়া কার্যালয়ে ব্যবসা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কোম্পানীর সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১৯ এর এরিয়া ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রধান ইনর্চাজ মো: জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম। প্রধান অতিথি বিমা কর্মীদের সঠিক সুন্দর দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করে বলেন, দেশের বীমা খাতে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স প্রথম বেসরকারি বীমা কোম্পানী। ১৯৮৫ সালের জম্ম। আগামী ২৩ এপ্রিল আমার ৪০ বছরে পা রাখবো। দীর্ঘ ৩৯ বছরের পথচলায় স্বচ্ছতা ,বিশ্বস্ততা আর উন্নত গ্রাহক সেবার কারণে ন্যাশনাল লাইফ পৌঁছে গেছে মানুষের আস্থার শীর্ষে এবং ন্যাশনাল লাইফ দেশে এক নম্বরে রয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট (উন্নয়ন) হেলাল আহমেদ জনবীমা পূবাঞ্চল, কোম্পানীর সহকারী এরিয়া ইনচার্জ মো: কামাল হোসেন, সহকারী এরিয়া ইনচার্জ মো: জামাল উদ্দিন। উন্নয়ন সভায় বক্তব্য রাখেন, সহকারী জোন ইনচার্জ মো: আকবর আলী, আক্তার হোসেন, সাদেুকুল ইসলাম, এজিএম বাবুল মিয়া,তাকলিমা বেগম, আসমা বেগম,শাবান আক্তার, ঝুমা বেগমসহ ব্রাঞ্চ ম্যানেজারগন। এসময় ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড জনবীমার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নাসিরনগর ও নবীনগর বিকেন্দ্রীক জেলায় কর্মরত সহকারী জোন ইনচার্জ, এজিএম, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার,সুপারভাইজার ও কালেক্টররা অংশগ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালুর দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
কলেজের সামনে সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল। কলেজ শাখার সভাপতি জুবায়ের মাহমুদ খান শ্রাবনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন – জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি আরাফাত হাসান, জেলা ছাত্রলীগ নেতা উৎস, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা, রাব্বি রায়হান, ইয়াদুল হাসান, কাজী মেহেদী, জুয়েল রানা, তাজিম , শাহিদুল প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানান এবং এই ইসুতে কেন্দ্রীয় যে কোন নির্দেশনায় মাঠে থাকার ঘোষণা দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষের উপর অত্যাচার করেছে। বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম খুন করা হয়েছে। পুলিশ দিয়ে নেতাকর্মীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। অতঃপর জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনা ভারতে পালাতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয় বড় বড় নেতারা বুজ পাখির মত নাই হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, ৭৫ এর পর দেশের মানুষ যেভাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল তেমনি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ঘরে ঘরে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ এই ষড়যন্ত্র কিছু কিছু টের পাচ্ছে। ভোটের কোন নিশানা দেখা যাচ্ছে না। তিনি সাবধান করে দিয়ে বলেন, এদেশের মানুষ সব সময় ভোটের জন্য আন্দোলন করেছে, বারবার রক্ত দিয়েছে। মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা না নিয়ে দ্রুত ভোট দেয়ার সুযোগ তৈরি করতে আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, এ দেশ চলবে মানুষের রায়ে। জনগণ যাকে খুশি তাকে বেছে নিয়ে ক্ষমতায় বসাবে। বিএনপি আর কোনদিন এদেশে বিনা ভোটের সরকার আসতে দেবে না।
আজ ২০ অক্টোবর রবিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর প্রথম গেট এলাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) উপজেলার জনগণের আয়োজিত ভাষা আন্দোলনের সিপাহসালার ও দেশবরেণ্য জাতীয় নেতা অলি আহাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি কৃতি সন্তান জন্ম দেয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আসনগুলোতে তাক লাগানো সব সংসদ সদস্য আমরা এতো বছর দেখে আসছি। ইনশাআল্লাহ আপনারা যদি পাশে থাকেন। আপনারা যদি আমাদের হাত শক্তিশালী করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যে ছয়টা আসন আছে, সে ছয়টা তাক লাগানো এমপি তৈরি করে দেব আমরা।
বিএনপি নেতা মুন্সী আমানুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি জহিরুল হক খোকন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সহ-সম্পাদক ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা। ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল হক মুকুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেটিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খোকন সেন, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট শফিকুর রহমান সফিক, সরাইল উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন মাস্টার, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু, আশুগঞ্জের বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারনম্যান আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
সভা শেষে প্রয়াত রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও ডেমোক্রেটিক লীগের সভাপতি অলি আহাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি শহিদুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনাড়ম্বর আয়োজনে ৩ ফুট উচ্চতার যুবকের সঙ্গে আড়াই ফুট উচ্চতার তরুণীর বিয়ে দিয়েছে দুই পরিবার।
১০ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়ন উলচাপাড়া গ্রামের মন মিয়ার ছেলে মো. ফরহাদ মিয়ার সঙ্গ বিয়ে হয় পূর্ব তালশহর ইউনিয়ন পুথাই গ্রামের আলী আকবর এর মেয়ে মোছা. আরিফা আক্তারের। দুজনেরই শারীরিক উচ্চতা অস্বাভাবিক।
বরের মামা জুয়েল মিয়া বলেন, ফরহাদের বয়স ২৭ বছর। কিন্তু তার উচ্চতা মাত্র তিন ফুট। বিয়ের বয়স হওয়ার পর থেকে কনে খুঁজছিলাম। দীর্ঘদিন কনে খুঁজে না পেয়ে, অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পুথাই গ্রামে একটি মেয়ে খুঁজে পাই। মেয়েটির উচ্চতা আড়াই ফুট। আমরা দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে তাদের বিয়ের আয়োজন করি। বিয়েতে ৪০ বরযাত্রী গিয়েছি। দেড় লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে হয়।
বরের প্রতিবেশী শেখ তারেক আহমেদ বলেন, বর ফরহাদের জন্ম দরিদ্র পরিবারে। সে রুপার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তার উচ্চতা তিন ফুট হলেও তাকে পরিবারের সদস্যসহ গ্রামবাসী খুব আদর করেন। পরিবারের সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় তার বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কনের উচ্চতাও আড়াই ফুট। বিয়ের পর বর-কনেকে দেখতে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন ভিড় করছেন। তাদের বিয়ের আয়োজনে আমরা খুব খুশি।
বর মো. ফরহাদ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, দু’জনের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে। বিয়ে করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। দেশবাসীর কাছে আমরা দোয়া চাই। আমরা যেন সুন্দরভাবে সংসার করতে পারি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন,বিএনপি-জামাতের রাজনীতি হচ্ছে জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ হত্যা। কিন্তু ওরা জানে না জ্বালাও-পোড়াও করে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবেনা। ২০১৩-১৪ সালেও দিনের পর দিন জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ খুন করেও শেখ হাসিনারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যায়নি। শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর একমাত্র পথ নির্বাচন আর জনরায়। নির্বাচনে জনরায় আমাদের বিরুদ্ধে গেলে আমরা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবো। কেউ সরানোর দরকার পড়বেনা। তিনি দেশের অকল্পনীয় উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকা প্রতিকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
তিনি আজ ৮ নভেম্বর বুধবার বিকালে সদর উপজেলার বটতলী বাজারে ৮ নং নাটাই উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আহবায়ক হাজি আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মহসিন মিয়া, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহার, জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, যুগ্ম-সম্পাদক মোমিন মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি কাজী মোবারক হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক নাসির উদ্দিন মাস্টার, সোহেল মিয়া, যুবলীগ নেতা আবু কাউসার।